আজঃ শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪
শিরোনাম

নীতিমালা মেনে নড়িয়ায় চলছে অতিদরিদ্রদের প্রকল্পের কাজ

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মে ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৬৭২ জন শ্রমিককে ৪০ দিনের কাজ বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৮৯টি প্রকল্পের মধ্যে একাজে শ্রমিক মজুরি বাবদ ব্যয় হবে ২ কোটি ১৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা

শরীয়তপুর থেকে সাইফ রুদাদ

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসন্ধান প্রকল্প(ইজিপিপি) নীতিমালা মেনে চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে। ইজিপিপির কাজ নিয়ে সাধারণের মনে ভূল ধারণা রয়েছে যে প্রকল্পর কাজটি সঠিক ভাবে করা হয় না। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছেন আমাদের প্রকল্পের কাজে ভেকু দিয়ে কাজ চলেনি।

জানা যায়, নড়িয়া উপজেলায় অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৬৭২ জন শ্রমিককে ৪০ দিনের কাজ বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৮৯টি প্রকল্পের মধ্যে একাজে শ্রমিক মজুরি বাবদ ব্যয় হবে ২ কোটি ১৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।

স্থানীয়রা জানান, এবছর অতিদরিদ্রদের কাজ বেশ ভালোই চলছে, আমরা আশা করি ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারব এখন থেকে। এবছরের কাজ দেখে সাধারণের মনের ভ্রান্ত ধারণা দূর হয়ে যাবে।

নড়িয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহাদী হোসেন বলেন, ২০২০-২১ অর্থ বছরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান প্রকল্পের আওতায় বিগত ৪ এপ্রিল থেকে কাজ শুরু হয়েছে। সরকারি ছুটির দিন ব্যতিত দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে প্রকল্প শুরুর দিন থেকে বরাদ্ধকৃত শ্রমিকরা ৪০ দিন কাজ করবে। আমি ১০০% সিউর দিয়ে বলতে পারি আমার কোনো কর্মসূচিতে ভেকু ব্যবহার হয়নি, আমার কোনো প্রজেক্টে কন্টাক্টেকে কাজ করানো হচ্ছে না। শ্রমিক সঠিকভাবে ব্যবহার করে আমার প্রজেক্টের কাজ চলতেছে এবং ৪০ দিন পর্যন্তই চলবে।

নিউজ ট্যাগ: শরীয়তপুর

আরও খবর



রাখাইনে গায়ে পেট্রোল ঢেলে মারধর, নির্যাতনে নিহত ৫০

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের রাখাইনে গত সপ্তাহে অভিযান চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এতে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিরোধী বাহিনীগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে বলেন, গ্রামটিতে দুই দিনের বেশি সময় ধরে আগ্রাসন চালানো হয়েছে। লোকজনকে চোখ বেঁধে মারধর করা হয়েছে। তাদের গায়ে গরম পেট্রোল ঢেলে দেওয়া হয়েছে এবং গ্রামের বেশ কয়েকজনকে প্রস্রাব পান করতে বাধ্য করেছে সেনাবাহিনী।

বিভিন্ন এলাকায় আরাকান আর্মির (এএ) সমর্থকদের খুঁজতে অভিযান চালানো হয়েছে। বর্তমানে মিয়ানমারের সবচেয়ে সক্রিয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে এএ।

১৫ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৫১ জন বেসামরিক নাগরিকের ওপর সহিংস নিপীড়ন চালিয়ে হত্যা করেছে সেনাবাহিনী। মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

তবে আরাকান আর্মি বলছে, নিহতের সংখ্যা ৭০ জনের বেশি হতে পারে। তবে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার জান্তা।

এক নারী বিবিসিকে বলেন, তারা এসে লোকজনকে জিজ্ঞাসা করছিল যে আরাকান আর্মির সদস্যরা গ্রামে এসেছে কি না। লোকজন সেনাবাহিনীর প্রশ্নের উত্তরে যদি বলেছে যে, তারা জানে না বা আরাকান আর্মির লোকজন আছে বা নেই, তারা যেই উত্তরই দিয়েছে সেনারা তাদের মারধর করেছে।

মাত্র ছয় মাসের প্রচেষ্টায় রাখাইন রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকা দখল করেছে আরাকান আর্মি। তারা সেনাবাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে।

এক নারী বিবিসিকে বলেন, আমার চোখের সামনে সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমাদের কাছ থেকে আমাদের সন্তানকে আলাদা করা হয়েছে। আমরা জানিনা যে সে কোথায় আছে। আমি এখন জানি না যে, আমার স্বামী এবং সন্তান বেঁচে আছে কি না।

ভুক্তভোগীরা জানান, লোকজনকে সারাদিন ধরে রোদে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। তারা যখন পানি চেয়েছে তখন সেনা সদস্যরা বোতলে প্রস্রাব করে সেগুলো তাদের খেতে দিয়েছে।


আরও খবর



দস্যুতা না ছাড়লে কাউকে ক্ষমা করা হবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দস্যুদের যারা এ পেশা ত্যাগ করবেন না তারা কী দুঃসংবাদ লিখে নিয়ে যাবেন সেটা মহান আল্লাহ জানেন। কাউকে ক্ষমা করা হবে না। সন্ত্রাস নির্মূল করতে গিয়ে র‍্যাবের ৩৩ জন সদস্য জীবন দিয়েছেন। হাজার হাজার র‍্যাব সদস্য আহত হয়েছেন। অনেকের অঙ্গহানিও হয়েছে। তাই আমরা যেকোনো মূল্যে অপরাধীদের দমন করব। তারা যেন অপরাধ করার চিন্তাও না করে সে কাজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী করছে। জলদস্যুতা আপনাদের জীবনে কখনও শান্তি ফিরিয়ে আনবে না। বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন সমস্ত উপকূলীয় অঞ্চলকে আমরা জলদস্যু-ডাকাত মুক্ত করব।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা র‍্যাব-৭ এর সদর দপ্তরে জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকার ১২ বাহিনীর ৫০ জলদস্যু। এর মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনে জলদস্যুদের ভালো অবস্থা দেখে আজ তারা উদ্বুদ্ধ। সাংবাদিকদের সহযোগিতায় এ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাদের ধন্যবাদ জানাই। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের সিকিউরিটির জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। ওইসব এলাকায় জলদস্যুরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। আজ এখানে একজন নারী জলদস্যুও আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।

তিনি বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী লোকেরাও তাদের বাধ্য করেন এসব কাজে জড়াতে। জনগণের কাছে র‍্যাব একটি আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। সুন্দরবনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন রক্ষায় ২০১২ সালে র‍্যাবকে টাস্ক ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। র‍্যাবের দুঃসাহসিক অভিযানে সুন্দরবন জলদস্যু মুক্ত হয়। দস্যুরা যাতে আর সে কাজে ফিরতে না পারে তাদের আর্থিক অনুদান দেওয়া হচ্ছে। আজ তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। কেউ ব্যবসা করছে বা অন্য কাজ করছে। পাবনায় ৬০০ ও সিরাজগঞ্জে ৩০০ এর অধিক চরমপন্থি গ্রুপের নেতাকর্মী আত্মসমর্পণ করেছে। তাদেরও সরকার সহযোগিতা করেছে। তবে যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ও খুনের মামলা আছে তাদের কোনোভাবে সহযোগিতা করা হবে না। অন্য মামলাগুলো থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়ার জন্য কাজ করা হবে।

অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আত্মসমর্পণের পর আমরা দস্যুদের দিকে খেয়াল রাখছি। যদি তারা পুনরায় আগের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয় তাহলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের সব সহযোগিতা বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমাদের কথার বরখেলাপ করলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ যদি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায়, আমরা তাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি। আজকে যারা আত্মসমর্পণ করছেন সবাইকে আমি স্বাভাবিক জীবনে স্বাগত জানাই। এর আগে সুন্দরবন দস্যু মুক্ত হওয়ায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করছি। সুন্দরবন থেকে আত্মসমর্পণ করা দস্যুদের সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের পেশার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম র‍্যাবের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফ, পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, র‍্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম ও চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নুরে আলম মিনা। এছাড়া আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাহমুদ করিম ও জসীম উদ্দীন।

র‍্যাব জানায়, সংস্থাটির চট্টগ্রাম ইউনিটের উদ্যোগে ২০১৮ এবং ২০২০ সালে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলের ৭৭ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এটি অন্যান্য জলদস্যুদের মাঝে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। একপর্যায়ে চট্টগ্রামে বাঁশখালী এবং কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া অঞ্চলের জলদস্যুরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আশার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম র‍্যাব তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়।


আরও খবর



রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অস্ত্রসহ আরসার ৪ সন্ত্রাসী আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ৪ সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

রবিবার (১৯ মে) রাতে উখিয়ার ক্যাম্প-২০ এলাকার পাহাড়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে নিশ্চিত করেন ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. ইকবাল।

আটকরা হলেন- উখিয়ার ক্যাম্প-১৭ এইস ব্লকের দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে আমির হোসেন (২৯), একই ক্যাম্পের মৃত ফজল করিমের ছেলে জিয়াউর রহমান (৩২), মৃত আব্দুস সালামের ছেলে সৈয়দুল আমিন (৩০) ও বাদশা মিয়ার ছেলে মো. হারুন (২২)।

মো. ইকবাল বলেন, গোপন সংবাদে খবর ছিল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতার করার লক্ষ্যে আরসার শীর্ষ চার সন্ত্রাসী বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ- হ্যান্ডগ্রেনেডসহ অবস্থান করছে। এমন খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশের একটি টিম রবিবার রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২০ এর এস১/বি৭ ব্লকের কাঁটাতারের বাইরের গোয়াম বাগান পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় আরসার চার শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে দুইটি দেশীয় তৈরি বড় ওয়ান শুটার গান (এলজি), চারটা মাঝারি সাইজের ওয়ান শুটার গান (এলজি), একটি দেশীয় তৈরি এমএমজি সাদৃশ্য ওয়ান শুটার গান, দুইটি লম্বা কিরিচ, চারটি হ্যান্ডগ্রেনেড, ছয় রাউন্ড রাইফেলের গুলি ও দুই রাউন্ড পিস্তলের গুলি, এক রাউন্ড কার্তুজ, ১১টি গুলির খোশা ও দুইটি কার্তুজের খোশা, হ্যান্ডগ্রেনেডে ব্যবহৃত দুই প্যাকেট লোহার বল ও দুইটি ওয়াকিটকি চার্জার উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



বিমান থেকে বিদায় নিলেন শফিউল, বৃহস্পতিবার দায়িত্ব নেবেন জাহিদুল

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. শফিউল আজিম বিমান থেকে বিদায় নিচ্ছেন বুধবার। তার স্থলে বৃহস্পতিবার যোগদান করবেন অতিরিক্ত সচিব মো. জাহিদুল ইসলাম ভুঞা।

বুধবার (২৯ মে) বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইন্সের জনসংযোগ বিভাগ সূত্র জানায়, বিমানের সাবেক এমডি ও সিইও মো. শফিউল আজিমের আজ বিমানে শেষ কর্মদিবস ছিল। সদ্য সচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনে যোগদান করতে যাচ্ছেন।

এর আগে তিনি ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৫ সালে ১৫তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি।

অন্যদিকে গত ২৭ মে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হন মো. জাহিদুল ইসলাম ভুঞা। জাহিদুল ইসলাম ভুঞা বিসিএস (প্রশাসন) ১৮তম ব্যাচের কর্মকর্তা।

তিনি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের একান্ত সচিব হিসেবে গত সাড়ে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের পর জাহিদুল ইসলাম ভুঞা শিল্প মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছেন।


আরও খবর



বিআরটিসির ঈদ স্পেশাল সার্ভিস শুরু বৃহস্পতিবার

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও ঘরমুখী মানুষের জন্য ঈদ স্পেশাল সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছে সরকারের পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে বিশেষ এই বাস সেবা চলবে ১৮ জুন পর্যন্ত। এ লক্ষ্যে আজ সোমবার থেকে বিআরটিসির সংশ্লিষ্ট ডিপো থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে।

বিআরটিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকায় মতিঝিল, জোয়ারসাহারা, কল্যাণপুর, গাবতলী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপো (চাষাঢ়া) থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে মতিঝিল বাস ডিপোর অধীন ঢাকা থেকে রংপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, জয়পুরহাট, জামালপুর ও কলমাকান্দা রুটের অগ্রিম টিকেট বিক্রি হচ্ছে।

কল্যাণপুর বাস ডিপো থেকে রাজশাহী, নওগাঁ, নেত্রকোনা, সৈয়দপুর, ঠাকুরগাঁও, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, গাইবান্ধা, বগুড়া, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইলের নাগরপুর, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও শেরপুরের নালিতাবাড়ী পথে চলাচলকারী বাসের টিকেট বিক্রি হচ্ছে। গাবতলী টার্মিনাল থেকে দেওয়া হচ্ছে রংপুর, গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া পথের বাসের টিকেট।

জোয়ারসাহারা বাস ডিপো থেকে রংপুর, দিনাজপুর, নওগাঁ, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও বগুড়ার বাসের টিকেট বিক্রি হচ্ছে। মিরপুর বাস ডিপো থেকে বিক্রি হচ্ছে ঠাকুরগাঁও, রংপুর, পঞ্চগড়, ঝালকাঠির স্বরূপকাঠি, গোপালগঞ্জ ও বগুড়া পথের বাসের টিকেট। মোহাম্মদপুর বাস ডিপো থেকে বিক্রি হচ্ছে রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, বগুড়া, নওগাঁ, বরিশাল, খুলনা, গোপালগঞ্জ ও ময়মনসিংহ পথের বাসের টিকেট।

গাজীপুর বাস ডিপো থেকে বিক্রি করা হচ্ছে খুলনা, বরিশাল, রংপুর, বগুড়া ও ময়মনসিংহ পথের বাসের টিকেট। যাত্রাবাড়ী বাস ডিপোতে বিক্রি হচ্ছে রংপুর, দিনাজপুর, খুলনা, কুড়িগ্রাম, ফরিদপুরের ভাঙা ও বরিশাল পথের বাসের টিকেট। নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপোতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা, বরিশাল, হবিগঞ্জ, রংপুর, লালমনিরহাট, নওগাঁ, নেত্রকোনা ও বগুড়ার পথে চলাচলকারী বাসের টিকেট পাওয়া যাচ্ছে।

এর বাইরে কুমিল্লা, নরসিংদী, সিলেট, দিনাজপুর, বগুড়া, রংপুর, খুলনা, পাবনা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ও বরিশাল বাস ডিপো থেকেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলাচলকারী বিআরটিসির বাসের টিকেট পাওয়া যাবে।


আরও খবর