আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের নিবন্ধ

অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় যেভাবে ভারতকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

২০০৯ সাল থেকে দূরদর্শী রাজস্ব ও ঋণ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে বাংলাদেশ। গত ৪০ বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিক রয়েছে এবং মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ২০২০ সালে এই অঞ্চলের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ হলেও বাংলাদেশে তা সাড়ে ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলাদেশের জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান প্রায় এক তৃতীয়াংশ। তবে ২০১০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে তা ১৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। অন্যদিকে, জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান এক পঞ্চমাংশ থেকে বেড়ে এক তৃতীয়াংশ হয়েছে। ১৯৮০ সালের পর থেকে জিডিপিতে উৎপাদন খাতের অবদান দ্বিগুণ হয়েছে। ১৯৯০র দশকের তুলনায় বর্তমানে বাংলাদেশের রপ্তানি ২০ গুণ বেড়ে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি হয়েছে। ২০১৯ সালের ১৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স থেকে শুরু করে স্বল্প মজুরির শ্রমও অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। রেমিটেন্স, রপ্তানি এবং কৃষির শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির ফলে ২০২৬ সাল পর্যন্ত ভারতের তুলনায় মাথাপিছু জিডিপিতে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ২০২০ সালে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি ২ হাজার ৯৮ ডলার থেকে কমে এক হাজার ৯২৯ ডলার হয়েছে। দেশটির অর্থনীতির আকার ২ দশমিক ৮৭ ট্রিলিয়ন থেকে কমে ২ দশমিক ৬৬ ট্রিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।


গত ১৫ বছরে প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ ধরে রাখায় ২০২০ সালে মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৯৬১ মার্কিন ডলার নিয়ে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। একই বছর বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৩৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। ২০০৪ সালের পর থেকে প্রত্যেক বছর বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। ২০১৭ সালে ভারতের প্রবৃদ্ধি কমতে শুরু করায় বড় প্রতিবেশী এই দেশটিকে ছাড়িয়ে যায় বাংলাদেশ। ২০০৮ সালের বৈশ্বিক ঋণ সংকটের আগে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ভারতের অর্ধেক থাকলেও ২০১৪ সালের মধ্যে তা ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২০ সালে ভারতের অর্থনীতি ৭.৩ শতাংশ সংকুচিত হলেও একই সময়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৩ শতাংশ বেড়েছে।

আজ বাংলাদেশ রাজস্ব ঘাটতি, পণ্যসামগ্রী বাণিজ্যের ভারসাম্য, কর্মসংস্থান, সরকারি ঋণ এবং বিনিয়োগ থেকে জিডিপির অনুপাতেও ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া মানব উন্নয়ন কর্মসূচি বিশেষ করে মেয়েদের শিক্ষা, প্রজনন হার এবং বাল্যবিয়ে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। গড় আয়ু, জন্মহার এবং শিশু পুষ্টির মতো বেশ কিছু মানব উন্নয়ন সূচকে ভারতের তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উত্থানের সুযোগ-সুবিধা বিস্তৃত পরিসরে পৌঁছে গেছে। এই অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করেছে, যার ফলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নত হয়েছে।

অন্যদিকে, মানব উন্নয়ন সূচকে ভারতের অবস্থান সুবিধাজনক নয়। বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া রাজ্যগুলোতে এসব সূচক অত্যন্ত নাজুক। যেমন বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে গত বছর কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের হার ছিল ১৯ শতাংশ। আর বাংলাদেশে তা ৩৫ শতাংশ। ভারতের হিন্দিভাষী রাজ্যগুলো বাল্যবিয়ে এবং অকাল গর্ভধারণ মোকাবিলায় রীতিমতো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। বিহার রাজ্যে শিশুমৃত্যুর হার প্রতি ১ হাজারে অন্তত ৪৭। বাংলাদেশের সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রজনন সমস্যার সমাধান।


ভারত ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে পুরোনো ৫০০ এবং ১০০০ রুপির নোট বাতিলের ঘোষণা দেয়। দুর্নীতি প্রতিরোধ, ডিজিটাল লেনদেনে মানুষকে উৎসাহ দান, দেশকে জাল নোট মুক্ত করা এবং কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কয়েক বছর ধরে ওঠানামা করেছে। তবে ডিজিটাল লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে। নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত মানুষের দৈনিক খাদ্য ও জ্বালানি কেনাকাটা বাধাগ্রস্ত করে। এর নেতিবাচক প্রভাব ব্যবসা-বাণিজ্য ও উৎপাদনেও আঘাত করে। প্রায় ৮৬ শতাংশ নগদ অর্থ রাতারাতি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় দেশটির অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

তবে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার কল্যাণে বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থানীয় মুদ্রায় গত ৫০ বছরে প্রায় ২৭০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সাথে বাংলাদেশের বাজেট ঘাটতি জিডিপির মাত্র ৫ শতাংশ বা তার কম রয়ে গেছে। রপ্তানিমুখী শিল্প সম্প্রসারণের ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। মূলত বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে শ্রমঘন এবং অদক্ষ ও আধা-দক্ষ শ্রমিক নির্ভর খাত টেক্সটাইল, গার্মেন্টস ও জুতো শিল্প থেকে। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশের সুবিধাভোগী অবস্থান, বিনিয়োগবান্ধব আইন এবং কম মজুরির কারণে অনেক ভারতীয় ক্রেতা বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতামূলক থাকতে বাংলাদেশে স্থানান্তরিত হয়েছে।

ভারতের ষষ্ঠ বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার বাংলাদেশ। ২০২০-২১ সালে উভয় দেশের মধ্যে ১০ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হয়েছে। যা ২০১৯-২০ সালের সাড়ে ৯ বিলিয়নের চেয়ে বেশি। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি করবে। তবে এর পুরো সম্ভাবনা কেবল উন্নত পরিবহন সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হবে। বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করতে সম্প্রতি যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে পণ্য, পরিষেবা ও জ্বালানির বাণিজ্য বৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং আন্তঃসীমান্ত বিনিয়োগ উৎসাহিত করা। এমনকি ছোট এক প্রতিবেশী এগিয়ে যাওয়ায় এখনও অব্যবহৃত অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার অন্বেষণ বাকি রয়েছে। তবে আপাতত দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিক বীরত্বের যাত্রা উপভোগ করছে বাংলাদেশ।


আরও খবর



রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় ওআইসির সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারের দাবিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় আইনি ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

ওআইসি সম্মেলনের শেষ দিনের অধিবেশনে স্থানীয় সময় রোববার (৫ মে) বিকেলে ওআইসি মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহার উপস্থিতিতে ওআইসি নেতৃবৃন্দের সামনে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার অগ্রগতি তুলে ধরেন পরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অধিবেশনে ড. হাছান মাহমুদ মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গাদের আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করায় গাম্বিয়াকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আইন ও আর্থিক বিষয়ে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর সহযোগিতা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে সহায়ক হবে।

সভায় সৌদি আরব, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, প্যালেস্টাইনসহ উপস্থিত সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত ও স্থায়ী সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ সময় গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদৌ তাঙ্গারা মিয়ানমার হতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।


আরও খবর



৯ মে ঢাকায় আসছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রস‌চিব

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ৯ মে (বৃহস্প‌তিবার) ঢাকা সফরে আস‌ছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণ পৌঁছে দেওয়ার কথা রয়েছে তার।

ঢাকার এক‌টি কূটনৈ‌তিক সূত্র কোয়াত্রার সফরের তথ্য নি‌শ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, আগামী ৯ মে ভারতীয় পররাষ্ট্রস‌চিবের ঢাকায় আসার তা‌রিখ চূড়ান্ত হয়েছে। ঢাকা সফরে তার মূল বৈঠক হবে পররাষ্ট্রস‌চিব মাসুদ বিন মোমেনের স‌ঙ্গে।

গত ২০ এ‌প্রিল ঢাকায় আসার কথা ছিল ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রার। তবে অনিবার্য কারণে ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের পূর্বনির্ধারিত সেই সফর স্থগিত হয়।

জানা গেছে, এক‌দিনের আসন্ন ঢাকা সফরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রস‌চিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন কোয়াত্রা। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর দি‌ল্লি সফরসহ দুই দে‌শের স্বার্থ সং‌শ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন কোয়াত্রা।

আশা করা হচ্ছে, সরকারপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেবেন তি‌নি।


আরও খবর



প্লাস্টিক দূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী কোকা-কোলা ও পেপসিকো: গবেষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক দূষণের অর্ধেকের জন্য দায়ী মাত্র ৫৬টি কোম্পানি। এর মধ্যে কোকা-কোলা একাই মোট ১১ শতাংশ প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। কোকা-কোলা ছাড়াও ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে (শনাক্তকৃত) পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) 'সায়েন্স অ্যাডভান্স' জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় ছয়টি মহাদেশের বেশ কিছু বড় কোম্পানি বা ব্র্যান্ড এর নাম উঠে এসেছে, যারা ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের সাথে জড়িত। গবেষকরা এক লাখের বেশী স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় ১ দশমিক ৮ মিলিয়নের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য তাদের গবেষণার জন্য আলাদা করেছেন।

প্রতি বছর বিভিন্ন কোম্পানি সাড়া পৃথিবীতে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মেট্রিক টন প্লাস্টিক উৎপাদন করে। এই প্লাস্টিকের কিছু নদী বা সমুদ্র সৈকতে জমা হয়ে পানির স্বাভাবিক স্রোতে বাধা সৃষ্টি করে। আবার কিছু প্লাস্টিক ভেঙ্গে অতিক্ষুদ্র মাইক্রোপ্লাস্টিক বা ন্যানোপ্লাস্টিকেও পরিণত হয়। এ ধরনের অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক বাতাসে ভাসতে পারে। এমনকি মানুষের ফুসফুস ও রক্তসহ অন্যান্য অঙ্গে প্রবেশ করতে পারে।

তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্লাস্টিক 'নিরীক্ষা' পরিচালনা করেছেন। তারা সতর্কতার সাথে সমুদ্র সৈকত, পার্ক, নদী এবং অন্যান্য এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করেছেন। তারা প্লাস্টিক বর্জ্যের প্রতিটি অংশ পরীক্ষা করে দৃশ্যমান ব্র্যান্ড বা ট্রেডমার্ক চিহ্নিত করেছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক নামের সংস্থাটি এক হাজার ৫৭৬টি নিরীক্ষা সমন্বয় করেছে।

পরীক্ষা চালানো ১ দশমিক ৮ মিলিয়নেরও বেশি প্লাস্টিকের মধ্যে প্রায় ৯ লাখ ১০ হাজার প্লাস্টিকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্ন পাওয়া গেছে। [সূর্যালোক এবং আবহাওয়ার সংস্পর্শে আসার কারণে প্লাস্টিক তার ব্র্যান্ড মার্কারগুলো (চিহ্ন) হারাতে পারে।]  ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্নের ওপর ভিত্তি করে ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলো (শনাক্তকৃত) হলো কোকা-কোলা, পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

কোকা-কোলার একজন মুখপাত্র মেইলে কোম্পানিটির 'ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েস্ট' নামক কৌশলের কথা উল্লেখ করে জানান, কোকা-কোলা ২০২৫ সালের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে কোম্পানিটি প্যাকেজিংয়ের জন্য ৫০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করতে চায়।

এ ছাড়া নেসলে জানিয়েছে, নতুন প্লাস্টিকের ব্যবহার এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা এবং প্যাকেজিংয়ের জন্য আরো বেশি করে পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করা কোম্পানির মূল লক্ষ্য। আর পেপসিকো ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়েছে, কোম্পানিটি প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় একটি বৈশ্বিক নীতি কাঠামোর পক্ষে এবং এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে কাজ করছে যেখানে প্লাস্টিক পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব।

এদিকে বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক সমস্যা সমাধানে একটি চুক্তি করার ব্যাপারে আলোচনার জন্য এই সপ্তাহে অটোয়াতে বিশ্ব নেতারা এবং মধ্যস্ততাকারীরা একত্রিত হবেন। অনেক পরিবেশগত সংস্থা এবং দেশগুলো এমন একটি চুক্তি চায় যা প্লাস্টিক উৎপাদন হ্রাস করবে যা মার্কিন মধ্যস্ততাকারীরা প্রতিরোধ করে আসছে। শিল্প গোষ্ঠী এবং সংস্থাগুলো যুক্তি দিয়েছে, বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক উৎপাদন, উন্নত রিসাইকেল ব্যবস্থা এবং উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লাস্টিক উৎপাদন ব্যাহত না করেই এ সমস্যাটির সমাধান করতে পারে।

ওয়ার্ল্ড প্লাস্টিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বেনি মারম্যানস বলেন, "আমাদের সদস্যরা বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের সরবরাহ বাড়াতে বিভিন্ন অবকাঠামোতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে যাতে ব্যবহৃত প্লাস্টিকগুলো বর্জ্য, ভূমি বা পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে পরিবেশে প্রবেশ করতে না পারে।" তবে প্লাস্টিক শিল্পের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্লাস্টিক বিশ্ব অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এর উৎপাদন কমালে তা নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

গবেষকরা শুধু পুনর্ব্যবহার বাড়ানো বা বৃত্তাকার অর্থনীতির গুরুত্বের উপর জোর না দিয়ে প্লাস্টিক উৎপাদন কমানোর বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন। তেল ও গ্যাস উৎপাদনকে লক্ষ্য করে জলবায়ু নীতি থাকা সত্ত্বেও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে তৈরি হওয়া প্লাস্টিক এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখছে। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা ধারণা করছে, প্লাস্টিকের জন্য এ শতাব্দীর মাঝামাঝি তেলের চাহিদা অর্ধেক বৃদ্ধি পাবে। আর বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, প্লাস্টিক উৎপাদনে বিধিনিষেধ না থাকায় সেটি পরিবেশের ক্ষতি করার পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।


আরও খবর



টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখে বাংলাদেশ। যেখানে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজ।

আজ শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলবে দুদল। বাংলাদেশ সময় ৬টায় ম্যাচটি শুরু হবে। প্রথম তিন ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।

এই ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে তিন পরিবর্তন এসেছে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন দাস ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার ও মোস্তাফিজুর রহমান।

বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, জাকের আলী (উইকেটকিপার), তানভির ইসলাম, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান।


আরও খবর



অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কলেজ বন্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) জানিয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর।

এতে বলা হয়, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষণা না করা পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহে ক্লাস বন্ধ থাকবে।

এর আগে শনিবার দুপুরে চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে খুলবে স্কুল-কলেজ।

এর আগে তীব্র গরমের কারণে সাত দিন মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের ছুটি ঘোষণা করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। মাউশির পক্ষ থেকে বলা হয়, সারাদেশের ওপর দিয়ে চলমান দাবদাহ ও আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতা জারির প্রেক্ষিতে মাউশি অধিদপ্তরের আওতাধীন সকল সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ২৮ এপ্রিল খুলবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো ঈদের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল থেকে খোলার কথা ছিল।

দাবদাহের কারণে তিন দিন হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ শনিবার থেকে তাপমাত্রা বেশি থাকবে। এ সময় সবাইকে গরম থেকে বাঁচতে সতর্কতার সঙ্গে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪