আজঃ শনিবার ০১ জুন ২০২৪
শিরোনাম

রেলওয়ের জলাশয় অবৈধভাবে ভরাটের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলওয়ের জলাশয়ে অবৈধভাবে বালু ভরাট করায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।

রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বড় হরন এলাকার স্থানীয় শতাধিক এলাকাবাসী এই মানববন্ধন করেন।

মাবনবন্ধনে অংশ নেওয়া স্থানীয়রা জানান, আশিকুল ইসলাম ও উম্মেদ গংসহ এলাকার কিছু ভূমিদস্যূ রেল লাইনের জলাশয়ের জায়গা লিজ নেওয়ার কথা বলে প্রকাশ্যেই ভেকু মেশিন দিয়ে বালু ফেলে ভরাট করছেন। এতে স্থানীয় লোকজনের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নগদ অর্থ ও জুয়া খেলার সরঞ্জামাদিসহ আটক ১২

তারা আরও জানান, সরকারি রেলওয়ের জায়গা লিজ নেওয়ার নাম করে ভূমিদস্যূরা যেন জলাশয় ভরাট করতে না পারে। সে বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।

এসময় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন, ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এলেম খা, স্থানীয় ইউপি সদস্য বিল্লাল মিয়া, আমেনা বেগম, শাহনূর, শাহ আলম, মাইনউদ্দিন, দারু মিয়া প্রমুখ।

মানববন্ধনে এলাকার শতাধিক নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



ধর্ম নিয়ে কটূক্তি: জবি শিক্ষার্থীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৩ মে) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে আবু মুসা রিফাত নামে এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগ বলা হয়, আসামি তিথি সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের একজন শিক্ষার্থী। তিনি ১৬ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেন। যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।

আসামি তিথি সরকার বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের (জ.বি) শাখার দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার কারণে তাকে সংগঠন থেকে বরখাস্ত করা হয়। একই অভিযোগে ২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত আদেশে তিথি সরকারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।


আরও খবর



এফডিসিতে ১৯ সংগঠনের বৈঠক, ‘বয়কট’ হতে পারেন নিপুণ

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

চেনা ছন্দে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)। তবে লাইট-ক্যামেরা অ্যাকশনে নয়, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে ফের চর্চায় চিরচেনা এফডিসি। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে দুই বছর আগে যে রকম কাদা ছোড়াছুড়ির ঘটনা হয়েছিল, তা চলচ্চিত্র পরিবারের কাছে যেমন অজনা নয়, তেমনি সিনেমাপ্রেমীরাও ভুলে যাননি নিশ্চয়ই।

সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে গত নির্বাচনের মতো এবারও একই রকম ঘটনা ঘটছে এই সমিতিকে ঘিরে। গত ১৯ এপ্রিল অনেকটা আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। এবার সভাপতি পদে মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল নির্বাচিত হয়েছেন। সবার আগে নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তারই ফুলের শুভেচ্ছা জানান।

সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ডিপজলের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েও তার কাছাকাছি ভোট পাওয়ায় মিডিয়ার কাছে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন নিপুণ। নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানও সম্পন্ন হয়ে গেছে অনেকদিন আগেই। অথচ বর্তমানে উল্টো পথে হাঁটছেন নিপুণ। তার দাবি, শিল্পী সমিতির নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। নতুন কমিটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন এই অভিনেত্রী। তার রিটের প্রেক্ষিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত। ফলে আপাতত ডিপজল এই পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়ে ফুলের মালা পড়ানোর ২৫ দিন পর নিপুণের আদালতে দৌড়ঝাঁপ ভালো চোখে দেখছেন না সিনিয়র-জুনিয়র শিল্পীরা। চায়ের আড্ডা থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র পাড়ায় এ নিয়ে বেশ চর্চা হচ্ছে। নিপুণের কাণ্ডে বৈঠকের ডাক দিয়েছে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৯টি সংগঠন।

বুধবার (২২ মে) বিকেল ৩টায় এফডিসিতে ১৮ সংগঠনের সঙ্গে শিল্পী সমিতির গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানা গেছে। বৈঠকে স্টার সিনেপ্লেক্সের অনিয়মসহ নিপুণের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত আসবে বলে শোনা যাচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, এদিন নিপুণকে বয়কটের সিদ্ধান্ত আসবে! তবে ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

এছাড়াও নিপুণের করা রিট এবং মিশা-ডিপজলকে অশিক্ষিত বলে কটাক্ষ করায় প্রতিবাদ জানিয়ে এই নায়িকার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করবেন শিল্পীরা। এতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে নিপুণ সমর্থিত ১০৩ জন শিল্পীদেরও। সম্প্রতি তারা মিশা-ডিপজল প্যানেলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আজ দুপুর ১টা থেকে তারা এফডিসিতে অবস্থান নিয়ে নিপুণের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করবেন বলে জানা গেছে।


আরও খবর



মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পরোয়া করে না আ. লীগ: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এর সফর ও মার্কিন স্যাংশন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পরোয়া করি না। এসব ভিসানীতিতে আওয়ামী লীগ পাত্তা দেয় না।’

আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা দাওয়াত করে কাউকে আনি নাই, তাদের এজেন্ডা আছে; তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি (ডোনাল্ড লু) একটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও না। একজন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে এত মাতামাতি কেন!

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে বিএনপি কি করে তারাই ভালো জানে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, গরম কমে গেলে আন্দোলন, কিছুদিন পরে বলবে কোরবানির ঈদের পরে আন্দোলন শুরু করবে। বিএনপির কর্মীরা নেতাদের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। ফলে তাদের আন্দোলনে কর্মী সমাবেশ হয় না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টা। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো ধরে বাঁচতে চায় তারা। আসলে তাদের কোনো ইস্যু নাই। তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনকে ইস্যু বানাতে চায়। আমার প্রশ্ন হলো-ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে?

তিনি বলেন, ভারতের মসলা ছাড়া আমাদের চলে না। শুধু মসলা কেন, ভারত থেকে শাড়ি-কাপড় আসবে, এ ছাড়া আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আসবেই।’


আরও খবর



ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম বন্দর পৃথিবীর কোন দেশের কার্যক্রম পরিচালনা করবে: খালিদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশী বন্দর পরিচালনাকারিরা বিনিয়োগ করছে। আমি সম্ভাবনা ও স্বপ্ন দেখি, একটি সময় আসবে চট্টগ্রাম বন্দর পৃথিবীর অন্য কোন দেশের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকায় হোটেল ওয়েস্টিনে চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল প্রকল্পসহ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ সংক্রান্ত চট্টগ্রাম বন্দর ও আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা স্মারকপত্র (এমওইউ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লা আলী আব্দুল্লা কাসিফ আল মৌদি, আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল অফিসের রিজিওনাল চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আহমেদ আল মুতায়া‌। সমঝোতা স্মারকপত্রে স্বাক্ষর করেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এবং আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সাইফ আল মাজরুই।

স্মারকপত্র অনুযায়ী আরব আমিরাতের আবুধাবী পোর্টস গ্রুপ বে-টার্মিনাল প্রকল্পসহ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণে বিনিয়োগ করবে। তারা অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি যন্ত্রপাতিও সংগ্রহ করবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে মেরিটাইম সেক্টরে আমাদের যে যাত্রা সেটিকে পুনর্জীবিত ও উজ্জীবিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সময়ে সমুদ্র ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর গত ১৫ বছরে আন্তর্জাতিক বন্দরের সক্ষমতা অর্জন করেছে। মংলা বন্দরের আপগ্রেডেশন হচ্ছে। মংলা বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের মতো সক্ষমতা অর্জন করবে। পায়রা বন্দরে নির্মাণাধীন জেটিতে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের  জাহাজ ভিড়েছে। এটা একটা নতুন অনুভূতি। আগে মাদার ভেসেলে পণ্য  পরিবহনের জন্য  আমাদের কলম্বো ও সিঙ্গাপুর বন্দরের উপর নির্ভরশীল হতে হতো। বর্তমানে মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মিত হচ্ছে। এতে করে নির্ভরশীলতা কমে যাবে। মাতারবাড়ি বন্দর আঞ্চলিক 'হাব' এ পরিণত হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার জন্য সৌদি আরবের রেড সী গেটওয়ে টার্মিনালের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। খুব শীঘ্রই এটির কার্যক্রম শুরু হবে। বে-টার্মিনাল নির্মিত হলে ২৪ ঘন্টা জাহাজ আসা-যাওয়া করবে। জোয়ার ভাটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। চট্টগ্রাম বন্দর অন্য ধরনের উচ্চতায় চলে যাবে। বে টারমিনালের সাথে রোড, রেলওয়ে কানেক্টিভিটি থাকবে। পণ্য পরিবহন  সহজলভ্য হবে। শুধুমাত্র আবুধাবী বন্দরের জন্য নয়, আমাদের জানালা খোলা আছে। দেশের যেকোন বন্দরে বিনিয়োগের জন্য সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিব। বেটার্মিনাল বাংলাদেশের সমুদ্র পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। অল্প সময়ের মধ্যেই টার্মিনালের মাল্টিপারপাস টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু করতে চাই।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতার বৃদ্ধির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ পাশে বঙ্গোপসাগরের তীরে বে- টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বে- টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণের পর সেখানে ফিজিবিলিটি স্টাডির জন্য ২০১৭ সালে কনসালটেন্ট নিয়োগ করা হয়। কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ফিজিবিলিটি স্টাডি ও মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়। গতবছরের ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক চূড়ান্ত মাস্টার প্ল্যান এর মোড়ক উন্মোচিত হয়। সমীক্ষা অনুযায়ি মাস্টার প্ল্যানের ১,২২৫ মিটার দীর্ঘ দুটি কন্টেইনার টার্মিনাল এবং ১,৫০০ মিটার দীর্ঘ একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনালসহ মোট তিনটি টার্মিনাল রয়েছে।

তিনটি টার্মিনালের দৈর্ঘ্য ৪.৯৫ কিলোমিটার। মাস্টার প্ল্যানে মোট ১১টি জেটি রাখার প্রস্তাব করা হয়। চ্যানেলে যথোপযুক্ত নাব্যতা থাকায় সেখানে ১২ মিটার ড্রাফটের এবং ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভিড়ানো সম্ভব হবে। আবহাওয়া এবং সাগরের বড় বড় ঢেউ থেকে রক্ষা করতে একটি ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার বা ঢেউনিরোধক বাঁধ নির্মাণ করা হবে। বে- টার্মিনাল থেকে বহিঃনোঙ্গরের দুরত্ব এক কিলোমিটার। মাল্টিপারপাস টার্মিনালটি চট্টগ্রাম বন্দর এবং আবুধাবী পোর্টস গ্রুপ যৌথভাবে নির্মাণ করবে।

১,২২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি কন্টেইনার টার্মিনাল পিএসএ, সিঙ্গাপুর এবং অপরটি ডিপি ওয়ার্ল্ড, দুবাই অর্থায়ন করার সম্ভাবনা রয়েছে। ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ব্রেক ওয়াটার ও এক্সেস চ্যানেল ড্রেজিং করবে বিশ্বব্যাংক।

বে টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য ৬৬.৮৫ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ইতোমধ্যে অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৫০০.৬৯ একর সরকারি খাস জমি সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।  ব্রেক ওয়াটার নির্মাণের জন্য বিশ্ব ব্যাংক এর বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।  বছরে ৫০ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ২০২৬ সালে অপারেশনে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও খবর



সিলেট থেকে ছেড়ে গেলো প্রথম হজ ফ্লাইট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

৩৮৯ জন যাত্রী নিয়ে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রথম হজ ফ্লাইট উড়াল দেয় বুধবার (২২ মে)। এদিন বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে বিমানের বিজি-২৩৭ ফ্লাইটটি মদিনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের জেলা ব্যবস্থাপক শাহনেওয়াজ মজুমদার।

তিনি জানান, সিলেট অঞ্চলের হজযাত্রীদের জন্য এবার ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৫টি ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৫টি ফ্লাইটে মোট ২ হাজার ৯৫ হজযাত্রী পরিবহন করা হবে। প্রথম দিনের ফ্লাইট ছাড়া বাকিগুলো পরিচালিত হবে সিলেট-জেদ্দা রুটে। বাকি চারট ফ্লাইটের শিডিউল হচ্ছে আগামী ১, ৩, ৬ ও ৯ জুন। 

শাহনেওয়াজ মজুমদার বলেন, ঢাকা থেকে ২৯ জন হজ যাত্রী  নিয়ে এসে ফ্লাইটটি সিলেটের ৩৬০ জনসহ মোট ৩৮৯ জন নিয়ে মদিনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে বুধবার বিকালে।

সিলেট বিমানবন্দরে সিলেট-মদিনা হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও সিলেট-২ আসনের এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী।

এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মাওলানা হুছামুদ্দিন চৌধুরী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এমপি ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।


আরও খবর