আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

মানিকগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় ইউপি সদস্য কারাগারে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সাটুরিয়া প্রতিনিধি:

মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া উপজেলায় বরাইদ ইউনিয়নে ভিজিএফের কার্ড দেয়ার কথা বলে জোরপূর্বক এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে। ইউপি সদস্য দেলোয়ার বরাইদ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের তোফাজ্জলের ছেলে।

এঘটনায় ওই ভুক্তভোগী সাটুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে সাটুরিয়া থানা পুলিশ ইউপি সদস্য দেলোয়ারকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার )১১ আগস্ট) সকালে মামলার আসামি দেলোয়ারকে মানিকগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়। 

ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ সাংবাদিকদের জানান, আমি দুই সন্তান ও স্বামী নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করে আসছি। তাই ১০ টাকা দরে ভিজিএফ কার্ডের জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই মেম্বারের কাছে গিয়েছি। মেম্বার প্রথম দিক থেকেই কার্ডের বিনিময়ে কিছু চাচ্ছিল। তখন আমি বিষয়টি ভালোভাবে বুঝে উঠতে পারিনি। হঠাৎ করেই মঙ্গলবার রাতে মেম্বার (দেলোয়ার) ফোন করে আমাকে কার্ড নিতে তার বাড়িতে আসতে বলে। ওই সময় আমি তাকে সকালে আসব বলে জানাই। কারণ, আমার স্বামী বাড়িতে নেই সেজন্য। তখন মেম্বার বলে, ঠিক আছে তোমার আসতে হবে না, আমি নিজে কার্ড নিয়ে তোমার বাড়িতে আসতেছি। কিছুক্ষণ পর মেম্বার আমার বাড়িতে এসে ফোন করে যে তোমার কার্ড নিয়ে এসেছি। মেম্বার আমাকে বাহিরে আসতে বলে। আমি ঘর থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে দেলোয়ার আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে  ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং মেম্বারকে আটক করে। পরে নিরুপায় হয়ে আমি দেলোয়ারকে আসামী করে সাটুরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।

সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম বলেন, ভুক্তভোগী ওই নারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেলোয়ার হোসাইনকে আটক করে মানিকগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে শ্রমিকদের চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এরই প্রতিবাদে বুধবার (১ মে) বেলা ১১টায় রাজশাহী বাস টার্মিনাল এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।

এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা রাজশাহী বাস টার্মিনালের সামনের প্রধান সড়ক বাস ও বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেয়। যানবাহন চলাচলেও দেওয়া হয় বাঁধা।

ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন অর্থ আত্মসাতের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশা দিলে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ উঠিয়ে নেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হামিদুল আলম সাজু জানান, রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী দীর্ঘদিন থেকে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করে আসছিলেন। তার কাছে শ্রমিকদের পাওনা রয়েছে ৪ কোটি টাকারও বেশি। তাকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও শ্রমিকদের অর্থ ফেরত না দেওয়ায় প্রতিবাদস্বরূপ তারা আজকের এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।


আরও খবর



শাশুড়ির করা পর্নোগ্রাফি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন জাবি শিক্ষিকা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে মানহানির অভিযোগে শাশুড়ির করা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভাষা কোর্সের খন্ডকালীন শিক্ষিকা গুলশান আরা। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজের আদালত আস সামছ জগলুল হোসেন আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করার মতো উপাদান না থাকায় তাকে অব্যাহতির আদেশ দেন।

গুলশান আরার আইনজীবী আল মামুন রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুধুমাত্র হারিয়ে যাওয়া সিমের (মোবাইল সিম) কারণে এই মিথ্যা অভিযোগের মামলায় উনি (গুলশান আরা) ফেঁসে যান। শ্বশুরবাড়ির পরিকল্পিত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় উনাকে ফাঁসানো হয়েছিল। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করেছেন, কিন্তু কোনো ফরেনসিক রিপোর্ট প্রদান করেননি। আমরা আদালতে তার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, একটি ফেসবুক আইডি থেকে ২০২২ সালের ৯ মে বাদীর মেয়ের (আসামির ননদ) নগ্ন ছবি বাদীর মেয়ের বান্ধবীর মেসেঞ্জারে পাঠানো হয়। এডিট করে এ নগ্ন ছবি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি বাদীর। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে ওই ফেসবুক আইডি ব্যবহারকারীর হুমকি দেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিগুলো ছড়িয়ে দেবেন।

পরে বাদী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ফেসবুক আইডিটি তার পুত্রবধূ গুলশান আরার। পরে তিনি এ ঘটনায় ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাড্ডা থানায় মামলা করেন।

২০২৩ সালের ৩০ মে মামলাটি তদন্ত করে গুলশান আরাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রাসেল পারভেজ।


আরও খবর



ন্যাশনাল ব্যাংক ১৮ কোটি জনগণের ব্যাংক

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনবিএল) হারানো গৌরব আবার ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ব্যাংক নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথা জানান।

ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ আবারও পুনর্গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ৫ মে বাংলাদেশ ব্যাংক খলিলুর রহমানকে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেয়। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব খলিলুর রহমান দেশের অন্যতম ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিএমসিসিআই) সভাপতি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিডিএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ সিআর কয়েল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিআরসিএমইএ) চেয়ারম্যান।

দীর্ঘ ব্যাবসায়িক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ব্যাংকের হারানো গৌরব ফেরানোর কথা উল্লেখ করে খলিলুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ী হিসেবে আমরা জানি ব্যাংককে কিভাবে লাভজনক করতে হয়। ১৯৮৩ সালে আমরা এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছি। আমি জানি, ব্যাংকের কোথায় কী আছে, কী কী সমস্যা আছে, কারণগুলো আমাদের জানা। এই ব্যাংক ২০১২ সাল পর্যন্ত এক নম্বর কাতারে ছিল। বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের ফার্স্ট জেনারেশনের ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক। তখন আমাদের যাঁরা পরিচালক ছিলেন সবাই ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁদের ব্যবসার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ছিল। ওই অভিজ্ঞতা দিয়ে আমরা ব্যাংকটি করেছিলাম।

নিজের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, যাঁরা প্রকৃত ব্যবসা করেন, দেশে বিনিয়োগ করেন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেন তাঁদের যথেষ্ট সুযোগ দেব। এটি আমার ব্যাংক কখনো বলি না। আমরা বলি, ন্যাশনাল ব্যাংক জনগণের ব্যাংক, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ব্যাংক। তিনি বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের বর্তমান পরিস্থিতি আপনারা জানেন। ব্যাংক কার দ্বারা কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিভাবে টাকা নিয়েছে তা সবাই সব জানেন।একসময়ের সফল একটি ব্যাংককে রক্ষা করতে, বাঁচাতে আমরা একত্র হয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংককে বলেছি, আমরা একীভূত হব না। আমরা নিজেরা চালাব। আমরা কষ্ট করে চালাব। পরিশ্রম, সততা থাকলে, কষ্ট করলে এগিয়ে নিতে পারব। পাওনা উসুল করব। যারা ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছে তাদের বোঝাব, আইন প্রয়োগ করে টাকা ফেরত আনব। ডিপোজিট আনব। ডিপোজিট দিয়ে ব্যবসা করব। একসময় আমরা অনেক বেশি লভ্যাংশ দিয়েছি। ইচ্ছা করলে আমরা উন্নত করে এগিয়ে নিতে পারব। ন্যাশনাল ব্যাংকের হারানো গৌরব আবার ফিরিয়ে আনতে পারব ইনশাআল্লাহ। এটি আমার বিশ্বাস। চার বছরে আমরা একটি ভালো অবস্থানে পৌঁছতে পারব।

ন্যাশনাল ব্যাংকের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। যাঁরা ঋণ নিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে আদায় করবই। আমরা খেলাপি ঋণ আদায়ের চেষ্টা করব। প্রকৃত ব্যবসায়ী ঋণ নিলে খেলাপি হতে পারেন না। অ্যাসেসমেন্ট করে ঋণ দেওয়া হয়নি। মনিটরিং করা হয়নি। বড় খেলাপিদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা ভুল স্বীকার করেছেন, টাকা পরিশোধে ইচ্ছুক। বড় ব্যবসায়ীদের টাকা খেলাপি হবে না। ব্যবসা করে ক্ষতি পুষিয়ে নেব। যাঁরা ব্যবসায়ী না হয়ে ঋণ নিয়েছেন, তাঁরাই সমস্যা। অন্তত ৫০ শতাংশ আদায়ে আমরা আশাবাদী।

বর্তমান সময়ে ন্যাশনাল ব্যাংক এককভাবে ব্যবসা পরিচালনার সক্ষমতা রাখে কি না, জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, ব্যাংকটি একীভূত করার বিষয়ে চাপ থাকার বিষয়টি সত্যিকার অর্থে সঠিক নয়। আমরা যখন শুনি ব্যাংকটি একীভূত করার কথা চলছে, তখন আমরা আগের পর্ষদ সভা করে সিদ্ধান্ত দিই, যে ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে তার চেয়ে আমাদের ব্যাংকের ভিত্তি শক্ত বেশি। আমরা কেন একীভূত হব? আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমরা পর্ষদ থেকে সিদ্ধান্ত দিলাম, আমরা একীভূত হতে রাজি নই। আমাদের ব্যাংক আমরা চালাব। দরকার হলে নতুন পর্ষদ গঠন করব। অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হলে অনেক লোকের চাকরি হারানোর শঙ্কা ছিল। কারণ অনেক জায়গায় দুটি ব্যাংকেরই শাখা রয়েছে। সে বিষয়টিও আমরা ভেবেছি।

ব্যাংক প্রতিষ্ঠার স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, আমরা যখন চার কোটি টাকায় এ ব্যাংকের উদ্যোগ নিয়েছিলাম তখন বেসরকারি ব্যাংক ছিল না। আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে, বন্ধুবান্ধবকে ধরে ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে এনেছি। ব্যাংকের পরিচালক হলে টাকা ফেরত পাবে কি না, তখন চিন্তা করত। আমি বলেছি, তুমি টাকা দাও, টাকা ফেরত না পেলে আমি দিয়ে দেব। এভাবে বলে রাজি করিয়েছি। এই শিল্পোদ্যোক্তা বলেন, ব্যাংক ব্যবসা বুঝতে হবে। ব্যাংক ম্যানেজার ব্যবসা বুঝলে ঋণ দিতে পারেন। যাঁকে ঋণ দেবেন, তাঁর বিনিয়োগ মনিটর করতে হবে। নিয়মিত পরিশোধ করছে কি না, দেখতে হবে। বড় ঋণ ত্রৈমাসিক, ষাণ্মাসিক, বার্ষিক রিশিডিউল করা হবে। মনিটরিং থাকলে টাকা খেলাপি হয় না। খেলাপির কারণে বিশ্বাস কমে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। প্রকৃত ব্যবসায়ী ব্যাংকের টাকা মেরে খাবেন না। ব্যবসায়ীদের মুখের কথার দাম আছে।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, যাঁরা ঋণ নিয়েছেন দরকার হলে জামানত হিসেবে দেওয়া বাড়ি, জমি বিক্রি করে দেব। দেশে আইন আছে, ব্যাংকের টাকা দিতে না পারলে মামলা করে সম্পদ বিক্রি করে দেওয়া যায়। নতুন পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকটিতে তিন হাজার কোটি টাকার আমানত সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়েছে। এই আমানত কার কাছ থেকে কিভাবে সংগ্রহ করা হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই কদিন আগেও শেয়ারের দাম সাড়ে চার টাকা ছিল, এখন সাত টাকা হয়ে গেছে। ডিপোজিট দিন দিন বাড়ছে। এর জন্য বন্ধু, ব্যবসায়ীদের কাছে যাব। ডিপোজিট খাটিয়ে আমানতকারীকে লাভ দিতে হবে। আমাদের মালয়েশিয়ায় ১১টি, মালদ্বীপে তিনটি, সিঙ্গাপুরে দুটিসহ বিভিন্ন দেশে শাখা আছে। এসব শাখার মাধ্যমে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ করব। আশা করি, চার বছরেই আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারব।


আরও খবর



টি-টোয়েন্টি সিরিজ: সন্ধ্যায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ (শুক্রবার) মাঠে নামবে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।

টি-টোয়ন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এই সিরিজে টাইগার ম্যানেজমেন্ট বেশ কয়েকটি জায়গা পরীক্ষা করবে। যার প্রথমটি হলো সাইফউদ্দিন। ১৮ মাস পর দলের ফেরা এই ক্রিকেটারকে যাচাই করতে মূল একাদশে রাখবে কোচ এবং অধিনায়ক।

বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিয়েছেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজ শুধু পরীক্ষা-নিরীক্ষার সিরিজ নয়। অর্থাৎ বিশ্বকাপের দল নির্বাচনে যাচাইবাছাইয়ের একটি সুযোগ থাকলেও সিরিজ জয়ই হবে টাইগারদের লক্ষ্য।

এদিকে মোস্তাফিজ না থাকায় তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে দিয়ে পেস বোলিং ডিপার্টমেন্ট সাজাতে পারে বাংলাদেশ।

এর বাইরে স্পিনার কোটায় লেগ স্পিনার রিশাদ ও অফ স্পিনার শেখ মেহেদি থাকতে পারেন। এই ৫ বোলারের সঙ্গে ব্যাটার হিসেবে লিটন দাস, বাঁহাতি তানজিদ হাসান তামিম, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলী অনিক কোচের অটোচয়েজ।

টাইগারদের সম্ভাব্য একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম,তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদি, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।


আরও খবর



যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সরকারের বিরোধী ষড়যন্ত্র, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে মিথ্যাচার এবং ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনার মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে জনগণকে বিভ্রান্ত ও সরকারকে বিব্রত করার অভিযোগে বেসরকারি সংগঠন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকন বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর মূখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে এই মামলা করেন।

সিএমএমের পক্ষে মহানগর হাকিম (শাহবাগ আমলী আদালত) বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ ও অভিযোগের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে পুলিশ ব‍্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের তথ্য প্রকাশ করে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সেখানে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, গত ২০ বছর মন্ত্রী থেকেও ওবায়দুল কাদের সড়ক পরিবহন খাতের উন্নয়নে ও দুর্ঘটনা রোধে কিছুই করতে পারেননি। তিনি চাইলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে পারেন।

বাদী হানিফ খোকন মামলার আরজিতে উল্লেখ করেন, ওবায়দুল কাদের ২০ বছর মন্ত্রীত্ব করছেন না। তিনি ১৪ বছর সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন এবং তার আমলে সড়ক যোগাযোগ খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে মোজাম্মেল হক সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা উল্লেখ না করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই সংখ্যা বাড়িয়ে বলেছেন।

বাদী অভিযোগ করেন, যাত্রী কল্যাণ সমিতি মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন এবং পরিবার ও সমাজে ব্যাপকভাবে সম্মানহানী করেছে। যা পেনাল কোড ৫০০/৫০১/৫০৬ ধারায় অপরাধ। জনগণকে বিভ্রান্ত ও সরকারকে বিব্রত করতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি এসব মিথ্যাচার করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বাদী হানিফ খোকনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মোহাম্মদ মুশতাক আহমেদ। এর আগে একই অভিযোগে ২৩ এপ্রিল শাহবাগ থানায় জিডি করা হয়েছে।


আরও খবর