আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

নবমীতে মণ্ডপে মণ্ডপে বিষাদের ছায়া

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ অক্টোবর 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ অক্টোবর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আজ মহানবমী। এই দিনে আনন্দের মাঝে বিষাদের ছায়াও পড়েছে দেবীর ভক্তদের মনে। কারণ, সনাতন ধর্মমতে, দেবী দুর্গা কাল দশমীর দিন কৈলাসে ফিরে যাবেন। দশমীর দিন করা হবে প্রতিমা বিসর্জন, অশ্রুশিক্ত চোখে ভক্তরা বিদায় দেবেন দেবী দুর্গাকে।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটের আগেই কল্পারম্ভ ও বিহিতপুজার মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। পূজা শেষে ভক্তরা দেবীর চরণে অঞ্জলি নিবেদন করেন। দেবী এসেছিলেন ঘোড়ায় চড়ে এবং মঙ্গলবার দশমীর দিন বিদায় নেবেন এই একই বাহনে।

সনাতন ধর্মমতে, নবমীর পুণ্য তিথিতে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে বিশ্বে শুভ শক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন দেবী দুর্গ। নবমী তিথি শুরু হয় সন্ধিপূজা দিয়ে। অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট মোট ৪৮ মিনিটে সন্ধিপূজা হয়। মূলত দেবী চামুণ্ডার পূজা করা হয় এ সময়। এ সময়েই দেবী দুর্গার হাতে বধ হয়েছিল মহিষাসুর, আর রাম বধ করেছিলেন রাবণকে। এই দিনই দুর্গাপূজার অন্তিম দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, পরের দিন কেবল বিসর্জনের পর্ব। নবমীর রাতে উৎসবের রাত শেষ হয়। তাই নবমী রাতে  মণ্ডপে মণ্ডপে বিদায়ের ঘণ্টা বাজে।

সোমবার সকাল থেকেই রাজধানীর মণ্ডপগুলোতে ছিল ভক্তদের ভিড়। দেবী দুর্গাকে শেষবারের মতো প্রাণভরে দেখতে এসেছেন। যদিও বৃষ্টির কারণে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে অনেককেই। রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সকাল থেকেই চলছে পূজা অর্চনা। ধূপের গন্ধ ভরা পূজা মণ্ডপে আনন্দময়ীকে অঞ্জলী দেন পূজারী-ভক্তরা। শঙ্খনাদ আর ঢাকের বাদ্যের সঙ্গে চলে অবিরাম মন্ত্রপাঠ।

ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পুরোহিত রাজিব চক্রবর্তী বলেন, ঘোটকে যেহেতু দেবীর আগমন এবং গমন, সেটি অশুভ বার্তা, তবে ভক্তের আরাধনায় দেবীর মন তুষ্ট হলেই মিলবে শান্তি। মহানবমীতে তাই দেবীর কাছে ভক্তদের প্রার্থনা যেন মায়ের মন ভক্তের জন্য সহানুভূতিশীল হয়। অশুভের বিনাশ হয়, শুভশক্তির জয় হয়।

পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা জানান, একেক দিনের পূজার ভিন্ন ভিন্ন মাহাত্ম রয়েছে। মূলত নবমীর দিন থেকে বিদায়ের সুর বেজে ওঠে ভক্তদের মনে। এদিন ভক্তরা যেমন উৎসব করে, আবার মাকে বিদায়ের প্রস্তুতিও নেয়।

ভক্তদের ভিড় দেখা গেলো গুলশান-বনানী পূজা মণ্ডপেও। প্রতিবারের মতো এবারও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই মণ্ডপ। বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ সংলগ্ন মাঠে গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির তরফ থেকে দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। তবে এবারের মণ্ডপের ভাবনায় অন্যান্যবারের তুলনায় কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। স্থপতি তাপস কুমার রায়ের তত্ত্বাবধানে শিল্পী পার্থ প্রতিম সাহা ও তার সহযোগী শিল্পীরা ১৫-২০ দিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বাঁশ, কঞ্চি, পাটের দড়ি, খড়, চট, মাটির কলস, সরা, প্রদীপ, শীতল পাটি, বিভিন্ন রকমের চাটাই ইত্যাদি গ্রামীণ নির্মাণ সামগ্রীর মাধ্যমে মণ্ডপ তৈরি করেছেন।  লাল ও সাদার সমন্বয়ে তৈরি এই মণ্ডপে রঙের বদলে ব্যবহার করা হয়েছে রঙিন কাপড়। এই সব উপকরণ প্রাকৃতিক, পরিবেশবান্ধব ও পুনরায় ব্যবহারযোগ্যও বটে। সেই সঙ্গে দেশের বিলুপ্তপ্রায় কুটির শিল্প, হস্তশিল্পকে পুনরুদ্ধার করার জোড়ালো প্রচেষ্টা এতে রয়েছে।

কমিটির মতে, সারা পৃথিবী জুড়েই যে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দা চলছে বাংলাদেশও তাতে আক্রান্ত। এই সংকটকে মাথায় রেখে কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবারের পূজা উদযাপনের সামগ্রিক ব্যয়কে সংকুচিত করার চিন্তা করা হয়। সেইসঙ্গে আমাদের নিজস্ব লোকজ সংস্কৃতিকে তুলে ধরার একটি চেষ্টা যোগ হয়। সারাবিশ্বের স্থাপত্য অঙ্গনে বেশ কিছুদিন ধরেই টেকসই, পরিবেশবান্ধব স্থাপত্য প্রাধান্য পেয়ে আসছে। বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট, অর্থনৈতিক মন্দা ও পরিবেশ দূষণ রুখতে পরিবেশবান্ধব স্থাপত্য চর্চার কোনও বিকল্প নেই।

বনানী পূজা মণ্ডপে আগত গুলশানের বাসিন্দা রমেশ চক্রবর্তী বলেন, অন্যবারের চেয়ে এবার ব্যতিক্রমী আয়োজন হয়েছে এখানে। দেশের শিল্প সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দেওয়া দেখে খুব ভালো লাগছে। মঙ্গলবার মা দুর্গা কৈলাসে চলে যাবেন, আমাদের সব কষ্ট উনি সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন, এই প্রার্থনা করি।

মূলত নবমীর দিনই পূজা শেষ হয়। তবে বিজয়া দশমীর দিনেও বেশকিছু আনুষ্ঠানিকতা থাকে। বিজয়া দশমীতে দুর্গাদেবীর দশমী বিহিত পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সধবা নারীরা মত্ত হন সিঁদুর খেলায়।  মুখ রঙিন করে হাসি মুখে মাকে বিদায় জানানোর জন্যই সিঁদুর খেলা। এছাড়া হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিবাহিত নারীদের জন্য সিঁদুর একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। তাই মাকে বিসর্জনের আগ পর্যন্ত তারা একে অপরকে সিঁদুর লাগিয়ে মিষ্টিমুখ করেন, নাচ, গান করেন। যেন সারাটা বছর এমন আনন্দেই কাটে।

সধবা নারীর স্বামীর মঙ্গল কামনায় দশমীর দিন নারীরা নিজ কপালে সিঁদুর লাগান এবং সেই সিঁদুরের কিছু অংশ দিয়ে দেবীর চরণ স্পর্শ করে থাকেন। তারপর সবাই মিলে একে অপরকে সিঁদুর মাখেন। দুর্গা আগামী বছর আবার সঙ্গে করে শাঁখা সিঁদুর  নিয়ে আসবেন এবং সেই শাঁখা সিঁদুর ধারণ করেই স্বামীর মঙ্গল হবে এই বিশ্বাসে ভক্তরা সিঁদুর নিয়ে দশমী উদযাপন করেন। এই সিঁদুর খেলা বিবাহিত নারীর জন্য সীমাবদ্ধ থাকলেও সবাই মণ্ডপে ভিড় করেন, নেচে গেয়ে এতে অংশ নেন। অবিবাহিতরা গালে আর হাতে মাখেন সিঁদুর। এদিনই প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় শারদীয় দুর্গোৎসব।

বিজয়া দশমীর দিন মঙ্গলবার বিকাল ৩টার পর থেকে প্রতিমা বিসর্জনের কথা বলা হয়েছে। মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির নেতৃত্বে পলাশীর মোড় থেকে বিজয়া শোভাযাত্রা বের হয়ে সদরঘাটের ওয়াইজ ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন হবে।

বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের দেওয়া তথ্য মতে, গত বছর সারা দেশে দুর্গাপূজায় মণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৩২ হাজার ১৬৮। এবার এখনও পর্যন্ত এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৪০৮। ঢাকা মহানগরে পূজার সংখ্যা ২৪৫, গত বছর ছিল ২৪২টি। বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আসার পর প্রতি বছর ধারাবাহিকভাবে পূজোর সংখ্যা বেড়েছে।

শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন করতে ঢাকার ২৪৬টি পূজামণ্ডপে সার্বিক নিরাপত্তা এবং ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রাখতে ২৫টি নির্দেশনা দিয়েছে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি।


আরও খবর



জয়পুরহাটে পানির দামে বিক্রি হচ্ছে দুধ!

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের কালাইয়ে দুধের চাহিদা না থাকায় এক লিটার গরুর দুধ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। অথচ উপজেলার অনেক বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এক লিটার বোতলজাত পানি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পানির দামে দুধ বিক্রি হওয়ায় উপজেলার শত শত দুগ্ধ খামারিরা দুঃচিন্তা ও হতাশায় ভুগছেন এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

কালাই প্রেসক্লাবের মাঠের সামনে সপ্তাহে পাঁচ দিন দুধের বাজার বসে। সেখানে শুক্রবার দুধ বিক্রি করতে আসা কয়েকজন খামারি ও কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একজন খামারির ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে একটি দুগ্ধবর্তী গাভীর জন্য ভুসি, খৈল, ঘাস, ভিটামিন, বিদ্যুৎ বিল, লবণ, মজুরি, চিকিৎসাসহ খরচ হয় প্রায় ৬০০ থেকে থেকে ৬৫০ টাকা। একজন কৃষকের ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে খরচ হয় ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ৩০ টাকা দুগ্ধ খামারির লোকসান হয় এবং একজন কৃষকের এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ২০ টাকা লোকসান হচ্ছে।

দুধ বিক্রি করতে আসা কৃষক সোহেল, আনোয়ার, নুরনবীসহ আরও অনেকে জানান, সিন্ডিকেটের কারণে দুধের বাজার কমে যায়। তারা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চান।

দুধ কিনতে আসা জাহিদুল, খন্দকার আরিফ, জামাল ও সোহরাব হোসেন জানান, কিছু দিন আগে ঈদুল ফিতরের সময় প্রচুর পরিমাণ দই ও মিষ্টি বিক্রি হওয়ার কারণে মানুষ দই, মিষ্টি কিনছে না। এ কারণে অল্প দিনের জন্য দুধের বাজার কম।

স্থানীয় খামারির মালিক আব্দুল আলিম সরকার ও শাহারুল জানান, দুধ বিক্রির জন্য নির্ধারিত ক্রয়কেন্দ্র প্রয়োজন। কিন্তু তাদের এখানে নেই। ক্রেতা না পেয়ে লোকসান করেই দুধ বিক্রি করতে হয়। সরকার যদি খামারিদের দিকে নজর না দেয়, তাহলে অনেকেই দুগ্ধ খামারির পেশা থেকে সরে আসবেন।

কালাই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাসান আলী জানান, দুধের বাজার স্বাভাবিক রাখতে জয়পুরহাটে দ্রুতই দুধ সংগ্রহকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে করে খামারি ও কৃষকরা ন্যায্য দামে দুধ বিক্রি করতে পারবেন।


আরও খবর



আমদানির খবরে হিলিতে কমেছে পেঁয়াজের দাম

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে এক দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ হিলির খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। যা গতকালকে বিক্রি হয়েছিল ৭০ টাকায়। ভারত পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে যার ফলে মোকামে কমেছে দাম বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।

রোববার (৫ মে) দুপুরে হিলির কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আবু মুসা বলেন, গতকাল পেঁয়াজ কিনলাম এক কেজি, দাম ছিল ৭০ টাকা। আর সেই পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকা কেজি। ভারত সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে যার ফলে হিলির খুচরা বাজারে কমেছে দাম। আমদানির খবরে দাম কমেছে এইটা কেমন কথা? তার মানে দেশের কৃষক, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বৃদ্ধি করেছে এটাই তার প্রমাণ। এসব সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

হিলির পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল মাহমুদ বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে হিলিতে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবুও আগের থেকে ক্রেতা অনেক কম। কারণ, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলে আরও দাম কমে যাবে।


আরও খবর



হোয়াইটওয়াশ এড়াতে জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য ১৫৮ রান

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। টাইগারদের পক্ষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন সর্বোচ্চ ৫৪ রান। সফরকারীদের পক্ষে বেনেট ও মুজরাবানি নেন ২টি করে উইকেট।

শুরুতে ধস। দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট পড়ে বাংলাদেশের। পুল করতে গিয়ে আউট হন তানজিদ। তানজিদের পর সৌম্য, ৩ ওভার শেষ না হতেই দুই ওপেনার হারায় টাইগাররা। ব্রায়ান বেনেটের শর্ট লেংথের বল কাট করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলেছেন সৌম্য সরকার। তানজিদ, সৌম্যর পর হৃদয়ও কাট করতে গিয়ে হয়েছেন কট বিহাইন্ড।

এরপর মাহমুদউল্লাহর পাল্টা আক্রমণ। নাজমুল ও সাকিবের সঙ্গে জুটি। শেষে জাকের আলীর ঝড়। শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের গতিপথটা এমন।

১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর নাজমুলকে নিয়ে মাহমুদউল্লাহ গড়েন ৬৯ রানের জুটি। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য শেষ করে আসতে পারেননি। ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটির পরপরই থামেন। তার আগে সাকিবকে নিয়ে যোগ করেন আরও ৩৯ রান।

সাকিবের পর মাহমুদউল্লাহ দ্রুত ফেরায় শেষ দিকেও ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। জাকের আলীর ১১ বলে ২৪ রানের ক্যামিওতে অবশ্য ১৫০ পেরিয়ে ভালো একটা সংগ্রহই পেয়েছে স্বাগতিকেরা।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস আজও সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকার বাতাসের মান আজও সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে ১৯৯ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শহরটির অবস্থান ১৫তম।

ভারতের দিল্লি, মিসরের কায়রো ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ৩৮৫, ১৮৭ ও ১৭১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।

১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।


আরও খবর



ফের টানা পতনে শেয়ারবাজার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

টানা পতন থেকে বেরিয়ে আসার আভাস দিয়ে দেশের শেয়ারবাজারে আবার টানা দরপতন শুরু হয়েছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দরপতনের মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস দরপতন হলো।

প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। বেড়েছে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ।

এ টানা দরপতনের আগে শেয়ারবাজারে টানা চার কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মিলে। ফলে শেয়ারবাজার পতনের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসছে এমন ধারণা করতে থাকেন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের হতাশ করে ফের টানা দরপতন শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মিলে। অল্পসময়ের মধ্যেই অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায়। লেনদেনের সময় ১০ মিনিট গড়ানোর আগেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।

অবশ্য এরপর আবার বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়ে যায়। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। এতে লেনদেনের একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু লেনদেনের শেষদিকে আবার বিক্রির চাপ বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ। ফলে বিক্রির চাপ বেড়ে আবার বেশকিছু প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। ফলে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৯৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২৫৮টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৪১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬৬১ পয়েন্টে নেমে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৪২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

দাম বাড়ার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণের বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৯১১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮৬৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৪১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

এ লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৯ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মালেক স্পিনিংয়ের ৩৭ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৩২ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেস্ট হোল্ডিং।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- লাভেলো আইসক্রিম, ওরিয়ন ইনফিউশ, ই-জেনারেশন, গোল্ডেন সন, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, ফারইস্ট নিটিং এবং আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ।

অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৮১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৩৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৬টির এবং ২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা।


আরও খবর