আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

রাষ্ট্রযন্ত্র আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায় কি না, প্রশ্ন ব্যারিস্টার সুমনের

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, আমি থানায় জিডি করার আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত ছিল যারা হুমকি দিয়েছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। কারণ তাদের থেকে আমি হুমকির তথ্য পেয়েছি। রাষ্ট্রযন্ত্র আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায় কি না, সেই প্রশ্ন এখন দেখা দিয়েছে।

ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, আমার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেছি। এখন দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। মৃত্যুর ভয় আমি করি না। কিন্তু আমার এলাকার মানুষকে নিয়ে চিন্তা করি। রোববার (৩০ জুন) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে গতকাল রাতে অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী মহল হত্যার জন্য টিম নিয়ে মাঠে নেমেছে জেনে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও জাতীয় সংসদের সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

শেরেবাংলা নগর থানা করা সাধারণ ডায়েরিতে ব্যারিস্টার সুমন উল্লেখ করেছেন, গত ২৭ জুন ঢাকায় অবস্থানকালে রাত আনুমানিক ২টার সময় আমার নির্বাচনী এলাকার চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তার সরকারির মোবাইল ফোন থেকে আমার হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে জানান যে, আপনাকে হত্যার জন্য অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী মহল গত তিন দিন আগে ৪-৫ জনের একটি টিম নিয়ে মাঠে নেমেছে। আপনি রাতে বাইরে বের হবেন না এবং সাবধানে থাকবেন।

তখন আমি ওসির কাছে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি ওই ব্যক্তির পরিচয় জানাতে অস্বীকার করেন এবং আমাকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন। এই বিষয়টি জানার পরে আমি মারাত্মকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন প্রসিকিউটর ছিলেন, এই পদ থেকে তিনি ২০১২ সালের ১৩ নভেম্বর পদত্যাগ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অসঙ্গতি তুলে ধরার পাশাপাশি মানবিক কাজ করে জনপ্রিয়তা পান ব্যারিস্টার সুমন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন ব্যারিস্টার সুমন।


আরও খবর



স্মার্ট স্কুল বাস পরিচালনায় বিআরটিসির সঙ্গে জিপিএইচের সমঝোতা চুক্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের স্মার্ট স্কুল বাস পরিচালনায় বিআরটিসি ও জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। আগামী দুই বছর স্মার্ট স্কুল বাস এর স্পন্সর হিসাবে থাকছে জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড। এই দুই বছরে তারা ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা অনুদান দিবেন। যা থেকে বাসের ড্রাইভার স্টাফদের বেতন ছাড়াও জ্বালানী খরচসহ বাসগুলোর সকল ধরনের মেইনটেনেন্স খরচ বহন করা হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে ১০টি স্মার্ট স্কুল বাস পরিচালনায় এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয় ।

এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সাদি উর রহিম জাদিদ, জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের উপদেষ্টা কর্নেল (অব.) মো: শওকত ওসমান ও উপদেষ্টা মোহাম্মদ ওসমান গনি (মিডিয়া), চট্টগ্রা। বিআরটিসি ম্যানেজার মো. জুলফিকার আলী, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারগণ, স্মার্ট স্কুল বাস মনিটরিং টিমের নুরুল আজিম রনি, টেকনলজি পার্টনার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।

 সমঝোতা স্মারকে বিআরটিসি সাবডিপোর ম্যানেজার জুলফিকার আলী এবং জিপিএইচ ইস্পাতের উপদেষ্টা শওকত ওসমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো: ফখরুজ্জামান বলেন, এসব বাসে নগরীর পাঁচটি সড়কে ছাত্র-ছাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন । বাসগুলোতে স্মার্ট টেকনোলজি, জিপিএস ট্যাকার, ক্যামেরা, এআই ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের স্কুল যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাসে ওঠা-নামার সময় অভিভাবকের ফোনে স্বয়ংক্রিয় এসএমএস প্রদান, বাসে শিক্ষার্থীদের অবস্থান মনিটরিং এবং স্বল্প খরচে স্কুল কলেজে যাওয়া আসা নিশ্চিত করা হয়েছে। আগামীতে চাহিদা অনুযায়ী ক্রমান্বয়ে বাসের সংখ্যাও বাড়ানো হবে

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে সমৃদ্ধ নগর, উন্নত গ্রাম, প্রযুক্তির ছোঁয়ায় স্মার্ট চট্টগ্রাম- স্লোগান সামনে নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম কর্তৃক পরিচালিত দেশের জেলাগুলোর উদ্ভাবনী কার্যক্রমভিত্তিক প্রতিযোগিতা স্মার্ট ডিস্ট্রিক্ট ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ-২০২৩ এর আওতায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের স্মার্ট স্কুলবাস নামক উদ্ভাবনী উদ্যোগটি প্রথম পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ১০টি দ্বিতল স্কুল বাস ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে নগরীতে চলাচল করছে। আধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত এ সকল স্মার্ট স্কুল বাসে যে কোন স্কুলের শিক্ষার্থীরা নাম মাত্র ৫  টাকা ভাড়ায় যে কোন দূরত্বে চলাচল করতে পারেন। জিপিএস ট্র্যাকার, জিআইএস প্রযুক্তি, আইপি ক্যামেরা ছাড়াও এ বাসে ডিজিটাল হাজিরা ডিভাইস আছে। যেখানে শিক্ষার্থীরা কার্ড চাপ দিলেই অভিভাবকদের মোবাইলে চলে যাচ্ছে খুদে বার্তা। ফলে অভিভাবকরা সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে পারছেন।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



এবার মানব শুক্রাণুতে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি শনাক্ত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

এবার মানব শুক্রাণুতে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। একটি গবেষণায় পরীক্ষা করা সব শুক্রাণুর নমুনায় মাইক্রোপ্লাস্টিক শনাক্ত হয়েছে। সম্প্রতি দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, মানব শুক্রাণুতে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় প্রজননের ওপর এর প্রভাব নিয়ে আরও গবেষণা করা জরুরি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক দশক ধরেই পুরুষের শুক্রাণুর পরিমাণ (স্পার্ম কাউন্ট) কমেছে। ৪০ শতাংশ স্পার্ম কাউন্ট কমার ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। রাসায়নিক দূষণ এটির কারণ হতে পারে বলে অনেক গবেষণায় ইংগিত দেওয়া হয়েছে।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, চীনের জিনানে ৪০ জন সুস্থ পুরুষের শুক্রাণুর নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। ইতালিতে আরেক গবেষণায় ১০ জন পুরুষের থেকে নমুনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি নমুনায় মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া চীনের অপর এক গবেষণায় ২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় অর্ধেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক মিলেছে।

সম্প্রতি ইঁদুরের ওপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাইক্রোপ্লাস্টিকের কারণে ইঁদুরের স্পার্ম কাউন্ট কমে গিয়েছে। এছাড়া এটির কারণে অস্বাভাবিক আচরণ ও হরমোনে ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে।

বর্তমানে মাইক্রোপ্লাস্টিক নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলছে। এতে সবত্রই মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণের প্রমাণ মিলছে। গত মে মাসে চালানো এক পরীক্ষায় ২৩টি পুরুষ অন্ডকোষের নমুনায় এ পরীক্ষা চালানো হয়। এতে সবকটিতেই এ ক্ষতিকর কণার উপস্থিতি শনাক্ত হয়।

এর আগে মানুষের রক্ত, প্লাসেন্টা ও বুকের দুধে মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব মেলে। এ সব গবেষণার ফলাফলে মানবদেহে সর্বত্র ক্ষতিকর এ কণার উপস্থিতির ইংগিত মিলে। তবে স্বাস্থ্যের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব এখন জানা যায়নি। গবেষণাগারে দেখা গেছে, মানবদেহের কোষের ক্ষতি করে মাইক্রোপ্লাস্টিক।

প্রতিবছর লাখ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। যার একটি অংশ সৃষ্টিজগতের খাবার থেকে শুরু করে মানুষের শরীরে গিয়ে মিশছে। এভারেস্ট পর্বতের চূড়া থেকে সমুদ্রের তলদেশেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের দূষিত কণা পৌঁছে গেছে।

চীনের কিংদাও ইউনিভার্সিটির গবেষক নিং লি ও তার সহকর্মীরা জানান, মানব স্বাস্থ্যের ওপর মাইক্রোপ্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে বলে গবেষণা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মনে হচ্ছে প্রজননের ওপর এটির সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানান তারা।


আরও খবর



ঈদের তৃতীয় দিনে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকের ভিড়

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ঈদের তৃতীয় দিনে এসে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে বেড়েছে পর্যটকদের আনাগোনা। বুধবার (১৯ জুন) পর্যটকের আনাগোনায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকত। গতকাল বিকেল নাগাদ থেকেই সৈকতে এসব পর্যটকের আগমন ঘটে।

গতকাল থেকেই বৃষ্টির দেখা মেলে কলাপাড়ায়। আজ সকাল থেকেই তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে এ অঞ্চলে। আগতরা বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সৈকতের বালিয়াড়িতে ছোট বড় আছড়ে পড়া ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালীতে মেতেছেন। অনেকে সৈকতের বেঞ্চিতে বসে নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।

এ ছাড়া তিন নদীর মোহনা লেম্বুর বন, ঝাউবাগান ও গঙ্গামতি সৈকতসহ সব পর্যটন স্পটে রয়েছে এখন পর্যটকদের বাড়তি উপস্থিতি। পর্যটকদের ভিড়ে বুকিং বেড়েছে আবাসিক হোটেল মোটেলগুলোতে। বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে।

এদিকে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় বাড়ানো হয়েছে পুলিশের নজরদারি, থাকবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। জোরদার করা হয়েছে উদ্ধার কার্যক্রম।

ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা, সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি। ঈদের দিন থেকে পর্যটক না আসলেও আজ থেকে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে।

তবে তারা মনে করছেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল এবং অতিরিক্ত দাবদাহের প্রভাবে এ বছর আশানুরূপ পর্যটক আসেনি কুয়াকাটায়। বর্ষার আগে ঈদকে কেন্দ্র করে পর্যটক আসবে কুয়াকাটায় এটাই ছিল তাদের আকাঙ্ক্ষা।

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, সাগরকন্যার সৌন্দর্য দেখতে এবারের ঈদ মৌসুমে পর্যটকদের আনাগোনা থাকবে। শুরুতে তেমন আনাগোনা না থাকলেও এখন থেকে টানা পর্যটক আসবে কুয়াকাটায়। আমাদের ট্যুর অপারেটররা প্রস্তুত আছেন সেবা প্রদানের জন্য।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, প্রতি বছর এ সময় আমাদের অধিকাংশ হোটেল এবং রিসোর্টগুলোর রুম বুকিং হয়ে যায়। কিন্তু এ বছর এখন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ বুকিং আছে অন এভারেজে। সামনের শুক্রবার ও শনিবার হয়ত শতভাগ রিজার্ভড হয়ে যাবে হোটেল মোটেল ও রিসোর্টগুলো।

কুয়াকাটা সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়তি পর্যটক আগমনের সম্ভাবনা মাথায় রেখে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত তৎপরতার পাশাপাশি তিনজন অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট, স্কাউটের প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও সৈকতে রেসকিউ টিম প্রস্তুত আছে। বাড়তি ভাড়া আদায় প্রতিরোধ ও হয়রানি বন্ধে নজরদারি করা হবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং সেবা দেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। লেম্বুরবন থেকে রামনাবাদ চ্যানেল পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। পর্যটকদের সেবায় জল ও স্থলপথে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।


আরও খবর



মহেশপুরে ফসলি জমি থেকে ইউপি সদস্যের বালু উত্তোলন

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মহেশপুর(ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহের মহেশপুরে ফসলি জমির মাঝখানে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ্য ভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে। এতে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়ে হুমকির মুখে পড়েছে আশপাশের জমিগুলো।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউপির চুন্নিরআইট গ্রামে ফসলি জমির মাঝখানে বসানো হয়েছে ড্রেজার মেশিন। সেখানে ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন নিজে উপস্থিত থেকে এ মেশিনের মাধ্যমে খনন যন্ত্রের সাহায্যে বালু তোলার কাজ করছে। সে বালু জমানো হচ্ছে পাঁকা রাস্তার পাশে একটি জায়গায়। এক পাশে রয়েছে বাড়ি ও আরেক পাশে রয়েছে মেহগুনি বাগান। বালু উত্তলনের ফলে আশপাশের অন্যান্য জমিগুলোর আইল ভাঙ্গনসহ বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে কৃষকরা দুঃচিন্তায় পড়েছেন।

স্থানীয় বেশ কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করে বলেন, বিচার দেবো কোথায়, কার কাছেই বা দেবো যেখানে আমাদের ওয়ার্ড মেম্বার নাসির উদ্দিন নিজেই বালু তুলে আমাদের ক্ষতির মুখে ফেলছে। তাহলে অন্য জায়গায় বিচার দিয়ে কি বিচার পাবো? তারা আরও বলেন তারপরও আমরা চেয়ারম্যান ও এ্যাসিল্যান্ডকে জানিয়ে ছিলাম। তারা একদিন এসে পাইপ ভেঙ্গে দিয়ে যায়। কিন্তু আবারো একই ভাবে চলছে বালু উত্তোলন। অবৈধ ড্রেজার দ্বারা ফসলি জমিতে পুকুর খননের নামে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।

ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বলেন, কিছু না কিছু তো করে খেতে হবে, সে কারণে বালু তুলছি। শুধু মেম্বার গিরি করে তোর আর পেট চলবে না? তিনি আরও বলেন কম বেশি সবাইকে ম্যনেজ করেই বালু তোলার কাজ করছি।

ফসলি জমি নষ্ট করে অবৈধ্য ভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তলন বন্ধে ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা কবির হোসেন বাদী হয়ে ইউপি সদস্য নাসির উদ্ধিনের বিরুদ্ধে মহেশপুর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।

মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসায়মিন মনিরা বলেন, ফসলি জমি নষ্ট করে অবৈধ্য ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের দায়ে ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে, নিয়মিত মামলা হবে।


আরও খবর



সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পাস হয়েছে।

আজ রোববার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে এ বাজেট কণ্ঠভোটে পাস হয়। কার্যকর হবে আগামী ১ জুলাই থেকে। এর আগে রাষ্ট্রপতির সম্মতিসাপেক্ষে নির্দিষ্টকরণ আইন গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে।

শনিবার বিকেলে সংসদে অর্থ বিল উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং পরে সেটি সংসদে পাস হয়।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে টেকসই উন্নয়নের পরিক্রমায় স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা স্লোগান সম্বলিত এ বাজেট পেশ করেন।

আজ বাজেট পাসের প্রক্রিয়ায় মন্ত্রীরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ব্যয় নির্বাহের যৌক্তিকতা তুলে ধরে মোট ৫৯টি মঞ্জুরি দাবি সংসদে উত্থাপন করেন। এই মঞ্জুরি দাবিগুলো সংসদে কণ্ঠভোটে অনুমোদিত হয়।

এসব মঞ্জুরি দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে বিরোধীদলের ছয়জন সংসদ সদস্য মোট ২৫১টি ছাঁটাই প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এর মধ্যে আইন ও বিচার বিভাগ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় খাতে তিনটি মঞ্জুরি দাবিতে আনীত ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর স্বতন্ত্র ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করেন। পরে কণ্ঠভোটে ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো নাকচ হয়ে যায়।

ছাঁটাই প্রস্তাবে আলোচনা করেন জাতীয় পার্টির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, স্বতন্ত্র সদস্য হামিদুল হক খন্দকার, পংকজ নাথ, আবুল কালাম ও নাসের শাহরিয়ার জাহেদী। এরপর সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়িয়ে নির্দিষ্টকরণ বিল-২০২৪ পাসের মাধ্যমে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন করেন।

এর আগে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ওপর বক্তব্য রাখেন। বাজেটের ওপর প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা ও অর্থমন্ত্রীসহ ২৩৬ এমপি বক্তব্য রাখেন। গত ১১ জুন থেকে আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র এমপিরা।

বাজেটে ব্যক্তির সর্বোচ্চ করহার ৩০ শতাংশ প্রস্তাব করা হলেও সংসদ তা গ্রহণ করেনি। এর পরিবর্তে সর্বোচ্চ কর বিদ্যমান ২৫ শতাংশই বহাল থাকছে। বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী করহারের ধাপে কিছুটা পরিবর্তন এনে সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছিলেন।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এ বাজেটে অনুদান ছাড়া ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৬ হাজার টাকা। গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল হাসান মাহমুদ আলীর এটা প্রথম বাজেট।

মূল্যস্ফীতি কমিয়ে বড় প্রবৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করে যে বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী অনুদান ছাড়া ঘাটতি ধরা হয় দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫১ হাজার ছয় শ কোটি টাকা। এছাড়া চার হাজার চার শ কোটি টাকা অনুদান পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

এই ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ২৭ হাজার দুই শ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা হবে ৩৬ হাজার পাঁচ শ কোটি টাকা। এতে নিট বৈদেশিক ঋণ দাঁড়াবে ৯০ হাজার সাত শ কোটি টাকা।

আর অভ্যন্তরীণ ঋণ নেয়া হবে এক লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেয়া হবে এক লাখ ৩৭ হাজার পাঁচ শ কোটি, যার ৭২ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ এবং ৬৪ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা স্বল্পমেয়াদি ঋণ। ব্যাংকবহির্ভূত ঋণ নেয়া হবে ২৩ হাজার চার শ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ১৫ হাজার চার শ কোটি টাকা।

বাজেটে ঋণের সুদ পরিশোধের ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার পাঁচ শ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক ঋণের সুদ ২০ হাজার পাঁচ শ কোটি টাকা।

এবার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআরবহির্ভূত কর ধরা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর কর ব্যতীত প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।

বাজেটে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ছয় হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে আবর্তক ব্যয় চার লাখ ৬৮ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। আর দেশী-বিদেশী ঋণের সুদ পরিশোধ এক লাখ ১৩ হাজার পাঁচ শ কোটি টাকা। এবার মূলধন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা।

বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লাখ ৮১ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে স্কিমে ব্যয় হবে পাঁচ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা। এডিপিবহির্ভূত বিশেষ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে সাত হাজার ৬২৭ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। আর কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি (এডিপিবহির্ভূত) ও স্থানান্তরে দুই হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।


আরও খবর