আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

মহেশপুরে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি:

মহেশপুরে কাজিরবেড় ইউনিয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী পালন অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যান গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অনন্ত ১০ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সামন্তা বাজারে কাঙালিভোজ বিতরণকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় বর্তমান চেয়ারম্যান গ্রুপের আহতরা হলেন- রহম আলীর ছেলে হজরত আলী, বারি মণ্ডলের ছেলে নাসির উদ্দিন, হাবিবুর রহমানের ছেলে রাকিব হোসেন, কালা মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান।

অপর গ্রুপের করিম মণ্ডলের ছেলে নাসির মেম্বর, গিয়াস উদ্দিনের ছেলে উম্মত আলী ও আব্দুল রহমানের ছেলে ইজাজ মিয়া, আনছার আলীর ছেলে আজগর আলী, বিশারত আলীর ছেলে শুকুর আলী, সামছুল ইসলামের ছেলে আজাহার আলী। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সামন্তা বাজারে জাতির পিতার শাহাদতবার্ষিকী পালন অনুষ্ঠানে বর্তমান চেয়ারম্যান ইয়ানবী ও সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সেলিম সমর্থকদের মাঝে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে বাধে। এতে উভয় গ্রুপের ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মহেশপুর হাসপাতালে ৪ জন ও বাকিদের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বর্তমান চেয়ারম্যান ইয়ানবী জানান, ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সেলিম তার নিজ সমর্থিত লোকজন নিয়ে শোক দিবস পালন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে তিনি দলের অন্যকোন নেতাকর্মীদের দাওয়াত দেননি। বিকালে এমপি আসছে শুনে আমার (বর্তমান চেয়ারম্যান) লোকজন রিসিভ করতে গেলে আব্দুস সেলিমের লোকজন হামলা করে। এতে সংঘর্ষ বাধলে আমার গ্রুপের ৪ জন আহত হয়েছেন।

সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সেলিম জানান, অনুষ্ঠান চলাকালে বর্তমান চেয়ারম্যানের লোকজন ব্যানার ছিঁড়ে চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করতে শুরু করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষে আমার গ্রুপের ৬ জন আহত হয়েছেন।

মহেশপুর থানার ওসি খন্দকার শামীম উদ্দিন জানান, শোক দিবস পালন অনুষ্ঠানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


আরও খবর



লেবানন থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

লেবানন থেকে ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে দেশটি প্রায় ১০০টি রকেট হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের জাতীয় সংবাদমাধ্যম সেনাবাহিনীর বরাতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে মঙ্গলবার সকালে লেবানন থেকে ব্যাপক রকেট হামলা চালানো হয়েছে। তবে এতে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের আপার গ্যালিলি অঞ্চল ও অধিকৃত গোলানকে নিশানা করে বেশ কয়েকটি রকেট ছোড়া হয়েছে। তবে এসব রকেট ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী দ্বারা ভূপাতিত করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকিগুলো খোলা জায়গায় পতিত হয়েছে।

ইসরায়েলি আর্মি রেডিওসহ অন্যান্য সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, লেবানন থেকে গোলানকে নিশানা করে ৩০টির বেশি রকেট ছোড়া হয়েছে। এ ছাড়া সব মিলিয়ে প্রায় ১০০টি রকেট ছোড়া হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলার পর থেকে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়ে আসছে।

এর আগে গত ১০ মার্চ আলজাজিরা জানায়, লেবাননে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলে। দেশটির সেনাদের এ হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হন। এ সময় আহত হন আরও অন্তত ৯ জন। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের চারজন রয়েছেন।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন সংসদ নির্বাচনের চেয়েও ভালো হবে: ইসি আলমগীর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচন আরও ভালো হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীর স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশনা রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো মতামত নেই। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার যে কোন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।

শনিবার দুপুরে (২০এপ্রিল) মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দুটি উপজেলার প্রার্থীদের সঙ্গে দুটি পৃথক মতবিনিময় সভা করেন ইসি আলমগীর। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর এসব কথা বলেন।

ইসি মো. আলমগীর বলেন, একটা হচ্ছে দলীয় সিদ্ধান্ত। আরেকটা হলো নির্বাচন কমিশনের আইন। নির্বাচন কমিশনের আইনে আত্মীয় অনাত্মীয় কোনো সম্পর্ক নেই। তাই এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশনা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত, তাদের পলিসি। তবে যে কোনো দল অথবা যে কেউ বলুক না কেন যেটা করলে নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ হবে, সেটাকে আমরা ওয়েলকাম জানাই।

তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। যেখানেই প্রভাব বিস্তার অথবা প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে, সেখানেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

বিএনপির ভোট বর্জনের ডাকের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, জাতীয় নির্বাচনেও ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। তারপরও সবার সহযোগিতায় একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে। সংসদ নির্বাচনের চেয়েও উপজেলা নির্বাচন আরও ভালো হবে।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমিনুর রহমান মিঞা সহ সিংগাইর ও হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: মো. আলমগীর

আরও খবর



পাঁচ বছর পর ইউরোপ সফরে শি জিনপিং

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর প্রথম ইউরোপ সফর শুরু করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তার এই সফরের প্রধান এজেন্ডা থাকবে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের পাশাপাশি বেইজিং ও ব্রাসেলসের মধ্যে অর্থনৈতিক টানাপোড়েন রোধ করা।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রথম যাত্রাবিরতি হবে ফ্রান্সে । ৬ মে প্যারিসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁন এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর পর, তিনি সার্বিয়া এবং হাঙ্গেরি সফর করবেন। দুটি দেশ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ সত্ত্বেও রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে।

আটলান্টিক কাউন্সিলের গ্লোবাল চায়না হাবের সহকারী পরিচালক ম্যাট গেরাসিম বলেছেন, তিনটি লক্ষ্য নিয়ে  শি জিনপিং ইউরোপ সফর করছেন। সেগুলো হলো- ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে চীনের সমর্থনের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করা,  চীনের বিরুদ্ধে ইইউর অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এজেন্ডাকে ভোঁতা করে দেওয়া এবং তার শক্তিশালী অংশীদারদের সাথে বেইজিংয়ের দৃঢ় সম্পর্কের প্রদর্শন করা।


আরও খবর



সিলেটে টাকা নিয়ে লাপাত্তা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মচারী

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে লাপাত্তা রয়েছেন কর্মচারী মিনহাজ। গত ৩ আগস্ট থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া টাকার পরিমাণ প্রায় অর্ধকোটি টাকা। এ ছাড়াও অফিসের অভ্যন্তরে থাকা কর্মচারী ইউনিয়নের তহবিল ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় আরও অর্ধকোটি টাকা তিনি ঋণ নিয়েছেন বলে কর্মচারীরা জানিয়েছেন। অনুপস্থিত থাকায় এখন তার ঋণের জামিনদাররা পড়েছেন বেকায়দায়। এমন ঘটনায় সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকে তোলপাড় চলছে। ইতিমধ্যে কর্মকর্তারা বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়কে জানিয়েছে।

প্রধান কার্যালয় থেকে এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের কর্মকর্তারা। সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকৌশল শাখায় প্লাম্বার বা কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত ছিল মিনহাজ ওরফে ফারুক। সে স্যানেটারি মিস্ত্রি হিসেবেও নিয়োগ পেয়েছিল। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইলের বারুলা গ্রামে।

কর্মচারীরা জানিয়েছে, মিনহাজ ২০১১ সালে মাস্টার রোলের কর্মচারী হিসেবে প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসে কাজে যোগ দিয়েছিল। এরপর ২০১৭ সালে সে নিয়মিত কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পায়। তার মামা সাইফুল ইসলাম মিয়াও সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকৌশল শাখায় যুক্ত। তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর মিনহাজ ওরফে ফারুক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত গৃহঋণ নিয়েছে।

আর এই টাকা দিয়ে সিলেট শহরতলীর সুরমা গেট এলাকায় জমিও কিনেছেন। এ ছাড়া মোটরসাইকেল ক্রয় বাবদও আরেকটি ঋণ ব্যাংক থেকে নিয়েছেন। দুটি ঋণে জামিনদার হিসেবে ব্যাংকের প্রকৌশল শাখার একাধিক কর্মচারীকে রাখেন মিনহাজ। এ ছাড়া ব্যাংকের কর্মচারীদের যে সমিতি রয়েছে সেই সমিতি থেকেও সে ঋণ নিয়েছে। ব্যাংক ও সমিতির ঋণ মিলে কোটি টাকা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

কর্মচারীরা জানান, চাকরিতে থাকার সময় তার সঙ্গে অনেকেরই ভালো সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের সুবাদে বিভিন্ন সময় তার নামে নেয়া ঋণের জামিনদার হয়েছেন পরিচিতরা। গত আগস্ট মাসের শুরু থেকে হঠাৎ কর্মস্থলে অনুপস্থিত মিনহাজ ওরফে ফারুক। ব্যাংকের তরফ থেকে বারবার চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। কর্মচারীদের ধারণা ঋণের টাকা নিয়ে দেশ ছেড়েছে মিনহাজ।

এই অবস্থায় জামিনদাররা পড়েছেন বিপাকে। ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যাংক থেকে তাদের চাপ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন জামিনদার। তারা জানিয়েছেন, মিনহাজ টাকা না দিলে জামিনদারদের বেতন থেকে টাকা কর্তন করা হবে। এটাই হচ্ছে ব্যাংকের নিয়ম।

বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঋণের টাকা নিয়ে কর্মচারী উধাওয়ের ঘটনার বিষয়টি ইতিমধ্যে আমলে নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়কে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধান কার্যালয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এই অবস্থায় মিনহাজ ওরফে ফারুকের সন্ধানে অনেকেই সরব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সন্ধান চেয়ে তারা লিখেছেন- ফারুক ওরফে মিনহাজ বাটপার লোকটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গিয়েছে। তাকে ধরিয়ে দিন। সহজ সরল মানুষগুলোকে এই প্রতারক বাটপার ঠকিয়েছে। তাকে দয়া করে ধরিয়ে দিয়ে সহজ সরল মানুষগুলোকে সহায়তা করেন।

এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসের পরিচালক (প্রশাসন) খালেদ আহমেদ জানিয়েছেন, কোনো কর্মচারী অনুমোদনবিহীন দীর্ঘদিন থেকে অনুপস্থিত থাকলে তার ব্যাপারে অফিসের নিয়ম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ব্যাংক থেকে যে টাকা পয়সা নিয়েছে তা উদ্ধারেও অনেক নিয়ম মানতে হয়।

লাপাত্তা থাকা মিনহাজের মামা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিলেট অফিসের প্রকৌশল বিভাগের কর্মচারী সাইফুল ইসলাম মিয়া জানিয়েছেন, মিনহাজ ওরফে ফারুক তার ভাগিনা হলেও তার সঙ্গে তেমন সম্পর্ক ছিল না। লাপাত্তা হওয়ার পর জানতে পারেন সে ব্যাংক ও সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে পালিয়েছে। তার কোনো ঋণে তিনি জামিনদার ছিলেন না।

সাইফুল জানান, মিনহাজ ওরফে ফারুক কোথায় আছে তিনি জানেন না। সে বিদেশে সে সম্পর্কেও তিনি অবগত নন। পলাতক হওয়ার পর অনেকে এসে ব্যক্তিগতভাবে জানাচ্ছেন, তার কাছে পাওনা টাকা রয়েছে। যেহেতু ঋণ দেয়ার সময় আমার অনুমতি নিয়ে কেউ টাকা দেননি, এ কারণে এখন তাদের এই টাকার বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না। মিনহাজ ওরফে ফারুকের দুই স্ত্রীর মধ্যে এক স্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া শাখায় কাজ করেন বলে জানান তিনি।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর



বান্দরবানের তিন উপজেলায় ভোট স্থগিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, যৌথ অভিযানের মধ্যে বান্দরবানের তিন উপজেলায় ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা এই তিন উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে এ তিন উপজেলার ভোট করা হবে বলে জানান ইসি সচিব। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে ষষ্ঠ উপজেলা ভোট নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এ সিদ্ধান্ত হয়।

চার নির্বাচন কমিশনার, জননিরাপত্তা বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন ভবনে বেলা ১১টা থেকে তিন ঘণ্টাব্যাপী সংশ্লিষ্ট সচিবদের নিয়ে এ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, সভায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ও প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে– এবার উপজেলা নির্বাচনে অন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চেয়ে বেশি সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হবে। চার ধাপে ভোট হওয়ায় জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের চাহিদা অনুযায়ী মোতায়েন করা হবে। পার্বত্য জেলা বান্দরবানে বিশেষ করে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। আপাতত এ তিনটি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে এ নির্বাচন করা হবে।

মো. জাহাংগীর আলম বলেন, অপারেশন চলমান থাকায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এ তিনটি উপজেলার নির্বাচন পরে করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আগামী ৮ মে রোয়াংছড়ি ও থানচিতে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। রুমার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে ২১ মে।

এবার প্রথম ধাপে ১৫০ ও দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। তৃতীয় ধাপে ১১২টির ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ৫ জুন।

২ এপ্রিল রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে অর্থ লুট করে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। পুলিশের ১০টি এবং আনসার সদস্যের চারটি অস্ত্রও লুট করে নিয়ে যায় তারা। অপহরণ করা হয় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে। দু-দিন পর রুমার একটা পাহাড়ি এলাকা থেকে ছাড়া পান তিনি।

রুমার ঘটনার একদিন পর ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকেও দিনদুপুরে অর্থ লুটের ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ জড়িত বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-অর্থ উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুমা ও থানচিতে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশ সদস্যের যৌথ বাহিনী। যৌথ বাহিনীর এ অভিযানে সমন্বয় করছেন সেনাবাহিনী। যৌথ বাহিনীর এ অভিযানে বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ২১ নারীসহ ৭১ জনকে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছে পুলিশ। বান্দরবানের রুমায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে সোমবার পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের এক সদস্যের’ নিহতের খবর জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর।


আরও খবর