আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

সর্বজনীন পেনশন: আজ চালু হচ্ছে প্রত্যয় স্কিম

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সর্বজনীন পেনশন প্রত্যয় স্কিম চালু হচ্ছে আজ সোমবার (১ জুলাই)। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, ব্যাংক এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৪০০ সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নতুন কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য প্রত্যয় প্রযোজ্য হবে।

প্রত্যয় পেনশন স্কিম অনুযায়ী, কর্মচারীদের মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকার মধ্যে যেটা কম তা কাটা হবে এবং সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা দেবে। সেই অর্থ জমা হবে পেনশন কর্তৃপক্ষের তহবিলে। ৩০ বছর ধরে মাসে ২ হাজার ৫০০ টাকা মানদণ্ড ধরলে, একজন কর্মচারীর নিজ বেতন থেকে জমা হবে ৯ লাখ আর সংশ্লিষ্ট সংস্থা জমা করবে আরও ৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর মোট চাঁদা হবে ১৮ লাখ টাকা। যদি তিনি ৭৫ বছর বয়সে মারা যান, তাহলে ১৫ বছরে পেনশন পাবেন ১ কোটি ১২ লাখ ১৯ হাজার ৪০০ টাকা, যা তার নিজ জমার ১২ দশমিক ৪৭ গুণ।

বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশসহ সব রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ও সরকারি ব্যাংক; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, সাধারণ বীমা করপোরেশনসহ সব করপোরেশন, পেট্রোবাংলা, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, বিএসটিআইসহ প্রায় ৪০০ সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নতুন কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য প্রত্যয় প্রযোজ্য হবে।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদ্মা অয়েল, যমুনা অয়েলসহ সরকারের হাতে ৫০ শতাংশের বেশি শেয়ারের মালিকানা রয়েছে, এমন কোম্পানিগুলোতে নতুন যোগ দেয়া কর্মীরাও আর বিদ্যমান নিয়মে পেনশন পাবেন না।

সরকার বলছে, এই পেনশনের সুবিধা আজীবন মিলবে, এমনকি এর অঙ্ক বৃদ্ধির সম্ভাবনাও আছে। পেনশন কর্মসূচি রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টিযুক্ত হওয়ায় শতভাগ ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ এবং আয়করমুক্ত। এ কর্মসূচিতে নিবন্ধিত কর্মচারীরা পেনশন পাওয়ার উপযুক্ত হওয়ার পরের মাস থেকেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাঁদের ব্যাংক হিসাবে মাসিক পেনশনের অর্থ পেয়ে যাবেন। পেনশন পেতে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোনো দফতরে যাওয়ার বা কোনো ধরনের প্রমাণ দেখানোরও প্রয়োজন হবে না।


আরও খবর



দেশে ফিরেছেন ৪৩ হাজার ৮৩ হাজি, মৃত্যু বেড়ে ৫৮

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৪৩ হাজার ৮৩ হাজি। এ বছর হজে গিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮ জনে।

বুধবার (৩ জুলাই) ভোরে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বুলেটিনে বলা হয়, পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৮৩ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। সৌদি থেকে ১০৯টি ফ্লাইটে এসব হাজি বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ৪১টি, সৌদি এয়ারলাইনস ৪২টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।

হজ শেষে গত ২০ জুন থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হয়। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ জন হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে।

এদিকে চলতি বছর হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫৮ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৪৫ জন এবং নারী ১৩ জন। তাদের মধ্যে মক্কায় ৪৬ জন, মদিনায় চারজন, মিনায় ছয়জন ও জেদ্দায় দুইজন মারা গেছেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। আগামী বছর (২০২৫) বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দিয়েছে সৌদি আরব।

এদিকে, চলতি বছর প্রখর তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমের জেরে হজ করতে গিয়ে সৌদি আরবে রেকর্ড মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫৮ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।‌ এর মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে ১৭ জন, বাকি ৪১ জন হজের আনুষ্ঠানিকতার শুরুর পর মারা গেছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সবার পরিচয় প্রকাশ করেছে হজ পোর্টাল।

সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে যদি মারা যান, তাহলে তার মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তি গ্রাহ্য করা হয় না। মক্কায় হজ যাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে নামাজে জানাজা হয়।


আরও খবর



হলি আর্টিজান হামলার ৮ বছর আজ, কী ঘটেছিল সেদিন

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দিনটি ছিল ২০১৬ সালের ১ জুলাই (শুক্রবার)। রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে খবর পাওয়া যায় রাজধানীর গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের হোলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলি হচ্ছে। সশস্ত্র হামলাকারী এক রেস্টুরেন্টে ঢুকে বিদেশী নাগরিকসহ বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করেছে। ভয়াবহ এ হামলায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞ এবং প্রায় ১২ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস জিম্মি সংকটের ঘটনায় স্তম্ভিত করেছিল পুরো জাতিকে।

ওই দিনের হামলায় মোট ২২ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২ পুলিশ কর্মকর্তা ও ১৭ বিদেশি নাগরিক ছিল। ওই দিন পুরো রাত স্পর্শকাতর বিবেচনায় কয়েকবার প্রস্তুতি নেওয়া সত্ত্বেও অভিযান চালোনো থেকে বিরত থাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

হলি আর্টিজানে হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্সসহ প্রথমে পৌঁছান গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার দাস। মামলার এজাহারে ঘটনার বিবরণীতে তিনি উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন গুলশান থানার রোড নম্বর-৭১ থেকে ৯২ এবং এর আশপাশ এলাকায় পেট্রোল ডিউটির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। রাত আনুমানিক পৌনে ৯টার দিকে ওয়্যারলেসে ভেসে আসে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বেকারিতে গুলির খবর। খবর পেয়েই ফোর্সসহ রাত আনুমানিক ৮টা ৫০ মিনিটে ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছান এসআই রিপন। হলি আর্টিজানের কাছে উপস্থিত হয়ে তারা দেখতে পান, রেস্টুরেন্টের ভেতরে কতিপয় সন্ত্রাসীরা আল্লাহ্ আকবর ধ্বনি দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ করছে।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ ও এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীদের নিক্ষিপ্ত করা গুলি ও গ্রেনেডের আঘাতে এসআই ফারুক হোসেন ও কনস্টেবল প্রদীপ চন্দ্র দাস ও আলমগীর হোসেন গুরুতর আহত হন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং এসআই রিপন কুমার দাস বিষয়টি তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।

যার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিটের অফিসার ও ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়। এরপর পুলিশসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হলি আর্টিজানের বেকারির চারপাশে কর্ডন করে ফেলে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সন্ত্রাসীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে অনবরত গুলি ও গ্রেনেড ছুড়তে থাকে।

এ অবস্থায় রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে সন্ত্রাসীরা হলি আর্টিজানের বেকারির পশ্চিম দিকের বাড়ির সামনে অবস্থানরত পুলিশ অফিসার ও ফোর্সদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে অন্তত ৩০-৩৫ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য আহত হন, কেউ কেউ মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হয়। সে সময় চারদিকে ঘিরে থাকা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-পুলিশসহ অন্য বাহিনীর সদস্যরা দৌড়ে নিরাপদ দূরত্বে যান। আহতদের সবাইকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টা ২০ মিনিটে বনানী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহউদ্দিন খান মৃত্যুবরণ করেন। এর কিছুক্ষণ পরই ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) মো. রবিউল করিমের মৃত্যু হয়।

পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিবেচনা করে রাতেই সিদ্ধান্ত হয় পরের দিন ২ জুলাই অপারেশন থান্ডারবোল্ট পরিচালনা করা হবে। এ অভিযানের মধ্য দিয়েই জিম্মিদশার অবসান ঘটান যৌথ সেনা, নৌ, পুলিশ, র‍্যাব এবং বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ কমান্ডো দল। নিহত হয় ৬ জঙ্গি, আহত অবস্থায় ধরা পড়ে একজন।

রাত দেড়টায় ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠী তাদের বার্তা সংস্থা বলে পরিচিত আমাক এ হামলার দায় স্বীকার করে ২০জন নিহত হবার কথা জানায়। আইএস এর পক্ষ থেকে হামলাকারীদের মধ্যে পাঁচজনকে তাদের সৈনিক বলে দাবি করে, হামলার দায় নেয় তারা।

২০১৬ সালের ২ জুলাই ভোর ৭টা ৩৫ মিনিটে গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট অভিযানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয় যৌথ কমান্ডো দল। ৭টা ৪৫ মিনিটে কমান্ডো বাহিনী অভিযান শুরু করে। অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত দলের সদস্যরা রেস্টুরেন্টের ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। সকাল সোয়া ৮টায় রেস্টুরেন্ট থেকে প্রথম দফায় নারী ও শিশুসহ ৬ জনকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। পাশের একটি ভবন থেকে একজন বিদেশী নাগরিক তার মোবাইল ফোনে সেটি ধারণ করেন। ৮টা ৫৫ মিনিটে ভবনের নিয়ন্ত্রণ নেয় অভিযানকারীরা। গোয়েন্দা দল ভবনের ভেতর বিস্ফোরকের জন্য তল্লাশি শুরু করে। কিছুক্ষণ পরই আলামত সংগ্রহের কাজ শুরু করে গোয়েন্দারা। ৯টা ১৫ মিনিটে অভিযান শেষ হয়। কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে প্রায় ১২ ঘণ্টার রক্তাক্ত জিম্মি সংকটের অবসান হয়।

সকাল ১০টায় ৪ জন বিদেশীসহ ১৩ জন জীবিত উদ্ধারের খবর জানানো হয়। রেস্টুরেন্টের ভেতরে অজ্ঞাত পাঁচজনের মৃতদেহ পাবার কথা পুলিশ জানায়। ১১টা ৫০ মিনিটে অভিযানে জঙ্গিদের ৫ জন নিহত হয় বলে নিশ্চিত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অভিযানে নিহত জঙ্গিরা হলেন- মীর সামিহ মোবাশ্বের (১৯), রোহান ইমতিয়াজ (২০), নিরবাস ইসলাম (২০), খায়রুল ইসলাম পায়েল (২২), শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ওরফে বিকাশ (২৬)।

পরে জিম্মি থাকাবস্থায় সন্ত্রাসী কর্তৃক নৃশংসভাবে নিহত হওয়া ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে নয়জন ইতালির নাগরিক, সাতজন জাপানের, একজন ভারতের ও তিনজন বাংলাদেশি।

উদ্ধার জিম্মিদের বয়ান অনুযায়ী তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, জঙ্গিরা হামলার প্রথম ২০ মিনিটেই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায়। তারা দেশি-বিদেশিদের গুলি করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে-গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে। হত্যার পর ছবি তুলে অ্যাপের মাধ্যমে বাইরে অবস্থানরত নব্য জেএমবির নেতা তামিম চৌধুরী ও মারজানের কাছে পাঠায় তারা। জঙ্গিরা এতটাই নিষ্ঠুর ছিল যে, লাশের সারি মেঝেতে রেখেই খাবার খায়।


আরও খবর



কুমারখালীতে চুরি হওয়া শিশুর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মায়ের সঙ্গে নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে চুরি হওয়ায় ইসরাফিল নামের আড়াই মাস বয়সী শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১২ জুন) বেলা ৩ টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া এলাকার বিল থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত শিশু ইসরাফিল কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গোবরা আনন্দপুর এলাকার জিয়াউর রহমানের ছেলে।

জানা গেছে, সোমবার (১০ জুন) মায়ের সঙ্গে কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল ইসরাফিল। রাতে খাবারের পর তাঁর মায়ের সঙ্গে ছেলে ইসরাফিলকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ১০টার দিকে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে দেখতে পান তাঁর পাশে ইসরাফিল নেই। একপাশে টিন ও একপাশে বেড়া দেওয়া ঘরের দরজার খিল শোয়ার সময়ই খোলায় ছিল। তাৎক্ষণিক বাড়ির সবাই আশপাশে খোঁজা-খুঁজি করেও ছেলের সন্ধান পাননি। পরে সকালে বিষয়টি থানা-পুলিশকে জানানো হয়। এসময় মা-বাবা দু'জনই কান্নায় ভেঙে পড়েন। বুধবার (১৩ জুন) বেলা ৩টার  দিকে বাগুলাট ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া এলাকার একটি বিল থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম বলেন, নিহত ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে মরদেহ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



দোহারে দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

না করলে দুর্নীতি, হবে দেশের উন্নতি এই প্রতিপাদ্যে ঢাকার দোহার উপজেলায় দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, দুর্নীতি বিরোধী র‌্যালি এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে দোহার উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় র‌্যালিটি উপজেলা পরিষদ থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে পুনরায় উপজেলা প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. অফিসার মো. জসিম উদ্দিন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার মো. শামীম হোসেন, দোহার উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অজয় কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম।

আরো উপস্থিত ছিলেন জয়পাড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এসএম খালেক, ইকরাশী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একলাল উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল হামেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নগেন্দ্র কুমার সিংহ, ইসলামাবাদ উচ্চ বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক নুরে আলম সিদ্দিকী, জয়পাড়া কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল তাপস কুমার নন্দী, কার্তিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুকী ই আযমসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারিবৃন্দ।


আরও খবর



তোপের মুখে সরানো হলো কোকাকোলার বিজ্ঞাপন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কোমলপানীয় ব্র্যান্ড কোকাকোলা। যুদ্ধবিদ্ধস্ত ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের অমানবিক হামলার প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইহুদি এই দেশটির পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণও।

এবার ইসরায়েলি পণ্য কোকের একটি বিজ্ঞাপন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওঠে ব্যাপক সমালোচনার ঝড়। সেই ঝড় সামলাতে না পেরে ইতোমধ্যেই বিজ্ঞাপনটি কোকাকোলা তাদের ইউটিউব চ্যানেল থেকে সরিয়ে নিয়েছে। আজ দুপুরের পর থেকে আর এটি আর দেখা যাচ্ছে না।

তবে এ বিষয়ে কোকাকোলা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো অফিসিয়াল প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি।

এই বিজ্ঞাপনে অভিনয় করে তোপের মুখে পড়েছেন বিজ্ঞাপনটিতে অভিনয় করা অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবন, শিমুল শর্মা, আব্দুল্লাহ আল সেন্টু।


আরও খবর