আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

মহেশপুরে ভুয়া এনজিও গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে উধাও

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মহেমপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহের মহেশপুরে ডেভেলপমেন্ট ভিলেজ সোসাইটি নামের একটি ভুয়া এনজিও গ্রাহকের প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোটা অংকের লোন দেবার কথা বলে গ্রাহকের কাছ থেকে এককালিন টাকা নিয়ে লোন দেওয়ার আগমূহুর্তে তারা অফিস ফেলে পালিয়ে যায়। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের আকাশ ভেঙ্গে মাথায় পড়ার উপক্রম হয়েছে।

আজ রোববার ওই এনজিও থেকে প্রত্যাশিত ঋণের টাকা নিতে এসে গ্রাহকরা অফিসে তালা ঝুলতে দেখে তাদের মোবাইল নম্বারে  ফোন দিয়ে সবগুলো নম্বার বন্ধ পান। পরে তারা প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পৌর এলাকার হামিদপুর ঘোষ পাড়ার মৃত মুক্তার মাষ্টারের বাড়ির নিচতলার ২টি রুম ভাড়া নিয়ে চলতি মাসের ৫ তারিখে ডেভেলপমেন্ট ভিলেজ সোসাইটি নামে একটি এনজিও কার্যক্রম শুরু করে।

ডেভেলপমেন্ট ভিলেজ সোসাইটির কথিত কর্মকর্তারা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে প্রতি গ্রাহককের নিকট থেকে সঞ্চয় বাবদ ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা করে জমা নিয়ে ২ লাখ ৫০ থেকে ৩ লাখ টাকা লোন দেয়া হবে বলে লোভ দেখিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ২থেকে ৩শ গরীব পরিবারের সদস্যদের নিকট থেকে প্রায় কোটি টাকা উত্তোলন করে। পরে রাতের আঁধারে তারা অফিস ফেলে গত রাতে পালিয়ে গেছে।

১ জন মহিলা এবং ৪জন পুরুষ মিলে ৫ সদস্যের ওই প্রতারক চক্রটি মাত্র ৯ দিনের মধ্যে তাদের এ মিশন শেষ করে গ্রাহকের টাকা নিয়ে অফিসে ৪টি চেয়ার ও ২টি টেবিল ফেলে হাওয়া হয়ে গেছে। গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগের জন্য যে মোবাইল নাম্বারটি ব্যবহার করেছিলেন অফিস বস। বর্তমানে মোবাইল নম্বরটি বন্ধ রয়েছে।

উপজেলার কাজিরবের ইউপির বাগদির আইট গ্রামের তহমিনা,শাহিনা,মর্জিনা,সোনলি,পারভীনাসহ মান্দার বাড়িয়া, আজমপুর, নাটিমা ইউপির বিভিন্ন গ্রামের ভুক্তভোগীরা বলেন, আমারা অত্যন্ত গরীব আমাদের স্বামীরা কেউ মাঠে কামলা দেয় আবার কেউবা ভ্যান গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি, প্রতারণার ফাঁদে পড়ে আমরা শেষ হয়ে গেলাম।

এ বিষয়ে ওই বাড়ির মালিক নুরুন নাহার জানান, চলতি মাসের শুরুতে তিনি বাড়িটি ভাড়া দিয়েছেন এবং তার সাথে এখনো ওই এনজিওর কর্মকর্তাদের বাড়ি ভাড়ার চুক্তি সম্পাদন হয় নি। এত দ্রুত তারা এমন প্রতারণা করবেন তা তিনি কল্পনাও করতে পারেন নি।

এ বিষয়ে উপজেলা সমবায় ও সমাজসেবা কর্মকর্তা বলেন, ডেভেলপমেন্ট ভিলেজ সোসাইটি নামে প্রতিষ্ঠানটি তাদের দপ্তরের আওতায় না। তারা আরও বলেন খোজ খবর নিয়ে জানলাম তাদের কোন সাইনবোর্ড বা নিবন্ধন নাম্বার লেখা কোন কিছু ছিলো না, এতে বোঝা যায় যে তারা ভুয়া নাম ব্যবহার করে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজ বংশীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করে না ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের চাবাহার সমুদ্রবন্দর পরিচালনার জন্য তেহরানের সঙ্গে ২০১৬ সালের একটি চুক্তি আরও ১০ বছরের জন্য নবায়ন করেছে ভারত। এতে চটে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র পরোক্ষভাবে ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে। তবে ভারত এই হুমকি তোয়াক্কা করে না বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

আজ বুধবার (১৫ মে) পশ্চিমবঙ্গের নিজের বইয়ের বাংলা সংস্করণ প্রকাশ করতে কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ভারতের জয়শঙ্কর এসব কথা বলেন।

তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, আমি দেখেছি কিছু মন্তব্য করা হয়েছে। চুক্তি নিয়ে কারও সংকুচিত দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত নয়। এই প্রকল্পে সবাই লাভবান হবে।’

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুমকি প্রসঙ্গে এস জয়শঙ্কর বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজেরাও প্রথম চুক্তির সময় এ বন্দরের প্রাসঙ্গিকতার প্রশংসা করেছে। আমরা এটিতে কাজ চালিয়ে যাব।

সোমবার (১৩ মে) ইরানে গিয়ে চাবাহার বন্দর নিয়ে ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেন। তিনি বলেন, ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এখনও কার্যকর। এসব নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার করা হবে। যেসব পক্ষ ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি করার কথা ভাবছে, তাদের সম্ভাব্য মার্কিন ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

পাকিস্তান সীমান্তের কাছে অবস্থিত চাবাহার বন্দর কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বন্দরটি উন্নয়নে প্রাথমিকভাবে ২০১৬ সালে তেহরানের সঙ্গে চুক্তিতে যায় ভারত। এরপর সোমবার দীর্ঘমেয়াদি ওই চুক্তিতে গেল নয়াদিল্লি। ভারতের নৌপরিবহণমন্ত্রী চুক্তিটিকে ভারত-ইরানের সম্পর্কের ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন।


আরও খবর



দুপুরের মধ্যে তীব্র ঝড়ের আশঙ্কা, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার (৬ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া রংপুর ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে একই দিক থেকে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




দেশব্যাপী টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা, মে মাসে মিলতে পারে স্বস্তি

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশব্যাপী টানা ২৯ দিন ধরে চলছে তাপপ্রবাহ। চলমান এ তাপপ্রবাহ আরও দুইদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।

তিনি বলেন, গত ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে এবারের তাপপ্রবাহ। ১৯৯২ সালেও মাস জুড়ে টানা তাপপ্রবাহ হয়েছিল। তবে তার বিস্তৃতি এবারের মতো ছিল না। মে মাসের প্রথম সপ্তাহ দেশব্যাপী টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, ময়মনসিংহসহ ঢাকা বিভাগে এই বৃষ্টির প্রকোপ বেশি থাকবে।

সোমবারের আবাওহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, যশোর ও রাজশাহী জেলা সমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এ সময় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




জলাবদ্ধতা নিরসনে কুইক রেসপন্স টিম গঠনের প্রস্তাব চসিক মেয়রের

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিক, সিডিএ, ওয়াসা, পাউবো, বন্দরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাদের নিয়ে একটি শক্তিশালী কুইক রেসপন্স টিম গঠন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। 

সোমবার টাইগারপাসস্থ চসিকের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্প সমূহের অগ্রগতি সংক্রান্ত এক পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

চসিক মেয়র বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে জলাবদ্ধতা এখন বিশ্বব্যাপী সাধারণ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এমনকি দুবাই, নিউ ইয়র্কের মতো আধুনিক শহরও ডুবে যাচ্ছে। এজন্য চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্প সমূহ দ্রুত শেষ করতে হবে এবং জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে তা দ্রুত নিরসণে চসিক, সিডিএ, ওয়াসা, পাউবো, বন্দরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিয়ে একটি শক্তিশালী কুইক রেসপন্স টিম গঠন করতে হবে।

সভায় সিডিএ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, চসিক-সিডিএ মধ্যে আগে যে দূরত্ব ছিল এখন তা আর নেই। সিটি মেয়র এবং আমি মিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জলাবদ্ধতামুক্ত, বসবাসযোগ্য চট্টগ্রাম গড়তে একসাথে কাজ করব। আমি ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসণে নালাগুলোতে থাকা ওয়াসার পাইপসহ বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করতে সিডিএর প্রকৌশলীদের নির্দেশ দিয়েছি। আশা করি সবাই একসাথে কাজ করে চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে পারব।   

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, সিডিএ খাল খননের প্রকল্প শেষ হওয়ার পর তা চসিককে বুঝিয়ে দিবে শুনছি। কিন্তু এ প্রকল্প পরবর্তীতে ব্যবস্থাপনার জন্য চসিককে আলাদাভাবে ফাণ্ড দিতে হবে এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। অন্যথায় এ প্রকল্পের সুফল পাওয়া যাবেনা।

সভায় চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, প্লাস্টিক, পলিথিন, বোতলসহ বিভিন্ন অপচনশীল দ্রব্য খাল-নালায় গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। এজন্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সমূহ যাতে প্লাস্টিক-পলিথিন ইত্যাদি রিসাইক্লিংএ যাতে এগিয়ে আসে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে।

কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল জলাবদ্ধতা নিরসনে সংস্থাগুলোর মধ্যে কর্মবন্টন নিশ্চিত করার পাশাপাশি পরিকল্পিত নগরায়ণের উপর জোর দেন।

চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি বলেন, প্লাস্টিক-পলিথিন এখন জলাবদ্ধতা নিরসণের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা বিভিন্ন খাল-নালা পরিস্কার করার পর দেখা যাচ্ছে ১০ দিনের মধ্যে আবারো প্লাস্টিক-পলিথিনে সে খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। কর্ণফুলী নদীর নাব্যতাও এখন পলিথিনের কারণে হুমকির মুখে। এজন্য পলিথিন বন্ধে ব্যাপক অভিযান ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম প্রয়োজন।

সভায় বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্পের পরিচালক ফরহাদুল আলম প্রকল্পের অগ্রগতি এবং জলাবদ্ধতা নিরসণে চসিকের কার্যক্রম তুলে ধরেন।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলরবৃন্দসহ নগরীর বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেন। বিভিন্ন সংস্থা জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্প সমূহের অগ্রগতি এবং করণীয় সম্পর্কে মতামত তুলে ধরে।


আরও খবর



ভোটকেন্দ্রে পুলিশকে মারধর, ছবি তোলায় সাংবাদিকের ওপর হামলা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের একটি ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্যকে মারধরের ছবি তুলতে যাওয়ায় এক সাংবাদিককেও মারধরের অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলামের (আনারস প্রতীক) সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তার মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশকে মারধরের ছবি ও ভিডিও ডিলিট করে দেওয়া হয়।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ১ নম্বর ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক, দৈনিক মানবজমিনের মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি গুলজার হোসেন বলেন, ভোটকেন্দ্রের পাশেই কয়েকটি দোকান খোলা ছিল। দোকানগুলোর সামনে বেশ কয়েকজন আনারস প্রতীকের সমর্থক দাঁড়িয়ে ছিলেন। ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত দুই পুলিশ তাদেরকে দোকানের সামনে থেকে সরে যেতে বলেন। এ সময় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে মারধর শুরু করেন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক আরও বলেন, সেই ঘটনার ছবি তুলতে গেলে তারা আমার ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে আমার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেন। পরবর্তীতে বেশ কিছুক্ষণ পরে ছবি এবং ভিডিও ডিলিট করে পুলিশের মাধ্যমে মোবাইল ফোনটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

হামলার শিকার পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা বলেন, তারা অযথাই তার ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদেরকে শুধু দোকানের সামনে থেকে সরে যেতে বলেছিলেন তিনি। তবে তারা কার সমর্থক তা বলতে পারেননি তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আমিরুল ইসলামের সমর্থক মনিরুল হক মিঠু বলেন, এক কেন্দ্রে সাংবাদিকদের এত কী কাজ? সাংবাদিকরা পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। সাংবাদিকদের সেন্টারে বেশিক্ষণ থাকার দরকার নেই। তিনি সব সাংবাদিককে কেন্দ্র চলে যেতেও বলেন।

মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গজারিয়ার উপজেলায় মোট ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৪৬ জন ভোটার রয়েছেন। ৬০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে।


আরও খবর