আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

শ ম রেজাউল করিমকে ‘বিতর্কিত’ করতে নিহত স্বেচ্ছাসেবকদল নেতাকে আ.লীগ কর্মী হিসেবে অপপ্রচারের রহস্য কী?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পিরোজপুর-১ আসনে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। কিন্তু আসনটিতে সাবেক সমালোচিত সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল সম্পূর্ণ পারিবারিক সিদ্ধান্তে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এরপর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিম সমর্থকদের প্রকাশ্যে হুমকি ধমকির মাধ্যমে ভোটের মাঠে অবৈধ প্রভাব বিস্তারে মরিয়া হয়ে উঠেছে আউয়ালের লোকজন। এমনকি নৌকা প্রতীকের পক্ষে মাঠে নামলে হাত পা কেটে ফেলা হবে বলেও নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে বলেও বলাবলি হচ্ছে।

শুধু তাই নয়, ভাঙচুর করার পাশাপাশি তান্ডব চালানো হয়েছে পিরোজপুরের শাড়ির তলা ডুমরিতলা নামক ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর অফিস। বাদ যায়নি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শ ম রেজাউল করিমের ছবিও।


সন্ত্রাসী কায়দায় এসব অপকর্ম করেছেন আউয়ালের অনুসারী স্বেচ্ছাসেবক দলের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক লালন ফকির, এমন অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ নৌকা সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা লালন ফকির। আলাপচারিতা চলছে, মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে বিতর্কিত করতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার মৃত্যুকে আওয়ামী লীগ কর্মী হিসেবে অপপ্রচারের মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চলছে পুরোদমে। স্থানীয়ভাবে পিস্তল লালন হিসেবে পরিচিত বিএনপির একজন ক্যাডারের জন্য মহল বিশেষের বাড়বাড়ন্ত অপকৌশল জনমনে ঘৃণা-ক্ষোভ ও তীব্র অসন্তোষ তৈরি করেছে। সেই ক্ষোভের অনল ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।

পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চ্যানেল আইর প্রতিনিধি ফসিউল ইসলাম বাচ্চু এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা লালন ফকিরের জন্য আওয়ামী লীগের মিছিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সামাজিক মাধ্যমে এমন আরো স্ট্যাটাস ছড়িয়ে পড়েছে।

শ ম রেজাউল করিম ও আউয়ালের বিরোধের সূত্রপাত যেভাবে:

দীর্ঘদিন পিরোজপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতির একক নিয়ন্ত্রক ছিলেন স্থানীয় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল ওরফে সাইদুর রহমান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিনি পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। কিন্তু নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কারণে গত সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন হারান। নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাবেক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা শ ম রেজাউল করিম। এরপর তিনি প্রথমে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও পরবর্তীতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি এ কে এম এ আউয়াল। সেই থেকে শুরু বিরোধের। কিন্তু সংসদ সদস্য হিসেবে গত ৫ বছর এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যান শ ম রেজাউল করিম। অমায়িক বিনয়ী আচরণ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে স্থানীয় ভোটারদের মন জয় করেন। এক সময় আউয়ালের ভাই পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক মন্ত্রীর বলয়ে চলে আসেন। যদিও পরবর্তীতে তাদের পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তি হয়ে যায়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শ ম রেজাউল করিমের নৌকার মনোনয়ন ঠেকাতে আদাজল খেয়ে মাঠে নামে আউয়াল পরিবার। কিন্তু দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা পুনরায় তাঁর ওপর আস্থা রাখায় মাথায় হাত পড়ে তাদের। দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে ভাবমূর্তি তলানিতে থাকা আউয়াল এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। ২০২১ সালের বুধবার (২০ জানুয়ারি) সরকারি খাস জমি দখলের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে করা তিন মামলায় অভিযোগপত্র দায়ের করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব মামলার বিচারও চলছে।

জানা যায়, দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে পারিবারিক সিদ্ধান্তেই সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। এ সময় স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদকসহ বিভিন্ন মামলা আসামিদের জার্সি বদলের মাধ্যমে রাতারাতি আওয়ামী লীগ বনে যাওয়ার সুযোগ করে দেন বলেও মাঠে নানান কথা শোনা যাচ্ছে। বেপরোয়া পক্ষটি উস্কানিমূলক কথাবার্তার মাধ্যমে ভোটের মাঠকে অশান্ত করে তুলেছেন।

মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন গত ৩০ নভেম্বর নাজিরপুরে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় এ কে এম এ আউয়ালের ভাই পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলেন, তাদের কর্মীদের দিকে কেউ গরম চোখে তাকালে তিনি তাদের চোখ উপড়ে ফেলবেন। তাঁর আক্রমণাত্মক বক্তব্যে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। পিরোজপুর পৌর এলাকায় আউয়ালের সমর্থনে একটি সভায় জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম সুমন প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন- নৌকার কোন অফিস এবং কোন এজেন্ট পিরোজপুরে দিতে দেয়া হবে না। ইন্দুরকানী উপজেলায় আউয়াল সমর্থক কর্মী সাঈদ মহরি প্রকাশ্যে বলেন, ইন্দুরকানি উপজেলায় আউয়াল পরিবারের বাইরে কাউকে নির্বাচনে আসতে বা ভোট নিতে অথবা দিতে দেয়া হবে না। এছাড়া শহরে বিভিন্ন স্থানের জনসভায় আউয়াল পরিবারের সমর্থক পৌর কাউন্সিলর সাদুল্লাহ লিটন, রাজু, রেজাউল করিম মন্টু, শ্রমিক লীগ কর্মী সাঈদ নৌকার প্রার্থী শ‌ ম রেজাউল করিমকে বিভিন্নভাবে অশ্লীল আশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকি দেন। এসব বক্তব্যের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে নৌকা সমর্থকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

অভিযোগ রয়েছে, শ ম রেজাউল করিমের সমর্থকদেরকে পিরোজপুরের পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক এবং এ কে এম এ আউয়াল ফোন করে নৌকা প্রতীকের পক্ষে মাঠে নামলে হাত পা কেটে ফেলা ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের সংগঠক ইন্দুরকানি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মৃধা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল লতিফ নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি, পিরোজপুরে রিটার্নিং অফিসারসহ বিভিন্ন পর্যায়ে লিখিত আবেদন করে জীবনের নিরাপত্তা চান। তাদের এই অভিযোগের তদন্ত করেন অনুসন্ধানের দায়িত্বপ্রাপ্ত পিরোজপুরের যুগ্ম জেলা জজ। সাক্ষ্য প্রমাণে এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। অপরদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শ ম রেজাউল করিম বিভিন্ন স্থানে লিখিত অভিযোগ করে তার কর্মীদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সহিংস হুমকি, মারধরসহ বিভিন্ন রকম নির্বাচনী আচরণ বিধি পরিপন্থী কর্মকান্ড অবহিত করেন। প্রতিকার দাবি করেন তিনি। তবে এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের রহস্যময় নীরবতা জনমনে প্রশ্নবোধক।


একাধিক মামলার আসামি ছিলেন পিস্তল লালন:

পিরোজপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন লালন ফকির। এই কমিটির কাগজ ঘুরছে ফেসবুকের ওয়ালে ওয়ালে। গত ১০ ডিসেম্বর নৌকার অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় দুপক্ষের সংঘর্ষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লালন।

স্থানীয়ভাবে পিস্তল লালন নামে পরিচিত লালন ফকির:

অবরোধকালীন সময়ে গত ১৯ জুলাই পিরোজপুরে বিএনপির সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ১৩/১৬৪ নং মামলার এজাহারভুক্ত ৭৪ নম্বর আসামি। এই মামলার বাদি পিরোজপুর সদর থানার এসআই মাকসুদুর রহমান। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও সন্ত্রাসী ঘটনায় লালন ফকির ও নিজাম ফকিরের নেতৃত্বে শারিকতলা ডুমুরিতলা এলাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছিল বলে বিশেষ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল পিরোজপুরে ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ গ্রেফতার হয়েছিল লালন। দীর্ঘদিন কারাগারে থেকে জামিনে মুক্তির পর তিনি দলীয় জার্সি বদল করে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম এ আওয়ালের ভাই পিরোজপুরের পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেকের অনুসারী বনে যান। লালন ডাইং ডিক্লারেশন/মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে ৩ থেকে ৪ জন ব্যক্তি দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। তবে তাকে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে চালিয়ে দেয়ার মাধ্যমে মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে নতুন করে হেনস্থা করার অপপ্রয়াসের মাধ্যমে ঘৃণ্য রাজনীতির ধারাবাহিকতা চলছে বলেও অভিযোগ করেছেন মন্ত্রীর অনুসারীরা।

 


আরও খবর



কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক শরীফের মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় শরিফুল ইসলাম শরীফ (৪২) নামে এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহত শরিফ মিরপুর উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের গেটপাড়া গ্রামের মৃত নাদের আলী মণ্ডলের ছেলে। শরিফ ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার মিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। এছাড়াও তিনি কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সদস্য ও মিরপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও একটি পুত্র সন্তান রেখে গেছেন।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে কুষ্টিয়া থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন শরীফ। পথে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চলিক সড়কের তাঁতিবন্ধ এলাকায় জেটি আইয়ের সামনে পাখি ভ্যানের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলটির সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি ও কুষ্টিয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. কামারুল আরেফিনসহ জেলার সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন।


আরও খবর



দেশে এক মাসে ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়েছে সাড়ে ৪৩ লাখ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

টানা পাঁচ মাস দেশে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক কমার পর ফেব্রুয়ারি থেকে তা বাড়তে শুরু করে। বছরের দ্বিতীয় মাসে এক লাফে ১১ লাখ ৭০ হাজার গ্রাহক বাড়ে। সবশেষ মার্চে দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক ৩৭ লাখ ৯০ হাজার বৃদ্ধির তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কমিশনের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসে দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক বেড়ে হয়েছে ১২ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার। এর আগের মাস অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে গ্রাহক ছিল ১১ কোটি ৭৪ লাখ ৭০ হাজার। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক বেড়েছে ৩৭ লাখ ৯০ হাজার।

গ্রাহক বেড়েছে আইএসপি ও পিএসটিএন ইন্টারনেটেরও। ফেব্রুয়ারিতে আইএসপির গ্রাহক সংখ্যা ছিল এক কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার। মার্চে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার। এ মাসে আইএসপি ও পিএসটিএন ইন্টারনেটের গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৩৪ লাখ ৪০ হাজার।

এদিকে, মোবাইল এবং আইএসপি ও পিএসটিএন ইন্টারনেটের গ্রাহক বাড়ায় দেশে মোট ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যাও বেড়েছে। মার্চে দেশের মোট ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৪৭ লাখ। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে মোট গ্রাহক ছিল ১৩ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজারে। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়েছে ৪৩ লাখ ৫০ হাজার।

জানা গেছে, বিটিআরসি প্রতি মাসে দেশের ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকে। এবার কিছুটা দেরিতে অর্থাৎ, মে মাসে এসে মার্চের ইন্টারনেট গ্রাহকের তথ্য প্রকাশ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

এর আগে টানা পাঁচ মাস দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক সংখ্যা কমতে দেখা গেছে। গ্রাহকদের অভিযোগ ছিল, প্যাকেজ সমন্বয়ের নামে মোবাইল অপারেটরগুলো ইন্টারনেটের দাম বাড়ানোর কারণে তারা ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন। সম্প্রতি ইন্টারনেটের দাম আরও বেড়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছিল ফেব্রুয়ারি-মার্চে আরও গ্রাহক হারাবে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো। তবে বিটিআরসির তথ্যে দেখা গেলো উল্টোচিত্র।

বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের আগস্টে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৯০ হাজার। এরপর সেপ্টেম্বর থেকে গ্রাহক কমতে শুরু করে। সেপ্টেম্বরে ২০ হাজার গ্রাহক কমে ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজারে নেমে যায়। অক্টোবরে এক লাফে ৩ লাখ ৬০ হাজার গ্রাহক কমে দাঁড়ায় ১১ কোটি ৯৪ লাখ ১০ হাজার। নভেম্বর প্রায় ৫ লাখ গ্রাহক কমে যায়। ওই মাসে গ্রাহক ছিল ১১ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার। এরপর ডিসেম্বর তা কমে ১১ লাখ ৮৪ লাখ ৯০ হাজারে নেমে যায়।

সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা কমে ১১ কোটি ৬০ লাখ ৩০ হাজারে নামে। এরপর ফেব্রুয়ারি ও মার্চ টানা দুই মাস মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। একই সঙ্গে দীর্ঘদিন পর আইএসপি ও পিএসটিএন ইন্টারনেট গ্রাহকও বাড়লো।

জানতে চাইলে বিটিআরসির মহাপরিচালক (এসএস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খলিলুর রহমান বলেন, এটা বিভিন্ন কারণে কমতে-বাড়তে পারে। খরচ বাড়া-কমা নিয়েও প্রশ্ন থাকতে পারে। অন্য বিভিন্ন কারণও থাকে। ফেব্রুয়ারিতে গ্রাহক সংখ্যা কিছুটা বেড়েছিল। মার্চে বেশ ভালো অগ্রগতি দেখছি আমরা। প্রকৃতপক্ষে আমরা যে তথ্য পাই, সেটাই প্রতি মাসে প্রকাশ করে থাকি। এখানে লুকোচুরির কিছু নেই।


আরও খবর



আরও কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশে আবারও কমেছে স্বর্ণের দাম। ভরিতে ৩১৫ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

রোববার (২৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস এ তথ্য জানায়। আজ বিকেল ৪টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর



এপ্রিলে ৬৫৮ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৩২ : বিআরটিএ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এপ্রিল মাসে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬৫৮টি। এসব দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৬৩২ জন মানুষ। একইসঙ্গে আহত হয়েছে আরও অন্তত ৮৬৬ জন মানুষ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার স্বাক্ষরিত সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এসবের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১০৮টি দুর্ঘটনায় ১১৫ জন নিহত এবং ১৫৭ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩৫টি দুর্ঘটনায় ১২৩ জন নিহত এবং ২২৭ জন আহত হয়েছেন; রাজশাহী বিভাগে ১০০টি দুর্ঘটনায় ৯৩ জন নিহত এবং ১১২ জন আহত হয়েছেন; খুলনা বিভাগে ৯৮টি দুর্ঘটনায় ৮৭ জন নিহত এবং ৯৫ জন আহত হয়েছেন; বরিশাল বিভাগে ৪৫টি দুর্ঘটনায় ৪৯ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন; সিলেট বিভাগে ৩৪টি দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন; রংপুর বিভাগে ৬৮টি দুর্ঘটনায় ৬৫ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৭০টি দুর্ঘটনায় ৬২ জন নিহত এবং ৮৩ জন আহত হয়েছেন।

এপ্রিল মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত মোটরযানের মধ্যে মোটরকার/জিপ ৪১টি, বাস/মিনিবাস ১৫৭টি, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান ১৭০টি, পিকআপ ৫০টি, মাইক্রোবাস ২৮টি, অ্যাম্বুলেন্স ১২টি, মোটরসাইকেল ২৫২টি, ট্রাক্টর ১৭টি, ভ্যান ২১টি, ইজিবাইক ৩৪টি, ব্যাটারিচালিত রিকশা ৩১টি, অটোরিকশা ৬৮টি এবং অন্যান্য যান ১৭৫টিসহ সর্বমোট ১০৫৬টি যানবাহন রয়েছে।

এসবের মধ্যে মোটরকার দুর্ঘটনায়/জিপ ২৬ জন, বাস/মিনিবাস দুর্ঘটনায় ৬৭ জন, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান দুর্ঘটনায় ৬২ জন, পিকাপ দুর্ঘটনায় ৩০ জন, মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ২০ জন, অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় ১৩ জন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯১ জন, ট্রাক্টর দুর্ঘটনায় ৯ জন, ভ্যান দুর্ঘটনায় ১৮ জন, ইজিবাইক দুর্ঘটনায় ৩০ জন, ব্যাটারিচালিত রিকশা দুর্ঘটনায় ১৭ জন, অটোরিকশা দুর্ঘটনায় ৪৫ জন ও অন্যান্য যান দুর্ঘটনায় ১০৪ জনসহ সর্বমোট ৬৩২ জন নিহত হয়।

এর আগে, গত ২১ এপ্রিল বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার জানিয়েছিলেন, ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের ১৭ দিনে (৪ থেকে ২০ এপ্রিল) সারা দেশে ২৬৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩২০ জন ও আহত হয়েছেন ৪৬২ জন। এ সময়ে গড়ে প্রতিদিন ১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন।


আরও খবর



তামান্না ভাটিয়াকে সাইবার সেলে তলব

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির আলোচিত অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া এখন বলিউডেরও পরিচিত মুখ। বেশ দাপুটের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত সময় পার করছেন। তবে সম্প্রতি বিপাকে পড়েছেন এ তারকা। তাকে তলব করেছে ভারতের মহারাষ্ট্র সাইবার সেল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সাইবার সেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহাদেব অনলাইন গেমিং এবং বেটিং অ্যাপ্লিকেশনের একটি সহায়ক অ্যাপে আইপিএল ম্যাচ দেখতে কথিত প্রচারের জন্য তলব করা হয়েছে তামান্নাকে। দক্ষিণী এই নায়িকাকে আগামী ২৯ এপ্রিল মহারাষ্ট্র সাইবার সেলে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এর আগে গত বছরও কিছু আইপিএল ম্যাচ অ্যাপে অবৈধভাবে স্ট্রিম করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে একটি অভিযোগও রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তার বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য ডাকা হয়েছে।

এ মামলায় ইতোমধ্যে মহারাষ্ট্র সাইবার সেল গায়ক বাদশা, অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ও জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের ম্যানেজারদের বক্তব্য নিয়েছে। আর মহাদেব অ্যাপটি অবৈধ অর্থ লেনদেন এবং বাজি ধরার জন্য বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার মনিটরিংয়ে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, তামান্না ভাটিয়া বাহুবলী এবং নেটফ্লিক্স অ্যান্থলজি লাস্ট স্টোরিজ-২ এর জন্য দর্শকমহলে বহুল পরিচিত।


আরও খবর