আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসে আগুন

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় থেমে থাকা একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।এ সময় পরিবহণ শ্রমিক ও আশপাশের লোকজন দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়।তবে বাসটির কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

রোববার রাত সোয়া ১০টায় বেড়িবাঁধের লিমিটেড নম্বরের মুখে এ ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের শিকার বাসটি গাবতলী-বাবুবাজার রুটে চলাচলকারী প্রত্যয় পরিবহণের (ঢাকা মেট্রো ব-১১-৮২৩৭)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসটি বেড়িবাঁধ সাত মসজিদ হাউজিং এলাকার গেটে এসে নষ্ট হয়। এ সময় যাত্রীরা নেমে যান। ওই সময় পরিবহণের শ্রমিকরা বাসটিকে ঢাকা উদ্যানের দিকে ঠেলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেলে করে তিনজন লোক এসে বাসে আগুন দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে পরিবহণ শ্রমিক ও আশপাশের লোকজন পানি এবং বালু দিয়ে দ্রুত- তা নিভিয়ে ফেলেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ ভূঁইয়া। তিনি বলেন, আগুনের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।


আরও খবর



এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ডিএমপির নির্দেশনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৩০ জুন থেকে। এতে অংশগ্রহণ করতে যাওয়া পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ১৯ নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। এছাড়া পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতায় ট্রাফিকের কুইক রেসপন্স টিমও থাকবে। এরপরও তাদেরকে নির্দেশনাগুলো মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মুনিবুর রহমান।

নির্দেশনাগুলো হলো:

১. পরীক্ষার হলে রওনা দেয়ার আগে অবশ্যই প্রশ্নপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং কলম সঙ্গে নিতে হবে।

২. পরীক্ষা শুরুর আগের দিন কেন্দ্রের অবস্থানটি ভালো করে জেনে এবং বাসা থেকে কোন রুটে যেতে হবে সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা নিতে হবে।

৩. পরীক্ষা শুরুর আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার জন্য পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সড়ক-মহাসড়কের যানজটের বিষয়টি মাথায় রেখে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হতে হবে।

৪. বাসা থেকে এমনভাবে বের হতে হবে যেন ন্যূনতম ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানো যায়।

৫. যেসব সড়ক পারাপারে রেল ক্রসিং আছে, তা বিবেচনা করে বাসা থেকে সময় নিয়ে রওনা দেয়া জরুরি।

৬. বাসার বা পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশের সড়কে যদি খোঁড়াখুঁড়ি বা মেরামত কাজ চলে, তবে তা বিবেচনায় নিয়ে সময়মতো রওনা দিতে হবে।

৭. পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাবধানতা অবলম্বন করে যানবাহনে চলাচলের অনুরোধ করা হয়েছে।

৮. কোনো অবস্থায়ই গণপরিবহনে ঝুলে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা-যাওয়া করা যাবে না।

৯. যেসব পরীক্ষার্থী মোটরসাইকেলে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবে, তারা অবশ্যই নিরাপত্তার কারণে হেলমেট পরতে হবে।

১০. পরীক্ষা কেন্দ্রে আগত পরীক্ষার্থীরা যানজট বা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার সম্মুখীন হলে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা নিতে হবে।

১১. ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার থেকে বিরত থাকতে হবে, প্রয়োজনে ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার এবং পুলিশের সহায়তা নিতে হবে।

১২. রাস্তা পারাপারে জেব্রা ক্রসিং থাকলে তা ব্যবহার করতে হবে।

১৩. পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে অযাচিত পার্কিং না করে অভিভাবক বা পরীক্ষার্থীদের ব্যবহৃত যানবাহন কেন্দ্র থেকে দূরে নিরাপদ স্থানে পার্কিং করতে হবে।

১৪. পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা কেন্দ্রের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে গেলে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এতে অন্য পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি হয়। এ জন্য পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কেন্দ্রের সম্মুখে প্রধান গেটে ও রাস্তায় না দাঁড়িয়ে ফুটপাতে দাঁড়াতে হবে।

১৫. পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে আড্ডা দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

১৬. গত এক বছরে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে, যা পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রার্থীদের পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন রাখতে পারে।

১৭. ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রতিটি জোন থেকে আলাদা আলাদা কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হবে এবং আলাদা ট্রাফিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

১৮. বর্তমানে বর্ষাকাল চলছে। অবশ্যই ছাতা, রেইনকোর্ট কিংবা বৃষ্টি থেকে রক্ষার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সঙ্গে নিয়ে বাসা থেকে বের হতে হবে।

১৯. যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯-এ ফোন করতে হবে।


আরও খবর



গ্রাম্য মাতব্বরদের চাপে দুই শিশুকে বস্তায় ভরে ভাসিয়ে দেওয়া হলো নদীতে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কথায় বলে, মানব ধর্মই মহাধর্ম। কিন্তু এ যেন অমানবিকতার শেষ পর্যায়। শেষকৃত্যের জন্য একটু মাটি জুটলো না পানিতে ডুবে মারা যাওয়া দুই শিশুর জন্য। গ্রাম্য মাতব্বরদের বাধায় শ্মশ্মানে সমাধি দিতে না পেরে বস্তায় ভরে ভাসিয়ে দেওয়া হলো নদীতে।

এমন অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামে।

গেল শনিবার ফুটবল খেলা শেষে পুকুরে গোসল করতে নেমে মারা যায় ওই গ্রামের দুই শিশু প্রলয় দাস (৭) ও সুর্য দাস (৬)। সনাতন ধর্মের রীতি অনুযায়ী মরদেহ দাহ করা হয়। তবে শিশুদের বেলায় তা দাহ না করে সমাধি দেওয়ার রীতি রয়েছে।

রবিবার (৩০ জুন) দুপুরে শিশু প্রলয় দাসের মরদেহ শ্মশ্মানে সমাধি দেয় তার পরিবার। বিষয়টি গ্রামের মাতব্বররা জানার পর শিশুটির বাবা গোবিন্দ দাসকে ডেকে এনে শ্মশ্মানে মরদেহ না রাখার নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে সমাধি দেওয়া মরদেহ তুলে পানিতে ফেলে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সন্তানের মরদেহ শ্মশ্মানে রাখতে বাবার শত অনুরোধ আর পায়ে ধরে কান্নাও মন গলাতে পারেনি মাতব্বরদের। এক পর্যায়ে গ্রাম্য মাতব্বরদের চাপের মুখে সন্তানের মরদেহ সমাধি থেকে তুলতে বাধ্য হন হতভাগা বাবা। পরে বস্তাবন্দি করে ফেলে দেওয়া হয় কালনী নদীতে।

প্রলয়ের এমন পরিণতি দেখে অপর শিশু সূর্য দাসের পরিবারও তার মরদেহ বস্তাবন্দি করে নদীতে ফেলে দেয়।

শিশু প্রলয় দাসের বাবা গোবিন্দ দাস বলেন, বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে আমি আমার ছেলেকে পাহাড়পুর মহাশশ্মানের দেয়াল সংলগ্ন মাটিতে সমাধি দিই। কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিপেশ দাস ও কোষাধ্যক্ষ অসিত সরকারসহ পঞ্চায়েতের লোকেরা আমাকে ডেকে লাশ তুলে নদীতে ভাসিয়ে দিতে বলেন৷ আমি লাশ না তোলার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষসহ উপস্থিত সবার হাতে পায়ে ধরে কান্নাকাটি করলেও তারা আমার কথা শুনেননি। অবশেষে পঞ্চায়েত কমিটির চাপে বাধ্য হয়ে সন্ধ্যায় আমি ছেলের লাশ তুলে নদীতে ভাসিয়ে দেই।

অপর শিশুর বাবা রুবেল দাস বলেন, শশ্মানে গোবিন্দ দাসের ছেলের লাশ সমাধিতে বাঁধার বিষয়টি জানার পর বাধ্য হয়ে আমার ছেলে সূর্যের লাশ বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দিয়েছি।

গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিপেশ সরকার বলেন, এটি আমার একার সিদ্ধান্ত না। গ্রাম কমিটির সবার সিদ্ধান্ত ছিল।

পঞ্চায়েতের কোষাধ্যক্ষ অসিত সরকার বলেন, গ্রামের কমিটির সিদ্ধান্ত হলো শশ্মানের পরিবেশ পরিষ্কার রাখার জন্য পাশে কোনো সমাধি করা যাবে না। এই সিদ্ধান্ত এলাকার সবার জন্য সমান।

বদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুসেনজিৎ চৌধুরীর বলেন, বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। ঘটনাটি অমানবিক৷ শ্মশ্মানতো মানুষের সৎকারের জন্যই। এখানে সমাধিত করা হলে শ্মশ্মানের পরিচ্ছন্নতার বিষয় কেন আসবে?

আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডালিম আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখছি। অভিযোগ পেলে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



এনবিআর থেকে সরানো হলো ছাগলকাণ্ডের মতিউরকে

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মো. মতিউর রহমানকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। আজ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিসিএস (শুল্ক ও আবগারি) ক্যাডারের কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে তাঁর বর্তমান পদ থেকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে কেন এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, প্রজ্ঞাপনে তা উল্লেখ করা হয়নি। বলা হয়েছে, জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

মতিউর রহমান কিছুদিন ধরে আলোচনায় আসেন তাঁর ছেলের কারণে। কোরবানির ঈদে সাদিক অ্যাগ্রো নামের একটি খামার থেকে মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কেনা ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

এর পর থেকে মতিউর রহমানের ছেলের দামি ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন; মতিউর রহমান ও পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি থাকার বিষয়ে একের পর এক খবর প্রকাশিত হতে থাকে।

এনবিআরের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আগারগাঁওয়ে অবস্থিত রাজস্ব ভবনের ১১ তলায় একটি অফিস কক্ষে বসেন। আজ রোববার তাঁর দপ্তরে গিয়ে দেখা যায় যে তিনি অফিসে আসেননি। তাঁর দপ্তরের কর্মচারীরা জানান, ঈদের পর মতিউর রহমান আর অফিসে আসেননি।

এনবিআরের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, তাঁকে ছুটিতে থাকার জন্য মৌখিকভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওপর মহল থেকে এই অনানুষ্ঠানিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।

আলোচিত এই কর্মকর্তা রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক পিএলসির একজন পরিচালক। তবে আজ রোববার সকালে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে মতিউর রহমানকে উপস্থিত না থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়। চলতি সপ্তাহের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকে তাঁকে অপসারণও করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও সোনালী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে সোনালী ব্যাংককে মৌখিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মতিউর রহমান যেন পর্ষদে উপস্থিত না হন। ব্যাংকও মতিউর রহমানকে উপস্থিত না হওয়ার পরামর্শ দেয় এবং তিনি তা মেনে নেন।


আরও খবর



বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

১২ জুন বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ বুধবার দিবসটি পালিত হবে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য শিশুশ্রম বন্ধ করি, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করি’। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

এই দিবস পালন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং ইউনিসেফসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন গণমাধ্যম দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে অনুষ্ঠান, টিভিসি প্রচার করবে। সারা দেশে কলকারখানা ও শ্রমঘন এলাকায় ব্যানার ফেস্টুন পোস্টার টাঙ্গানো হবে। শিশুশ্রম নিরসনে সচেতননামূলক লিফলেট বিতরণ করা হবে। বিভিন্ন শিল্প এলাকার কলকারখানায় শিশুশ্রম নিরুৎসাহিত করতে বিশেষ পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে ও শিশুশ্রম নিরসনে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থাসহ সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে শিশুর সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করে তাদের সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। শিশুশ্রম একটি বৈশ্বিক সমস্যা। শিশুশ্রম শিশুর স্বাভাবিক শৈশব ও পারিবারিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি তাদের সঠিক মানসিক ও শারীরিক বিকাশ এবং শিক্ষা প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার টার্গেট ৮ দশমিক ৭ এর অধীনে ২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশুশ্রম বন্ধের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে প্রথাগত শিশুশ্রম নির্মূলের পাশাপাশি জোরপূর্বক শ্রম, আধুনিক দাসপ্রথা ও মানবপাচার, শিশুদেরকে সৈনিক হিসেবে ব্যবহারসহ নিকৃষ্ট শিশুশ্রমসমূহ নিষিদ্ধ ও নির্মূলে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ ও শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করাসহ শিশুশ্রম নিরসনে প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও সচেষ্ট হতে হবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে শিশুদের উন্নয়ন ও বিকাশে শিশু আইন প্রণয়ন ও প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেন। তিনি সংবিধানে শিশু অধিকার সমুন্নত রাখেন। বাংলাদেশের সংবিধান ও জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশে শিশু শ্রম প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। শ্রমজীবী শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে প্রত্যাহারের লক্ষ্যে আমরা জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০’ প্রণয়ন করেছি। এ নীতি বাস্তবায়নে জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ, উপজেলা শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটি, জেলা শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটি এবং বিভাগীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ গঠন করা হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শিশুদের জন্য ৪৩টি কাজকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হিসেবে চিহ্নিত করে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।

তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯০ হাজার শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে শিশুশ্রম নিরসন ও পুনর্বাসন প্রকল্প’ নামে মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে যা এবছর শেষ হবে। গৃহকর্মে শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অনুযায়ী আমরা দেশকে সব ধরনের শিশুশ্রম থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০২১-২৫ প্রণয়ন করেছি এবং এটি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। সরকার জাতীয় শিশুনীতি-২০১১’, শিশু আইন-২০১৩’, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭’ প্রণয়ন করেছে। এছাড়া সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের পুনর্বাসন এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের বিকাশে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বছরের শুরুতে বিনামূল্যে নতুন বই প্রদান করা হচ্ছে। প্রায় শতভাগ শিশু আজ স্কুলে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা শিশু ও তাদের পরিবারের সহায়তায় বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এর মধ্যে রয়েছে শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ, শিশু সংবেদনশীল সামাজিক সুরক্ষা নীতি প্রণয়ন এবং পারিবারিক আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে সমাজ ভিত্তিক শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করা। এছাড়া শিশুশ্রম নিরসনে আমরা বেসরকারি খাতগুলোকে সম্পৃক্ত করেছি। সহিংসতা ও শোষণ থেকে শিশুদের সুরক্ষা সম্পর্কে নিয়োগদাতাদের প্রশিক্ষিত করার বিষয়টিতে আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর শিশুশ্রম সমীক্ষা-২০০৩ অনুযায়ী বাংলাদেশে শ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ছিল প্রায় ৩২ লাখ। সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে ২০২৩ সালে শিশুশ্রম সমীক্ষা অনুযায়ী শ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা হ্রাস পেয়ে ১৭ লাখে দাঁড়িয়েছে।


আরও খবর



বাবার রহস্যজনক মৃত্যুর আধাঘণ্টা পর মেয়ের আত্মহত্যা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বাবার মৃত্যুর আধাঘণ্টা পর গলায় ফাঁস দিয়ে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরের দিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে নোয়াখালীর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উকিল পাড়ার নরেশ চন্দ্র দে’র বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন, নোয়াখালীর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উকিল পাড়ার নরেশ চন্দ্র দে (৫০) ও তার মেয়ে তিশা দে (১৯)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নরেশ চন্দ্রের মেয়ে তিশা ফেনীর একটি কলেজে পড়ত। সেখানে একটি মুসলিম ছেলেকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে। বিষয়টি তার বাবা জানতে পেরে তাকে ফেনী থেকে নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীর নিজবাড়িতে নিয়ে আসে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ নিয়ে মেয়েকে বোঝানোর অনেক চেষ্টা করেন বাবা। সে যেন তার স্বামীর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে। কিন্তু মেয়ে তার স্বামীর পক্ষে অনড় ছিল।

বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নরেশের ছোট ছেলে স্কুলে যাওয়ার সময় টাকার জন্য বাবার কাছে গেলে দেখে তার নিথর দেহ কক্ষে পড়ে আছে। আশেপাশে রক্ত। ডায়ালাইসিসের ফিস্টুলার স্থান থেকে রক্ত বের হচ্ছে। পরে তার চিৎকার শুনে পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে আসে। তিশা বাবার এ অবস্থা দেখে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে আলাদা একটা কক্ষ গিয়ে দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। পরে পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করে।

এ বিষয়ে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, নরেশ কিডনি রোগী ছিলেন। তিনি বাসায় ডায়ালাইসিস করতেন। তার মেয়ে ফেনী মেডিকেলে পড়ত। সেখানে একজন মুসলিম ছেলেকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে। বিষয়টি নরেশ ভালোভাবে নেননি। এ জন্য মেয়েকে ফেনী থেকে নিয়ে আসেন।

তিনি বলেন, মেয়েকে সারারাত বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু মেয়ে নাছোড় বান্দা। এ নিয়ে চিল্লাচিল্লি করে তিনি স্ট্রোক করে মারা যান। পরে মেয়ে ভাবল সে কাজটি ঠিক করেনি। তাই বাবার মৃত্যুর আধাঘণ্টা পর মেয়ে গিয়ে আত্মহত্যা করে। বুধবার বিকেল ৪টার দিকে দুটি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।


আরও খবর