আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

রাজমিস্ত্রি হয়েও লিখেছেন কাব্যগ্রন্ত্র, গল্প, উপন্যাসসহ ১৪টি বই

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

বাঁচার তরে লড়ি রে ভাই, বাঁচার তরে লড়ি, পৃথিবী নামক রণাঙ্গনে আমি এক রাজমিস্ত্রি।

ভাবিনি নিজের কথা সাজাই পরের রাজ্য, আছে কি-না খানা পেটে, করি না তা গ্রায্য।

অস্ত্র আমার কর্নি ঊষা পাট্টা শল হাতুড়ি।

পৃথিবী নামের রণাঙ্গনে আমি এক রাজমিস্ত্রি।

তীব্র তাপের সাথে লড়ে রক্ত করি ঘাম।

বিদ্রোহী রাজ্য ছিনিয়ে আনি আরাম।

পেশায় রাজমিস্ত্রি হয়েও অদম্য ইচ্ছার বলে প্রত্যন্ত গ্রামে সাহিত্য চর্চা করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লেখক মো. জমির হোসেন পারভেজ। অভাবের সংসারে যেখানে পেট চালানো দায়, তখনও থেমে নেই তার সাহিত্য চর্চা। এভাবে কঠিন জীবন সংগ্রামের মধ্যে তিনি লিখেছেন কাব্যগ্রন্থ, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ও সম্পদনাসহ ১৪টি বই। তার লেখা প্রায় ৩০টির ওপরে নাটক স্থানীয়ভাবে মঞ্চায়িত হয়েছে।

তার লেখা বইগুলো হলো প্রিয়ার মুখটি চোখে ভাসে, হতাশার প্লাটফর্ম, প্রিয়ার বুকে উড়না, প্রসূতির কান্না, বজ্র কণ্ঠের হুংকার, চৈত্রের আকাশ আগুনে পুড়ে, ৭১ এর রক্ত ক্ষরণ, সে একটি হৃদয়ের প্রত্যাশা ও অভ্যুদয়ের ডাক। সম্পাদনা করেছেন ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দান বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, রাসেল একটি গল্পের নাম নয়, একটি স্বপ্নের অপমৃত্যু, ছোটদের মুক্তিযুদ্ধে ৭১ গল্প, ছোটদের শেখ হাসিনা। তার বইগুলো প্রকাশ করেছে আঞ্জুমান পাবলিকেশন, সত্য কথা প্রকাশনী, তানিয়া বুক ডিপো ও ইমন প্রকাশনী।

কবি জমির হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের সেমন্তঘর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে জমির তৃতীয়। স্কুল জীবন থেকেই তার কবিতা লেখা শুরু। এরপর তিনি একের পর এক লিখে যাচ্ছেন। অভাব অনটনের কারণে এসএসসি পাশ করার পর আর লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি। প্রায় ১০ বছর বন্ধ থাকার পর আবার বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ব বিদ্যালয়ের মাধ্যমে এইচএসসি ও ডিগ্রি পাশ করেন। অর্থ ও পরিবারের চাপ থাকলেও তিনি থেমে যাননি। লড়াকু সৈনিকের মত অর্থের কষাঘাত স্বত্বেও সাহিত্য চর্চা করে চলেছেন নিয়মিত।

কথা হয় লেখক ও কবি মো. জমির উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার জীবন চলার পথ স্বাভাবিক ছিল না। দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে আমাকে এগিয়ে যেতে হয়েছে। আমার প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয় ২০০৫ সালে। বইটির নাম প্রিয়ার মুখে চোখে ভাসে। এই সময় আমার কাছে একটি টাকাও ছিল না। তখন আমার বাবাকে বলেছিলাম আমার টাকা লাগবে। তখন বাবা কোনো উপায় না পেয়ে সুদের ওপর তিন হাজার টাকা এনে দিয়েছিলেন আমাকে। সেই টাকা দিয়ে বইটা প্রকাশ করি। দ্বিতীয় পর্যায়ে আমার হতাশার প্লাটফর্ম নামের বইটি প্রকাশ হয়েছিল। তখনও আমার কাছে টাকা ছিল না। তখন আমার বিয়ের আংটি ও স্ত্রীর মাটির ব্যাংকের জমানো টাকা দিয়ে কাব্যগ্রন্থ বইটি বের করি। পরবর্তীতে প্রত্যেকটি বই বের করতে গিয়ে আমার বন্ধুমহল শুভাকাঙ্ক্ষীরা আমাকে সহযোগিতা করেছে।

তিনি বলেন, একজন রাজমিস্ত্রি হয়েও সংসার চালিয়ে অভাবের দুর্গম পাহাড়ে ওপর থেকেও বেঁচে থাকার যে কষ্ট একমাত্র আমিই বলতে পারি। তারপরও আমি সাহিত্য চর্চা ছেড়ে দূরে সরে যাইনি। না খেয়েও আমি সাহিত্য সাধনা করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমি এখন পর্যন্ত নয়টি কাব্যগ্রন্ত্র, গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস লিখেছি। সম্পাদনা করেছি পাঁচটির মত বই। আমার লেখা প্রায় ৩০টির ওপরে নাটক স্থানীয়ভাবে মঞ্চায়িত হয়েছে। আরও ১২টির মত বই লেখার কাজ চলছে। বই প্রকাশিত হওয়ার বিষয়ে সরকারিভাবে যদি আমাকে সহায়তা করা হয়, তাহলে আমি আরও বই লিখতে পারব। এছাড়া আমার লাইব্রেরিকে যদি সরকার বই দিয়ে পরিপূর্ণ করে দেয় তাহলে সাহিত্য সাধনা করে জাতীয় পর্যায়ে যেতে পারব।

জমির হোসেন পারভেজের স্ত্রী সালমা সুলতানা বলেন, আমার বিয়ের সময় শুনেছি তিনি স্কুল জীবন থেকে কবিতা লিখা শুরু করেন। বিয়ের পর তার লেখা একটি বই বের করতে গিয়ে বিয়েতে উপহার পাওয়া স্বর্ণের আংটি বিক্রি করে বইটি বের করেছিলেন। অভাব অনটনে সংসার চললেও আমার স্বামীকে আমি সাহিত্য চর্চায় সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

জমির হোসেন পারভেজ শুধু একজন সাহিত্য প্রেমীই নন, অভিনয়েও রয়েছে তার অসামান্য দক্ষতা। তার সম্পর্কে সেমন্তঘর মানব কল্যাণ যুব সংগঠন ও গণ মেধাবিকাশ পাঠ্য গ্রন্থাগারের সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন বলেন, কবি জমির হোসেন পারভেজ একজন সাদা মনের নিরহংকার মানুষ। তিনি তার লেখনীর মাধ্যমে সমাজের অন্ধকার ও কুসংস্কার দূর করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি একসঙ্গে লেখক, অভিনেতা ও নাট্য নির্মাতা। আমি তার প্রত্যাশিত সফলতা কামনা করছি।

স্থানীয় লোকজন বলেন, জমির হোসেন পারভেজ একজন লড়াকু সৈনিক। সংগ্রাম করে ও আর্থিক কষাঘাতে তার জীবনটা বড় হয়েছে। স্কুল জীবন থেকে লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে বাবার সঙ্গে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। মাধ্যমিক পড়াশোনা সময়ে তার লেখালেখি শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে তার লেখালেখি যখন ছড়িয়ে পড়ে, তখন আর্থিক সংকটের কারণে লেখালেখি বন্ধ হওয়ার পথে ছিল। পরে প্রবাসী ও গ্রামের লোকজন তাকে বই প্রকাশ করতে আর্থিকভাবে সহায়তা করে। প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করেও তিনি সাহিত্য সাধনা করছেন নিয়মিত।

প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুণী এই ব্যক্তিকে এগিয়ে নিলে দেশের সাহিত্য চর্চা আরও সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করছে স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, জমির হোসেন পারভেজ একজন দিনমজুর। যিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করেও সাহিত্য চর্চা, গান ও নাটক লিখেন। জানতে পেরেছি, তার এলাকার শিক্ষার্থীদের শিক্ষানুরাগী করার জন্য লাইব্রেরি স্থাপন করতে চাচ্ছেন। আমরা শিক্ষা সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বিষয়গুলো উৎসাহিত করে আসছি। তিনি যদি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন, তাহলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে সহায়তা করা হবে।


আরও খবর



ঢাকায় পৌঁছেছে ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মৃতদেহ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মৃতদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিউনিসিয়া থেকে সৌদি এয়ারলাইন্সের এসভি ৮০৮ বিমানে দেশে পৌঁছে ওই আট বাংলাদেশির মৃতদেহ। বিমানবন্দর কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) লিবিয়ায় নিযুক্ত ও তিউনিসিয়ার অনাবাসিক দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল অব আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশারের উপস্থিতিতে মিশনের কর্মকর্তারা মৃতদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় নৌকায় লিবিয়ার জোয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে তিউনিসিয়া উপকূলে গেলে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকায় মোট ৫২ জন যাত্রী এবং একজন চালক ছিলেন। দুর্ঘটনার পর ৪৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক। বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের আট জন, সিরিয়ার পাঁচ জন, মিসরের তিন জন এবং নৌকা চালক রয়েছেন।

ওই ঘটনায় নৌকায় থাকা ৯ জন যাত্রী মারা যান। তাদের মধ্যে আট জন বাংলাদেশি এবং একজন পাকিস্তানের নাগরিক। নিহত বাংলাদেশিরা হলেন মামুন শেখ, সজল বৈরাগী, নয়ন বিশ্বাস, রিফাত শেখ, সজীব কাজী, ইমরুল কায়েস আপন, মো. কায়সার ও রাসেল শেখ। তাদের মধ্যে পাঁচ জন মাদারীপুরের এবং তিন জন গোপালগঞ্জের।

ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান বলেন, ওই নৌকায় থাকা আরও ১১ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে মাদারীপুর রাজৈর উপজেলার দুই জন ব্র্যাকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা অভিযোগ করেন, ওই আট জন বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় যেহেতু একটা মামলা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে বিস্তারিত উঠে আসবে বলে আশা করছি‌।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ১৯ এপ্রিল ঢাকার বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন নিহত সজল বৈরাগীর বাবা সুনীল বৈরাগী। মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংঘবদ্ধভাবে খুনের ৩০২ এর ৩৪ ধারা এবং মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের দুদিন পর তাদের আটক করা হয়।

মামলার এজাহারে সুনীল বৈরাগী অভিযোগ করেন, তার ছেলে সজল বৈরাগী উন্নত জীবনের আশায় ইতালি যেতে ইচ্ছুক ছিলেন। পূর্ব পরিচিত যুবরাজ কাজী (২৪) এবং লিবিয়ায় অবস্থানরত মোশারফ কাজী ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে সজলকে বৈধ পথে ইতালি পাঠানোর প্রস্তাব দেন। সজল ও তার পরিবার এই প্রস্তাবে রাজি হন। গত বছর ১৭ নভেম্বর গোপালগঞ্জের বাসায় যুবরাজ কাজীর হাতে আড়াই লাখ টাকা এবং পাসপোর্ট দেন সজল। ৩০ ডিসেম্বর সজলকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। বিমানবন্দরে প্রবেশের আগেই আরও ৫ লাখ টাকা নেন যুবরাজ কাজী। ৩১ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন সজল।

৮ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের বাসায় গিয়ে যুবরাজ কাজীর হাতে আরও সাড়ে ৬ লাখ টাকা দেন সুনীল বৈরাগী। এরপর থেকে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি। পরে গণমাধ্যমে জানতে পারেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর ৪টার মধ্যে লিবিয়া থেকে ইতালি অভিমুখে যাত্রা করা একটি ট্রলারে যে আট বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন তার মধ্যে সজল রয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ২০ জনের একটা চক্র পারস্পরিক যোগসাজশে উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে ওই আট জনকে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করেন।


আরও খবর



প্লাস্টিক দূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী কোকা-কোলা ও পেপসিকো: গবেষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক দূষণের অর্ধেকের জন্য দায়ী মাত্র ৫৬টি কোম্পানি। এর মধ্যে কোকা-কোলা একাই মোট ১১ শতাংশ প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। কোকা-কোলা ছাড়াও ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে (শনাক্তকৃত) পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) 'সায়েন্স অ্যাডভান্স' জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় ছয়টি মহাদেশের বেশ কিছু বড় কোম্পানি বা ব্র্যান্ড এর নাম উঠে এসেছে, যারা ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের সাথে জড়িত। গবেষকরা এক লাখের বেশী স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় ১ দশমিক ৮ মিলিয়নের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য তাদের গবেষণার জন্য আলাদা করেছেন।

প্রতি বছর বিভিন্ন কোম্পানি সাড়া পৃথিবীতে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মেট্রিক টন প্লাস্টিক উৎপাদন করে। এই প্লাস্টিকের কিছু নদী বা সমুদ্র সৈকতে জমা হয়ে পানির স্বাভাবিক স্রোতে বাধা সৃষ্টি করে। আবার কিছু প্লাস্টিক ভেঙ্গে অতিক্ষুদ্র মাইক্রোপ্লাস্টিক বা ন্যানোপ্লাস্টিকেও পরিণত হয়। এ ধরনের অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক বাতাসে ভাসতে পারে। এমনকি মানুষের ফুসফুস ও রক্তসহ অন্যান্য অঙ্গে প্রবেশ করতে পারে।

তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্লাস্টিক 'নিরীক্ষা' পরিচালনা করেছেন। তারা সতর্কতার সাথে সমুদ্র সৈকত, পার্ক, নদী এবং অন্যান্য এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করেছেন। তারা প্লাস্টিক বর্জ্যের প্রতিটি অংশ পরীক্ষা করে দৃশ্যমান ব্র্যান্ড বা ট্রেডমার্ক চিহ্নিত করেছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক নামের সংস্থাটি এক হাজার ৫৭৬টি নিরীক্ষা সমন্বয় করেছে।

পরীক্ষা চালানো ১ দশমিক ৮ মিলিয়নেরও বেশি প্লাস্টিকের মধ্যে প্রায় ৯ লাখ ১০ হাজার প্লাস্টিকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্ন পাওয়া গেছে। [সূর্যালোক এবং আবহাওয়ার সংস্পর্শে আসার কারণে প্লাস্টিক তার ব্র্যান্ড মার্কারগুলো (চিহ্ন) হারাতে পারে।]  ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্নের ওপর ভিত্তি করে ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলো (শনাক্তকৃত) হলো কোকা-কোলা, পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

কোকা-কোলার একজন মুখপাত্র মেইলে কোম্পানিটির 'ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েস্ট' নামক কৌশলের কথা উল্লেখ করে জানান, কোকা-কোলা ২০২৫ সালের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে কোম্পানিটি প্যাকেজিংয়ের জন্য ৫০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করতে চায়।

এ ছাড়া নেসলে জানিয়েছে, নতুন প্লাস্টিকের ব্যবহার এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা এবং প্যাকেজিংয়ের জন্য আরো বেশি করে পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করা কোম্পানির মূল লক্ষ্য। আর পেপসিকো ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়েছে, কোম্পানিটি প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় একটি বৈশ্বিক নীতি কাঠামোর পক্ষে এবং এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে কাজ করছে যেখানে প্লাস্টিক পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব।

এদিকে বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক সমস্যা সমাধানে একটি চুক্তি করার ব্যাপারে আলোচনার জন্য এই সপ্তাহে অটোয়াতে বিশ্ব নেতারা এবং মধ্যস্ততাকারীরা একত্রিত হবেন। অনেক পরিবেশগত সংস্থা এবং দেশগুলো এমন একটি চুক্তি চায় যা প্লাস্টিক উৎপাদন হ্রাস করবে যা মার্কিন মধ্যস্ততাকারীরা প্রতিরোধ করে আসছে। শিল্প গোষ্ঠী এবং সংস্থাগুলো যুক্তি দিয়েছে, বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক উৎপাদন, উন্নত রিসাইকেল ব্যবস্থা এবং উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লাস্টিক উৎপাদন ব্যাহত না করেই এ সমস্যাটির সমাধান করতে পারে।

ওয়ার্ল্ড প্লাস্টিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বেনি মারম্যানস বলেন, "আমাদের সদস্যরা বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের সরবরাহ বাড়াতে বিভিন্ন অবকাঠামোতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে যাতে ব্যবহৃত প্লাস্টিকগুলো বর্জ্য, ভূমি বা পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে পরিবেশে প্রবেশ করতে না পারে।" তবে প্লাস্টিক শিল্পের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্লাস্টিক বিশ্ব অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এর উৎপাদন কমালে তা নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

গবেষকরা শুধু পুনর্ব্যবহার বাড়ানো বা বৃত্তাকার অর্থনীতির গুরুত্বের উপর জোর না দিয়ে প্লাস্টিক উৎপাদন কমানোর বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন। তেল ও গ্যাস উৎপাদনকে লক্ষ্য করে জলবায়ু নীতি থাকা সত্ত্বেও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে তৈরি হওয়া প্লাস্টিক এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখছে। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা ধারণা করছে, প্লাস্টিকের জন্য এ শতাব্দীর মাঝামাঝি তেলের চাহিদা অর্ধেক বৃদ্ধি পাবে। আর বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, প্লাস্টিক উৎপাদনে বিধিনিষেধ না থাকায় সেটি পরিবেশের ক্ষতি করার পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।


আরও খবর



ইরাকে সমকামী সম্পর্কে জড়ালেই ১৫ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সমকামী সম্পর্কে জড়ালে হবে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড। এমনই এক আইন পাশ হয়ে গেল ইরাকের পার্লামেন্টে। দেশটির সরকারের দাবি, ধর্মীয় মূল্যবোধকে রক্ষা করার লক্ষ্যে এই নতুন আইন পাশ করা হলো।

ইরাকে আগে প্রস্তাব আনা হয়েছিল, সমকামীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। কিন্তু ইউরোপীয় দেশগুলো ও আমেরিকার বিরোধিতায় সর্বোচ্চ সাজা ১৫ বছরের কারাদণ্ডই রাখা হয়েছে। কেবল সমকামী সম্পর্ক নয়, আইনে শাস্তির বিধান রয়েছে রূপান্তরকামীদের জন্যও। বলা হয়েছে, লিঙ্গ বদলকারী কিংবা নারীদের বেশ ধারণকারীদের এক থেকে তিন বছরের কারাবাস বা ৭৭০০ ইউরো জরিমানা হবে।

নতুন আইনে বলা হয়েছে, ইরাকের সমাজকে নৈতিক অবক্ষয় ও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া সমকামিতা থেকে রক্ষা করতেই এই আইন আনা হয়েছে। সমকামিতা ও দেহব্যবসা রুখতে আনা এই আইনে জানানো হয়েছে, কেউ সমকামী সম্পর্কে জড়ালে সর্বোচ্চ ১৫ ও সর্বনিম্ন ১০ বছরের সাজা হবে তার। সমকামিতা কিংবা দেহ ব্যবসার প্রচার করলে কমপক্ষে ৭ বছরের জন্য যেতে হবে কারাগারে।

এতদিন পর্যন্ত ইরাকের আইনে সমকামিতাকে অপরাধ বলা হয়নি। কেবলমাত্র দণ্ডবিধির উল্লেখে অল্প করে নৈতিকতার দিকটি আনা হয়েছিল। সেটাকেই অস্ত্র করে এলজিবিটি মানুষদের আক্রমণ করত সশস্ত্র দলগুলো। এবার সমকামিতাকে অপরাধ ঘোষণা করে শাস্তির বিধান দিল নতুন আইন।


আরও খবর



সিলেটে টাকা নিয়ে লাপাত্তা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মচারী

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে লাপাত্তা রয়েছেন কর্মচারী মিনহাজ। গত ৩ আগস্ট থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া টাকার পরিমাণ প্রায় অর্ধকোটি টাকা। এ ছাড়াও অফিসের অভ্যন্তরে থাকা কর্মচারী ইউনিয়নের তহবিল ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় আরও অর্ধকোটি টাকা তিনি ঋণ নিয়েছেন বলে কর্মচারীরা জানিয়েছেন। অনুপস্থিত থাকায় এখন তার ঋণের জামিনদাররা পড়েছেন বেকায়দায়। এমন ঘটনায় সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকে তোলপাড় চলছে। ইতিমধ্যে কর্মকর্তারা বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়কে জানিয়েছে।

প্রধান কার্যালয় থেকে এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের কর্মকর্তারা। সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকৌশল শাখায় প্লাম্বার বা কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত ছিল মিনহাজ ওরফে ফারুক। সে স্যানেটারি মিস্ত্রি হিসেবেও নিয়োগ পেয়েছিল। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইলের বারুলা গ্রামে।

কর্মচারীরা জানিয়েছে, মিনহাজ ২০১১ সালে মাস্টার রোলের কর্মচারী হিসেবে প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসে কাজে যোগ দিয়েছিল। এরপর ২০১৭ সালে সে নিয়মিত কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পায়। তার মামা সাইফুল ইসলাম মিয়াও সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকৌশল শাখায় যুক্ত। তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর মিনহাজ ওরফে ফারুক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত গৃহঋণ নিয়েছে।

আর এই টাকা দিয়ে সিলেট শহরতলীর সুরমা গেট এলাকায় জমিও কিনেছেন। এ ছাড়া মোটরসাইকেল ক্রয় বাবদও আরেকটি ঋণ ব্যাংক থেকে নিয়েছেন। দুটি ঋণে জামিনদার হিসেবে ব্যাংকের প্রকৌশল শাখার একাধিক কর্মচারীকে রাখেন মিনহাজ। এ ছাড়া ব্যাংকের কর্মচারীদের যে সমিতি রয়েছে সেই সমিতি থেকেও সে ঋণ নিয়েছে। ব্যাংক ও সমিতির ঋণ মিলে কোটি টাকা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

কর্মচারীরা জানান, চাকরিতে থাকার সময় তার সঙ্গে অনেকেরই ভালো সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের সুবাদে বিভিন্ন সময় তার নামে নেয়া ঋণের জামিনদার হয়েছেন পরিচিতরা। গত আগস্ট মাসের শুরু থেকে হঠাৎ কর্মস্থলে অনুপস্থিত মিনহাজ ওরফে ফারুক। ব্যাংকের তরফ থেকে বারবার চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। কর্মচারীদের ধারণা ঋণের টাকা নিয়ে দেশ ছেড়েছে মিনহাজ।

এই অবস্থায় জামিনদাররা পড়েছেন বিপাকে। ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যাংক থেকে তাদের চাপ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন জামিনদার। তারা জানিয়েছেন, মিনহাজ টাকা না দিলে জামিনদারদের বেতন থেকে টাকা কর্তন করা হবে। এটাই হচ্ছে ব্যাংকের নিয়ম।

বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঋণের টাকা নিয়ে কর্মচারী উধাওয়ের ঘটনার বিষয়টি ইতিমধ্যে আমলে নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়কে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধান কার্যালয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এই অবস্থায় মিনহাজ ওরফে ফারুকের সন্ধানে অনেকেই সরব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সন্ধান চেয়ে তারা লিখেছেন- ফারুক ওরফে মিনহাজ বাটপার লোকটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গিয়েছে। তাকে ধরিয়ে দিন। সহজ সরল মানুষগুলোকে এই প্রতারক বাটপার ঠকিয়েছে। তাকে দয়া করে ধরিয়ে দিয়ে সহজ সরল মানুষগুলোকে সহায়তা করেন।

এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসের পরিচালক (প্রশাসন) খালেদ আহমেদ জানিয়েছেন, কোনো কর্মচারী অনুমোদনবিহীন দীর্ঘদিন থেকে অনুপস্থিত থাকলে তার ব্যাপারে অফিসের নিয়ম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ব্যাংক থেকে যে টাকা পয়সা নিয়েছে তা উদ্ধারেও অনেক নিয়ম মানতে হয়।

লাপাত্তা থাকা মিনহাজের মামা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিলেট অফিসের প্রকৌশল বিভাগের কর্মচারী সাইফুল ইসলাম মিয়া জানিয়েছেন, মিনহাজ ওরফে ফারুক তার ভাগিনা হলেও তার সঙ্গে তেমন সম্পর্ক ছিল না। লাপাত্তা হওয়ার পর জানতে পারেন সে ব্যাংক ও সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে পালিয়েছে। তার কোনো ঋণে তিনি জামিনদার ছিলেন না।

সাইফুল জানান, মিনহাজ ওরফে ফারুক কোথায় আছে তিনি জানেন না। সে বিদেশে সে সম্পর্কেও তিনি অবগত নন। পলাতক হওয়ার পর অনেকে এসে ব্যক্তিগতভাবে জানাচ্ছেন, তার কাছে পাওনা টাকা রয়েছে। যেহেতু ঋণ দেয়ার সময় আমার অনুমতি নিয়ে কেউ টাকা দেননি, এ কারণে এখন তাদের এই টাকার বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না। মিনহাজ ওরফে ফারুকের দুই স্ত্রীর মধ্যে এক স্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া শাখায় কাজ করেন বলে জানান তিনি।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর



লক্ষীপুরের ৫ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রাতে ফলাফল ঘোষণা করে স্ব-স্ব রিটার্নিং অফিসার।

দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মীর শাহ আলম। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৬২৪৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল উদ্দিন চৌধুরী চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ২৬৯৮ ভোট।

দালাল বাজার ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন নজরুল ইসলাম। চশমা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬৩৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুর নবী চৌধুরী অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭৬০ ভোট।

বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে মিজানুর রহমান চশমা প্রতীকে ৬৪০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ জামাল রিপন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩৯০ ভোট।

লাহারকান্দি ইউনিয়নে টেলিফোন প্রতীকে আশরাফুল আলম বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৫৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খোরশেদ আলম শাহীন অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭৭৩ ভোট।

তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ওমর হুসাইন ভুলু আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৭৫৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বোরহান চৌধুরী পেয়েছেন অটোরিকশা প্রতীকে ৬২৩৯ ভোট।

দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার এবং তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বপন কুমার ভৌমিক ও বাঙ্গাখাঁ এবং লাহারকান্দি ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম চৌধুরী ফলাফলের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর