আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

প্রয়োজনে সংলাপ, তবে কার সঙ্গে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গণতন্ত্র সমুন্নত করতে প্রয়োজন হলে সরকার সংলাপ করবে। তবে কার সঙ্গে সংলাপ হবে, তা বিবেচনার বিষয় আছে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। নির্বাচন নিয়ে সংলাপ প্রশ্নে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেছেন।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মতবিরোধ নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু দেশের প্রধান তিন রাজনৈতিক দলকে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়।

জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সংলাপে আপত্তি নেই। আমরা গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চাই না। গণতন্ত্র সমুন্নত করতে যা যা করা দরকার, তাই আমরা করব। সেখানে যদি সংলাপের প্রয়োজন হয়, আমরা সেটা করব। কিন্তু কার সঙ্গে করব, সেটা বিবেচনার বিষয় আছে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

বন্ধুদেশগুলো কোনো ভালো পরামর্শ দিলে সরকার সেটাকে আমলে নেয় বলে জানান এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, যার যার মতামত তারা দিচ্ছেন। আমরা এতে কিছু মনে করছি না। আমাদের বন্ধুদেশ যদি আমাদের কোনো পরামর্শ দেয়, আমরা ওটাকে খুব ভালোভাবে নিই। আমরা সেটাকে মূল্যায়ন করি। যদি সেটা দেশের জন্য মঙ্গলকর হয়, তাহলে আমরা গ্রহণ করি।

এ রকম পরামর্শ বহু আসে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পরামর্শ যেগুলো আসে, সেগুলো প্রয়োগ করা যায় কি না, তা দেখতে হয়। বাস্তবতা দেখতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ক্ষেত্রে বিদেশিরা বলেছে, আমরা ওটা গ্রহণ করেছি। আমরা খুব বাস্তবসম্মত দেশ। খুব বাস্তববাদী সরকার। মানুষের কোনো সত্যিকারের অভিযোগ থাকলে, সেটা আমরা গ্রহণ করার চেষ্টা করি।

অন্যান্য দেশ যদি কোনো পরামর্শ দেয় আর সেগুলো যদি উন্নত মানের হয়, তাহলে সেগুলো গ্রহণ করা হয় জানিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, এখন কেউ যদি শ্রমিকদের মজুরি ২৫ হাজার করতে বলে। এটা করতে গেলে ওই মালিক কারখানা চালাতে পারবেন কি না বা লাভ করতে পারবেন কি না, সেটাও তো দেখতে হবে।

দেশের তিন রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সমঝোতার উদ্যোগ নিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওদের জিজ্ঞাসা করেন। তারা কী কারণে করেছে, তাদের জিজ্ঞাসা করেন। তারা ভালো উত্তর দিতে পারবেন। আওয়ামী লীগ দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সৃষ্টি করেছে দাবি করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে চায়।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক চিঠি দিয়েছেন। সে বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওনাকে (ফলকার টুর্ক) বলেন ওনার দেশে বন্দীকে, অপরাধীকে, দণ্ডিত অপরাধীকে অন্য দেশে পাঠায় কি না?


আরও খবর



দেশে ফিরেছেন ৩ হাজার ৯২০ হাজি

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র হজ পালন শেষে নিজ নিজ দেশে ফিরতে শুরু করেছেন হাজিরা। গত দুইদিনে প্রায় চার হাজার হাজি দেশে ফিরে এসেছেন বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। শনিবার (২২ জুন) হজ পোর্টালে আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, গত ১৫ জুলাই হজ হয়। হজ শেষে ২০ জুন থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হয়। শনিবার সকাল পর্যন্ত ১০টি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন মোট তিন হাজার ৯২০ জন।

হেল্পডেস্কের তথ্যমতে, বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফ্লাইটটি সৌদির কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দর ছেড়ে আসে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায়। পরদিন তিনটি বিমান সংস্থার আরও ১০টি ফ্লাইট হাজিদের নিয়ে দেশে ফিরেছে।‌ আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

এবার বাংলাদেশ থেকে সর্বমোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। গত ৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ২১৮টি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ১০৬টি, সৌদিয়া এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট ৭৫টি ও ফ্লাইনাসের ফ্লাইট ৩৭টি।

অন্যদিকে সৌদি আরবের মোট ৩৫ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন। সর্বশেষ যশোরের অভয়নগরের মো. শহিদুল ইসলাম (৪৯) নামে একজন হজযাত্রী মারা গেছেন।

মারা যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে পুরুষ ২৮ জন এবং নারী ৭ জন। মক্কায় ২৮ জন, মদিনায় ৪ জন ও জেদ্দায় একজন মারা গেছেন।


আরও খবর



বৃষ্টি-বন্যার মধ্যেই বুধবার খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল আযহা ও গ্রীষ্মকাল মিলিয়ে মোট ২০ দিনের ছুটি কাটিয়ে আগামীকাল বুধবার খুলছে প্রাথমিক স্কুল। স্কুল এমন এক সময়ে খুলছে যখন সারা দেশে মুষলধারে বৃষ্টি এবং সিলেটে বন্যা হচ্ছে। তবে এসব কারণে স্কুল খোলায় কোনো প্রভাব ফেলবে না জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গত ১৩ জুন শুরু হয় চলতি বছরের ঈদুল আযহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি। শিক্ষাপঞ্জি হিসেবে আজ ২ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়। আগামীকাল ৩ জুলাই যথারীতি শুরু ক্লাস শুরু হবে।

শিখন ঘাটতি পোষাতে মাধ্যমিকে ঘোষিত ছুটি এক সপ্তাহ কমিয়ে গত ২৬ জুন থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে স্কুল কলেজ। তবে প্রাথমিকে পূর্বঘোষিত ছুটি বহাল রাখা হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন বলেন, ঈদ ও গ্রীষ্মকালীন ২০ দিনের ছুটি শেষে আগামীকাল প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলছে। বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারণে স্কুলের ছুটি বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই।

এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মন্ত্রণালয়ের অধীন নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবারের গ্রীষ্মের ছুটি কমানো হয়েছে। ২ জুলাই পর্যন্ত এই ছুটি থাকার কথা ছিল। এখন নতুন সিদ্ধান্ত হলো, বুধবার (২৬ জুন) থেকে খুলে দেওয়া হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে শুক্রবারের পাশাপাশি শনিবারও সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে।

ছুটি সংক্ষিপ্ত করার কারণ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুক্তি হলো, পাঠদানের কর্মদিবস বছরব্যাপী কমেছে। এ ছাড়া শনিবারের বন্ধ পুনর্বহাল রাখার কারণে কর্মদিবস কমে যাবে। তাই গ্রীষ্মের ছুটি কমানো হয়েছে।


আরও খবর



কুমারী রেখা রাণী গার্লস স্কুলে আর্থিক অনুদান প্রদান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) উদ্যোগে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক জীবনসংগ্রামী নারীর হাতেগড়া কুমারী রেখা রাণী গার্লস হাই স্কুলকে ৫ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান। পাশাপাশি দুইজন অনাথ অসচ্ছল ছাত্রীর পড়ালেখার দায়িত্ব গ্রহণ করলেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকালে দামপাড়াস্থ  সিএমপির পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)  উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিএমপি কমিশনার (অ্যাডিশনাল আইজিপি) কৃষ্ণ পদ রায়।এসময় গোপালগঞ্জের কলাবাড়ী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত বুরুয়া গ্রামে অবস্থিত কুমারী রেখা রাণী গার্লস হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা রেখা রাণী ওঝার হাতে ৫ লক্ষ টাকার অনুদানের চেক তুলে দেন চট্টগ্রাম পুনাক সভানেত্রী রীতা দাস ও সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।

অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা কুমারী রেখা রাণী দাস তাঁর জীবন-সংগ্রামের গল্প তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বুরুয়া গ্রামে দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের জন্য জীবনের সব সঞ্চয় দিয়ে নিজের নামে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। একসময় সরকারি হাসপাতালের নার্স ছিলেন। অবসরে যাওয়ার পর পেনশনের টাকা দিয়ে জমি কিনে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রাবস্থায় নিজের খরচ চালানোর জন্য মঞ্চে অভিনয় পাশাপাশি ওষুধের দোকান চালিয়েছেন। এ জীবনে অনেক ছেলেমেয়েকে পড়াশোনা করার জন্য সহায়তা করেছি। তাঁদের অনেকেই এখন সমাজে প্রতিষ্ঠিত। এত দূর আসতে কারও কাছে হাত পাতেননি। তবে এখন আর পারছি না। ক্যান্সারসহ স্বাস্থ্যগত নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে। স্কুলটি চালাতে কষ্ট হচ্ছে। শিক্ষকদের বেতন দিতে পারছি না বলে শিক্ষকেরা চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। যদিও শিক্ষকেরা এমপিওভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বিনা বেতনেই পড়াবেন এমন শর্তেই যোগ দিয়েছিলের।

তিনি বক্তব্যে তাঁর প্রতিষ্ঠিত স্কুলের জন্য ৫ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করায় চট্টগ্রাম পুনাক প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়াও তিনি তাঁর স্কুলটিকে এমপিওভুক্তকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

সিএমপি কমিশনার বলেন, পুনাক অনেক ভালো কাজ করে। কিন্তু আজকের কাজটি অন্য কাজগুলোর চেয়ে ব্যতিক্রম। কারণ, আজকে আমরা এমন একজন মহান নারীকে সামনে পেয়েছি যিনি মানুষ গড়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি এমন একটি সমাজ গড়ে তোলার যেখানে নারী ও পুরুষ সমাজে যার যার অবদান রাখার সুযোগ পায় এবং শৈশব থেকেই সমান সুযোগ পায়। অনুষ্ঠানে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা রেখা রাণী অনুরোধে দুইজন অনাথ অসচ্ছল ছাত্রীর লেখাপড়ার খরচ চালানোর দায়িত্ব গ্রহণ করেন সিএমপি কমিশনার। এছাড়াও স্কুলটিকে এমপিওভুক্তকরণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

সিএমপির পৃনাক সভানেত্রী রীতা দাস বলেন, নারী সংগঠন হিসেবে শিক্ষা-চিকিৎসায় আমরা নারীদের পাশে দাঁড়াই৷ পুনাক পরিবার আজ গর্বিত আপনার স্বপ্নপূরণের অংশীদার হতে পেরে।

অনুষ্ঠানে সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ; উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মোঃ আব্দুল ওয়ারীশ, সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সিএমপির পুনাস নেতৃবৃন্দ-সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



সুপার এইটে উঠেছি, এখন যা পাবো সবই বোনাস: হাথুরুসিংহে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল প্রথম রাউন্ড পেরিয়ে সুপার এইটে খেলা, সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এখন আর হারানোর কিছু নেই। এই পর্বে যা পাওয়া যাবে সবই বোনাস বলে মন্তব্য করেছেন দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

হাথুরু বলেন, যখন আমরা টুর্নামেন্টে আসি, আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল এই সুপার এইটে উঠা। তাই আমি মনে করি, আমরা দারুণভাবে তা অর্জন করেছি... । আমি বলতে পারি, বোলাররা আমাদের এখন পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রেখেছে? যে কারণে আমরা অবস্থান নিয়েই খেলেছি। সত্যিই ভালো; কন্ডিশন আমাদের পক্ষে কাজ করেছে।

সুতরাং আমাদের এগিয়ে যাওয়া এবং এই পর্যায়ে আসতে পেরে আমরা খুব খুশি। এখান থেকে আমাদের যা কিছু আসবে, সবকিছুই বোনাস। তাই, আমরা অনেক স্বাধীনতা নিয়ে খেলি। আমরা তিনটি দলকেই চ্যালেঞ্জ জানাতে যাচ্ছি। আমরা আমাদের সেরাটাই দিতে পারি- যোগ করেন হাথুরু।

বাংলাদেশের সুপার এইটের যাত্রা শুরু হবে আগামীকাল শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টায়। প্রতিপক্ষ গেল বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া। এরইমধ্যে দুই দলই সেরে নিয়েছে নিজেদের প্রস্তুতি। বিশ্ব আসরে অসিদের কাছে হারের বৃত্ত থেকে বাংলাদেশ বের হতে পারে কিনা, সেটিই এখন দেখার।


আরও খবর



সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থায় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করে ঘোষিত প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ৩৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

কর্মসূচি অনুযায়ী আজ (সোমবার) সকাল থেকে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে নিজেদের বিরত রেখেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

সারা দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এতে একাত্মতা ঘোষণা করে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। সরকারের কাছে আমরা তিনটি দাবি জানিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।

শিক্ষকরা বলছেন, বৈষম্যমূলক ও মর্যাদাহানিকর প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলবে।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের মহাসচিব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে আজ থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেছি। সারা দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এতে একাত্মতা ঘোষণা করে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। সরকারের কাছে আমরা তিনটি দাবি জানিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।

প্রসঙ্গত, গত ২০ মে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। তার ধারাবাহিকতায় ২৬ মে বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এরপর ২৮ মে দুই ঘণ্টা  এবং ২৫-২৭ জুন তিনদিন সারা দেশে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। পরবর্তীতে গতকাল ৩০ জুন পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করা হয় এবং আজ থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু হয়।

শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে স্থবিরতা নেমে এসেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষা-কার্যক্রমে। শিক্ষকরা আহ্বান না করায় শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে না ক্লাসে, হচ্ছে না কোনো পরীক্ষা। একাডেমিক ব্যস্ততার জায়গাগুলোতে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা।

সোমবার (১ জুলাই) সকালে একাডেমিক ভবনগুলো খুললেও দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে দেখা যায়নি। অধিকাংশ শ্রেণিকক্ষ ও পরীক্ষা কক্ষগুলো তালাবদ্ধ রয়েছে। কর্মচারীরা এলেও তারা অলস সময় পার করছেন।

শিক্ষক সমিতির গতকালের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক পূর্ণদিবস কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হবে।‌

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পিজিডি প্রোগ্রামের সকল কার্যক্রম ও ক্লাস বন্ধ থাকবে, সকল প্রকার পরীক্ষা বর্জন করা হবে, ডিন অফিস, চেয়ারম্যান অফিস, সেমিনার বন্ধ থাকবে, প্রশ্নপত্র মডারেশন, নিয়োগ ও সিলেকশন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে না, ইন্সটিটিউটের সকল কার্যক্রম- অফিস, ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ থাকবে, বিভিন্ন গবেষণামূলক কার্যক্রম, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপ বন্ধ থাকবে।‌ এছাড়াও গ্রন্থাগার অফিস ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পাঠক সেবা বন্ধ থাকবে।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশন ঘোষিত কর্মসূচির সাথে সম্পূর্ণ সহমত পোষণ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ সর্বাত্মক পূর্ণদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচির রূপরেখা প্রণয়ন করে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের সম্মান ও আত্মমর্যাদা রক্ষিত হবে বলে দাবি করেছেন তারা।


আরও খবর