আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

মুম্বাই বিমানবন্দরে বোমা আতঙ্ক, জরুরি অবতরণ

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বোমা আতঙ্কের জেরে মুম্বাই বিমানবন্দরে সাত সকালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। আজ শনিবার সকালে চেন্নাই থেকে মুম্বাইয়ে অবতরণের পরই একটি বিমানে বোমা আছে বলে খবর আসে মুম্বই বিমানবন্দরে। সঙ্গে সঙ্গেই বিমানে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।

ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, এক বিবৃতিতে ইন্ডিগো জানিয়েছে, সব যাত্রীকে নিরাপদে বিমান থেকে নামানো হয়। পরে বিমানটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। সব নিরাপত্তা পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে, বিমানটিকে আবার টার্মিনাল এলাকায় স্থাপন করা হবে।

জানা গেছে, ১৭২ জন যাত্রী নিয়ে সকাল ৭টা নাগাদ ওই বিমান চেন্নাই থেকে মুম্বাই বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। বেসরকারি সংস্থার ওই বিমানের উড়ান সংখ্যা ছিল ৬ই৫৩১৪। বিমানটি মুম্বাই বিমানবন্দরে নামে সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ।

এর আগে গত সোমবার দিল্লি থেকে বারাণসীগামী একটি বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে আকাশে ওড়ার আগেই রানওয়েতে থামানো হয় বিমানটি। পরে জরুরি ভিত্তিতে বিমানের সকল যাত্রীকে নামিয়ে চলে তল্লাশি অভিযান। তবে সন্দেহজনক কিছুই খুঁজে পাইনি পুলিশ।

তারও আগে গত ১৫ মে দিল্লি বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে এমন কাগজের টুকরো মিলেছিল। যেখানে লেখা ছিল, বোমা রাখা রয়েছে বিমানে। পাশাপাশি গত মাসে দিল্লির একাধিক হাসপাতাল, বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক ছড়ানো হয়েছে। যদিও সবকটি ক্ষেত্রেই তল্লাশি চালিয়ে সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্কুলের বরাদ্দের টাকা আত্মসাতে গুলসান আরা বেগম নামে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করেছে আব্দুর রশীদ নামে এক ব্যক্তি। গুলসান আরা বেগম ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের বোচাপুকুর পোকাতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছে। আর আব্দুর রশীদ ওই এলাকার মৃত খাদেম আলীর ছেলে।

গত সোমবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে রুখব দুর্নীতি গড়ব দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ স্লোগানে আয়োজিত গণশুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের সামনে ওই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উত্থাপিত হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন দশ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসককে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলে।

গত রোববার (৯ জুন) দ্বিতীয় শুনানিতে তাদের উভয় পক্ষকে ডাকা হয় এবং সোমবার (১০) দুইজন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রবিউল আলম ও মুমিনুল ইসলাম সরেজমিনে তদন্তের জন্য ওই স্কুলে যান।

তবে তদন্তের বিষয়ে এই দুই কর্মকর্তা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

দুদকে দেওয়া সেই অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, বোচাপুকুর পোকাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৪৫ সালে স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়টির ২.৮৩ একর জমি রয়েছে। প্রধান শিক্ষিকা গুলসান আরা বেগমের স্বামীর বাড়ি পোকাতিতে হওয়ার সুবাদে তিনি এ বিদ্যালয়ে প্রায় ১৫ বছর ধরে কর্মরত আছেন।

প্রধান শিক্ষিকা বিদ্যালয়ের জমি নিজের ইচ্ছামতো চুক্তি দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করছে। এলাকার নিজস্ব লোকজন নিয়ে স্কুলের কমিটি করেন। ইতিপূর্বে জমি দাতাগণ ও ছাত্র অভিভাবকগণ অবৈধ স্কুল কমিটির অনুমোদন না দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের বরাবরে আবেদন করেন। তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মতিয়র রহমান বিদ্যালয়ের জমিতে ৪২টি কাঁঠাল গাছ, ৪টি আম গাছ, ৩টি ডাব গাছ ও বিভিন্ন বনজ গাছ আছে বলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে জানান। কিন্তু বর্তমান প্রধান শিক্ষিকা বনবিভাগকে না জানিয়ে উক্ত গাছগুলোর মধ্যে কতগুলো গাছ বিক্রি করে দেয়। প্রতিনিয়তই প্রধান শিক্ষিকা সরকারি নিয়মনীতি অমান্য করে আসছে বলে অভিযোগে পাওয়া যায়।

অভিযোগকারী আব্দুর রশীদ বলেন, প্রধান শিক্ষিকা ১৫ বছর ধরে একই স্কুলে থাকার সুবাদে বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছে। তিনি ব্যক্তির স্বার্থে স্কুলের জমি ও হাট লিজ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করছেন। স্কুলের গাছ বিক্রি করেছে। তিনি তাঁর লোক দিয়ে রাতের অন্ধকারে কমিটি গঠন করেন। জমিদাতার কোনো নাম নেই। যারা জমি দান করেছে তাদের তিনি স্কুলে ঢুকতে দেয় না। প্রবেশ করলে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেয় বলে জানান তিনি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষিকা গুলসান আরা বেগম বলেন, স্কুলের কোন জমি বা হাট লিজ দেওয়ার কোন প্রশ্নেই আসে না। আর সকলের সামনে প্রকাশ্যে কমিটি করা হয়েছে। আমার নামে যেসকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা-বানোয়াট।

তিনি আরো বলেন, আইন অমান্য করার কোন সুযোগ আমার নাই। যদি কোনো অন্যায় করে থাকি তাহলে অবশ্যই শিক্ষা অফিস আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

আর স্কুল কমিটি সভাপতি ও নারগুন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেরেকুল ইসলাম বলেন, গুলসান আরা বেগম চাকুরি আর বেশি দিন নেই। তাকে হয়রানি করার জন্যই আব্দুর রশীদ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করছেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুর্নীতি বা টাকা আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই। স্বচ্ছভাবেই কমিটি করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষিকাকে মানসিকভাবেই দুর্বল করার জন্য তিনি মামলা ও অভিযোগ দিয়ে আসছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ মো: মোকাদ্দেস ইবনে সালাম জানান, প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তা তদন্তের জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া অবধি এ ব্যাপারে কোন কিছুই বলা যাবে।


আরও খবর



দিল্লিতে গরমে মৃত্যু বেড়ে ২০

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ও তার আশপাশের এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ১২ জনের বেশি মানুষ লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি হাসপাতালগুলোর জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। হিটস্ট্রোকে আক্রান্তদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারি হাসপাতালগুলোকে।

বুধবার (১৯ জুন) হাসপাতালগুলোর জন্য জারি হয়েছে বিশেষ নির্দেশিকা। সদ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়া মন্ত্রী জেপি নাড্ডা দিল্লির সব সরকারি হাসপাতালের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। হিটস্ট্রোকের চিকিৎসা করতে হাসপাতালগুলো আদৌ প্রস্তুত কিনা সে বিষয়েও তিনি খোঁজ নিয়েছেন। কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, যেন দ্রুত হিটওয়েভ ইউনিট চালু করা হয়, যেখানে হিটস্ট্রোকে আক্রান্তদের চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।

এছাড়া তিনি কর্মকর্তাদের হিটস্ট্রোক-সম্পর্কিত হতাহতের রেকর্ড রাখতে এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, ওআরএস প্যাক, আইভি ফ্লুইড এবং আইস প্যাকগুলোর পর্যাপ্ত সরবরাহ সংগ্রহ করতে বলেছেন।

প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই দিল্লির হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন লোকজন। যে ২০ জন মারা গেছেন, তাদের মৃত্যুও হয়েছে তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়।

এদিকে গরমকে আরও অসহনীয় করে তুলেছে বিদ্যুৎ ও পানির সংকট। দুই কোটি মানুষ অধ্যুষিত দিল্লির রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গেছে, গরমের কারণে রাজধানী ও আশপাশের এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ-পানির চাহিদা বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণে এবং জনগণের এই চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে দিল্লির রাজ্য সরকার।

শুধু দিনের বেলা নয়, রাতেও দিল্লির তাপমাত্রা থাকছে অনেক বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ভেঙেছে গত ১২ বছরের রেকর্ড। ২০১২ সালের জুনে গড়ে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাই ছিল এযাবৎকালের রেকর্ড। সেই রেকর্ড ভেঙে গেছে। বুধবার দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রাই ছিল ৩৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 


আরও খবর



রাখাইনে গায়ে পেট্রোল ঢেলে মারধর, নির্যাতনে নিহত ৫০

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের রাখাইনে গত সপ্তাহে অভিযান চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এতে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিরোধী বাহিনীগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে বলেন, গ্রামটিতে দুই দিনের বেশি সময় ধরে আগ্রাসন চালানো হয়েছে। লোকজনকে চোখ বেঁধে মারধর করা হয়েছে। তাদের গায়ে গরম পেট্রোল ঢেলে দেওয়া হয়েছে এবং গ্রামের বেশ কয়েকজনকে প্রস্রাব পান করতে বাধ্য করেছে সেনাবাহিনী।

বিভিন্ন এলাকায় আরাকান আর্মির (এএ) সমর্থকদের খুঁজতে অভিযান চালানো হয়েছে। বর্তমানে মিয়ানমারের সবচেয়ে সক্রিয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে এএ।

১৫ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৫১ জন বেসামরিক নাগরিকের ওপর সহিংস নিপীড়ন চালিয়ে হত্যা করেছে সেনাবাহিনী। মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

তবে আরাকান আর্মি বলছে, নিহতের সংখ্যা ৭০ জনের বেশি হতে পারে। তবে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার জান্তা।

এক নারী বিবিসিকে বলেন, তারা এসে লোকজনকে জিজ্ঞাসা করছিল যে আরাকান আর্মির সদস্যরা গ্রামে এসেছে কি না। লোকজন সেনাবাহিনীর প্রশ্নের উত্তরে যদি বলেছে যে, তারা জানে না বা আরাকান আর্মির লোকজন আছে বা নেই, তারা যেই উত্তরই দিয়েছে সেনারা তাদের মারধর করেছে।

মাত্র ছয় মাসের প্রচেষ্টায় রাখাইন রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকা দখল করেছে আরাকান আর্মি। তারা সেনাবাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে।

এক নারী বিবিসিকে বলেন, আমার চোখের সামনে সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমাদের কাছ থেকে আমাদের সন্তানকে আলাদা করা হয়েছে। আমরা জানিনা যে সে কোথায় আছে। আমি এখন জানি না যে, আমার স্বামী এবং সন্তান বেঁচে আছে কি না।

ভুক্তভোগীরা জানান, লোকজনকে সারাদিন ধরে রোদে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। তারা যখন পানি চেয়েছে তখন সেনা সদস্যরা বোতলে প্রস্রাব করে সেগুলো তাদের খেতে দিয়েছে।


আরও খবর



সরকারি চাকরিজীবীদের প্রতি বছর সম্পদের হিসাব দাখিলের নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আইন অনুযায়ী প্রতি বছর সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পদের হিসাব দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (২ জুলাই) এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানিতে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদেশের আগে হাইকোর্ট বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে হারে দুর্নীতির খবর দেখা যাচ্ছে, তাতে বিস্মিত হয়ে পড়ছি আমরা। দুর্নীতি উন্নয়ন ও সুশাসনের অন্তরায়, তাই যেকোনো মূল্যে এটি থামাতেই হবে। শুধু সরকার নয়, জনগণকেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে এবং আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এর বিরুদ্ধে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে হবে।

আদালত আরও বলেন, সোনার মানুষ তৈরি করলে সোনার দেশ গড়া যাবে। সরকার একাই এটি রোধ করতে পারবে তা নয়; সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। শুধু বড় বড় কথা বললে হবে না, কাজ করে দেখাতে হবে।

এর আগে গতকাল সোমবার হাইকোর্টের এ বেঞ্চে দুর্নীতি রোধে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দাখিল ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। এতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, দুদক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ১০ জনকে বিবাদী করেন তিনি।


আরও খবর



সোমবার থেকে মেট্রোরেলের টিকিটে বসছে ১৫ শতাংশ ভ্যাট

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর সোমবার (১ জুলাই) থেকে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট বসতে যাচ্ছে। মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর বর্তমানে ভ্যাট মওকুফ রয়েছে, যার সময়সীমা আজ (৩০ জুন) শেষ হবে।

২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ওই সুবিধা দিয়ে আসছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কিন্তু এই জুনের পরে ওই ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা বাতিল করছে প্রতিষ্ঠানটি। এ কারণে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ১ জুলাই থেকে মেট্রোরেল সেবার ওপর প্রযোজ্য ভ্যাট কর্তন ও রাষ্ট্রীয় কোষাগারের জমা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করে ঢাকা দক্ষিণ এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো চিঠি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা দক্ষিণ এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার শওকত আলী সাদীর সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩০ জুন। এনবিআর ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মেট্রোরেল সেবার ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতি প্রদান করে। পরবর্তী সময়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পুনরায় আলোচনা হলেও মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতি প্রদানে অপারগতা জ্ঞাপন করে এনবিআর।

এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মেট্রোরেল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর আদায় করতে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা পরিপালন যেমন-১৫ শতাংশ মূসকসহ টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করে মূসক আদায় এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা প্রদান করার বিষয়ে প্রস্তুতি সম্পর্কে বিভাগীয় দপ্তরকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।

২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর দেশের প্রথম মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর পর্যায়ক্রমে মেট্রোরেল চলাচল মতিঝিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। মেট্রোরেলের যাত্রীদের কোনো ক্লাস বা শ্রেণিবিন্যাস নেই। সব যাত্রী একই ভাড়ায় নির্ধারিত গন্তব্যে আসা-যাওয়া করতে পারেন।

এছাড়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তিন ফুট উচ্চতার শিশুরা বিনা ভাড়ায় এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ডিসকাউন্টে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে পারেন। কিন্তু, সবার জন্য মেট্রোরেল ও মেট্রোরেলের যাত্রীদের কোনো ক্লাস বা শ্রেণিবিন্যাস না থাকায় মেট্রোরেলের সেবার ওপর এই মুহূর্তে কোনো ধরনের মূসক বা ভ্যাট প্রযোজ্য ছিল না এতদিন।


আরও খবর