আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৫৩

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৫৩ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।  বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইফতেখায়রুল ইসলাম জানান, অভিযানে আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে নয় হাজার ৮০৭ পিস ইয়াবা, ১৪১ গ্রাম ৩৬ পুরিয়া হেরোইন, তিন কেজি ৫৭০ গ্রাম গাঁজা, নেশাজাতীয় ১৫ অ্যাম্পুল ইনজেকশন ও ৪৫ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।

তাদের বিরুদ্ধে ডিএমপির থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৪৩ টি মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



ধর্ম নিয়ে কটূক্তি: শর্ত মানলে কারাভোগ করতে হবে না তিথির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী (সাময়িক বহিষ্কৃত) তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৩ মে) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন।

একই সঙ্গে তাকে এক বছরের জন্য প্রবেশনে পাঠানো হয়েছে। তবে এরই মধ্যে এ মামলায় আসামি ২১ মাস কারাভোগ করেছেন। রায়ে বিচারক উল্লেখ করেছেন, পাঁচ বছরের সাজা থেকে আসামির ২১ মাসের কারাভোগের সময় বাদ যাবে। অর্থাৎ এই ২১ মাস সময়কে পাঁচ বছরের সাজা আওতায় ধরা হবে।

এদিকে, রায়ের পর আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিথিকে সংশোধন হতে এবং তার বয়োবৃদ্ধ বাবার নিয়মিত দেখভাল ও সেবাযত্ন করাসহ আট শর্তে তাকে এক বছরের প্রবেশনে মুক্তি দেন আদালত। এ সময়ে তিনি প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবেন। আদালত জানিয়েছেন, আসামি তিথি প্রবেশনের শর্তসমূহ যথাযথভাবে পূরণ করলে তাকে আর সাজা না-ও খাটতে হতে পারে।

আসামি তিথি সরকারকে অপরাধী প্রবেশন অধ্যাদেশ, ১৯৬০ (১৯৬০ সালের ৪৫ নম্বর অধ্যাদেশ) এর ৫ ধারা মোতাবেক, আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়কালের জন্য প্রবেশন আদেশের নিম্নোক্ত শর্তাবলিযুক্ত মুচলেকা সই করার শর্তে প্রবেশনে মুক্তি দেওয়ার আদেশ জারি করা হয়েছে। তিনি আট শর্তে মুচলেকায় সই করে মুক্তি পান।

শর্তসমূহ হলো-

১. আসামি-প্রবেশনার আগামী এক বছর সময়ের জন্য প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবেন এবং ওই কর্মকর্তার নিদের্শনাসমূহ মেনে চলবেন।

২. ওই সময়সহ আসামি-প্রবেশনার ভবিষ্যতেও আর কোনো অপরাধে জড়াবেন না, শান্তি বজায় রাখবেন ও সদাচরণ করবেন।

৩. বয়োবৃদ্ধ বাবার নিয়মিত দেখভাল ও সেবাযত্ন করতে হবে।

৪. আদালত, প্রবেশন কর্মকর্তা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তলবমতে আসামি-প্রবেশনার যথাসময়ে হাজির হবেন।

৫. শহর এলাকায় বসবাসের ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইন মেনে চলাসহ আইনবহির্ভূতভাবে রাস্তা পারাপার করা যাবে না, সামাজিক নিয়ম-কানুন, প্রথা, রীতিনীতি প্রভৃতি মেনে চলবেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো কাজ করবেন না; প্রবেশন কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতীত নিজস্ব কর্মস্থল বা বাসস্থান ত্যাগ করবেন না; এবং প্রবেশন কর্মকর্তার যে কোনো সময় আসামির গৃহ পরিদর্শন করতে আসামি-প্রবেশনার বা তার পরিবারের সদস্যদের কোনো আপত্তি থাকবে না।

৬. আসামি-প্রবেশনার অযথা রাতের বেলা ঘরের বাইরে অবস্থান করবেন না; মাদকদ্রব্য গ্রহণ, বিশেষত মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সরবরাহ করা হয় এমন স্থানে যাতায়াত করবেন না; ধূমপান থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন; এবং জুয়া, অনলাইন জুয়া, তাস, ক্যাসিনো, বাজি ইত্যাদি থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন।

৭. আসামি-প্রবেশনার প্রবেশনকালীন কোনো ধরনের স্মার্ট মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না; প্রয়োজন হলে নন-স্মার্ট মোবাইল ফোন বা বাটন ফোন ব্যবহার করবেন। তবে শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে স্মার্ট ফোন ব্যবহারের আবশ্যকতা দেখা দিলে আসামি-প্রবেশনার তার মা-বাবা অথবা অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক আত্মীয়, অথবা ক্ষেত্রমতে শিক্ষকের উপস্থিতিতে শুধু স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।

৮. উপর্যুক্ত যে কোনো শর্ত লঙ্ঘন করলে বা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসামি-প্রবেশনার নিজেকে সংশোধন না করলে আসামির প্রবেশন আদেশ বাতিল হবে এবং প্রমাণিত অপরাধের দায়ে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২৮ (২) ধারায় পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হবে।

সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নজরুল ইসলাম শামীম জানান, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী তিথি সরকারের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তিথির আইনজীবী প্রবেশন চেয়ে আবেদন করলে আদালত এক বছরের জন্য কিছু শর্তে তাকে প্রবেশনে মুক্তির আদেশ দেন। এই এক বছরে তাকে শর্তসমূহ মেনে চলতে হবে। শর্ত মানলে আদালত বিবেচনা করবেন তাকে আর সাজা খাটতে হবে কি না। আর শর্ত না মানলে তাকে সাজা খাটতে হবে।

আইন অনুযায়ী, প্রবেশন হলো অপরাধীকে তার প্রাপ্য শাস্তি স্থগিত রেখে এবং কারাগারে না পাঠিয়ে তাকে শুধরানোর সুযোগ দেওয়া। প্রবেশন আইনে প্রথম ও লঘু অপরাধে দণ্ডিত শিশু-কিশোর বা অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে কারাগারে না পাঠিয়ে আদালতের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে নিজ বাসায় বা পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে সমাজসেবা অধিদপ্তরের একজন প্রবেশন কর্মকর্তা হিসেবে থাকেন।

তবে প্রবেশনের মেয়াদ শেষে প্রবেশন কর্মকর্তা যদি সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির আচরণ সন্তোষজনক মর্মে প্রতিবেদন দেন, তবে আসামির কারাদণ্ড মওকুফ হবে। আর যদি আসামির আচরণ অসন্তোষজনক মর্মে প্রতিবেদন দেন, তবে প্রবেশন বাতিল ও আদালতের দেওয়া দণ্ড আসামিকে ভোগ করতে হবে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৩১ অক্টোবর সিআইডির সাইবার মনিটরিং টিম দেখতে পায়, সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ের চারতলা থেকে তিথি সরকারকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে একটি মিথ্যা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা হয়। এটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। প্রকৃতপক্ষে সিআইডিতে এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এ ঘটনার তদন্তে নেমে গুজব রটনাকারী নিরঞ্জন বড়াল নামের একজনকে রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। নিরঞ্জনসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে গত ২ নভেম্বর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়। চলতি বছরের ১৯ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২৫ অক্টোবর সকাল ৯টায় পল্লবীর নিজ বাসা থেকে থানার উদ্দেশে বের হয়েছিলেন তিথি সরকার। এরপর ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে ফেসবুকে ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করে আসছিলেন তিথি সরকার। পরে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তিথি সরকারের বহিষ্কার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৩ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তিথি সরকারকে সাময়িক বহিষ্কার করে। এরপর তার পরিবার থেকে অভিযোগ আসে তিথি নিখোঁজ।


আরও খবর



টিপু-প্রীতি হত্যা: আ.লীগ নেতাসহ ৩৩ জনের বিচার শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর ফলে মামলাটির বিচার অনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আলী হোসাইনের আদালত এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ২১ মে সাক্ষ্যগ্রহণ পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. রফিক উদ্দীন (বাচ্চু) এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ২৫ এপ্রিল মামলায় দায়ে অব্যাহতির আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। এরপর আদালত ২৯ এপ্রিল অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন।

মামলার আসামিরা হলেন কথিত শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহম্মেদ মন্টু, ফ্রিডম মানিক ওরফে জাফর, প্রধান সমন্বয়কারী সুমন সিকদার মুসা, শুটার মাসুম মোহাম্মদ আকাশ, শামীম হোসাইন, তৌফিক হাসান ওরফে বিডি বাবু, ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মারুফ রেজা সাগর, ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরিফুর রহমান ওরফে ঘাতক সোহেল, মতিঝিল থানা জাতীয় পার্টির নেতা জুবের আলম খান রবিন, হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সোহেল শাহরিয়ার, মাহবুবুর রহমান টিটু, নাসির উদ্দিন মানিক, মশিউর রহমান ইকরাম, ইয়াসির আরাফাত সৈকত, আবুল হোসেন মোহাম্মদ আরফান উল্লাহ ইমাম খান, সেকান্দার শিকদার আকাশ, মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম মাতবর, আবু সালেহ শিকদার, কিলার নাসির, ওমর ফারুক, মোহাম্মদ মারুফ খান, ইশতিয়াক আহম্মেদ জিতু, ইমরান হোসেন জিতু, রাকিবুর রহমান রাকিব, মোরশেদুল আলম পলাশ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ তালুকদার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মারুফ আহমেদ মনসুর, রিফাত হোসেন, সোহেল রানা, ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক নেতা আমিনুল, সামসুল হায়দার উচ্ছল ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বাবুল।

২০২৩ সালের ৫ জুন ৩৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার।

২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শোরুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতিও নিহত হন। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হন টিপুর গাড়িচালক মুন্না।

এ হত্যাকাণ্ডের পর ওইদিন রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়।


আরও খবর



যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর উদাত্ত আহ্বান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইসরাইল-ইরান-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। নারী-শিশু-সব বয়সী মানুষ এর শিকার হয়ে জীবন দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়-বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) সম্মেলনের ৮০তম সেশনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যারা এখনো বিভিন্নভাবে কষ্ট পাচ্ছেন যুদ্ধের কারণে, তাদের দিকে দেখে বিশ্বনেতাদের যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

এ সময় রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলা ও মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিলো মানবিক প্রেক্ষাপট থেকে। কিন্তু তারাই বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দেশটিতে পৌঁছান শেখ হাসিনা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে একান্ত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন।


আরও খবর



হবিগঞ্জে ট্রাক-প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ট্রাক-প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার হরিতলা নামক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মাধবপুর থানার ওসি রাকিবুল ইসলাম খান জানান, রাত দেড়টার দিকে হরিতলা নামক জায়গায় একটি ট্রাকের সঙ্গে প্রাইভেটকারেরে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়েমুচড়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, প্রাইভেটকার থেকে এক নারীসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্বার করা হয়েছে। তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। মরদেহগুলো হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার কবলে পড়া গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে।

তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, সিলেট থেকে মাজার জিয়ারত শেষে ৫ জন ঢাকায় ফিরছিলেন।পথে সিলেটগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে প্রাইভেটকারটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ৫ জন নিহত হয়েছেন।


আরও খবর



রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ শুরু

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীর সর্বসাধারণ বিশেষ করে স্বাধীনতার সপক্ষের মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি রাজশাহী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজের সূচনা করেছেন রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল। এর আগে ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর এখানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর ভাষাসৈনিক প্রয়াত অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু।

শনিবার বেলা ১১ টায় নগরীর পুরাতন সার্ভে ইন্সটিটিউটের জায়গায় পূর্ব নির্ধারিত স্থানে রাজশাহীর শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নির্ধারিত স্থানে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট মজিবুল হক বকু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুবুর রহমান, বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুশান্ত সরকার, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বদিউজ্জামান খায়ের, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগর সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু ও জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুর রশিদ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পাকিস্তানী প্রেতাত্মাদের চক্রান্তে ঘাতকের হাতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যবৃন্দ এবং জাতীয় চার নেতাসহ ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মু: রেজা হাসান।

এসময় বক্তারা বলেন, রাজশাহীবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক বছর আগে ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপু যেস্থানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন, সেখানেই এর নির্মাণকাজ শুরু হলো। ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপু আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর সংগ্রামী জীবনের অংশ হিসেবে এই কাজটিও আমাদের মাঝে চির অমর হয়ে থাকবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণকাজের শুভ সূচনার মধ্য দিয়ে আজ রাজশাহীবাসী ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে এদেশের মুক্তিসংগ্রামের সঙ্গে জড়িত প্রতিটি মানুষের প্রতি অবনত মস্তকে শ্রদ্ধা জানালো।       

তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত কাজ করে চলেছেন, তখনও তাঁর বিরুদ্ধে দেশি বিদেশি চক্রান্ত আর ষড়যন্ত্র থেমে নেই। সেগুলো মোকাবিলা করেই তিনি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আমাদের। একথা আজ প্রতিষ্ঠিত যে, মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার পক্ষে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে গেলেই ঘাপটি মেরে থাকা পাকিস্তানী প্রেতাত্মারা চক্রান্ত করতে থাকে। এতো বছর পর রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হতে যাচ্ছে, এটা নিয়েও হয়তো সেই একই গোষ্ঠী ও তাদের দোসররা নানা চক্রান্ত করতে পারে। কিন্তু আমরা তা কোনোক্রমেই সফল হতে দেবো না।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাসিক কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার টেকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়বুর রহমান, রাজশাহী জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে মাইনুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ, আবুল কালাম আজাদ, তফিকুল ইসলাম, দীলিপ কুমার সরকার, জনাব আলী, আবু জাফর প্রাং, মহিদুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান মাসুদ, শিউলী রানী সাহা, সুলতানা পারভীন রিনা, মোসা. সাজেদা বেগম প্রমূখ।

উল্লেখ্য, রাজশাহী মহানগরীর প্রাণকেন্দ্রে পুরাতন সার্ভে ইন্সটিটিউটের প্রায় ১ একর জায়গাজুড়ে প্রায় ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি নির্মিত হচ্ছে।


আরও খবর