আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

নেপালের বিপজ্জনক ৫ বিমানবন্দর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি প্লেন কাঠমান্ডু থেকে পোখরার উদ্দেশে উড়ে যাওয়ার সময় রোববার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে নেপাকাস্কি জেলার পোখরায় বিধ্বস্ত হয়। ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ১০টায় ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানটি যাত্রা করে। এই দুর্ঘটনায় মোট ৭২ জন (৬৮ জন যাত্রী ও পাইলটসহ ৪ জন ক্রু) জন নিহত হয়েছেন।

এভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্কের মতে, এর আগে ২০১৮ সালের মার্চে ঢাকা থেকে ইউএস-বাংলা ড্যাশ ৮ টার্বোপ্রপ ফ্লাইট কাঠমান্ডুতে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় ৭১ জনের মধ্যে ৫১ জন মারা যান। এরপর এবারই সবচেয়ে মারাত্মক এই দুর্ঘটনা ঘটলো। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০০ সাল থেকে নেপালে হেলিকপ্টার বা বিমান দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৩০৯ জন মারা গেছেন। এর কারণ হলো নেপালের বিমানবন্দরগুলে সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থানে অবস্থিত। এই বিমানবন্দরগুলো পাহাড়ের কোলে অবস্থিত হওয়ায় প্লেন অবতরণ বেশ বিপজ্জনক। আসলে নেপাল একটি স্থলবেষ্টিত দেশ, যার চারপাশে পাহাড় ও পর্বত। নেপালে একটিমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে, ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

যদিও এটি তুলনামূলক কম ঝুঁকিপূর্ণ। তবে সেখানকার অভ্যন্তরীণ কিছু বিমানবন্দর আছে যেগুলো এতটাই বিপজ্জনক স্থানে অবস্থিত যে প্লেন উড্ডয়ন কিংবা অবতরণে বিপজ্জনক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। নেপালে সব মিলিয়ে মোট ৪৩টি বিমানবন্দর আছে। তার মধ্যে ১০টি বিমানবন্দর বেশ পরিচিত। এই বিমানবন্দরগুলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বেশ জনপ্রিয়। তবে এর কিছু এতোটাই বিপজ্জনক ও ভয়ংকর যে জানলে আঁতকে উঠবেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক নেপালের তেমনই কিছু বিপজ্জনক বিমানবন্দর সম্পর্কে-

লুকলা বিমানবন্দর: শুধু নেপাল নয়, বিশ্বের মধ্যে অন্যতম বিপজ্জনক বিমানবন্দর বলে মনে করা হয় লুকলাকে। এই বিমানবন্দর তেনজিং হিলারি এয়ারপোর্ট নামেও পরিচিত। এই বিমানবন্দর এভারেস্টের খুব কাছে। এই বিমানবন্দর জনপ্রিয় কারণ এখান থেকেই এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে পৌঁছানো যায়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৯ হাজার ৩৩৪ ফুট উঁচুতে রয়েছে লুকলা বিমানবন্দরটি। রানওয়েটি দৈর্ঘ্যে ১ হাজার ৭২৯ ফুট প্রস্থে ৯৮ ফুট। রানওয়ের চারপাশে প্রায় ২ হাজার ফুট গভীর খাদ।

সিমিকোট: নেপালের আরও একটি বিপজ্জনক বিমানবন্দর হলো সিমিকোট। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৯ হাজার ২৪৬ ফুট উঁচুতে এই বিমানবন্দর। কার্নালি প্রদেশের হুমলা জেলায় এই বিমানবন্দর। এর রানওয়ের দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৮০১ ফুট। সিমিকোট নেপালের একমাত্র বিমানবন্দর, যেটি ন্যাশনাল রোড নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত। পশ্চিম নেপালের ডোলপায় যাওয়ার জন্য এই বিমানবন্দর প্রবেশপথ হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া নেপাল থেকে কৈলাস ও মানস সরোবরে যাওয়ার মূল প্রবেশদ্বার হলো এই সিমিকোট।

মুগু বা তালচা বিমানবন্দর: নেপালের অন্যতম বিপজ্জনক বিমানবন্দর হলো তালচা। এটি মুগু বিমানবন্দর নামেও পরিচিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮ হাজার ৯৭৩ ফুট উঁচুতে গড়ে তোলা হয়েছে এই বিমানবন্দর। এখানে বছরের বেশিরভাগ সময়ই বরফ পড়ে। এ কারণে রানওয়ে অনেকটা পিচ্ছিল থাকে, তাছাড়া অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে বিমানের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া নানা কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আছে এই বিমানবন্দরে। ২০১০ সালের ২৬ মে তারা এয়ারের ডিএইচসি ৬ টুইন অটার বীরেন্দ্রনগর বিমানবন্দর থেকে ক্রুসহ ২১ জন যাত্রীকে নিয়ে তালচাতে আসার সময় ওড়ার ৫ মিনিটের মধ্যে কেবিনের দরজা খুলে যায়। তারপর বিমানটি আবারও বীরেন্দ্রনগরে জরুরি অবতরণ করানো হয়। ২০১১ সালের ২১ নভেম্বর সুরখেত বিমানবন্দর থেকে তালচাতে নামার সময় রানওয়েতে বিমানের চাকা পিছলে গিয়েছিল। এতে ১১ জন আহত হন।

জমসম বা মুস্তাং বিমানবন্দর: নেপালের বিপজ্জনক বিমানবন্দরের মধ্যে আরও একটি হলো জমসম। মুস্তাং নামেও পরিচিত এটি। মুস্তাং জেলার প্রবেশদ্বার এই বিমানবন্দর। যে পথে জমসম, কাগবেনী, তাংওয়ে, লো মাংথাং এবং মুক্তিনাথ মন্দিরের মতো দর্শনীয় স্থান আছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮ হাজার ৯৭৬ ফুট উঁচুতে এই বিমানবন্দর। খুব জোরে বাতাস বইলে, খারাপ আবহাওয়া থাকলে এই বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়। সকালের দিকে প্রচণ্ড জোরে বাতাস হয়। তখন কুয়াশার কারণে রানওয়ে ঠিকমতো দেখাও যায় না।

পোখরা: নেপালের বিপজ্জনক বিমানবন্দরের তালিকায় আছে পোখরার নামও। ১৯৫৮ সালে তৈরি করা হয় এই বিমানবন্দরটি। এখান থেকে কাঠমান্ডু ও জমসমে নিয়মিত বিমান চলাচল করে। পাহাড়ের কোলে এই বিমানবন্দর। রানওয়েও ছোট। এ কারণেই পোখরায় এবার এতবড় একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই প্রথম নয়, এর আগেও ২০০২ সালের ২২ আগস্ট সাংগ্রী এয়ারের বিমান জমসম থেকে পোখরা যাওয়ার পথে পাহাড়ে ধাক্কা লেগে ভেঙে পড়েছিল। তিনজন ক্রু ও ১৫ জন যাত্রীর সবাই নিহত হন। ২০১৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি নেপাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান পোখরা থেকে জুমলা বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে ভেঙে পড়েছিল খারাপ আবহাওয়ার কারণে। ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল সেই ঘটনায়।


আরও খবর



রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ শুরু

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীর সর্বসাধারণ বিশেষ করে স্বাধীনতার সপক্ষের মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি রাজশাহী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজের সূচনা করেছেন রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল। এর আগে ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর এখানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর ভাষাসৈনিক প্রয়াত অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু।

শনিবার বেলা ১১ টায় নগরীর পুরাতন সার্ভে ইন্সটিটিউটের জায়গায় পূর্ব নির্ধারিত স্থানে রাজশাহীর শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নির্ধারিত স্থানে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট মজিবুল হক বকু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুবুর রহমান, বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুশান্ত সরকার, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বদিউজ্জামান খায়ের, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগর সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু ও জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুর রশিদ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পাকিস্তানী প্রেতাত্মাদের চক্রান্তে ঘাতকের হাতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যবৃন্দ এবং জাতীয় চার নেতাসহ ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মু: রেজা হাসান।

এসময় বক্তারা বলেন, রাজশাহীবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক বছর আগে ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপু যেস্থানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন, সেখানেই এর নির্মাণকাজ শুরু হলো। ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপু আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর সংগ্রামী জীবনের অংশ হিসেবে এই কাজটিও আমাদের মাঝে চির অমর হয়ে থাকবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণকাজের শুভ সূচনার মধ্য দিয়ে আজ রাজশাহীবাসী ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে এদেশের মুক্তিসংগ্রামের সঙ্গে জড়িত প্রতিটি মানুষের প্রতি অবনত মস্তকে শ্রদ্ধা জানালো।       

তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত কাজ করে চলেছেন, তখনও তাঁর বিরুদ্ধে দেশি বিদেশি চক্রান্ত আর ষড়যন্ত্র থেমে নেই। সেগুলো মোকাবিলা করেই তিনি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আমাদের। একথা আজ প্রতিষ্ঠিত যে, মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার পক্ষে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে গেলেই ঘাপটি মেরে থাকা পাকিস্তানী প্রেতাত্মারা চক্রান্ত করতে থাকে। এতো বছর পর রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হতে যাচ্ছে, এটা নিয়েও হয়তো সেই একই গোষ্ঠী ও তাদের দোসররা নানা চক্রান্ত করতে পারে। কিন্তু আমরা তা কোনোক্রমেই সফল হতে দেবো না।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাসিক কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার টেকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়বুর রহমান, রাজশাহী জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে মাইনুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ, আবুল কালাম আজাদ, তফিকুল ইসলাম, দীলিপ কুমার সরকার, জনাব আলী, আবু জাফর প্রাং, মহিদুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান মাসুদ, শিউলী রানী সাহা, সুলতানা পারভীন রিনা, মোসা. সাজেদা বেগম প্রমূখ।

উল্লেখ্য, রাজশাহী মহানগরীর প্রাণকেন্দ্রে পুরাতন সার্ভে ইন্সটিটিউটের প্রায় ১ একর জায়গাজুড়ে প্রায় ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি নির্মিত হচ্ছে।


আরও খবর



আমতলীতে ডলার-রিয়াল প্রতারক চক্রের ৫ জন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনা আমতলীতে ডলার ও রিয়াল প্রতারক চক্রের পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

রবিবার (৫ মে) রাতে আমতলী উপজেলার আঠারো গাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর নামক এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আমতলীর চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা এলাকার সানু ফকির, তৈয়ব হাওলাদার, মিজানুর রহমান মিজান, একই ইউনিয়নের ঘটখালী এলাকার আল ইমরান ও কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর এলাকার শাহিন বয়াতী।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আলম বলেন, বরগুনায় দীর্ঘদিন ধরে ডলার ও সৌদি রিয়াল দেখিয়ে বিক্রি করার কথা বলে একটি চক্র সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে চক্রটির অবস্থান শনাক্ত করে গোয়েন্দা পুলিশ আমতলীর গাজীপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অল্প কিছু ডলার ও সৌদি রিয়ালসহ প্রতারণায় ব্যবহৃত গামছায় মোড়ানো টাকার বান্ডিলসহ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে গ্রেপ্তাররা একাধিক প্রতারণার কথা স্বীকার করেন। চক্রের সাথে আরও যারা জড়িত তাদের ধরতে এবং গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



হাসপাতালে ভর্তি সৌদি বাদশাহ সালমান

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজকে জেদ্দার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে কয়েক ঘণ্টার জন্য তিনি হাসপাতালে অবস্থান করেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ এপ্রিল) এমনটি জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

ইসলামের পবিত্র স্থানগুলোর রক্ষক বাদশাহ সালমান ক্রাউন প্রিন্স এবং উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে আড়াই বছরেরও বেশি সময় দায়িত্ব পালনের পর ২০১৫ সালে বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক দেশটির শাসক হিসেবে দায়িত্ব পান।

৮৮ বছর বয়সী বাদশাহকে শেষ বার ২০২২ সালের মে মাসে কোলনোস্কোপি এবং মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ২০২০ সালে তার পিত্তথলিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

অব্যাহত অতি তীব্র তাপদাহে স্বস্তি নেই চুয়াডাঙ্গায়। সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এখানকার জনপদ। বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। এরই মাঝে আজ মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান।

তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গায় আজ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দুই দিন এমন অবস্থা বিরাজ করতে পারে।

এ দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দুপুর থেকেই মরুভূমির মতো তাপ অনুভূত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকূল। অস্বস্তি বাড়ছে জনজীবনে।

চলমান তাপদাহে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন শ্রমজীবীরা। তীব্র তাপদাহে নষ্ট হচ্ছে ধান, ভূট্টা, কলা, আম, লিচুসহ মৌসুমি ফসল।


আরও খবর



টাইম ম্যাগাজিনে ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বিখ্যাত মার্কিন সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের স্বাস্থ্য ক্যাটাগরির ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তাকে ডিজিজ ফাইটার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে তালিকায়।

টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে জাহিদ মালেকের ব্যাপারে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে জাহিদ মালেকের পাঁচ বছর বিতর্কমুক্ত ছিলেন না। করোনা মহামারি নিয়ে তার প্রাথমিক পদক্ষেপ নিয়ে অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। এরপর তিনি একটি কার্যকর টিকাদান কর্মসূচি সম্পাদন করেন। যার ফলে ঘনবসতিপূর্ণ দক্ষিণ এশীয় দেশটিতে মাথাপিছু মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিবেশী ভারতের তুলনায় অর্ধেকেরও কম ছিল। জানুয়ারিতে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া সত্ত্বেও, মালেক তার সাড়ে ১৭ কোটি দেশবাসীর উন্নতির জন্য প্রশংসিত হচ্ছেন।

মার্কিন সাময়িকীটি জানায়, ২০২৩ সালে বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে কালাজ্বর নির্মূল করে আলোচনায় আসে বাংলাদেশ। এটি মাছি দ্বারা সংক্রামিত একটি রোগ, যা চিকিৎসা না করা হলে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃত্যু হয়। একই বছর বাংলাদেশ লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস, মশা দ্বারা সংক্রামিত একটি দুর্বল পরজীবী রোগ নির্মূল করতে সফল হয়েছে। এই জোড়া সাফল্যের মাধ্যমে ইতিহাসের প্রথম জাতি হিসেবে বাংলাদেশ এক বছরে দুটি অসংক্রামক রোগ নির্মূল করেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শিশুমৃত্যুর হার ব্যাপকভাবে কমানোর জন্য জাহিদ মালেক বাংলাদেশে হলুদের মধ্যে সিসার উপাদান কমানোর প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বিষয়টি জন্য ডব্লিউএইচওর দ্বারা সম্মানিতও হয়েছেন জাহেদ মালেক।


আরও খবর