দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে পৌঁছেছেন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে
পৌঁছান তিনি।
এ সময় জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে লাল গালিচা
সংবর্ধনা দেওয়া হয় পুতিনকে। বেইজিং বিমানবন্দরে পুতিনকে পুরনো বন্ধু মন্তব্য করে স্বাগত
জানান চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
এছাড়া চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা
সিনহুয়া পুতিনের আগমনের বিষয়টি নিশ্চিত করে "পুরনো বন্ধুর" রাষ্ট্রীয়
সফর হিসাবে বর্ণনা করেছে।
পঞ্চম দফায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব
নেওয়ার পর এটাই পুতিনের প্রথম বিদেশ সফর। বৃহস্পতিবার এ খবর জানায় ব্রিটিশ গণমাধ্যম
বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সফরকালে পুতিনের সাথে
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। এছাড়া দুই দেশের সম্পর্কের ৭৫তম
বার্ষিকী উদ্যাপন করবেন তাঁরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈঠকে রাশিয়ার প্রতি
চীনের সমর্থন, বিশেষ করে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং রাশিয়ার বাজারে চীনা সরঞ্জাম
ও প্রযুক্তির প্রবাহ র্নিশ্চিত করা নিয়ে আলোচনা করেছেন পুতিন, যা রাশিয়ার যুদ্ধের
জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার
কৌশল নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাইতে পারে চীন।
ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার
আওতায় থাকা রাশিয়াকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন চীনা প্রেসিডেন্ট। এমন পরিস্থিতিতে চীন-রাশিয়ার
দুই নেতার বৈঠকের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে পশ্চিমা বিশ্ব।
সফরে আজ বিকেলের সিকে চীনের প্রধানমন্ত্রী
লি কিয়াং পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন। আগামীকাল শুক্রবার চীনের ঐতিহাসিক শহর হারবিনে
দুটি দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে পুতিনের। সেই সঙ্গে সেখানে
একটি বরফ উৎসবেও যোগ দেবেন তিনি।
গতকাল বুধবার বেইজিং সফরের প্রাক্কালে
দেশটির সংবাদমাধ্যম সিনহুয়াকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন পুতিন। এতে তিনি বলেন, ইউক্রেন–সংকটের শান্তিপূর্ণ
সমাধানে চীনের পরিকল্পনায় তাঁর সমর্থন রয়েছে। কেননা ইউক্রেন–সংকটের পেছনের
কারণগুলো সম্পর্কে বেইজিংয়ের পূর্ণ ধারণা আছে।