আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

বিক্ষোভে উত্তাল আর্জেন্টিনা, ব্যাপক সংঘর্ষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেস। স্থানীয় সময় বুধবার (১২ জুন) এ সংঘর্ষ হয়।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মিলেইর প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতিবাদে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। তারা সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভকারীদের উপস্থিতি বাড়ার সঙ্গে উত্তেজনাও বাড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবিত বিলের ওপর কংগ্রেসে আলোচনা চলছিল। বাইরে হাজারো বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিলেন। প্রথমত তারা রাস্তার বারবিকিউ, পিকেটিং এবং প্রতিবাদী গান দিয়ে দিনটি শুরু করেন। কিন্তু বিকেলে কংগ্রেস ভবনের অভ্যন্তরে সিনেটরদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হলে বাইরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এ সময় বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তারা হেলমেট, লাঠিসোঁটা, ঢাল, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জনতার দিকে তেড়ে আসে। এতে বিক্ষোভকারীরাও পুলিশকে আক্রমণ করে। তারা অন্তত দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ ও রাস্তার বেরিকেড ভেঙে ফেলে। পরে বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও জলকামান ব্যবহার করা হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে পিপার স্প্রে করারও অভিযোগ উঠেছে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পিপার স্প্রের কারণে সাতজন বিক্ষোভকারীকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। আরও বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদিকে ধরপাকড় চালিয়েছে পুলিশ। তারা অন্তত ১৮ জনকে আটক করেছে। আর্জেন্টিনার নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, অর্থনৈতিক সংস্কারের নামে একটি বিল পাস করাতে চাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মিলেইর। তার সেই বিলের প্রস্তাবে রয়েছে, এক বছরের জন্য দেশটিতে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি, রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থাসহ কয়েক ডজন সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে প্রেসিডেন্ট মিলেইকে ক্ষমতা দেওয়াসহ আরও কিছু বিষয়।

নিউজ ট্যাগ: বুয়েনস এইরেস

আরও খবর



প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় সুন্দরবন প্রবেশে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাছ, বন্যপ্রাণীর বিচরণ ও প্রজনন কার্যক্রম সুরক্ষায় তিন মাসের জন্য বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের ঢোকার অনুমতি বন্ধ করা হয়েছে। এ সময় সুন্দরবনে পর্যটকবাহী বোটসহ সব ধরনের যানবাহন প্রবেশ বন্ধ থাকবে। এ সময় মাছ ও কাঁকড়া আহরণও বন্ধ থাকবে।

শনিবার (১ জুন) পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবনের সব নদী-খালে মাছ ও কাঁকড়া আহরণ বন্ধ রাখা হচ্ছে। এ সময় পর্যটকবাহী বোটসহ সব ধরনের যানবাহন প্রবেশ বন্ধ থাকবে। এবং নতুন করে কাউকে প্রবেশ পাস দেয়া হবে না।

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের তথ্য মতে, এরআগে সুন্দরবনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সমন্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধের সিদ্ধান্ত ছিল। তবে ২০২২ সালে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এ নিষেধাজ্ঞা আরও এক মাস বৃদ্ধি করে ১ জুন থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে সুন্দরবনে ঢোকার সব ধরনের পাস। সেই থেকে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবনের সব নদী-খালে মাছ ও কাঁকড়া আহরণ বন্ধ রাখা হচ্ছে।

বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা এবিএম হাবিবুল ইসলাম বলেন, জুন থেকে পরবর্তী তিন মাস সুন্দরবনে ২৫১ প্রজাতির মাছের প্রজনন মৌসুম। সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির তাগিদে মন্ত্রী পরিষদ এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার থেকে তিন মাস সুন্দরবন পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।’

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী বলেন, মন্ত্রী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ থেকে সুন্দরবন তিন মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য নতুন করে কাউকে পাস (অনুমতি পত্র) দেয়া হবে না। একই সঙ্গে বন বিভাগের নিয়মিত স্মার্ট পেট্রোলিং টিম তাদের অভিযান অব্যাহত রাখবে। এবং সুন্দরবনের ভিতরের অফিসগুলোকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা প্রতিদিন তাদের নিয়মিত টহল অব্যাহত রাখবে।’

উল্লেখ্য, সুন্দরবনে ৩১৫ প্রজাতির পাখি, ৩৫ প্রকারের সরীসৃপ, ৪২ প্রকারের স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। এখন তাদের প্রজনন মৌসুম চলছে।


আরও খবর



সিলেটে ভারী বৃষ্টিতে ডুবল ঈদ আনন্দ

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সিলেটে ঈদের দিন ভোর থেকে সাড়ে ৪ ঘণ্টার ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার ঈদগাহ ও সড়ক। পাহাড়ি ঢলে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৬ লাখ মানুষ। এতে অনেকটাই মাটি হয়েছে ঈদুল আজহার আনন্দ। বৃষ্টির পানিতে ঈদগাহ ও মসজিদ ভেসে যাওয়ায় অনেকে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেননি। পশু কোরবানি করা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

সোমবার দেশের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। এদিন সিলেটে ভোর ৪টা থেকে শুরু হয় বর্ষণ, টানা চলে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।

দেখা যায়, নগরীর প্রধান প্রধান সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি ঢুকেছে অনেকের বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। শুকনা স্থান না পেয়ে অনেকেই কোরবানির গরু-ছাগল পানির মধ্যে বেঁধে রেখেছেন। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অবনতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির।

বন্যা আক্রান্তদের জন্য ইতোমধ্যে ৪৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আজ সকাল পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ, গোয়ানঘাট, কানাইঘাটসহ কয়েকটি উপজেলায় ১০ হাজারের মতো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে ভারী বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সকাল ৮টায় শাহী ঈদগাহে সিলেটে প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর এই জামাতে লক্ষাধিক মুসল্লি অংশ নিলেও এবার ছিল ব্যতিক্রম। শুধু শাহী ঈদগাহ নয়, প্রতিটি মসজিদ ও ঈদগাহের অবস্থা ছিল একই। সকাল ৮টায় পুলিশ লাইন জামে মসজিদে পানি প্রবেশ করায় একাংশে নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে মুসল্লিদের।

একইভাবে মেজরটিলা, কদমতলী, বিমানবন্দর সড়ক, উপশহর, সুবহানিঘাটসহ বেশ কয়েকটি এলাকার ঈদগাহ ও মসজিদে পানি প্রবেশ করায় নামাজ আদায়ে ব্যাঘাত ঘটে।


আরও খবর



২০০৯ সালের পর সর্বোচ্চ আসনে এগিয়ে কংগ্রেস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় কংগ্রেস ১০০টি আসন জিততে চলেছে। ২০০৯ সালের পরে এবারই দলটি এত বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে। তাই বিষয়টিকে কংগ্রেসের উত্থান হিসেবে দাবি করছেন অনেকে।

আবার কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে রয়েছে ২৩০টি আসনে। জয় নিশ্চিত হয়েছে আরও একটি আসনে। এর মধ্যে কংগ্রেস এগিয়ে ৯৯ আসনে, জয়ী হওয়া আসনটিও তাদের। এছাড়া, সমাজবাদী পার্টি ৩৫, তৃণমূল কংগ্রেস ২৯, ডিএমকে ২২, আম আদমি পার্টি তিনটি আসনে এগিয়ে রয়েছে।

অন্যদিকে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এগিয়ে রয়েছে ২৯০টি আসনে। এগুলো মধ্যে মোদীর দল এককভাবে ২৩৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৫২টি ও ২০১৪ সালে মাত্র ৪৪টি আসনে জয়লাভ করেছিল কংগ্রেস উপমহাদেশের প্রাচীন দলটি। অথচ ২০০৯ সালে দলটি ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্সের নেতৃত্বে ২০৬টি আসনে জিতেছিল।

২০১৪ সালে যা ঘটেছিল: ২০১৪ সালে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদীর বিজেপির মুখোমুখি হয়েছিল। ওই নির্বাচনে বিশাল পরাজয়ের মুখে পড়ে দলটি। সেবার তারা ১৬২টি আসন হারায় ও প্রায় ৯ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট হারায়। সেই সময় মোদির হাত ধরে হিন্দুত্ববাদের উত্থান ঘটে।

গুজরাট, রাজস্থান বিহার, ঝাড়খণ্ড ও মধ্যপ্রদেশে ব্যাপক ব্যবধানে জয়লাভ করে বিজেপি। ১০ বছর আগে ওই ভোটে দেশের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ৩৩৬টিতে জয় পায়। আর এককভাবে বিজেপি পেয়েছিল ২৮২টি আসন।

এনডিএ জোট উত্তর প্রদেশে ৭৩টি, মহারাষ্ট্রে ৪১টি, বিহারে ৩১টি ও মধ্যপ্রদেশে ২৭টি আসন পায়। তাছাড়া গুজরাটের ২৬টি, রাজস্থানের ২৫টি, দিল্লির সাতটি, হিমাচল প্রদেশের চারটি ও উত্তরাখন্ডের পাঁচটি আসনে জেতে। সেই সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের ১৪টির মধ্যে ১২টি, ছত্তিশগড়ের ১১টির মধ্যে ১০টি ও হরিয়ানার ১০টি আসনের মধ্যে সাতটিতে জয় লাভ করেছিল। সেবার কংগ্রেস উত্তর প্রদেশের মাত্র দুটি আসন আমেঠি ও রায়বরেলিতে জিতেছিল।

২০১৯ সালে কংগ্রেসের অবস্থা: ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে আরও বেশি আসনে জয় পায়। সেবার মোদীর দল এককভাবে ৩০৩টি ও জোটবদ্ধভাবে ৩৫৩টি আসনে জয় লাভ করে। ওই বছর দলটি উত্তর প্রদেশে ৭৪টি, বিহারে ৩৯টি ও মধ্যপ্রদেশে ২৮টি আসন পেয়েছিল। সেই সঙ্গে গুজরাট, রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ ও দিল্লিতেও জয়লাভ করে। এসব রাজ্য থেকে বিজেপি ৭৭টি আসন পায়। অন্যদিকে, ছত্তিশগড়ের ৯টি ও ঝাড়খণ্ডের ১১টিসহ এই অঞ্চল থেকে ২৩৮টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি।

সেবারের নির্বাচনে কংগ্রেস রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশ নেয়। রাহুল গান্ধী আমেঠি আসনে বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে বাজাভাবে পরাজিত হন। ওই পরাজয়ের পরেই কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন রাহুল।


আরও খবর



মেয়াদ শেষ হচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছর মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তারা দুজনই বর্তমানে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে রয়েছেন।

এর মধ্যে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের চুক্তির মেয়াদ। আর জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।

মাহবুব হোসেন গত বছরের ৩ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। এর আগে তিনি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং তারও আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৯৮৬ (অষ্টম) ব্যাচের সদস্য মাহবুব হোসেন ১৯৮৯ সালের ২০ ডিসেম্বর সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন।

চাকরির স্বাভাবিক মেয়াদ শেষ করে গত বছরের ১৩ অক্টোবর থেকে অবসরে যাওয়ার কথা ছিল  মো. মাহবুব হোসেনের। নিয়মানুযায়ী তাকে অবসর দিয়ে ওই বছরের ৩ অক্টোবর প্রজ্ঞাপনও জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এরপর পৃথক আরেকটি প্রজ্ঞাপনে ১৪ অক্টোবর থেকে পরবর্তী এক বছরের জন্য তাকে এই পদে চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগের কথা জানানো হয়।

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব থাকাকালে ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর মুখ্য সচিব হিসেবে নিয়োগ পান জ্যেষ্ঠ সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

চাকরির স্বাভাবিক মেয়াদ শেষ করে গত বছরের ৪ জুলাই তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। ওই বছরের ২৫ জুন অবসরোত্তর ছুটি ও এ সংক্রান্ত সুবিধা স্থগিতের শর্তে ৫ জুলাই থেকে পরবর্তী এক বছরের জন্য তাকে চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়।

তিনি এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। পঞ্চগড়, কুমিল্লা ও ঢাকার জেলা প্রশাসকের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।


আরও খবর



মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২২ জুন) সকাল ১০টার দিকে রাজঘাটে ভারত বর্ষের স্বাধীনতা এবং নাগরিক অধিকার আন্দোলনের অন্যতম নেতা মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানাতে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

এর আগে শনিবার (২২ জুন) দিল্লির স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে তিনি রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিসহ সরকারের মন্ত্রীসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

নয়াদিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এরপর প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হয় রাজকীয় সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার। এ সময় বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। সশস্ত্র সালাম গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন।

এরপর তিনি হায়দ্রাবাদ হাউসে যাবেন। সেখানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথ সংবাদ বিবৃতি দেবেন। পরে হায়দ্রাবাদ হাউসে শেখ হাসিনা তার সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন।

বিকালে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখারের কার্যালয়ে তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তিনি পুনরায় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবেন। সেখানে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ করবেন।

নয়াদিল্লি সময় সন্ধ্যা ৬টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ বিমানে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ঢাকা পৌঁছাবেন।


আরও খবর