আজঃ রবিবার ০২ জুন 2০২4
শিরোনাম
সুজন ও হাঙ্গার প্রজেক্টের জাতীয় সংলাপ

নির্বাচনি সংকট সমাধানে সংলাপের বিকল্প নেই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সৃষ্ট সংকট সমাধানে সংলাপের বিকল্প নেই। নিজেদের সমস্যা নিজেদেরই সমাধান করতে হবে। সংলাপ হলে পারস্পরিক আস্থা রাখতে হবে, ছাড় দেওয়ার মানসিকতা রাখতে হবে। সেখানে সুনির্দিষ্ট কিছু এজেন্ডা নির্ধারণ করতে হবে, যাতে আমরা ভবিষ্যতে সংকট এড়াতে পারি। আলোচনার টেবিলে বসেই সমস্যার সমাধান হওয়া দরকার।

সোমবার রাজধানীর তোপখানা রোডে সিরডাপ মিলনায়াতনে আয়োজিত এক জাতীয় সংলাপে দেশের বিশিষ্টজনরা এ কথা বলেন। দি হাঙ্গার প্রজেক্টের উদ্যোগে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনর সহযোগিতায় এ সংলাপ হয়। এতে সারা দেশে অনুষ্ঠিত আটটি বিভাগীয় কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে পাওয়া মতামত ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

সংলাপে অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. রওনক জাহান, সুজনর নির্বাহী সদস্য বিচারপতি এমএ মতিন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সুজনর নির্বাহী সদস্য ড. রোবায়েত ফেরদৌস, বিশিষ্ট ব্যাংকার নুরুল আমিন প্রমুখ।

রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হারুন অর রশিদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সহসাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর প্রমুখ।

সংলাপে সঞ্চালনা করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টর গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং কান্ট্রি ডিরেক্টর ও সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। স্বাগত বক্তব্যে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, স্বাধীনতার পর ৫২ বছর পেরিয়ে গেছে। এ সময়ের মধ্যেও আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক ও নির্বাচনি ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে পারিনি। আমরা আশা করি, আমাদের রাজনীতিবিদরা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।

ড. রওনক জাহান বলেন, বড় দুটো দলের মধ্যে যে সংলাপ হতে হবে সে বিষয়ে কোনো বিতর্ক নেই। কিন্তু সংলাপের ব্যাপারে ঐকমত্য নেই। বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের জন্য রাজনৈতিক ও আইনি সংস্কার দরকার। কিন্তু শুধু আইনি সংস্কার করেই সমস্যার সমাধান হবে না।

একই সঙ্গে দরকার রাজনৈতিক সংস্কৃতির ইতিবাচক উন্নয়ন। নির্বাচনে পরাজিত দলের নেতাকর্মীদের জীবন-জীবিকা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য থাকা দরকার।

নাহিম রাজ্জাক বলেন, বিভিন্ন পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি তোলা হলেও কোন প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে তা কেউ বলতে পারছে না। এর দায় শুধু সরকারি দল ও ক্ষমতাসীন জোটের ওপর চাপিয়ে দিলে হবে না। নির্বাচনি ব্যবস্থা নিয়ে একটি ঐকমত্য তৈরি হওয়া দরকার। কিন্তু নৈরাজ্য সৃষ্টি করা ঠিক হবে না। দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতা হওয়া দরকার।

হারুন অর রশিদ বলেন, রাজনৈতিক সমঝোতার লক্ষ্যে সংলাপের কোনো বিকল্প নেই। যারা সংলাপে বসতে রাজি নন, তারা মূলত সংকট এড়িয়ে যেতে চান। আমরা মনে করি, রাজনৈতিক সংকটের একটি স্থায়ী সমাধান হওয়া দরকার। এজন্য কতগুলো রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংস্কার দরকার।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত সংলাপে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমার ওপর আস্থা রাখুন, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি। আমি মনে করি, এখন আর সংলাপের পরিবেশ নেই। তাছাড়া সংলাপের লক্ষণও নেই। মানুষের মধ্যে ভয়ের সংস্কৃতি বিরাজ করছে। সরকারি দল আস্থা ও বিশ্বাসের পরিবেশ নষ্ট করছে।

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনি ব্যবস্থা নির্বাসনে চলে গেছে। গণতন্ত্র ও নির্বাচনি ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও কার্যকর করার জন্য এ ব্যবস্থার ব্যাপক সংস্কার নেই। নির্বাচনে টাকার খেলা বন্ধ করতে হবে, আনুপাতিক নির্বাচনি পদ্ধতি চালু করতে হবে। এজন্য জনগণের শক্তির ওপর নির্ভর করতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের ধারার আলোকেই রাজনীতি করতে হবে।

রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, নির্দলীয় সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সহায়ক নির্বাচনকালীন সরকার ছাড়া নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে না। নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে পরিশুদ্ধ করার জন্য সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনি পদ্ধতি চালু করা দরকার।

বিচারপতি এমএ মতিন বলেন, নব্বইয়ে প্রণীত তিন জোটের রূপরেখায় বলা হয়েছিল, আমরা ভবিষ্যতের সমস্যা সমাধানে আলাপ-আলোচনা করেই সমাধান করব। কিন্তু আমাদের রাজনীতিবিদরা সেই প্রতিশ্রতির কথা ভুলে গেছেন। এ অবস্থায় রাজনীতি নিয়ে মানুষের মধ্যে অনীহা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, সম্ভাব্য সংঘাত এড়াতে সংলাপের কোনো বিকল্প নেই।

আলী ইমাম মজুমদার বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও সদিচ্ছা থাকা দরকার। আর বৃহত্তর সমঝোতার লক্ষ্যে সংলাপের বিকল্প নেই। খোলামন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে এটি করতে হবে।

ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ২০১৪ সালে যে সংকট তৈরি হয়, তার শুরু হয়েছে ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনী পাশের মাধ্যমে। সংবিধান থাকলেও সাংবিধানিকতা নেই, প্রাতিষ্ঠানিকতা নেই।

অধ্যাপক ড. রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ৫টি ভিন্ন নির্বাচনি প্রক্রিয়া এবং সংঘাতের আশঙ্কা শোনা যাচ্ছে। আমরা মনে করি, শত্রুর সঙ্গেও সংলাপ হতে পারে। আমাদের জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে পড়েছে। তাই যে কোনো উপায়ে একটি নির্বাচন করলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে না।

জোনায়েদ সাকী বলেন, বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ চাইলেও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারবে না। কারণ এখানে আরও অনেক স্টেকহোল্ডারের স্বার্থ রয়েছে।


আরও খবর



খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে রেমাল ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

বরগুনার তালতলীতে পুরো শক্তি নিয়ে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমাল। সোমবার সন্ধ্যার পর ঘূর্ণিঝড়টি এ উপকূল অতিক্রম করেন। এ সময় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে তাণ্ডবলীলা চালায় ঘূর্ণিঝড়টি। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ে ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট তছনছ করেছে। টানা বর্ষণে পনিবন্দী হয় গ্রামের পর গ্রাম। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এখানকার বাসিন্দাদের। পানিতে তলিয়ে যায় বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপসানালয়, মাছের ঘের। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

জানা যায়, রেমালের প্রভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে উপজেলা ৩ হাজার ৭শ ঘরবাড়ি। এর মধ্যে আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৩১৩২ ও পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ৬৫০ বাড়িঘর। উপড়ে পড়েছে কয়েক হাজার গাছপালা। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পুরো উপজেলা। এছাড়া প্রায় শতাধিক গ্রাম ৪ থেকে ৬ ফুট জলোচ্ছাসে প্লাবিত হয়েছে। টানা বর্ষণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ হাজার পরিবার। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মৎস্য ঘেরে। ৮০ হেক্টর ফসলি জমি ও ৩৫০ হেক্টর সবজি বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে প্রায় ২৭ লাখ গ্রাহক। ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হওয়া পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।

আজ সরেজমিন বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে দেখা যায় দেখা গেছে, ঝড়ের প্রভাবে রাস্তার পাশে গাছপালা উপজেলা প্রশাসন কেটে দিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও। ৭২ ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় এ উপজেলার মানুষের সাথে যোগাযোগ ব্যহত হচ্ছে। এছাড়াও রান্না বান্নার কাজে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরড়ে পারতেছে না।

নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, এই এলাকার প্রায় ৩শ এর বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এখানকার জেলে পরিবারগুলো এখনও খোলা আকাশের নিচে রয়েছে। তাদের পরিস্থিতি এখন মানবেতর।

তালতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে এ উপজেলা সব থেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। পর্যায়ক্রমে এ সকল ক্ষতির তালিকা করে সহযোগিতা করা হবে। ৫৩টি আশ্রয় কেন্দ্রেসহ ব্যক্তিগত ভবণে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ও কয়েক হাজার গবাদি পশু আশ্রয় নিয়েছিলো। তাদের জন্য শুকনা খাবার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়। তিনি আরও বলেন বিদ্যুত বিভাগের সাথে কথা হয়েছে তার বলছেন লাইনে কাজ চলছে। তবে রাতের মধ্যে বিদ্যুত সংযোগ দেওয়া হতে পারে।

হাফিজুর রহমান, তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি


আরও খবর



বুথ ফেরত জরিপ বলছে বড় ব্যবধানে জয় পেতে যাচ্ছে মোদির এনডিএ

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতে প্রায় ছয় সপ্তাহের ম্যারাথন নির্বাচন শেষ হয়েছে শনিবার। গত ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সাত দফার এই ভোটের শেষ ধাপে শনিবার ৮টি রাজ্যে লোকসভার ৫৭ আসনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। শেষ ধাপের এই নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি এলাকায় বিচ্ছিন্ন সহিংসতা ও ইভিএম মেশিন ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। দেশটির জাতীয় নির্বাচন কমিশন আগামী ৪ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে।

ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, কোনো দল বা জোট যদি সরকার গঠন করতে চায় তাহলে তাদের লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে কমপক্ষে ২৭২টিতে জয় পেতে হবে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে দুটি বড় জোটের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা গেছে। এর একটি দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) এবং অন্যটি কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইনডিয়া জোট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এনডিএ জোট টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইনডিয়া জোটও নির্বাচনে ভূমিধস জয়ের ব্যাপারে আশাপ্রকাশ করেছে।

শনিবার ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে বরাবরের মতো দেশটির সংবাদমাধ্যমে বুথ ফেরত জরিপের ফলাফল প্রকাশিত হতে শুরু করেছে। যদিও এসব জরিপের ফলাফল অনেক সময় উল্টো যেতে দেখা যায়। এর আগে, ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৩৫৩ আসনে জয় পেয়েছিল এনডিএ জোট।

সন্ধ্যার দিকে দেশটির অন্তত চারটি গণমাধ্যমের বুথ ফেরত জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদির বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট লোকসভার ৩৫০টিরও বেশি আসনে জয় পেতে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসছেন নরেন্দ্র মোদি।

দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটি প্রথম বুথ ফেরত জরিপের ফল প্রকাশ করে বলেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এবারের সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটির চারটি সংবাদমাধ্যম ও সংস্থার বুথ ফেরত জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট ৫৪৩ আসনের লোকসভার ৩৫০টিরও বেশি আসনে জয় পেতে পারে। যেখানে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ২৭২টি আসন প্রয়োজন।

ইন্ডিয়া নিউজ ও ডি-ডায়নামিকসের বুথ ফেরত জরিপ বলছে, লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ জোট ৩৭১ ও ইনডিয়া জোট ১২৫ আসনে জয় পেতে পারে। এছাড়া কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইনডিয়া জোট ১২৫ আসনে জয়ী হতে পারে।

দেশটির অপর সংবাদমাধ্যম রিপাবলিক ভারত ও ম্যাট্রিজের বুথ ফেরত জরিপের ফলাফলেও বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ৩৫৩ থেকে ৩৬৮ আসনে জয় পেতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া দেশটির বিরোধী দলগুলোর জোট ইনডিয়া ১১৮ থেকে ১৩৩ আসনে জয়ী হতে পারে। অন্যান্য দলগুলো ৪৩ থেকে ৪৮ আসনে জয় পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারতের আরেক সংবাদমাধ্যম রিপাবলিক টিভি ও পিএমএআরকিউয়ের বুথ ফেরত জরিপ বলছে, এনডিএ জোট ৩৫৯ আসনে এবং ইনডিয়া জোট ১৫৪ আসনে জয় পেতে পারে। অন্যান্য দলগুলোর দখলে যেতে পারে ৩০ আসন।

জান কি বাতের বুথ ফেরত জরিপের ফলে এনডিএ জোট ৩৬২ থেকে ৩৯২ আসন এবং ইনডিয়া জোট ১৪১ থেকে ১৬১ আসনে জয় পেতে যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

এই চার সংবাদমাধ্যমের বুথ ফেরত জরিপের ফল গড় হিসেব করে এনডিটিভি বলেছে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ৩৬৫ আসন, ইনডিয়া জোট ১৪২ আসন এবং অন্যান্যরা ৩৬ আসনে জয়ী হতে পারে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টর্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে বুথ ফেরত জরিপের ফলাফলের রেকর্ড খুব বেশি ইতিবাচক নয়। কারণ প্রায়ই দেশটিতে বুথ ফেরত জরিপের  নির্বাচনী ফলাফল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তবে ভারতের বিশ্লেষকরা বলছেন, বৃহৎ ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির এই দেশে নির্বাচনের ফল সম্পর্কে আগাম ধারণা করা বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জ।

গত ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সাত ধাপের নির্বাচনে প্রায় একশ কোট মানুষ ভোট দেওয়ার যোগ্য ছিলেন। গ্রীষ্মের রেকর্ড তীব্র তাপদাহের মাঝে ভারতের এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশটির জাতীয় নির্বাচন কমিশন আগামী ৪ জুন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গণনা করবে এবং একই দিনে ফলাফল ঘোষণার কথা রয়েছে।

৭৩ বছর বয়সী মোদির সম্ভাব্য বিজয় তাকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রভাবশালী নেতা জওহরলাল নেহরুর পর দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতার মসনদে বসাবে।


আরও খবর



পঞ্চগড়ে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী দুই যুবক নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
পঞ্চগড় প্রতিনিধি

Image

পঞ্চগড়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি ২ যুবক নিহত হয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) ভোরে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার রণচন্ডী বিওপি আওতাধীন এলাকা সীমান্ত পিলার ৪৪৬/১৪ আর এর নিকট খয়খাটপাড়া দরগাসিং এলাকায় ভারতের ফকির পাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের টহলদলের গুলিতে তারা মারা যান।

জানা গেছে, নিহত ইয়াসিন আলী (২৩) জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলা ব্রহ্মতোল গ্রামের কেতাব আলীর ছেলে এবং আব্দুল জলিল (২৪) একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামের জুনু মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়, পুলিশ ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোরে তেঁতুলিয়া উপজেলার রণচন্ডী এলাকার দরগাসিং সীমান্ত এলাকায় হঠাৎ ওই যুবকদের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে তারা বিজিবি ও পুলিশকে খবর দেয়৷ অন্যদিকে ভারতীয় বিএসএফ ওই যুবকদের লাশ ভারতে নিয়ে যায়৷ জানা যায় তারা অবৈধ ভাবে গরু আনতে তারাকাটা কেটে ভারতের প্রবেশের চেষ্টা করছিল৷

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার বলেন, নিহত দুজনের পরিবার ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা গেছে ভারত থেকে অবৈধভাবে গরু আনতে গেলে বিএসএফ তাদের গুলি করে হত্যা করে লাশ ভারতে নিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল জুবায়েদ হাসান বলেন, ভারতের অভ্যন্তরে দুজন বাংলাদেশি যুবক মারা গেছেন এমন খবর পেয়েছি তবে এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি৷ বিষয়টি আমরা দেখছি।

নিউজ ট্যাগ: পঞ্চগড় বিএসএফ

আরও খবর



হুটার-হাইড্রোলিক হর্ন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মোটরযানে হুটার, হাইড্রোলিক হর্ন ও অন্যান্য অননুমোদিত হর্ন ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের সই করা পরিপত্রে এ কথা জানানো হয়।

পরিপত্রে বলা হয়, সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২-এর বিধি-৮১ অনুযায়ী অ্যাম্বুলেন্স, অগ্নিনির্বাপণ বা উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত মোটরযান অথবা রাষ্ট্রীয় জরুরি কাজে ব্যবহৃত মোটরযান ছাড়া অন্য যে কোনো মোটরযানে বহুমুখী হর্ন অথবা তীব্র, কর্কশ, আকস্মিক, বিকট বা ভীতিকর শব্দের হর্ন বা যন্ত্র সংযোজন বা ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

এতে আরও বলা হয়, এ ধরনের অননুমোদিত হর্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ানো ছাড়াও চালকদের বেপরোয়া ও দ্রুতগতিতে মোটরযান চালাতে উৎসাহিত করে। ফলে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কিছু কিছু মোটরযানে হুটার, হাইড্রোলিক হর্ন ও অন্যান্য অননুমোদিত হর্ন সংযোজন করে ব্যবহার করার ফলে গণউদ্বেগের সৃষ্টি হচ্ছে, যা দণ্ডনীয় অপরাধ।

এ অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স, অগ্নিনির্বাপণ বা উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত মোটরযান অথবা রাষ্ট্রীয় জরুরি কাজে ব্যবহৃত মোটরযান ছাড়া অন্য যে কোনো মোটরযানে এ ধরনের হর্ন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও পরিপত্রে বলা হয়।


আরও খবর



জাজিরা সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় মামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাওন মিয়া (জাজিরা) শরীয়তপুর

Image

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে।

বুধবার (২২ মে) বিকালে হামলায় আহত সাংবাদিকদের পক্ষে জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক সংবাদের প্রতিনিধি  মো. পলাশ খান বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে জাজিরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এর আগে গত ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন সকাল ১১টার দিকে জাজিরা উপজেলার সেনেরচর ইউনিয়নের ফরাজী দারুস সুন্নাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোটারদের প্রকাশ্যে ভোট দিতে বাধ্য করা হচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করে ভিডিও ধারণ করেন বার্তা বাজারের প্রতিনিধি আশিকুর রহমান হৃদয়সহ কয়েকজন সাংবাদিক। এসময় মোটরসাইকেল প্রতীকের ব্যাচ পরিহিত এক ব্যক্তি তাদের প্রথমে বাঁধা দেয় এবং তাদের মারধর করে মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এমন তথ্য পেয়ে জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. পলাশ খানসহ প্রেসক্লাবের ১০ জন সদস্য সেখানে তথ্য সংগ্রহে যায়। এ সময় মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজীর সমর্থকরা তাদের উপর চড়াও হয়।

একপর্যায়ে সাথে থাকা অন্য সাংবাদিকরা তাদের ছাড়াতে গেলে কমপক্ষে ৩০-৪০ জন মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থক তাদের উপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ১০ জন সাংবাদিক আহত হয়। এরমধ্যে প্রেসক্লাবের সভাপতি পলাশ খানসহ ৫ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়। এসময় হামলার শিকার সাংবাদিকদের সাথে থাকা মোবাইল, ক্যামেরাসহ তথ্য সংগ্রহে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ছিনিয়ে নিয়ে যায় ও ভেঙ্গে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়।

মামলার বাদী জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. পলাশ খান বলেন, ভোট গ্রহণের তথ্য সংগ্রহে যাওয়ায় একদল সন্ত্রাসী আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে আমাদের বেধড়ক মারধর করে ও আমাদের সাথে থাকা মোবাইল ও ক্যামেরাসহ সকল সরঞ্জাম নিয়ে যায় ও ভেঙ্গে ফেলে। বিষয়টি নিয়ে আমি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছি। আশা করি প্রশাসন হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবে।

মামলার তথ্য নিশ্চিত করে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সংবাদকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় বুধবার বিকেলে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।


আরও খবর