আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

পাঁচবিবিতে কৃষকের সাথে প্রতারণার অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৭ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসর্ম্পূন করতে কৃষি বিভাগ নানান পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। দেশের মানুষের প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদনে সরকারি অর্থায়নে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার, কীটনাশক, উন্নতমানের দেশী-বিদেশী জাতের বীজ,নগদ অর্থ প্রদানসহ কৃষি প্রদর্শনী গ্রহন করছেন।বিদেশী নারিকেল চারার কথা বলে দেশীয় প্রদান করেন এমন অভিযোগ কৃষি-বিভাগের বিরুদ্ধে।

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বড়মানিক গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (মুকুল) ২০১৭ সালে ৩ বিঘা জমিতে ভিয়েত নামে খাটো জাতের ১০৯টি নারিকেল চারা রোপন করে।

কৃষক মুকুলের অভিযোগ চারাগুলো জেলার জামালগঞ্জ হার্টিকালচার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সরকারি প্রনোদণা হিসাবে পেলেও প্রতিটি চারা ৫শ টাকা মূল্যে কিনতে হয়েছে। চারা রোপনের ২-৩ বছরের মাথায় নারিকেল ধরার কথা থাকলেও ৫ বছর অতিবাহিত হলেও সব গাছে নারিকেল ধরেনি।

সরেজমিন বাগান ঘুরে দেখা যায়, ১০ থেকে ১২টি গাছে প্রচুর পরিমানের ছোট এবং গোলাকার নারিকেল ধরেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিসের লোকেরা বিদেশীর কথা বলে দেশীয় নারিকেল চারা দিয়েছে। বাগান করতে জমি,সার, ঔষধ ও শ্রমিক খরচ বাবদ এ পর্যন্ত আমার প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সবগুলো গাছে যদি নারিকেল ধরত তাহলে আমি অনেক লাভবান হতাম। আমার নারিকেল বাগান দেখে অনেক শিক্ষিত যুবক চাকুরীর আশায় বসে না থেকে বাগান করতেন। যে গাছগুলোতে নারিকেল ধরছে না সে গাছগুলো কেটে অন্য ফসলও ফলাতে পারছি না পরে যদি আবার নারিকেল ধরে। পরর্বতীতে যদি নাই ধরে তাহলে এতগুলো জমিতে আমি গত ৫ বছরে অন্য ফসল লাগালে অনেক আয় হত বলেও হতাশায় রয়েছে ওই কৃষক মুকুল। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস আমার সঙ্গে প্রতারনা করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করছেন।

 জয়পুরহাট জেলার জামালঞ্জ হার্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক ড. রবিআহ নূর আহম্মেদ বলেন, প্রর্দশনীর চারা কৃষককে টাকা দিয়ে কিনতে হয় না।চাষীরা নিয়মিত অফিসে যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয় বলেও তিনি জানান।


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে শেষ মুহূর্তে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা ও স্বজনেরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে নির্বাচনে আর মাত্র এক দিন বাকি। শেষ মূহুর্তের প্রচারণায় জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। প্রথম ধাপের ৮ই মে নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের কাছে ছুটছেন প্রার্থীরা। সভা-সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়।

ভোটারদের মন জয় করতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রতিদিন ব্যবহার করছেন নতুন নতুন কৌশল। চলছে পোস্টার, ফেস্টুন ও লিফলেট বিতরণ। সেই সঙ্গে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গণসংযোগ, পথসভা ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।

বিগত নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে কে কি করেছেন, নতুন রা জয়ী হলে কি করবেন, সেই প্রতিশ্রুতি নিয়ে ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। তাদের বিরামহীন প্রচারণায় ইতোমধ্যে জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ভোটারদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে বেশ আগ্রহ। তারাও হিসাবনিকাশ করতে শুরু করছেন-কার হাত ধরে হবে উপজেলা বাসীর ভাগ্য উন্নয়ন। যোগ্য প্রার্থী বেছে নেয়ার পাশাপাশি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ চান ভোটাররা। ৮ই মে ভোটাররা ভোট দিয়ে আগামী পাঁচ বছরে জন্য যোগ্য চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন।

সাধারণ ভোটাররা জানান, জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিপদে-আপদে পাশে পাওয়া যাবে এমন প্রার্থীকেই ভোট দেবেন তারা। জনবিচ্ছিন্ন কোনো প্রার্থীকে তারা চান না। আগামী ৮ই মে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনবান্ধব ও পছন্দের প্রার্থীর পক্ষেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চান।

জানা গেছে, এ উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১২ জন প্রার্থী। চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন। গত ২৩ শে এপ্রিল প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পরপরই নির্বাচনের মাঠ সরব হয়ে উঠেছে এ উপজেলায়। এর আগে এই উপজেলায় মোট ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় মোট ১০টি ইউনিয়ন। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭১ টি। কক্ষের সংখ্যা ১৪২৪, মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার ২২২জন।

প্রতিটা কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়ে ভোটাররা যেন বাড়ি ফিরতে পারে এমন প্রস্তুতি রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।


আরও খবর



এমবাপ্পে নিজেই পিএসজি ছাড়ার কথা জানালেন

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চলতি মৌসুম শেষে কিলিয়ান এমবাপ্পের পিএসজি ছাড়ার বিষয়টি গুঞ্জন উঠেছিল অনেক আগেই। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। এবার সেটাও সেরে ফেললেন ফরাসি এ তারকা ফুটবলার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে নিজেই জানিয়ে দিলেন সিদ্ধান্তের কথা।

শুক্রবার (১০ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে এমবাপ্পে নিশ্চিত করেছেন, এটিই ছিল পিএসজির হয়ে তার শেষ মৌসুম। তুলুজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে পিএসজি ক্যারিয়ারের ইতি টানছেন এই তারকা ফরোয়ার্ড।

ভিডিওতে এমবাপ্পে বলেছেন, আমি আপনাদেরকে জানাতে চাই, পিএসজির হয়ে এটিই ছিল আমার শেষ মৌসুম। আমি আর মেয়াদ বাড়াচ্ছি না, এই যাত্রা আসছে কয়েক সপ্তাহেই শেষ হতে যাচ্ছে। রবিবার পার্ক দে প্রিন্সেসে আমার শেষ ম্যাচ খেলব।

এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে পিএসজির সঙ্গে ৭ বছরের সম্পর্কের ইতি টানলেন এমবাপ্পে। ২০১৭ সালে মোনাকো ছেড়ে ক্লাবটিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি। যোগদানের পর থেকেই পারফর্ম করেছেন নিয়মিত। গোল করা এবং করানোয় নিজের ভান্ডার ক্রমেই সমৃদ্ধ করেছেন এমবাপ্পে। পিএসজির হয়ে সব মিলিয়ে ৩০৬ ম্যাচে ২৫৫ গোল করেছেন এমবাপ্পে। ১০৮টি গোল করিয়েছেনও এই ফরোয়ার্ড। পিএসজির হয়ে ৭ বছর খেলে ৬ বার লিগ আঁ জিতেছেন এমবাপ্পে।

পিএসজি ছেড়ে এমবাপ্পে কোথায় যাচ্ছেন, সে বিষয় নিয়ে কিছু জানাননি তারকা ফরোয়ার্ড। তবে এটা এখন অনেকটাই নিশ্চিত যে রিয়াল মাদ্রিদেই পাড়ি জমাচ্ছেন তিনি। এই ক্ষেত্রেও শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণাই বাকি।


আরও খবর



হাসপাতালে ভর্তি সৌদি বাদশাহ সালমান

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজকে জেদ্দার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে কয়েক ঘণ্টার জন্য তিনি হাসপাতালে অবস্থান করেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ এপ্রিল) এমনটি জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

ইসলামের পবিত্র স্থানগুলোর রক্ষক বাদশাহ সালমান ক্রাউন প্রিন্স এবং উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে আড়াই বছরেরও বেশি সময় দায়িত্ব পালনের পর ২০১৫ সালে বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক দেশটির শাসক হিসেবে দায়িত্ব পান।

৮৮ বছর বয়সী বাদশাহকে শেষ বার ২০২২ সালের মে মাসে কোলনোস্কোপি এবং মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ২০২০ সালে তার পিত্তথলিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।


আরও খবর



গাজায় প্রবেশ করেছে ৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় ৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২ মে) ইসরায়েলি সরকারি কার্যক্রমের সমন্বয়কারী সংস্থা ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দেয়।

এক এক্স বার্তায় সংস্থাটি জানায়, উত্তর গাজায় বিমান থেকে মানবিক সহায়তা দেওয় হয়েছে। পাশাপাশি ২২ ট্রাক ত্রাণ উত্তর গাজায় সরবরাহ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এপ্রিলে প্রতিদিন গড়ে ১৬৩টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল।

তবে ইসরায়েল যে সংখ্যক ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। কারণ অবরুদ্ধ এলাকায় প্রতিদিন এক হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক দরকার।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা হামাসের নেই। অর্থাৎ এরকম কোনো ইঙ্গিত তিনি পাননি।

বর্তমানে গাজা উপকূলে সাময়িকভাবে জেটি নির্মাণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে এক হাজারের মতো মার্কিন সেনা কাজ করছে। মূলত গাজায় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করতেই এমন জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে।


আরও খবর



পঞ্চম বারের মতো প্রেসিডেন্টের শপথ নিলেন পুতিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

টানা পঞ্চম বারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার (৭ মে) স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে মস্কোর গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসের সুসজ্জিত সেইন্ট অ্যান্ড্রিউ হলে শপথ নেন তিনি।

গত মার্চে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হওয়ার পর মঙ্গলবারের শপথ গ্রহণের মধ্যে দিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন ৭১ বছর বয়সী এই নেতা।

সরকারি-বেসরকারি সব টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছে।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে রুশ সরকারের সব উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিদেশি কূটনীতিকদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। মস্কোতে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে লেভিকেও নিমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছিল এবং তিনি উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান ঘিরে ব্যাপক তিক্ততা চলছে প্যারিস এবং মস্কোর মধ্যে।

তবে পোল্যান্ড, জার্মানি এবং চেক রিপাবলিকের রাষ্ট্রদূতদের অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। তিন দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অন্যায়’ অভিযানের প্রতিবাদ হিসেবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে নিজ নিজ রাষ্ট্রদূতদের না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

১৯৯৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবিতে একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন ভ্লাদিমির পুতিন । পরে তৎকালীন রুশ প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলেৎসিনের বদন্যতায় ১৯৯৯ সালে প্রথমাবরের মতো রাশিয়ার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হন তিনি। ওই বছর পুতিনের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে রাজনীতি থেকে অবসরে গিয়েছিলেন ইয়েলেৎসিন।

পরে ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতেন পুতিন। ২০০৪ সালের নির্বাচনে ৭১ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ফের প্রেসিডেন্ট হন।

যুক্তরাষ্ট্রের মতো রাশিয়ার সংবিধানেও কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে থাকার অনুমতি ছিল না। তাই ২০০৮ সালের নির্বাচনে নিজের বিশ্বস্ত অনুসারী দিমিত্রি মেদভেদেভকে তিনি প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করান এবং নিজে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হন। সেই নির্বাচনে মেদভেদেভ এবং পুতিন—উভয়ই জয়ী হয়েছিলেন।

কিন্তু ২০১২ সালের নির্বাচনে ফের জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্টের মেয়াদকাল ৪ বছর থেকে ৬ বছরে উন্নীত করেন এবং দুই বারের বেশি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীতা না করার যে বাধ্যবাধকতা ছিল— তা বাতিল করেন। পরে ২০১৮ সালের নির্বাচনেও জয়ী হন তিনি।

রাশিয়ায় এ পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘ সময় প্রেসিডেন্টের পদে থাকার রেকর্ডের মালিক সাবেক সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্ট্যালিন। টানা ২৮ বছর ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। শপথগ্রহণের পর এবারের মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পারলে স্ট্যালিনকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হবেন পুতিন।

ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে ইউক্রেন স্বীকৃতি না দেওয়ায় প্রায় ৪-৫ বছর দেশটির সঙ্গে টানাপোড়েন শেষে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনীকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন পুতিন।

সেই অভিযান এখনও চলছে। এদিকে অভিযান শুরুর পরপরই রাশিয়ার ওপর একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা। এসব নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়া।

যদি সত্যিই এ উদ্দেশ্য সফল হতো, তাহলে পুতিনের পক্ষে এই নির্বাচনে জেতা খুবই কঠিন হতো। কিন্তু  দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বিভিন্ন নীতি গ্রহণের মাধ্যমে সম্ভাব্য সেই অর্থনৈতিক বিপর্যয় এড়াতে সক্ষম হয়েছে রাশিয়া। আর এই ব্যাপারটিই পুতিনের জয়ের পথে সবচেয়ে বড় পাথেয় হিসেবে কাজ করেছে।


আরও খবর