আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

পাকিস্তানের মসজিদে বিস্ফোরণে নিহত ১৭, আহত ৮৩

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের পেশোয়ারে একটি মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৭ জন নিহত এবং ৮৩ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) জোহরের নামাজের সময় স্থানীয় পুলিশ লাইন্স এলাকায় অবস্থিত মসজিদে এ বিস্ফোরণ ঘটে।

জোহরের নামাজের সময় এক আত্মঘাতী হামলাকারী এ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। তিনি নামাজের সময় সামনের কাতারে অবস্থান করছিলেন। খবর ডন ও জিও নিউজ।

নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, বিস্ফোরণে শতাধিক মুসল্লি আহত হন, যাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে আত্মঘাতী হামলাকারী বেঁচে আছেন কিনা, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানানো হয়নি।

ডন জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে বিস্ফোরণ ঘটায় হামলাকারী। নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে এবং জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।


আরও খবর



পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আবুল কালাম ডাকু নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালংগী বিওপি (৬১ বিজিবি) থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

বিএসএফের গুলিতে নিহত আবুল কালাম উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত অপির উদ্দিনের ছেলে।

বিজিবি, পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বাসা থেকে বেরিয়ে কয়েকজন গরু পারাপারকারী রাখালসহ শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পকেট সীমান্তের ৮৪৮ নম্বর মেইন পিলারের ৯ নম্বর সাব পিলারের ওপারে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় গরু আনতে যান। এ সময় বিএসএফের ডোরাডাবরী ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা চোরাকারবারিদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে গুরুতর আহত হলে সঙ্গীয়রা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। পরে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঝালংগী ক্যাম্পের ইনচার্জ নায়েব সুবেদার নুরুল আমিন বলেন, বিএসএফের গুলিতে আবুল কালাম ডাকু নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। থানা পুলিশ পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে।’

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদপত্র পাঠিয়ে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।’

নিহতের মা মমতা বেগম বলেন, কালাম এখনও বিয়া করে নাই। এবার বিয়া করার কথা ছিল। কিন্তু কী অপরাধের জন্য বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করল? আমি এ হত্যার বিচার চাই।’

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সাইদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিএসএফের গুলিতে আহত যুবক আবুল কালাম ডাকুকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা পাটগ্রাম হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা করা হবে।’


আরও খবর



ঢাকায় পৌঁছেছে ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মৃতদেহ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মৃতদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিউনিসিয়া থেকে সৌদি এয়ারলাইন্সের এসভি ৮০৮ বিমানে দেশে পৌঁছে ওই আট বাংলাদেশির মৃতদেহ। বিমানবন্দর কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) লিবিয়ায় নিযুক্ত ও তিউনিসিয়ার অনাবাসিক দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল অব আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশারের উপস্থিতিতে মিশনের কর্মকর্তারা মৃতদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় নৌকায় লিবিয়ার জোয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে তিউনিসিয়া উপকূলে গেলে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকায় মোট ৫২ জন যাত্রী এবং একজন চালক ছিলেন। দুর্ঘটনার পর ৪৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক। বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের আট জন, সিরিয়ার পাঁচ জন, মিসরের তিন জন এবং নৌকা চালক রয়েছেন।

ওই ঘটনায় নৌকায় থাকা ৯ জন যাত্রী মারা যান। তাদের মধ্যে আট জন বাংলাদেশি এবং একজন পাকিস্তানের নাগরিক। নিহত বাংলাদেশিরা হলেন মামুন শেখ, সজল বৈরাগী, নয়ন বিশ্বাস, রিফাত শেখ, সজীব কাজী, ইমরুল কায়েস আপন, মো. কায়সার ও রাসেল শেখ। তাদের মধ্যে পাঁচ জন মাদারীপুরের এবং তিন জন গোপালগঞ্জের।

ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান বলেন, ওই নৌকায় থাকা আরও ১১ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে মাদারীপুর রাজৈর উপজেলার দুই জন ব্র্যাকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা অভিযোগ করেন, ওই আট জন বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় যেহেতু একটা মামলা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে বিস্তারিত উঠে আসবে বলে আশা করছি‌।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ১৯ এপ্রিল ঢাকার বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন নিহত সজল বৈরাগীর বাবা সুনীল বৈরাগী। মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংঘবদ্ধভাবে খুনের ৩০২ এর ৩৪ ধারা এবং মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের দুদিন পর তাদের আটক করা হয়।

মামলার এজাহারে সুনীল বৈরাগী অভিযোগ করেন, তার ছেলে সজল বৈরাগী উন্নত জীবনের আশায় ইতালি যেতে ইচ্ছুক ছিলেন। পূর্ব পরিচিত যুবরাজ কাজী (২৪) এবং লিবিয়ায় অবস্থানরত মোশারফ কাজী ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে সজলকে বৈধ পথে ইতালি পাঠানোর প্রস্তাব দেন। সজল ও তার পরিবার এই প্রস্তাবে রাজি হন। গত বছর ১৭ নভেম্বর গোপালগঞ্জের বাসায় যুবরাজ কাজীর হাতে আড়াই লাখ টাকা এবং পাসপোর্ট দেন সজল। ৩০ ডিসেম্বর সজলকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। বিমানবন্দরে প্রবেশের আগেই আরও ৫ লাখ টাকা নেন যুবরাজ কাজী। ৩১ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন সজল।

৮ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের বাসায় গিয়ে যুবরাজ কাজীর হাতে আরও সাড়ে ৬ লাখ টাকা দেন সুনীল বৈরাগী। এরপর থেকে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি। পরে গণমাধ্যমে জানতে পারেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর ৪টার মধ্যে লিবিয়া থেকে ইতালি অভিমুখে যাত্রা করা একটি ট্রলারে যে আট বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন তার মধ্যে সজল রয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ২০ জনের একটা চক্র পারস্পরিক যোগসাজশে উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে ওই আট জনকে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করেন।


আরও খবর



ঝাউদিয়ায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়ার ইবি থানাধীন ঝাউদিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চাচাত ভাইয়ের লাঠির আঘাতে বকুল বিশ্বাস (৫৬) নামের এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৮ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সোমবার (১৩ মে) রাত সোয়া ১০ টার দিকে হাতিয়া গ্রামের খা পাড়ায় পারিবারিক মৃত ব্যাক্তির খানা রান্নাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

নিহত বকুল বিশ্বাস হাতিয়া গ্রামের আত্তাব বিশ্বাসের ছেলে এবং পেশায় একজন চাল ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, পারিবারিক মৃত খানার রান্না করাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের শাজাহান বিশ্বাস ও রাজ্জাক মেম্বার এর মধ্যে বাগবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে রান্না চলাকালীন সময়ে রাজ্জাক মেম্বার এর লোকজন তার চাচাত ভাই বকুল বিশ্বাস এর লোকের সাথে বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং এক পর্যায়ে সংঘর্ষে লাঠির আঘাতে বকুল বিশ্বাস মারাত্মক জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা।


আরও খবর



সোহেল চৌধুরীর উপজেলা চেয়ারম্যান পদ অবৈধ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

২০১৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া ফেনীর ছাগলনাইয়ার মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের উপজেলা চেয়ারম্যান পদ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে যত বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি গ্রহণ করেছেন তা ৯০ দিনের (তিন মাস) মধ্যে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

৫ বছর আগে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ওই সময়ের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হালিমের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। অপর প্রার্থী এ এস এম শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

আদালতে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন। সোহেল চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও মো. অজি উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, ২০১৯ সালে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিল হয়। এর ফলে মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছাগলনাইয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর মধ্যে প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বাতিল হওয়া দুই প্রার্থী। একইসঙ্গে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সোহেলকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ২০১৯ সালেই হাইকোর্ট এসব বিষয়ে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে ছাগলনাইয়ার উপজেলা চেয়ারম্যানের গেজেট স্থগিত করেন। পরে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। তবে আইনি জটিলতায় মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিতে পারেননি। শপথ না নিয়ে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

আদালত ৫ বছর আগে জারি করা রুল আজ (১৬ মে) নিষ্পত্তি করে সোহেলের উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন অবৈধ ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে যে বেতন-ভাতা ও সুবিধা নিয়েছেন তা রায় পাওয়ার এক মাসের মধ্যে ফেরত দিতে বলেছেন। এই সময়ের মধ্যে ফেরত না দিলে ফেনীর জেলা প্রশাসককে তার থেকে আদায় করতে বলেছেন।

নিউজ ট্যাগ: ছাগলনাইয়া ফেনী

আরও খবর



জয়পুরহাটে কৃষক হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটে বুলু মিয়া হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২য় আদালতের বিচারক নুরুল  ইসলাম এ রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌশলী অ্যাডভেকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাট সদর উপজেলার দস্তপুর গ্রামের মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে বাচ্চু মিয়া, গনিরাজের ছেলে এমরান আলী নুহু ও আউশগাড়ার মোকছেদ আলীর ছেলে বাবু মিয়া মিয়া।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার চকদাদরা এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে বুলু মিয়া দস্তপুর গ্রামের মৃত কুদ্দুসের মেয়েকে বিয়ের পর সেখানে ঘর জামাই হিসেবে থাকতেন। ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল রাতে সে হাতে লাঠি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেননি। সে রাতেই আসামীরা পারিবারিক বিরোধের জেড় ধরে বুলুকে গলা কেটে হত্যা করে। পরের দিন ওই গ্রামের একটি বায়োগ্যাস তৈরীর টাংকির উপর তার গলাকাটা ও জখম রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত এ রায় দেন।


আরও খবর