আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

সাগরপথে ইউরোপে মানবপাচারের শীর্ষে বাংলাদেশ: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ইউরোপে মানবপাচার বেড়েই চলছে। অবৈধ পথে ইউরোপ পাড়ি দিতে গিয়ে মারা যায় ১২ শতাংশ। গত পাঁচ বছরে শুধু মাদারীপুরেই মানবপাচারের মামলা হয় ২৪৭টি। যার আসামি ১ হাজার ২৫২ জন। যদিও আটক মাত্র ১৬৪ জন। তবে সাজা হয়নি একজনেরও। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ পৌঁছানোর তালিকায় শীর্ষে বাংলাদেশ। চলতি ক্যালেন্ডারের প্রথম ৪ মাসে এই ঝুঁকিপূর্ণ পথে যত মানুষ ইউরোপ ঢুকেছে তার ২১ শতাংশই বাংলাদেশি।

জাতিসংঘের পরিসংখ্যানে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ পৌঁছানোর তালিকার শীর্ষে বাংলাদেশ। এর পরিমাণ ২১ শতাংশ। এর মধ্যে ১২ ভাগ বাংলাদেশিই মারা যাচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, ঝুঁকি নিয়ে এমন পথে বিদেশ না যাওয়াই ভালো। অনেক লোক অবৈধভাবে বিদেশ যাওয়ার পথে মারা গেছে তারা তো ফিরবেন না। কিন্তু এমন পথে যেনো আর কেউ বিদেশ না যায়।

এরপরও বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী এই পথে কেন যাচ্ছে বাংলাদেশিরা? নৌকা থেকে বেঁচে ফেরা বাঁধন মন্ডল নামে এক ব্যক্তির কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার পর আমাকে বলা হয়েছিল যে ১ বছরের মধ্যে ভিসা হয়ে যাবে। এর জন্য ১ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমাকে পরে জানানো হয় যে ভিসা হবে না। ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যাও আর বাকি টাকা ফেরত দেয়া হবে না। পরে আমর এই পথে লিবিয়ার পথ বেছে নিতে হয়েছে।

বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসন এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম মাদারীপুর। হিসেব বলছে, গত এক দশকে ভূমধ্য সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে অসংখ্য বাংলাদেশির, যাদের অনেকের বাড়ি এই রাজইর উপজেলায়।

প্রলোভনের ফাঁদে এমন মৃত্যু এবারই প্রথম নয়, তবে এটিই শেষ তাও কী বলা যাবে? কারণ গত পাঁচ বছরে মাদারীপুরে মানবপাচারের ২৪৭টি মামলায় ১ হাজার ২৫২ জন আসামি হলেও আটক মাত্র ১৬৪ জন। সাজা হয়নি একটিতেও।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, মানব পাচারের সঙ্গে যদি কেউ জড়িত হয় অথবা অন্য কোনো অপরাধের সাথে যদি জড়িত হয় তাহলে আমরা তাদের ছাড় দেই না। তবে একটি ঘটনায় অনেকেই ১০-১৫ জনের নামে মামলা দেয়। কিন্তু এসব মামলায় সবাই কিন্তু সম্পৃক্ত থাকে না।


আরও খবর



রোহিঙ্গাদের তৃতীয় দেশে পুনর্বাসন কোনো সমাধান নয়: ম্যাকেঞ্জি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ হয়ে এ পর্যন্ত ১২ থেকে ১৩ হাজার রোহিঙ্গা যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসিত হয়েছেন। মানবিক কারণে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে পুর্নবাসন করা হলেও তৃতীয় কোনো দেশে রোহিঙ্গাদের পাঠানো দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নয়। যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক শরণার্থীবিষয়ক সমন্বয়কারী ম্যাকেঞ্জি রো বুধবার (১২ জুন) দুপুরে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের দেখভালে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য বাস্তুচ্যুত জাতিগোষ্ঠী নিরাপদে নিজ ভূমিতে ফেরত যেতে পারে, সে জন্য মিয়ানমারের চলমান সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানে আঞ্চলিক দেশগুলো ও জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

ম্যাকেঞ্জি রো বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানবিক সহায়তা বাধাগ্রস্ত হয় এমন যে কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ রয়েছে।

তিনি বলেন, মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলে বিভিন্ন স্থানে থাকা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার দিক থেকে সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত মোট ২৪০ কোটি ডলার সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৯০ কোটি ডলার এসেছে বাংলাদেশে।

মার্কিন দূতাবাসের রিজিওনাল রিফিউজি কো-অর্ডিনেটর জানান, আঞ্চলিকভাবে ১২ থেকে ১৫ হাজার রোহিঙ্গা যুক্তরাষ্ট্রের পুনর্বাসিত হলেও মানবিক সংকটের সমাধান হিসেবে এটি কোনো দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া নয়। আগামী সেপ্টেম্বরে আমাদের রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের নতুন সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।

মানবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের দেওয়া সহায়তা তাদের কাছে পৌঁছাক, যাদের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। আর এসব বিষয়ে সমাধানে আমরা অংশীদারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কাজ করছি।

তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনের একটি অপরিহার্য ভিত্তি হচ্ছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহি নিশ্চিত করা।


আরও খবর



এবার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিলেন তানভীর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ মামলায় দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি তানভীর ভূঁইয়া (৩০)।

মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর ফের তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

এর আগে সোমবার (৩ জুন) একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসামি শিলাস্তি রহমান।

অপর আসামি হলেন শিমুল ভূঁইয়া ওরফে ওরফে আমানুল্যাহ আমান (৫৬)। তিন আসামির ২৪ মে আট দিনের এবং ৩১ মে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এদিকে, গোয়েন্দা পুলিশের অবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার আনার হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার ও পলাতক ১০ আসামির ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য দিতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্সকে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

উল্লেখ্য ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান সংসদ সদস্য আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজিম।

বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচদিন পরে, গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনার নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। বুধবার হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পাশের নিউটাউন এলাকায় সঞ্জিভা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে সংসদ সদস্য আনার খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ।

হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার অভিযোগে গ্রেফতার সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাহাজি ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানের ৮ দিনের রিমান্ড শেষে আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন দেশের আদালত। আর হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া জিহাদ হাওলাদার ওরফে কসাই জিহাদকে ১২ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন ভারতের বারাসাতের আদালত।

অন্যদিকে, আনার হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন মো. সিয়াম নেপালে আটক হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) নেপাল পুলিশ তাকে আটক করেছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ পায়। সোমবার (৩ জুন) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক তার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আমানের সহযোগী সাইফুল মেম্বারকেও রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।


আরও খবর



দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রতিদিনই কোনো না কোনো কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুক্রবার (৭ জুন) প্রথম স্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার থেকে এই তথ্য জানা যায়।

বায়ু দূষণের তালিকায় শীর্ষে থাকা রাজধানী ঢাকার মান ১৭৫। অর্থাৎ এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য অস্বাস্থ্যকর। পাশাপাশি তালিকায় দুই নম্বরে ১৭১ স্কোর নিয়ে আছে মিশরের কায়রো শহর। বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষ তিনে অবস্থান করছে ভিয়েতনামের হ্যানয়। শহরটির বাতাসের মানের স্কোর ১৫৯, এই মানও অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। অন্যদিকে, স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।

এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

নিউজ ট্যাগ: বায়ুদূষণ

আরও খবর



বিএনপির অবস্থান ভারতের বিরুদ্ধে নয়, শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে: ফখরুল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির অবস্থান ভারতের বিরুদ্ধে নয়, শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনপি সব সময় সোচ্চার বলেও দাবি করেন তিনি। মঙ্গলবার (২৫ জুন) গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর সম্প্রতি ভারত সফরে দেশটির সঙ্গে হওয়া সকল চুক্তি বিএনপি প্রত্যাখ্যান করেছে জানিয়ে ফখরুল বলেন, সরকার সব সময় ভারতকে সকল সুবিধা দিলেও, নিজেদের ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে সরকার। তার মুক্তির দাবিতে শিগগিরই কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হবে।


আরও খবর



এমপি আনার হত্যা: ১৪ দিনের রিমান্ডে সিয়াম

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ঝিনাইদহ -৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলায় অভিযুক্ত মো. সিয়াম হোসেনকে ১৪ দিনের পুলিশি রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন পশ্চিমবঙ্গের একটি আদালত।

শনিবার (৮ জুন) ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত জেলা ও দায়রা আদালতে তাকে তোলা হলে এই আদেশ দেন বিচারক।

এদিন মামলাটি ওঠে আদালতের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচারক সংগীতা লেট-এর এজলাসে। বিচারক সিআইডি কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চান, আসামিকে কত দিনের হেফাজতে চাইছেন তারা। জবাবে সিআইডি জানায়, ১৪ দিনের হেফাজত দিলে তাদের তদন্তে অগ্রগতি আসবে। এ কথা শুনে সিয়ামকে ১৪ দিনের জন্য সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

গেলো শুক্রবার (৭ জুন) বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ এলাকা থেকে সিয়ামকে গ্রেপ্তার করে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি)।

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ), ৩০২ (অপরাধমূলক নরহত্যা), ২০১ (তথ্য-প্রমাণ লোপাট) এবং ৩৪ (সংঘবদ্ধভাবে অপরাধমূলক কাজ সংঘটিত করা)- এই চার জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।

সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মন্দাক্রান্তা মুখার্জি জানান, এমপি আনারের মরদেহের টুকরোর সন্ধান, হত্যায় কী কী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল সেগুলো উদ্ধারসহ তদন্তে গতি আনতেই সিয়ামকে ১৪ দিনের হেফাজতে চেয়েছিল সিআইডি। আদালত তা মঞ্জুর করেছেন। সিয়ামের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারা যুক্ত করা হবে বলেও জানান সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর।

এর আগে, অনেক নাটকের পর শুক্রবার (৭ জুন) রাতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি জানায়, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি সিয়ামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সিআইডির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের ভোলা জেলার বুরহাদ উদ্দিন গ্ৰামের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. সিয়াম। তার বয়স ৩৩ বছর বয়স। সিয়ামের বাবার নাম আলাউদ্দিন বালি। ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার পর বনগাঁর সীমান্তবর্তী অঞ্চলে গা ঢাকা দিয়েছিলেন সিয়াম। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে সিআইডি।

এ নিয়ে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত আখতারুজ্জামান শাহীনের দুই সহযোগী সিয়াম হোসেন ও জিহাদ হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করলো সিআইডি।


আরও খবর