পাকিস্তানের
খাইবার পাখতুনখোয়ার সোয়াত জেলার একটি থানায় সন্ত্রাসবিরোধী বিভাগের দপ্তরে গতকাল সোমবার
জোড়া বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের কর্মকর্তারা।
খবর বিবিসি ও ডনের।
প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, সোয়াত উপত্যকার কাবাল কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্টের (সিটিডি) প্রাঙ্গণে
এ বিস্ফোরণ হয়। সোয়াত জেলার পুলিশ অফিসার শফিউল্লাহ বলেছেন, গতকাল পুলিশ স্টেশনের ভেতরে
রাত ৮ টা ২০ মিনিটে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পুলিশ স্টেশনের ছাদ, সিটিডি কার্যালয় এবং একটি
মসজিদ বিধ্বস্ত হয়েছে।
পাকিস্তান পুলিশ বলছে, এতে হামলার কোনো আলামত এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি, ইলেকট্রিক ত্রুটির কারণে গোলাবারুদের ভেতরে বিস্ফোরণ হতে পারে। নিহতের বেশিরভাগই পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে পুলিশ কার্যালয়ে জোড়া বিস্ফোরণ, নিহত ১২
খাইবার পাখতুনখোয়ার
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও ছয়জন বেসামরিক লোক। এ ছাড়া হতাহত
অন্যান্যদের পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে।
সাম্প্রতিক
সময়ে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার পরিমাণ অনেক বেড়েছে। পাকিস্তানি তালেবান
এসব হামলা চালাচ্ছে বলে দাবি করেছে। তবে সবশেষ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো সন্ত্রাসী
গোষ্ঠী হামলার কথা স্বীকার করেনি।
আঞ্চলিক সন্ত্রাসবিরোধী দপ্তরের প্রধান সোহেল খালিদ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একে সন্ত্রাসী হামলা নয় বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সেখানে বিশাল পরিমাণ গোলাবারুদের ভাণ্ডার আছে, এখন পর্যন্ত আমাদের বিশ্বাস অসাবধানতার কারণে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ একে আত্মঘাতী হামলা হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। তবে পরবর্তীতে তিনি টুইটারে বলেন, হামলার কারণ তদন্ত করা হচ্ছে।