আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

রাজীবপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৬ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলায় বড়শি দিয়ে মাছ ধরার সময় পুকুরের পানিতে ডুবে আরাফাত (১৩) ও রিদন (৩) নামে দুই খালাতো ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়াইডাংগি এলাকায় বাড়ির পাশের পুকুর থেকে নিথর দেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

নিহত আরাফাত রৌমারী উপজেলার মানচার চর গ্রামের সাইফুদ্দীনের ছেলে এবং রিদন রাজীবপুর উপজেলার বড়াই ডাঙ্গী গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে। তারা রাজীবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়াইডাংগি এলাকার নানা মো. আবু বক্কর ও ফজলুল হকের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে এ দুই শিশু বাড়ির পাশের পুকুরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার কোনো এক সময় পানিতে পড়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেলে পুকুরে তাদের পায়ের জুতা ভাসতে দেখে পরিবারের সদস্যরা। তাৎক্ষণিক ভাবে তাদের উদ্ধার করে রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুস সামাদ মৃত ঘোষণা করেন।

রাজীবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুই শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



গরু বিতর্কের জবাব দিলেন আশনা হাবিব ভাবনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

মাঝেমেধ্যেই বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মতামত জানান অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। এই তো গত শুক্রবার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে নিজের আবেগ উপচে দিয়েছেন তিনি। ছবিতে দেখা যায়, একটি ট্রাকে কিছু গরু রয়েছে। একটি গরুর চোখ ছলছল। সেই ছবির ক্যাপশনে ভাবনা লিখেছেন, আমার কান্নার শব্দ কি শোনা যায় তোমার শহরে। ওমনি ভাইরাল হয়ে যায় পোস্টটি।

মাসখানেক পরই ঈদুল আজহা। এ কারণেই ওই ছবির ক্যাপশন পড়ে ভাবনার ওপর চটেছেন নেটিজেনরা। তাদের একাংশ ভেবে নিয়েছেন, গরুর প্রতি মায়া দেখিয়ে ভাবনা হয়তো ঈদে পশু কেরাবানির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। যদিও ভাবনার পোস্টে কোরবানি দেওয়া কিংবা না দেওয়ার পক্ষে-বিপক্ষে কোনো বক্তব্যই ছিল না।

হয়তো পোস্ট করার পর কমেন্ট অপশন বন্ধ করে দিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। তাই তো দেড় হাজার শেয়ার হওয়া পোস্টে কমেন্ট মোটে তিনটি। ওই পোস্টে বয়ে গেছে হা-হা রিয়েক্টের বন্যা। মন্তব্যের ঘর খোলা না পেয়ে পোস্ট শেয়ার করেই ভাবনাকে এক হাত নিয়েছেন নেটিজেনরা। অভিনেত্রীর এই পোস্টটি গত কয়েকদিন ধরেই আছে তুমুল আলোচনায়। শেষমেশ মঙ্গলবার রাতে নাতিদীর্ঘ আরেকটি পোস্ট করে গরুর ছবিতে ওই ক্যাপশন দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন অভিনেত্রী।

ভাবনা তার পোস্টে জানিয়েছেন, ছবি তুলতে পছন্দ করেন তিনি। যেই ছবি তাকে ভাবায়, সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন অভিনেত্রী। গরুর ছবিটি যেদিন তুলেছিলেন, সেদিন ছিল তীব্র তাপদাহ। দীর্ঘসময় গরমে থাকায় ভীষণ কাঁদছিল গরুটি। অবলা প্রাণীর কান্না ভাবনার সমস্ত চৈতন্যকে স্পর্শ করেছিল। সেই অনুভূতিই প্রকাশ করেছেন ছবির ক্যাপশনে।

গরুর বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করে অনেকেই বেশ বাজে কথা শুনিয়েছেন অভিনেত্রীকে। কেউ কেউ ইঙ্গিতপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ করেছেন ভাবনাকে। তাকে কেউ-কেউ গাভীর সঙ্গে তুলনা করেছেন। এমনকি অভিনেত্রীকে দেশছাড়া করার আহ্বানও জানিয়েছেন নেটিজেনদের কেউ কেউ। এ ছাড়া কবে কোথায় ভাবনা গরুর মাংস খেয়েছেন ও রেঁধেছেন, সেসব পুরোনো পোস্টও খুঁজে-খুঁজে বের করে পোস্ট করেছেন অনেকে।

সেসবের উত্তরে ভাবনা তার পোস্টে জানিয়েছেন, তিনি কোথাও লেখেননি যে তিনি গরুর মাংস খান না। এমনকি কাউকে গরুর মাংস না খেতেও উৎসাহিত করেননি এই অভেনেত্রী। ভাবনার ভাষ্য, একটি প্রাণীর কান্না দেখে যে কেউ কেঁদে উঠতে পারেন, এটাই স্বাভাবিক।

ভাবনা আরও জানান, তিনি প্রকৃতিপ্রেমী নাকি প্রাণীপ্রেমী, সেটার প্রমাণ কোথাও দিতে রাজি নন। এ ছাড়া ফেসবুকের একটি পোস্টেই তো আর কোনো বিষয়ে তার অবস্থানের প্রমাণ হয় না। তবে গরুর ছবিটি নিয়ে তিনি আরও লিখবেন। নিজের কবিতা, গল্পে কিংবা চিত্রে পরবর্তী গরুর বিষয়টি তুলে আনবেন তিনি। কেননা, ভাবনা মনে করেন, শিল্পীর বেদনা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তাই তার দিকে ছুঁড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করে নিজের পোস্টের ইতি টেনেছেন অভিনেত্রী।


আরও খবর



নয়াপল্টনে চলছে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে শ্রমিক দলের উদ্যোগে দুপুর সাড়ে ৩টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হয়।

তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে সমাবেশে যোগ দিতে নয়াপল্টনে জড়ো হয়েছে শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা। বেলা ১২টার পর থেকে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় নেতাকর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়াপল্টন সরগরম হয়ে উঠে।

৫টি ট্রাকের উপর অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন ইউনিট থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শ্রমিক নেতা-কর্মীরা কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে, নেচে-গেয়ে, নানা রঙ্গের পোশাক পরে তারা সমাবেশে অংশ নিয়েছে। মাথায় লাল ক্যাপ পরিধান করেছেন সমাবেশে আসা নেতাকর্মীরা।

এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও বক্তব্য রাখবেন জাতীয়, শ্রমিক ও অঙ্গ সংগঠন নেতারা। সভাপতিত্ব করছেন শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া সাদা পোশাকে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিতি রয়েছেন।


আরও খবর



ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়কে ঝরল ৪০৭ প্রাণ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঈদ এলেই সড়কে দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সদ্য বিদায়ী ঈদে মানুষের যাতায়াতে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ৪০৭ জন মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছেন।

এ সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ২১ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ২টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ৫ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় জন ৪৩৮ নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টর্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরীর এসব তথ্য জানান। সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছে। গত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪.০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ২৪০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯.৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০.৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০.৩৭ শতাংশ প্রায়। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পাশাপাশি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতালে) সড়ক দুর্ঘটনায় আহত। ৬৫৮ জনের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ৬০৮ জন আহত রোগীর তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়ক, রেল ও নৌ-পথে গত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে অবকাঠামো ভালো হওয়ায় যানবাহনের গতি বেড়েছে। গতিকে নিরাপদ করার মতো আইনি কাঠামো, দক্ষ চালক, মানসম্মত যানবাহনের অভাব রয়েছে। আইন প্রয়োগে দুর্নীতির কারণে জাতীয় মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নিষিদ্ধ ত্রি-হুইলার, ইজিবাইকের মতো যানবাহন অবাধে চলছে। এছাড়াও ছোট ছোট যানবাহন মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ইজিবাইকের অস্বাভাবিকহারে বেড়ে যাওয়ার কারণে সড়কে বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। তিনি মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের আমদানি বন্ধ করে দেশব্যাপী উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। ফিটনেস বিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধ করা, পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন ঠেকানো, আইন প্রয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ, চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনির্দিষ্ট করা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে গণপরিবহনগুলোতে নগন অর্থ বন্ধ করে ডিজিটাল লেনদেন চালুর দাবি জানাচ্ছি।

সংগঠনটি দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ ঈদে যাতায়াতকারী ব্যক্তিগত যানের চালকদের রাতে এসব জাতীয় সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালানো; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টার্নিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্র্যাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযথভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্র্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুরদ্রোচ্ছা খান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ আব্দুল হক, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, মো. মহসিন প্রমুখ।


আরও খবর



আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা মঙ্গলবার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আগামী মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তা জানানো হয়েছে। কার্যনির্বাহী সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন।


আরও খবর



মমেক হাসপাতালে কুকুরের সঙ্গে রোগীদের বসবাস

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) তিনগুণের বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগী ও তাঁদের স্বজনদের। এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছয় জেলা ছাড়াও বিভিন্ন জায়গার রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন।

জানা গেছে, হাসপাতালটিতে গড়ে প্রতিদিন ৩০০০-৩২০০ রোগী ভর্তি হয়ে থাকেন। এতে শয্যা সংকটের কারণে মেঝে ও বারান্দায় শুয়ে সেবা নিতে হচ্ছে অনেককে। চিকিৎসা সেবার মান নিয়েও রয়েছে জনমনে নানা প্রশ্ন। এতে করে সরকারি হাসপাতালের সেবা নিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই। জরুরি সেবা ছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোতেই যেন স্বস্তি রোগীদের।

এদিকে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বারান্দা এবং শয্যাগুলোতে অবাধেই ঘোরাফেরা করছে কুকুর। সিঁড়ির কোনায় কোনায় জমে আছে ময়লার স্তূপ। হাসপাতাল ভবনের ভেতরে কুকুরের অবাধ বিচরণের কারণে রোগী এবং স্বজনদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীন ভূমিকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা রয়েছেন চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা জানান, সরকার যখন পুরো দেশবাসীকে সচেতন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে নানামুখী কর্মসূচি নিচ্ছে সেই মুহূর্তে হাসপাতালের ভেতরে কুকুরের অবাধ আনাগোনা কাম্য নয়। কারণ কুকুর জলাতঙ্ক রোগ বহন করে। সেই কুকুরগুলো হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে রয়েছে। হাসপাতালটি কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ টেক্স লইয়ার্স এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এডভোকেট সাদিক হোসেন বলেন- এই যদি হাসপাতালে অবস্থা হয় কুকুর এবং মানুষ কি একসাথে বসবাস করতে পারে। এটাতো একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি। এটা নিয়ে মন্তব্য করার কোন ভাষা নেই।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডা: জাকিরুল ইসলামকে গতকাল রবিবার রাত ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর