আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

রাজধানীতে নববধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৭

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে এসে অপহরণ ও পরবর্তীতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নববধূ। শনিবার (২৯ জুন) এ ঘটনার মূল হোতাসহ ৭ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে খিলক্ষেত থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, নববধূকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে বনরূপা এলাকার ঝোপঝাড়ের মধ্যে নিয়ে মারধর করে এবং ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। একপর্যায়ে তারা ভিকটিমের স্বামীকে ছেড়ে দেয় মুক্তিপণের টাকা আনার জন্য। ভিকটিমের স্বামী ওই স্থান ত্যাগ করে ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশের সহায়তা চায়। এর মধ্যে আসামিরা ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে মারধর করে ও শারীরিক নির্যাতন করে। ভিকটিম তাদেরকে কাঁদতে কাঁদতে না মারার জন্য বারবার অনুরোধ করে। আসামিরা ভিকটিমের আর্তনাদ কর্ণপাত না করে ভিকটিমের ওপর অমানুষিক অত্যাচার চালিয়ে যেতে থাকে। একপর্যায়ে আসামিরা ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালিয়ে যায়।

এসি ক্যান্টনমেন্ট জোন শেখ মুত্তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে খিলক্ষেত থানার কয়েকটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন।

শেখ মুত্তাজুল ইসলাম বলেন, ওই নববধূ শুক্রবার সন্ধ্যায় তার স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে বের হন। তারা খিলক্ষেত থানা এলাকার ঢাকাময়মনসিংহ মহাসড়কের বনরূপা এলাকায় গেলে সেখানে আবুল কাশেম ওরফে সুমন নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে সাতজনের দল তাদের অপহরণ করে। ভুক্তভোগী নববধূ ও তার স্বামীকে বনরূপা এলাকার ঝোপঝাড়ের ভেতরে নিয়ে যান দুর্বৃত্তরা। পরে স্বামীর কাছে মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। মুক্তিপণের টাকা আনার জন্য ছেড়ে দিলে তিনি বেরিয়ে এসে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। পুলিশ খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বনরূপা এলাকায় যায়। পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা ঝোপঝাড়ের ভেতরে বারবার তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকেন। ভোর ৪টার দিকে পুলিশ সেখান থেকে ভুক্তভোগী নববধূকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যান।

ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। পুলিশ কর্মকর্তা মুত্তাজুল ইসলাম বলেন, ওই নারী পুলিশকে জানিয়েছেন, চারজন দুর্বৃত্ত তাকে ধর্ষণ করেন।

পুলিশের গুলশান বিভাগের ডিসি রিফাত রহমান শামীম বলেন, শুক্রবার রাতে ঘটনাটি জানানোর পরপরই অভিযান শুরু হয়। গ্রেপ্তাররা দলবদ্ধ ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। জড়িত একজন ওই নববধূর পূর্ব পরিচিত।

নিউজ ট্যাগ: দলবদ্ধ ধর্ষণ

আরও খবর



বিজয়ী প্রার্থীর ৫ সমর্থককে কুপিয়ে জখম, কার্যালয় ভাংচুর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতায় পাবনার আটঘরিয়ায় পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় বিজয়ী প্রার্থীর ৫ সমর্থককে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের আসবাবপত্র ও ৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

সোমবার (৩ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- জিয়া (৩৫), বুলবুল ফকির (৪০), রনি (২৬), জাহিদ (৩০), ভোলা (২২)। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় জিয়াকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের আটঘরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. তানভীর ইসলাম ও তার সমর্থকদের অভিযোগ, উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে থেকে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নেতাকর্মীরা বাড়ি ফেরার পথে ইশারত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে পৌঁছালে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা অবস্থায় প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান পদে পরাজিত প্রার্থী মো: সাইফুল ইসলাম কামালের সমর্থক জুয়েল, শাহ আলম ও প্রিন্স নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে পাঁচজনকে আহত করে।

নড়িয়ায় পঞ্চাশ বছরের অবৈধ খাল দখলমুক্ত করলেন ইউএনও পরে তারা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঢুকে আসবাবপত্র, টেলিভিশন, বঙ্গবন্ধুর ছবি ও তিনটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।

এ বিষয়ে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, আমার ঘোড়া প্রতীকে যারা নির্বাচন করেছে তাদের উপর নেমে এসেছে জুলুম হামলা ও মারধর। আমার নেতাকর্মীদের ঠিকমতো বাড়ি থেকে বের হতে দেয়া, কাজ কর্মে যাওয়ায় বাধাসহ প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রয়েছে। বিজয়ী প্রার্থী নিজে থেকে ঘটনা সাজিয়ে সেটা আমার ও আমার নেতাকর্মী সমর্থনদের উপর চাপাচ্ছে।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম। তিনি বলেন, ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে এলাকা শান্ত রয়েছে।

আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাদিউল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেলেই মামলা দায়ের করা হবে।


আরও খবর



আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টু সদুত্তর দিতে না পারলে গ্রেফতার: হারুন

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে।

ডিবির তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। সে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে মিন্টু যদি কোনো সদুত্তর দিতে না পারেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা (গ্রেফতার) নেবেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

বুধবার (১২ জুন) বিকেলে মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুর কাছে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বিচার বিশ্লেষণের পরেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাইদুল করিম মিন্টুকে ডাকা হয়েছে। মিন্টুর কাছে তথ্যগুলো জানতে চাওয়া হবে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে যদি মিন্টু সদুত্তর দিতে পারেন তবে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর যদি কোনো প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারেন তবে তদন্তের ধারাবাহিকতায় যা করার তাই করা হবে।

মিন্টুকে গ্রেফতার না দেখিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান বলেন, আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। সে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে মিন্টু যদি কোনো সদুত্তর দিতে না পারেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা তখনই আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে নিয়ে আসি। আমরা যখন কাউকে নিয়ে আসি অবশ্যই কিছু তথ্য-উপাত্ত থাকে। প্রমাণের ভিত্তিতেই তাকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করি। জিজ্ঞাসাবাদে গ্যাস বাবু অকপটে স্বীকার করেন যে, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়া ঘাতক শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছিলেন। শিমুল ভূঁইয়া গ্যাস বাবুকে এমপি আনার হত্যার পর ছবি দেখিয়েছেন।

১৬ তারিখেই (১৬ মে) যদি হত্যাকাণ্ডের তথ্য ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু ও গ্যাস বাবু জেনে থাকেন তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তারা কেন জানালেন না? এটিও অপরাধ। এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, হ্যাঁ এটি সঠিক। কেন তারা হত্যাকাণ্ডের বিষয় গোপন করলেন এটিই জানতে চাওয়া হবে।

এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত দুজনের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা পেয়েছেন। এমন আরও কতজন রাজনৈতিক ব্যক্তির সম্পৃক্ততা রয়েছে হত্যাকাণ্ডের পেছনে? এই প্রশ্নের উত্তরে ডিবিপ্রধান বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক গ্যাস বাবু রিমান্ডে রয়েছেন এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এছাড়াও অনেকের সম্পর্কে তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। সবকিছু ধীরে-সুস্থে এগোচ্ছি। এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, যারা নির্দেশ দিয়েছেন এবং এর সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এটাও বলে রাখতে চাই, কারও প্ররোচনায় কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিতে কোনো হয়রানি করা হবে না।

তদন্তকারী কর্মকর্তারা স্বাধীনভাবে সব মামলার ঘটনা তদন্ত করেন জানিয়ে তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের ওপর কোনো চাপ প্রয়োগ করে না। কারণ তারা জানে ডিবির সব চৌকস টিম মামলার তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধী দেশে কিংবা বিদেশে থাকলেও তাদেরকে খুঁজে বের করে আনে। কোনো নিরীহ লোককে হয়রানি করার প্রশ্নই আসে না।

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, খুনিরা ঠান্ডা মাথায় এমপি আনারকে খুন করার পর মরদেহ গুম করেন। আমরা বাংলাদেশ থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করি। এরমধ্যে মূলঘাতক আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া জিজ্ঞাসাবাদে সবকিছু স্বীকার করেছেন। আনার হত্যার ঘটনা ঘটেছে কলকাতায়। আমরা কলকাতায় গিয়েছিলাম এবং সেখানে গ্রেফতার আসামির সঙ্গে কথা বলেছি।


আরও খবর



সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

Image

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি তিন যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৩) দুপুরে সৌদি আরবের আল আলিফ শহরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ৩নং দক্ষিণ আলগী ইউনিয়নের চরভাঙ্গা গ্রামের ইসমাইল ছৈয়ালের ছোট ছেলে সাব্বির, একই ইউনিয়নের বর্ডারফুল এলাকার জামাল চৌকিদাদের ছেলে সবুজ চৌকিদার ও ২নং আলগী দূর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রিফাত।

শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল ১০টায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

২নং আলগী দূর্গাপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, তারা তিনজন সৌদি আরবের আল আলিফ শহরে কর্মরত ছিলেন। সেখানেই সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন মারা যান। তাদের মরদেহ দেশে আনার জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে।


আরও খবর



১৩০ মিলিয়ন ডলার নিয়ে গেছেন বিদেশি নাগরিকরা: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকরা তাদের আয় থেকে ১৩০.৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিজ নিজ দেশে নিয়ে গেছেন।

সোমবার (২৪ জুন) সংসদে ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের আজাদের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

অর্থমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের বছরে আয় সংশ্লিষ্ট তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সংরক্ষিত নেই। গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকরা তাদের আয় থেকে ১৩০.৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিজ নিজ দেশে নিয়ে গেছেন।

কোন দেশের নাগরিকরা কত ডলার নিয়েছেন সেই তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভারতের নাগরিকরা ৫০.৬০ মিলিয়ন ডলার, চীনের নাগরিকরা ১৪.৫৬ মিলিয়ন ডলার, শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা ১২.৭১ মিলিয়ন ডলার, জাপানের নাগরিকরা ৬.৮৯ মিলিয়ন ডলার, কোরিয়ার নাগরিকরা ৬.২১ মিলিয়ন ডলার, থাইল্যান্ডের নাগরিকরা ৫.৩০ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা ৩.৫৯ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের নাগরিকরা ৩.২৪ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা ৩.১৭ মিলিয়ন ডলার, মালয়েশিয়ার নাগরিকরা ২.৪০ মিলিয়ন ডলার ও এর বাইরে অন্যান্য দেশের নাগরিকরা ২১.৯২ মিলিয়ন ডলার নিজ দেশে নিয়ে গেছেন।

এমপি আব্দুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অর্থ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। মূল্যস্ফীতির চলমান সংকটের মূলে যে কারণগুলো রয়েছে তা হলো বৈশ্বিক পণ্য বাজারে সরবরাহে অনিশ্চয়তা, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া এবং দেশের বাজারে সরবরাহ শৃঙ্খলে ত্রুটি। অর্থনৈতিক এ সংকট কাটিয়ে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে।


আরও খবর



সুন্দরগঞ্জে উদ্বোধনের আগেই দেবে গেল ৩০ লক্ষ টাকার ব্রিজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল রানা, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা খেয়া ঘাটে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২০০ মিটার কাঠের ব্রিজ উদ্বোধনের আগেই দেবে গেলো।

উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সুত্রে জানাযায়, গত ২০২২/২০২৩ অর্থ্যবছরে কাগজ কলমে ব্রিজের কাজ শেষ হলেও ব্রিজের কাজ এখনো শেষ হয়নি। নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার কথা ২০২২ সালের আগষ্ট মাস আর শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের মে মাসে। ২০০ মিটার দৈর্ঘ্য আর ৬ মিটার প্রস্থের সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৩০ লাখ টাকা। তবে ব্রিজ নির্মাণ না করেই কাজ সম্পন্ন দেখিয়েছে উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর। বরাদ্দকৃত টাকা বিষয়টি স্থানীয় জনগণে নজরে আসলে উপজলা প্রকৌশলী অভিদপ্তরে খোঁজখবর করলে কাঠের ব্রিজের কাজ শুরু করেন। কাঠের ব্রিজ নির্ধারিত সময়ে কাজ না করে অসময় ব্রিজের কাজ শুরু করেন ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান। ২০২২-২০২৩ এর এডিপির বরাদ্দে কাজটি পায় রানা এন্টারপ্রাইজ নামক গাইবান্ধার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে কাজটি ক্রয় করে স্থানীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিনথিয়া কন্ডাকশন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। 

বর্তমানে কাঠের ব্রিজের কাজ প্রায় ৮৫ শতাংশ কাজ সস্পন্ন হয়েছে। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাত ১০টার দিকে সেন্টারিংয়ের সিসি পিলারের নিচের মাঠি সরে গিয়ে মাঝখানে ২ ফুট দেবে যায়। ফলে বেলকা এলাকার খেয়া ঘাটে নদীর উপর নির্মাণকৃত কাঠের ব্রিজে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে স্থানীয় জনগণ। তবে নদীতে একটু স্রোত বারলেই ব্রিজটি ভেঙ্গে পরে যাবে।  ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ব্রিজ কোন কাজেই আসবে না। এতে একদিকে যেমন সরকারের ৩০ লক্ষ টাকা অপচয় হচ্ছে। অন্যদিকে কয়েকহাজার মানুষের দুর্ভোগ আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। ফলে নির্মাণকৃত ব্রিজ কোনও কাজেই আসছে না।

ঠিকাদার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর গাফিলতিতে ব্রিজ নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই দেবে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বেলকা এলাকার বাসিন্দা সুরুজ্জামান বলেন, এর আগে এখানে কোনো ব্রিজ ছিলো না নৌকা দিয়ে পারাপার করা লাগতো। এতে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এবার একটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণ হচ্ছে জেনে আনন্দিত হয়েছিলাম। এখন দেখছি নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই হেলে দেবে পড়েছে কাঠের ব্রিজ।

স্থানীয় জাহিদুল মিয়া বলেন, আমরা ব্রিজের কষ্টে আছি। ব্রিজ না থাকায় এলাকায় কেউ ছেলে মেয়ে বিয়ে দিতে চান না। যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে জমির দামও কমে গেছে। এবার যদি কাঠের ব্রিজ হচ্ছে তাহলে হয়তো একটু উন্নয়নে মূখ দেখবো এখন দেখি ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ারের গাফিলতিতে নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই সেতুটি দেবে গেছে। সেতু দেবে যাওয়ায় আরও দুর্ভোগ বাড়ল।

বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্যাহ বলেন, দুর্ভোগ লাঘবে কাজটি শেষ করার জন্য বারবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন কোনো কথাই শোনেন না। এই মুহূর্তে ব্রিজটি দেবে যাওয়ায় স্থানীয়সহ আশপাশের এলাকার প্রায় কয়েক হাজার মানুষের দুর্ভোগ আবার বেড়ে গেল। তিনি আরও জানান, এটা দুঃখজনক। সরকারি অর্থের অপচয় করার জন্য বাস্তবায়নকারীদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাগির খাঁন বলেন, এই কাজটি রানা এন্টারপ্রাইজ নামক জেলা একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি আমাকে করতে বলে তাই কাজটি আমি বাস্তবায়ন করি। তবে কাজটি গত জুনের আগেই মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নাফ জানান, তিনি এই উপজেলায় যোগদানের পুর্বে এই কাঠের ব্রিজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এবিষয়ে তেমন কিছু জানিনা। তবে ব্রিজটি পিলার দেবে গিয়েছে এর উপর দিয়ে চলাচল এখন ঝুঁকি সম্পন্ন তাই চলাচল বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিবেন।

তিনি আরও বলেন, কাঠের ব্রিজ নির্মাণের কাজ ঠিক ছিলো না। নির্মাণের নিয়ম অনুসারেই কাজ ব্যাপক অনিয়ম করেছে। সঠিক ভাবে ব্রিজে পিলার বসানো হয় নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তারিকুল ইসলাম জানান, কাঠের ব্রিজ দেবে যাওয়ার বিষয়টি খুবেই দুঃখজনক। তবে একটি তদন্ত কমিটির  মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

নিউজ ট্যাগ: সুন্দরগঞ্জ

আরও খবর