বিশ্বে যুদ্ধাবস্থা থাকায় দেশের মানুষ
কিছুটা কষ্ট পাচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কীভাবে
মানুষ দুর্দশা কাটিয়ে উঠতে পারে, সেটা নিয়ে ভাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সারাদিন,
এমনকি রাতেও দেশের জনগণের কথা ভাবেন তিনি। সোমবার (৬ নভেম্বর) ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের
কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
দেশে একটা সংকট চলছে জানিয়ে কাদের বলেন,
‘আমরা একটা চ্যালেঞ্জিং
সময় অতিক্রম করছি। সারা বিশ্বে যুদ্ধাবস্থা থাকায় জিনিসপত্র, জ্বালানির দাম বেড়েছে।
আমরা অপরাধ না করেও যুদ্ধাবস্থা থাকায় কষ্ট পাচ্ছি। আমরা একটু বিপদে আছি, গ্রামের মানুষ,
খেটে খাওয়া মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আমাদের নেত্রী
সারাদিন, এমনকি রাতেরও বেশি সময় দেশ নিয়ে ভাবেন। কীভাবে মানুষ দুর্দশা কাটিয়ে উঠতে
পারে সেটাই তার চিন্তা। মাঝে মাঝে বিদেশে যাচ্ছেন, যাতে কিছু সহযোগিতা পাওয়া যায়।’
সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ দুঃসময়ে
মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে একটি রাজনৈতিক দল, যাদের ন্যূনতম দেশপ্রেম নেই। সাজাপ্রাপ্ত
আসামি দল চালাচ্ছে। সে দেশে আসতে পারে না। কিন্তু রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে দল চালাচ্ছে।
‘বিএনপি একটা প্রতারক দল। প্রতারণারও একটা সীমা আছে। কোথাকার কোন মিয়া আরেফি তার সঙ্গে সারওয়ার্দী! উল্লাপাড়ার এক পাগলকে ধরে এনে বাইডেনের দোস্ত বানিয়েছে বিএনপি’, যোগ করেন কাদের।
আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি আবার জ্বালাও-পোড়াও
শুরু করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপি ব্যর্থ। ফখরুল দৌড়াতে
দৌড়াতে মঞ্চ থেকে একবার নামে, একবার ওঠে। শেষ পর্যন্ত হ্যান্ডমাইক দিয়ে হরতাল ঘোষণা
করতে হলো। ওই আন্দোলনে যে পরিমাণ সাংবাদিক আহত হয়েছেন, আমাদের দেশের ইতিহাসে কোনো আন্দোলনে
এত সাংবাদিক আহত হননি। এটা কী আন্দোলনের মধ্যে পড়ে। তাদের হাতে মুক্তিযুদ্ধ নিরাপদ
নয়, বাংলাদেশের মানুষ নিরাপদ নয়।
বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের বিষয়ে
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বক্তব্যে তথ্যের ঘাটতি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের নিন্দা
করতে চাই না। তথ্য ঘাটতির কারণেই তারা যথাযথ বক্তব্য দিতে পারেননি। ইইউ খোঁজখবর নিয়ে
তাদের বক্তব্য সংশোধন করবে বলে আশা করি।’
প্রধানমন্ত্রী সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু
করবেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের সবাইকে সেখানে দলে দলে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন,
‘আমরা নির্বাচনে
জিতব। দু-চারটা চোরাগুপ্ত হামলায় আমাদের ভয় পেলে চলবে না। জনগণকে বলব, দু-চারটা হামলা
দিয়ে আন্দোলন হয় না।’
‘পুলিশকে সতর্ক থাকতে হবে। অপরাধীদের শায়েস্তা করতে নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করা যাবে না। আন্দোলনের নামে সব অপতৎপরতা আমরা প্রতিহত করব’, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
গাজায় যেই তাণ্ডব চলছে, তা নিয়ে একটা কথাও বলেছে
না বিএনপি-জামায়াত। তাদেরতো রাজনৈতিক আদর্শই মনে করা হয় ধর্মীয়! কিন্তু গাজায় মুসলমানরা
যখন নিপীড়িত হচ্ছে, তারা প্রতিবাদ করেননি। এ অন্যায়ের প্রতিবাদ একমাত্র শেখ হাসিনা
করেছেন। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতা চায়, কিন্তু তারা মানবতা চায় না।