আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘প্রযুক্তি পল্লীর’ অভাবনীয় সফলতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভার থেকে আসাদুজ্জামান খাইরুল,

সকালের সূর্য ওঠার সাথে সাথে, "স্টাবলিশমেন্ট অফ বিএলআরআই টেকনোলজি ভিলেজ এড রিজিওনাল ষ্টেশন" (Establishment of BLRI Technology Village at Regional Station) প্রকল্পের মাঠ কর্মীরা বেরিয়ে পড়েন প্রান্তিক খামারিদের বাড়িতে বাড়িতে। উদ্দেশ্য প্রান্তিক পর্যায়ের একটি পল্লীর সকল খামারিকে আধুনিকায়ন, সফল ও সাবলম্বী খামারি হিসেবে গড়ে তোলা। মডেল একটি গ্রাম তৈরি করা যেখান থেকে সংশ্লিষ্ট জেলার পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর প্রান্তিক খামারিরাও উপকৃত হবেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের এই কর্মসূচির নাম "প্রযুক্তিপল্লী" বা "টেকনোলজি ভিলেজ" নামে পরিচিত। প্রথম পর্যায়ে ২০১৮ সালের জুন মাসে ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার শরীফবাগ গ্রামকে এই প্রজেক্টের আওতায় এনে, সফল প্রযুক্তি পল্লীতে রূপান্তর করছে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট। অল্প কিছুদিনের মধ্যে ২০২২ সালের জুন মাসে, দেশের পাঁচটি জেলার একটি করে গ্রামকে প্রযুক্তি পল্লীর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। তিনজন ডিভিশনাল ফিল্ড অফিসারের আওতায় প্রতিটি গ্রামে দুই থেকে চারজন মাঠকর্মী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রযুক্তিপল্লী বাস্তবায়নে।


প্রযুক্তি পল্লীতে আধুনিক, দক্ষ ও সফল খামারি তৈরীতে সকল ধরনের সহযোগিতা করে থাকে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট। খামারিদের পশু পালনে নানাবিধ সহায়তার পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ে ভিটামিন ও কৃমিনাশক, খুড়ারোগ, লাম্পি স্কিন ডিজিজ, পিপিআর, রানীক্ষেত, ডাগপ্লে ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি চলমান আছে। এছাড়াও খামারীদের স্বাবলম্বী করতে গরু, ছাগল, মুরগি বিনামূল্যে প্রদান ও গো-খাদ্য বিতরণ করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি খামারিদের পশু লালন পালন ও ভ্যাকসিন দেয়ার প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মাঠকর্মীরা।


এতে বিভিন্ন জেলায় সফল খামারির সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি অসচ্ছল পরিবারগুলো স্বচ্ছলতায় ফিরতে খামারি হয়ে উঠছে । বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নেয়া এই উদ্যোগ, জনসাধারণ ও পল্লী এলাকার প্রান্তিক খামারিরা আশার আলো হিসেবে দেখছেন। এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল।

ঢাকা জেলার ধামরাই শরিফবাগ গ্রামের, সফল প্রযুক্তি পল্লীর, খামারি সনিয়া আক্তার, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পক্ষ থেকে তিনটি বিনামূল্যে ছাগল নিয়ে শুরু করে তার খামার। ছয় মাসের ব্যবধানে ২০টি ছাগল হয়েছে তার। পাশাপাশি ছাগল মোটা তাজা করনে পিলেট খাদ্য তৈরি ও ভ্যাকসিন দেয়ার প্রশিক্ষণ নিয়ে, একজন সফল খামারি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সে। তার দেখাদেখি গ্রামের অন্যান্য অসচ্ছল পরিবারগুলো খামারি হয়ে উঠছেন। এতে পাল্টে যাচ্ছে এই গ্রামের দারিদ্রতার চিত্র।

অপর আরেক সফল গরু খামারি আরহাম এগ্রো ফার্মের মালিক, মহসিন মিয়ার দাবি গরুর রোগ বালাই মুক্ত করণে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচির আওতায় এসে খামারকে করেছেন রোগ মুক্ত ।

একই গ্রামে দশ বছর ধরে গরু মোটাতাজাকরণ করে আসছেন খামারি আরিফুর রহমান। তিনি বলেন শুরুর দিকটা ছিল অনেক চ্যালেঞ্জিং ও ভীতিকর। যখন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রযুক্তি পল্লীর আওতায় আমাদের গ্রাম এসেছে, তখন থেকে আমার খামার ব্যবসার ভীতিকর পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হয়েছি। কারণ এখন আমি নিজে গরু মোটাতাজাকরণে আধুনিক পদ্ধতি, ভ্যাকসিনেশন ও পশুর রোগ বালাই সম্পর্কে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এটা বর্তমান সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের, খামারিদের জন্য নেয়া যুগান্তকারী পদক্ষেপের ফলাফল।

প্রযুক্তি পল্লীর ভেড়া খামারি রেজিনা আক্তার জানান গ্রামের অন্যান্য মহিলাদের ধীরে ধীরে সফল খামারি হতে দেখে আমি স্বাবলম্বী হতে ভেড়া পালনের উদ্যোগ নেই। সরকারের প্রযুক্তি পল্লীর কর্মসূচি দেখে আমি সাহস করি। বিএলআরআই এর ফিল্ড অফিসার বোরহান ভাইকে আমার উদ্যোগের কথা জানালে সার্বিক সহযোগিতা করেন তিনি আমাকে। ভেড়া পালনের উপর ছোট ছোট ট্রেনিং ও বিভিন্ন রোগবালয়ের ঔষধপত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছেন আমাকে। এখন আল্লাহর রহমতে আমার সচ্ছলতা ফিরে এসেছে।

প্রযুক্তি পল্লী প্রকল্পের ডিভিশনাল ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট তরিকুল ইসলাম বলেন, এভাবে বাংলাদেশের ছয়টি জেলায় কার্যক্রম শুরু করেছে মৎস্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট। আমরা চলতি মাসে ধামরাই উপজেলার প্রযুক্তি পল্লীতে ৫ শত গরু ৬ শত ছাগল ২ হাজার মুরগি ৩শত ভ্যাড়া ভ্যাকসিনেশন সম্পূর্ণ করেছি। অন্যান্য জেলাগুলোতে কর্মসূচি চলমান রয়েছে।

আরেক ডিভিশনাল ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট বোরহান উদ্দিন বলেন আমরা ঢাকা জেলাকে একটি সফল প্রযুক্তিপল্লী উপহার দিতে পেরেছি । যখন কৃষকের সফলতা ও আনন্দ দেখতে পাই তখন সকল পরিশ্রম সার্থক মনে হয়। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলা ও গ্রাম থেকে খামারি ও বিভিন্ন এনজিও এসেছেন আমাদের সফল প্রযুক্তিপল্লী শরীফবাগ গ্রাম পরিদর্শনে । এখান থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে অন্যান্য গ্রামেও ছড়িয়ে পড়ছে প্রযুক্তি পল্লীর বিভিন্ন সফলতা।

বিএলআরআই টেকনোলজি ভিলেজ এড স্টেশন রিজিওনাল ষ্টেশন (Establishment of BLRI Technology Village at Regional Station) প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ফার্নিং সিস্টেম রিসার্চ ডিভিশনের বিভাগীয় প্রধান ডঃ রাজিয়া খাতুন বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় প্রান্তিক পর্যায়ে খামারিদের আধুনিকায়ন ও সফল খামারি হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা প্রযুক্তি পল্লীর কর্মসূচিতে জনসাধারণ ও প্রান্তিক খামারিদের ব্যাপক সারা ও উদ্দীপনা পেয়েছি। প্রথম পর্যায়ে ধামরাই উপজেলার শরীফবাগ গ্রামে প্রযুক্তি পল্লীর আওতায় এনে কার্যক্রম শুরু করি।

এখানে ৩৫০ জন বিভিন্ন পর্যায়ের খামারীদের সফল আধুনিক খামারি করণে বিভিন্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম ও অনুদান দিয়েছি। নিয়মিত কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে খামারিদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের ব্যবস্থা করেছি। পল্লী এলাকার খামারিদের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে এই কর্মসূচি ফরিদপুর, রাজশাহী, সিরাজগ, যশর, চট্টগ্রামে নতুন করে একটি করে গ্রামকে প্রযুক্তি পল্লীর আওতায় এনে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এ এল আর ডি (অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এন্ড ডেভেলপমেন্ট) এর মাধ্যমে আমাদের প্রযুক্তিপল্লীর সফল কর্মসূচি গুলো দেশের অন্যান্য পল্লী এলাকায় ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই ২০ মার্চ (সোমবার) থেকে ২২ মার্চ (বুধবার ) পর্যন্ত এ এল আরডি(অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এন্ড ডেভেলপমেন্ট) তথা জাতীয় নীতি অ্যাডভোকেসি কৃষি সংস্কার, প্রচার, শক্তিশালীকরণ এবং নেটওয়ার্কিং সংস্থার সঙ্গে কর্মশালা চলবে।


আরও খবর



যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে: সিইসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যে কোনো মূল্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, এবারের উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে সব জেলা প্রশাসক, পুলিশ, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরুর আগে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন শুরু হতে যাচ্ছে। এবার প্রতিটি জেলায় চারটি ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটা নতুন মাত্রা হলো জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সমন্বিতভাবে আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি দেখতে পারবেন। মোতায়েন সহজ হবে, যেহেতু চারটি পর্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, আবেগ-অনুভূতির কারণে দেশে নির্বাচনে অনেক সময় কিছুটা উচ্ছৃঙ্খলতা হয়ে থাকতে পারে, সহিংসতাও হতে পরে। এগুলো যেন না হয়, সেই দিকটাও আমাদের দেখতে হবে। নির্বাচনটা যাতে অবাধ হয়। যারা ভোটার, তারা যেন এসে নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করে আবার নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন।

সিইসি বলেন, যদি এ ক্ষেত্রে আমরা ব্যর্থ হই, তাহলে আমাদের গণতন্ত্রের যে অগ্রযাত্রা, যেটার দৃষ্টান্ত আপনারা প্রতিষ্ঠিত করেছেন ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে; সেটাও ক্ষুণ্ন হয়ে যেতে পারে। আমরা আশা করব, আগামীতে আমাদের প্রত্যেকটা নির্বাচন সুন্দর-সুষ্ঠু হবে।


আরও খবর



মেসির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির জয়

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসির জোড়া গোলে নাশভিলের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে ইন্টার মায়ামি। মেসির জোড়া গোলে ৩-১ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে দলটি।

রবিবার ভোরে এমএলএসের ম্যাচে মাঠে নামে ইন্টার মায়ামি ও নাশভিল। মায়ামির ৩-১ গোলে জয়ের এই ম্যাচে মেসি ছাড়া দলের পক্ষে অন্য গোলটি করেন সার্জিও বুসকেটস।

আটবারের ব্যালন ডিঅর বিজয়ী মেসি এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা জুড়ে ৯টি খেলায় নয়টি গোল করেছেন।

ম্যাচের শুরুতে অবশ্য বড় ধাক্কা খেতে হয়েছে মায়ামিকে। দলটির ডিফেন্ডার ফ্রাঞ্চো নেগ্রির আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় নাশভিল। অবশ্য মেসির জাদুতে সমতায় ফিরতে বেশি সময় নেয়নি মায়ামি। খেলার ১১ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের দুর্দান্ত এক গোলের মাধ্যমে আর্জেন্টাইন তারকা ব্যবধান সমান করেন।

প্রথমার্ধেই মায়ামি লিড গোলের দেখা পেয়ে যায়। ৩৯ মিনিটে মেসির কর্নার কিক থেকে হেডের মাধ্যমে গোলটি করেন বুসকেটস। এরপরে লিড নিয়েই এগিয়ে যায় মেসি বাহিনী। ৮১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন এলএমটেন। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইন্টার মায়ামি।


আরও খবর



রাঙামাটিতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউপিডিএফ কর্মীসহ নিহত ২

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

Image

রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মীসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকালে উপজেলার কাট্টলী এলাকার ধনপুতি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ইউপিডিএফ কর্মী বিদ্যাধন তিলক (৪৯) ও স্থানীয় ধন্যমনি চাকমা (৩২)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুনুর রশিদ।

তিনি জানান, আমরা শুনেছি সন্তু লারমা জেএসএস কর্তৃক এক ইউপিডিএফ কর্মী ছাড়াও স্থানীয় একজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) দলীয় সূত্র থেকে জানা যায়, আজ সকালে ধনপুতি এলাকায় সাংগঠনিক কাজ করার সময় জেএসএসের হামলায় দুইজন নিহত হন। এর মধ্যে একজন তাদের কর্মী আরেকজন স্থানীয় বাসিন্দা।

ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সন্তু লারমা আবারও তার খুনি বাহিনীকে দিয়ে ইউপিডিএফের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হত্যাকাণ্ড শুরু করেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের কাছে সন্তু লারমা একজন খুনি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে অবিলম্বে লংগদুতে ইউপিডিএফ কর্মী, সমর্থককে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার এবং মদদদাতা সন্তু লারমাকে গ্রেপ্তারপূর্বক আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানানো হয়।

তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি লংগদু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমা বলেন, ওই এলাকায় জেএসএসএর কোনো কার্যক্রম নেই। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে হয়ে থাকতে পারে। তাদের নিজেদের অপকর্মের দায় আমাদের ওপর চাপাতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।


আরও খবর



হিসাব ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও উন্নয়ন সহযোগীদের চাহিদা পূরণে হিসাব ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন বলে অভিমত দিয়েছে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)-এর এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সিএজি কার্যালয়ের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং দেশব্যাপী তিনদিনের (১২-১৪ মে) বিশেষ সেবা কার্যক্রম উপলক্ষে শনিবার (১১ মে) এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সিএজি কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী।

বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মো. নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার।

অর্থমন্ত্রী বলেন, নিয়ত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আন্তর্জাতিক মানের অডিট সম্পাদনের প্রচলিত কমপ্লায়েন্স ও ফিন্যান্সিয়াল অডিটের পাশাপাশি পারফরমেন্স অডিট, আইটি অডিট এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক অডিট রিপোর্ট প্রণয়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও উন্নয়ন সহযোগীদের চাহিদা পূরণে হিসাব ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন। এরই মধ্যে অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতায় হিসাবের আধুনিক কাঠামো প্রণীত হয়েছে। হালনাগাদ আর্থিক উপযোজন হিসাব প্রণয়নের মাধ্যমে আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, অডিট কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ হলে সরকারের আর্থিক সম্পদের দক্ষ ও ফলপ্রসূ ব্যবহার সুনিশ্চিত হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মানসম্পন্ন এবং রিয়েল টাইম অডিট সম্পন্ন করতে সিএজির সার্ভিস সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অর্থ মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

তিনি বলেন, অডিট ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এনে অডিট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মনিটরিং সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে, সময়ের সঙ্গে এর উৎকর্ষতা নিশ্চিত করে যথাযথ বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে হবে। নিরীক্ষক ও নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগাযোগের পুরাতন পদ্ধতি বদলে দিয়ে এরই মধ্যে অনলাইন ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রায় চার কোটির অধিক অডিট রিপোর্ট নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আদায় হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে উদ্বেগের বিষয়, প্রায় ২৩৫টি অডিট রিপোর্ট সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে কিন্তু আলোচনা হয়নি।

অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, আমরা অটোমেশন করেছি। এখন পেনশন গ্রহণকারীরা ঘরে বসেই পেনশনের টাকা পাচ্ছেন। আমাদের বিভিন্ন খরচের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হতে সিএজি ভূমিকা রয়েছে।

সিএজি নূরুল ইসলাম বলেন, এখন কোনো পেনশন পেতে ব্যাংকে যেতে হয় না। ঘরে বসেই পেয়ে যাচ্ছেন। আমরা ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করেছি। দক্ষ বাজেট ব্যবস্থাপনা আমরা চালু করেছি। রোববার (১২ মে) থেকে আমরা ৩ দিনের বিশেষ সেবা কার্যক্রম চালু করছি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, একাদশ জাতীয় সংসদের ৫ বছরে (২০১৯ থেকে ২০২৩) মোট ৮১টি অডিট রিপোর্ট রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে গত ৫ বছরে ৮১৪টি অডিট আপত্তি আলোচিত হয়েছে। এসময়ে অডিটের সুপারিশ অনুযায়ী অডিট প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে ১৭টি অডিট অধিদপ্তর লক্ষাধিক অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করেছে।

অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ মে পর্যন্ত ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৫০ হাজার ৪৬৫ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেছেন ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৫১২ জন। আর অভিযোগ জমা পড়েছে ৪ হাজার ৯১টি।

এছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেন ৩ লাখ ১৪ হাজার ৭১৫ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেন ২১ লাখ ৯৪ হাজার ৫০ জন। আর অভিযোগ জমা পড়ে ৯ হাজার ১২৫টি। ২০২১-২২ অর্থবছরে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেন ১ লাখ ২২ হাজার ২২১ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেন ৮ লাখ ১৫ হাজার ৭১৫ জন। অভিযোগ জমা পড়ে ১৬ হাজার ৯৯৬টি। তার আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেন ২৮ হাজার ৭১২ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেন ১ লাখ ২৮ হাজার ৩ জন। আর অভিযোগ জমা পড়েছে ৯ হাজার ৮৯০টি।

এ হিসাবে শেষ চার অর্থবছরে সিএজির ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেছেন ৭ লাখ ১৬ হাজার ১১৩ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেছেন ৫১ লাখ ৮৬ হাজার ২৮০ জন। আর অভিযোগ জমা পড়েছে ৪০ হাজার ১০২টি।


আরও খবর



যাত্রাবাড়ীতে পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেফতার ১১

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতা মো. মারুফসহ ১১ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

গ্রেফতাররা হলেন- মূলহোতা মো. মারুফ (৩৮), মো. ইমরান হোসেন (৩৫), মো. জাকির হোসেন (২৩), মো. রায়হান (২২), মো. চয়ন (১৮), মো. আপন (১৮), মো. রুহুল আমিন (৪০), মো. আল আমিন (২৫), মো. তানজির (২৪), মো. এহসান আহম্মেদ সজীব (২৬) ও মো. আরিফুল হাসান শাওন (১৮)।

এসময় তাদের কাছ থেকে আদায় করা চাঁদার নগদ ১২ হাজার ৩২০ টাকা এবং ১১টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২ মে) র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি এম. জে. সোহেল এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ২ মে ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিট পর্যন্ত র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন থেকে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতাসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

এএসপি সোহেল আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা বেশ কিছুদিন ধরে যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সঙ্গে অশোভন আচণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোর করে চাঁদা আদায় করে আসছিল।

গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজুর পর সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।


আরও খবর