আজঃ বুধবার ২২ মে ২০২৪
শিরোনাম

মিয়ানমারে নববর্ষ উপলক্ষে ৩ সহস্রাধিক কারাবন্দীকে মুক্তি দিচ্ছে জান্তা

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির নতুন বছর উপলক্ষে তিন সহস্রাধিক কারাবন্দীকে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনার তথ্য জানিয়েছে। এসব কারাবন্দীর মধ্যে ৯৮ জন বিদেশিও আছেন।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সেনা জান্তা এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। তবে বিবৃতিতে সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়নি, যাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে তাদের মধ্যে ২০২১ সালের অভ্যুত্থান বিরোধীতাকারীরা আছেন কিনা।  

আরও পড়ুন: মিয়ানমারে জান্তা সরকারের হাতে নিহত ৭০১

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণতন্ত্রপন্থি অং সান সু চি সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমার জান্তা। এরপর দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নে তিন সহস্রাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে কারাবন্দী করা হয়েছে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল অং লিন দিউ বিবৃতিতে বলেন, মিয়ানমারের নববর্ষ উৎযাপনের অংশ হিসেবে এই সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে। মানবিক উদ্বেগ এবং মানুষদের খুশি করতেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্ষমাপ্রাপ্তরা পুনরায় অপরাধ করলে তাদের বাকি সাজাসহ অতিরিক্ত শাস্তি ভোগ করতে হবে।


আরও খবর



দুবাইয়ে ধনকুবেরদের গোপন সম্পদ, তালিকায় ৩৯৪ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিলাসবহুল জীবনযাপনের শহর দুবাই। সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার মানুষের বিপুল পরিমাণ গোপন সম্পদের পাহাড় গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে পলাতক ব্যক্তি, অর্থপাচারকারী এবং অপরাধীরা সেখানে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। এসব সম্পদের তথ্য উঠে এসেছে বৈশ্বিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার প্রকল্প দুবাই আনলকড-এ। এই তালিকায় রয়েছেন ৩৯৪ বাংলাদেশি।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) ও নরওয়ের সংবাদমাধ্যম ই-টোয়েন্টিফোরের নেতৃত্বে এই অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এতে ৫৮টি দেশের ৭৪টি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা দীর্ঘ ৬ মাস ধরে অনুসন্ধান চালিয়েছেন।

মঙ্গলবার দুবাই আনলকড শিরোনামে প্রতিবেদনটি নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে ওসিসিআরপি। সেখানে উঠে এসেছে, কীভাবে দুবাই সারা বিশ্বের ধনীদের জন্য শীর্ষ পছন্দের শহর হয়ে উঠেছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, শহরটিতে ১২.৫ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সম্পদ গড়েছেন কিছু পাকিস্তানি নাগরিক। দেশটির রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারির তিন সন্তান, প্রয়াত জেনারেল পারভেজ মোশাররফ, এমনকি পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার ছেলের মতো লোকেরা এই তালিকায় রয়েছেন। ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। আর্থিক সাহায্যের দাবিতে দৌড়াদৌড়ি চলছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তাদের রাজনীতিবিদ এবং সামরিক নেতাদের নগদ অর্থের সংকট নেই।

তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া নথিতে ১৭ হাজার পাকিস্তানি নাগরিক দুইবাইয়ে তালিকাভুক্ত সম্পদের মালিক। শহরটিতে আবাসিক সম্পত্তির পাকিস্তানি মালিকের প্রকৃত সংখ্যা ২২ হাজার। এটি পাকিস্তানের এমন পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে- যখন দরিদ্ররা আকাশচুম্বী মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, ধনীরা অভিনব অ্যাপার্টমেন্টগুলো নিয়ে উচ্চ জীবন উপভোগ করছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, দুবাই বর্তমানে ধনীদের পছন্দের শীর্ষে পরিণত হয়েছে। অপরাধী, পলাতক ব্যক্তি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বৈধ ব্যক্তিরাও সেখানে অর্থ লুকিয়ে রাখতে চাইছে। প্রকৃতপক্ষে দুবাইয়ের এসব মালিকদের অনেকেই অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং মাদক সম্রাট।

উদাহরণস্বরূপ, প্রাক্তন আফগান সরকারি কর্মকর্তা এবং অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী আসাদুল্লাহ খালিদ দুবাইকে বাড়ি বানিয়েছেন। তাছাড়া বাশার আল-আসাদের চাচাতো ভাই রামি মাখলুফ ও তার ভাই ইহাবও সেখানে সম্পত্তির মালিক। উরুগুয়ের গ্যাং স্টার সেবাস্তিয়ান মার্সেত, যাকে দক্ষিণ আমেরিকাজুড়ে মাদক পাচারের জন্য খোঁজা হচ্ছে- তিনিও দুবাইয়ে বাড়ির মালিক।

এছাড়া মাদক পাচারের অভিযোগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা ৩২ বছর বয়সী জোসেফ জোহানেস লিজডেকার্স, যিনি 'নিটোল জোস' নামেও পরিচিত- তারও দুবাইয়ে কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জের গ্র্যান্ডিউর রেসিডেন্সে একটি বাড়ি রয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুবাইয়ে আবাসিক সম্পত্তির হওয়ার দিক দিয়ে ভারতীয়রা তালিকার শীর্ষে রয়েছে। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পাকিস্তানিরা। এই তালিকায় রাজনীতিবিদ, সামরিক নেতা থেকে শুরু করে আমলারাও রয়েছেন।

দুবাইয়ে গোপন সম্পদের বিষয়ে ফাঁস হওয়া তথ্যে ৩৯৪ বাংলাদেশির তালিকা থাকলেও তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। রিপোর্ট বলছে, শহরে গোপনে সম্পদ গড়েছেন অন্তত ৩৯৪ জন বাংলাদেশি। বাংলাদেশিদের মালিকানায় রয়েছে ৬৪১টি সম্পত্তি। বাংলাদেশিদের মালিকানায় থাকা এসব সম্পত্তির মূল্য ২২ কোটি ৫৩ লাখ ডলারেরও বেশি।

দুবাইয়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনকুবের ও তাদের সম্পদের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়- ভারতের মুকেশ আম্বানির রয়েছে ১১ হাজার ২০ কোটি ডলারের সম্পদ, ভারতের এম এ ইউসুফ আলী ও তার পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৭৮০ কোটি ডলার, ভারতের শামশীর ভায়ালিলের রয়েছে ৩৫০ কোটি ডলারের সম্পদ, ওমানের সুহাইল বাহওয়ানের আছে ১৯০ কোটি ডলারের সম্পদ, রাশিয়ার আন্দ্রেই মলচানভ ও তার পরিবারের ১৩০ কোটি ডলারের সম্পদ, সাইপ্রাসের বিনোদ আদানির ২ হাজার ২২০ কোটি ডলারের সম্পদ, কানাডার চ্যাংপেং ঝাওয়ের ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের সম্পদ, যুক্তরাজ্যের সকেট বর্মনের ১৫০ কোটি ডলারের সম্পদ, সাইপ্রাসের নাগরিক ইগোর মাকারোভের ২১০ কোটি ডলারের সম্পদ এবং মিসরের নাগরিক নগিব সাবিরিস ও তার পরিবারের ৩৮০ কোটি ডলার পরিমাণ সম্পদ রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ধনকুব দুবাই

আরও খবর



মেয়েদের প্রথম ক্লাব বিশ্বকাপ ২০২৬ সালে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

২০২৬ সালে মাঠে গড়াবে প্রথম নারী ক্লাব বিশ্বকাপ। কংগ্রেস সামনে রেখে ব্যাংককে ফিফা কাউন্সিল সভায় ২০২৬ থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত নারী ফুটবলের আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডার অনুমোদন পেয়েছে।

১৬ দল অংশ নেবে নারী ক্লাব বিশ্বকাপে। চার বছর পর পর হবে এই বিশ্বআসর। মেয়েদের ক্লাব বিশ্বকাপের পরিকল্পনার কথা ২০২১ সালের মে মাসে জানিয়েছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ব্যাংককে ৭৪তম ফিফা কংগ্রেসে বুধবার টুর্নামেন্টটি শুরুর সময় জানানো হয়। বিস্তারিত কিছু অবশ্য জানানো হয়নি।

নতুন ক্যালেন্ডার আরও নারী ফুটবল বান্ধব করেছে ফিফা। আগামী বছর প্রথম নারী ফুটসাল বিশ্বকাপ হবে ফিলিপাইনে। অনূর্ধ্ব-১৭ কিশোরী ফুটবল ২০২৫ থেকে ২৯ সাল পর্যন্ত হবে মরোক্কোয়। একই সময়ে কাতারে হবে অনূর্ধ্ব-১৭ কিশোর বিশ্বকাপ।

২০২৫, ২৯ ও ৩৩ ফিফা আরব কাপের স্বাগতিকও কাতার। এদিকে, গত বছরের অক্টোবর থেকে ফিফার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা মাতিয়াস গ্রাফস্ত্রম পূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন। ১৭ মে ব্যাংককে হবে ফিফার ৭৪তম কংগ্রেস।


আরও খবর
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪




ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ

আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে মেক্সিকো, কানাডা ও ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোতে চলা আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য দেশেও। মেক্সিকো কানাডা ও ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বর্বতার প্রতিবাদে অবস্থান নিয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই বছরের পর বছর ধরে গাজায় চলা সামরিক পদক্ষেপ জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৭৪ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।

শুরু থেকেই এই সংঘাতে ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সবচেয়ে সক্রিয় ছিল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। গত মাসের শুরুর দিকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্প উচ্ছেদ করার পর থেকে পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে একই ধরনের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

বিক্ষোভ এবং গ্রেফতার দেশের প্রায় প্রতিটি প্রান্তে হয়েছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া (ইউসিএলএ) সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে। সেখানে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দিকে ধেয়ে আসে। শত শত বিক্ষোভকারী মানব বন্ধন সৃষ্টি করে ইউসিএলএ ক্যাম্পাস থেকে চলে যাবার আদেশ উপেক্ষা করে। পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য সাউন্ড গ্রেনেড বা ফ্ল্যাশ-ব্যাং ব্যবহার করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাস থেকে ২ হাজারেরও বেশে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।

সেই আন্দোলন এবার দেখা দিয়েছে অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো ও কানাডায় অনেক শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন করছে।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকের ন্যাশনাল অটোনমাস ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। তারা ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছিলেন। মেক্সিকো সরকারের কাছে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান জানান।

অন্যদিকে কানাডায় ইউনিভার্সিটি টরোন্টো, ব্রিটিশ কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি এবং ওতাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এ ছাড়া ফ্রান্সে দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো চলছে আন্দোলন। তাদের দাবি ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।


আরও খবর



সরকারের উন্নয়ন দেখে বিএনপির মাথা খারাপ: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের আমলে তারা যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আলবদর এবং নিজেরা পাকিস্তানের দালাল হয়ে বাংলাদেশের জনগণকে শোষণ, শাসন এবং অত্যাচার করতো। আর বর্তমান চিত্র, বাংলাদেশের জনগণের উন্নয়ন হচ্ছে- এ উন্নয়ন দেখে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির সহ্য হচ্ছে না। সেজন্য এখন তাদের মাথা খারাপ অবস্থা।

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংসদীয় এলাকা আখাউড়া উপজেলায় বনগজ-কৃষ্ণনগর সড়কের তিতাস নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতু পরিদর্শনে আসলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এর আগে স্থানীয়দের উদ্যোগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনিসুল হক ওই এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের প্রতিশ্রুতি দেন।

এ সময় আখাউড়া উপজেলার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মহানগর প্রভাতী ট্রেনযোগে ঢাকা-আখাউড়া রেল স্টেশনে পৌঁছলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ১৯৮১ সালের আজকের এই দিনটি ছিল (১৭ মে) বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বপ্ন দেখার দিন, নতুন ভবিষ্যৎ গড়ার যে স্বপ্ন সেই স্বপ্ন দেখার দিন। জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের আজকের ১৭ মে বাংলাদেশের ফিরে এসে মানুষ যে স্বপ্ন দেখত মানুষকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছে শেখ হাসিনা মানুষের সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন। এইজন্য ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে গাঁথা থাকবে।

এ সময় আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ঋণ খেলাপির তালিকা বিএনপির আমলে সবচেয়ে বেশি ছিল।

নিউজ ট্যাগ: মির্জা ফখরুল

আরও খবর



শুক্রবার নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে বিএনপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি পাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

আগামীকাল শুক্রবার (১০ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। তবে বিএনপিকে মানতে হবে কিছু শর্ত।

সমাবেশের অনুমতি নিতে বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির তিন নেতা। তিন সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু।

প্রায় পৌনে একঘণ্টা পর বাইরে বেরিয়ে এসে শুক্রবারের (১০ মে) সমাবেশের ব্যাপারে পুলিশের মনোভাব পজিটিভ বলে জানান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম।

তিনি বলেন, আমরা আগেই এই সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলাম। তবে তাপপ্রবাহের কারণে সেটি পিছিয়ে আগামীকাল শুক্রবার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশ ও মিছিল করা হবে।

সমাবেশের ব্যাপারে পুলিশের মনোভাব পজিটিভ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, পুলিশের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা বলেছেন, আজ বিকেলের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবেন। যেহেতু শুক্রবার ট্রাফিক সংক্রান্ত কোনো ইস্যু নেই, তাই আমরা প্রত্যাশা করছি তাদের সহযোগিতা পাব।

বিএনপি শুক্রবার সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে কি না জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কখনো বাধা দিই না। রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচি করবে এটিই স্বাভাবিক। তবে সেই রাজনৈতিক কর্মসূচি যেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে সেজন্য আমরা কিছু শর্ত আরোপ করে থাকি।

খ. মহিদ বলেন, বিএনপিকে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি যাতে না হয় সে ব্যাপারে বলা হয়েছে। তাদের সমাবেশের অনুমতির বিষয়টি ডিএমপি ইতিবাচকভাবে দেখছে।

জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করা, রাস্তার একপাশে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখাসহ কিছু শর্তসাপেক্ষে সমাবেশের অনুমতি পাবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর