আজঃ শনিবার ২৯ জুন ২০২৪
শিরোনাম

সানভীস বাই তনির শোরুম খুলে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সানভীস বাই তনি’র গুলশানের শোরুম খুলে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। সোমবার (১০ মে) তনির রিট পিটিশনের শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।

এদিন তনির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ খালেকুজ্জামান অরুন ও রবিউল আলম বুদু। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও অন্যরা।

এর আগে গত ২১ মে রিট পিটিশনটি দায়ের করেন রোবাইয়াত ফাতিমা তনি। তখন তনির শোরুম বন্ধ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে জারি করেছিলেন আদালত।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মে সানভীস বাই তনির পুলিশ প্লাজায় অবস্থিত প্রধান শাখায় অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেন ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল। পরের দিন অধিদপ্তরের দুটি অপরাধের দায়ে ৫০ হাজার ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

লুবনা ইয়াসমিন নামের এক নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইন্দ্রানী রায়। লুবনা ইয়াসমিন নামের ওই ক্রেতা সানভীস থেকে একটি পোশাক কিনেছিলেন ৯ ফেব্রুয়ারি। এর ৫৩ দিন পর ৩ এপ্রিল ওই নারী ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন। ফলে তার অভিযোগটি আমলযোগ্য নয় বলে মনে করেন তনির আইনজীবী সৈয়দ খালেকুজ্জামান অরুন।

অন্যদিকে, রাজু নামের এক ব্যক্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে রাজু নামে আসলে কেউ অভিযোগ করেননি বলে দাবি করেছেন তনি। রাজু নামের কারও অভিযোগের জন্য তনিকে কোনো নোটিশ বা শুনানি করা হয়নি বলেও জানান তনি।

এ ছাড়া লুবানার অভিযোগের শুনানি হয় ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালক ইন্দ্রানী রায়ের অধীনে।

অন্যদিকে জব্বার মণ্ডল ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক। ইন্দ্রানীর কাছে শুনানি থাকলেও একই সময় জব্বার মণ্ডল সেখানে গিয়ে ভুয়া অভিযোগে দুই লাখ জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা না দিলে অন্যান্য শোরুম বন্ধ করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করেন বলে রিট পিটিশনে উল্লেখ করেছেন তনি।

এ বিষয়ে রোবাইয়াত ফাতিমা তনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি আদালতে ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমার শোরুম অবৈধভাবে বন্ধ করেছিল। জরিমানা করার পরও শোরুম বন্ধ করে আমার ক্ষতি করা হয়েছে। এজন্য আদালতে এসেছিলাম।

এ বিষয়ে জব্বার মন্ডল গণমাধ্যমকে বলেন, আইন মেনেই সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালত যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে সে বিষয়ে অধিদপ্তরের আইনজীবীরা কথা বলবেন।


আরও খবর



পর্দার প্রেম থেকে এবার রণবীরের প্রতিবেশী তৃপ্তি দিমরি

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউডের নতুন সেনসেশন তৃপ্তি দিমরি। অ্যানিমেল সিনেমার জোয়া চরিত্রটি তাঁর ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। চরিত্রটির উপস্থিতি ছিল কম। কিন্তু সিনেমাটি মুক্তির পরপরই রণবীর কাপুরের সঙ্গে তাঁর অন্তরঙ্গ দৃশ্য় তৈরি করেছিল বিতর্কের সুনামি। আর তাতেই আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন এই অভিনেত্রী।

অ্যানিমেল মুক্তির সপ্তাহখানেকের মধ্যে নতুন নতুন সিনেমায় যুক্ত হওয়ার খবরও দিয়েছেন তৃপ্তি দিমরি। সন্দীপ রেড্ডি ভাঙার স্পিরিট দিয়ে শুরু, এরপর যুক্ত হয়েছেন ভুলভুলাইয়া ৩ধড়ক ২ সিনেমায়।

অ্যানিমেল মুক্তির পর নিয়মিত খবরের শিরোনাম হওয়া তৃপ্তি এবার রণবীর কাপুরের আরও কাছে। রণবীরের বাড়ির কাছেই মুম্বাইয়ের পশ্চিম বান্দ্রায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছেন তিনি। রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট ছাড়াও বান্দ্রার কার্টার রোডে শাহরুখ, সালমান, রেখাসহ বলিউডের অনেক তারকার বসবাস।

২২২৬ বর্গফুটের ফ্ল্যাটটি কিনতে তৃপ্তিকে খরচ করতে হয়েছে ১৪ কোটি রুপি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, বাড়িটির জন্য ইতিমধ্যেই ৭০ লাখ রুপি পরিশোধ করেছেন তৃপ্তি। তবে নতুন বাংলো সম্পর্কে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি অভিনেত্রী। তৃপ্তির নতুন ফ্ল্যাট কেনার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। অনেক নেটিজেন মনে করছেন, বলিউডের প্রথম সারির তারকাদের সমকক্ষ হতেই এত অর্থ খসিয়ে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছেন নায়িকা।

অ্যানিমেল দিয়ে আলোচনায় এলেও বলিউডে নতুন নন তৃপ্তি দিমরি। ২০১৭ সালে শ্রীদেবীর সঙ্গে মম দিয়ে অভিনয় শুরু তাঁর। একই বছর সানি দেওলের সঙ্গে পোস্টার বয়েজ সিনেমায় দেখা যায় তৃপ্তিকে। পরের বছর লায়লা মজনুতে অভিনয় করে পরিচিতি পান।

২০২০ সালে নেটফ্লিক্সে বুলবুল ওয়েব সিরিজটি আলোড়ন তোলে। সিরিজের বুলবুল চরিত্রে অভিনয় করে নজর কাড়েন তৃপ্তি। কলা সিনেমাতেও তৃপ্তির অভিনয় সমালোচকদের মুগ্ধ করে। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে যায় অ্যানিমেলে তাঁর অভিনীত জোয়া চরিত্রটি।

নিউজ ট্যাগ: তৃপ্তি দিমরি

আরও খবর



ন্যাটোর পরবর্তী প্রধান হচ্ছেন মার্ক রুট

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর পরবর্তী প্রধান হচ্ছেন নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট। ন্যাটো শরিকদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পর তাকে মহাসচিব করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এর আগে ন্যাটোর নেতৃত্বের জন্য এগিয়ে থাকা রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্লাউস ইওহানিস নিজের নাম প্রত্যাহার করে মার্ক রুটকে ন্যাটো জোটের প্রধান হিসেবে সমর্থন করেন।

রোমানিয়ার সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা কাউন্সিল ডাচ প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন দেওয়ায় ন্যাটোর পরবর্তী প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার রাস্তা সহজ হয়ে যায় ৫৭ বছর বয়সী মার্ক রুটের জন্য।

ন্যাটের বর্তমান মহাসচিব স্টলটেনবার্গের মেয়াদ শেষ হবে আগামী জুলাইয়ে। তিনি নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। গত বছরের জুলাইয়ের তার মেয়াদ শেষ হয়। রাশিয়ার ইউক্রেনে যুদ্ধের মুখে তাকে দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব দেওয়া হয়। যার মেয়াদ শেষ হবে জুলাইয়ে। এরপর স্টলটেনবার্গের স্থলাভিষিক্ত হবেন রুট।

১৩ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী থাকার পর ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দেন রুট। নেদারল্যান্ডসের ইতিহাসে তিনিই সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী।

জোটের মধ্যে অভিযোগ ওঠে, রুট অভিবাসীদের প্রতি নরম মনোভাব দেখাচ্ছেন। এর ফলে চার দলীয় জোট ভেঙে যায়। এরপর নির্বাচনে দক্ষিণপন্থিরা সবচেয়ে বেশি আসন পায়। রুটে তার রাজনৈতিক জীবনে সবচেয়ে বড় হারের মুখে পড়েন। তারপর থেকে তিনি কার্যকরী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাজ করছেন। কারণ দক্ষিণপন্থি দল এখনো সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করে যাচ্ছে।

২০২৩ সালে রুট তার অবসর ঘোষণার কথা ভুলে ন্যাটোর শীর্ষ পদে বসার ইঙ্গিত দিতে থাকেন। তিনি ন্যাটো দেশগুলোর প্রধানদের সঙ্গে দেখা করতে শুরু করেন। দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী থাকার সূত্রে তাদের আগে থেকেই চিনতেন ও জানেন রুট। রুটে হলেন ইউক্রেনের একনিষ্ঠ সমর্থক। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পেতেও তার অসুবিধা হয়নি। পরে ন্যাটোর অন্য সদস্য দেশও তাকে সমর্থন জানায়।

তবে হাঙ্গেরির দক্ষিণপন্থি জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সমর্থন পেতে তার কিছুটা দেরি হয়। অরবানের সঙ্গে রুটের সম্পর্ক আগে খুব একটা মধুর ছিল না। রুটেকে প্রতিশ্রুতি দিতে হয়, তিনি যতদিন ন্যাটোর নেতৃত্ব দেবেন, ততদিন হাঙ্গেরি ন্যাটোর সীমার বাইরে ইউক্রেনকে সাহায্য করবে না। অরবানের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক খুব ভালো এবং তিনি ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন।

১৯৪৯ সালের ৪ জুলাই ন্যাটো প্রতিষ্ঠা হয়। বর্তমানে এর সদস্য ৩২টি। রাশিয়ার ইউক্রেনে আক্রমণের মধ্যে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করে। প্রথমে ফিনল্যান্ড সদস্যপদ পায়। তুরস্কের দীর্ঘ আপত্তি শেষে সুইডেন চলতি বছরের ৮ মার্চ ন্যাটোর সদস্য পদ পায়।


আরও খবর



হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সৌদি আরবের মক্কায় সমবেত সারা বিশ্বের লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমান শুক্রবার মিনায় পৌঁছেছেন। এর মাধ্যমে পবিত্র হজ পালনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো। মিনায় অবস্থান করা হজের অংশ।

সেলাইবিহীন দুই টুকরা সাদা কাপড় পরে হজের নিয়ত করে রওনা হন হজযাত্রীরা। মিনামুখী পুরো রাস্তায় ছিল হজযাত্রীদের স্রোত। বাসে, গাড়িতে এমনকি হেঁটেও মক্কা থেকে ৯ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন মুসল্লিরা। খবর গালফ নিউজ।

শুক্রবার ৮ জিলহজ হজযাত্রীরা মিনায় অবস্থান করবেন। ৯ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে যাবেন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে থাকবেন। এরপর প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় গিয়ে রাত যাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে মিনায় ফিরবেন।

হাজিরা মিনায় বড় শয়তানকে পাথর মারবেন, কোরবানি দেবেন, মাথা মুণ্ডন করবেন। তারপর মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন। তাওয়াফ, সাঈ শেষে আবার মিনায় ফিরে ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান করবেন। সেখানে প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন তারা।

প্রত্যেক শয়তানকে ৭টি করে পাথর মারতে হয়। মসজিদে খায়েফের দিক থেকে মক্কার দিকে আসার সময় প্রথমে জামারায় সগির বা ছোট শয়তান, এরপর জামারায় ওস্তা বা মেজ শয়তান, এরপর জামারায় আকাবা বা বড় শয়তানকে পাথর মারতে হবে। মিনার আনুষ্ঠানিকতা শেষে হজযাত্রীরা মক্কায় ফিরে যান এবং শেষবারের মতো কাবা তাওয়াফ করেন। যা বিদায়ী তাওয়াফ নামেও পরিচিত।


আরও খবর



দুই বছরে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় ১৬৪৮ কোটি টাকা: কাদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুই বছরে পদ্মা সেতু থেকে টোল বাবদ আয় হয়েছে ১ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনে বোর্ড মিটিং শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা জানান।

বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতোমধ্যে এই সেতুর সুফল ভোগ করছি। গত দুই বছরে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ৩ কোটি মানুষ ও ১ কোটি ২৭ লাখ যানবাহন এই সেতু দিয়ে পারাপার হয়েছে। যেখান থেকে মোট টোল আদায় হয়েছে ১ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকারও বেশি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, অর্থ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ইতোমধ্যে ৯শ ৪৮ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। আগামী ২৭ জুন ৭ম ও ৮ম কিস্তি বাবদ ৩শ ১৪ কোটি টাকার চেক প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে অর্থবিভাগকে হস্তান্তর করা হবে।

পদ্মাসেতুর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকের দিনটি ঐতিহাসিক দিন। দুই বছর আগে আজকের এই দিনে আমাদের অনেক প্রতীক্ষিত সেতু পদ্মা নদীর ওপর পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের সোনালী ফসল। নিজের টাকায় এই সেতু নির্মাণ করে সক্ষমতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।


আরও খবর



২৭ জেলায় ছড়িয়েছে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া। সবচেয়ে বিষধর সাপগুলোর অন্যতম। বহু বছর দেখা না গেলেও ২০১২ সালের পর বরেন্দ্র এলাকায় চোখে পড়ে রাসেলস ভাইপার। গত বছর ছড়িয়ে পড়ে অনেক এলাকায়।

দেশের ২৭ জেলায় ছড়িয়েছে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার। বেশি ছড়াচ্ছে পদ্মা নদীর তীরবর্তী জেলাগুলোতে। এই তথ্য সরকারের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের। গবেষকেরা বলছেন, অনুকূল আবহাওয়ার কারণেই ছড়াচ্ছে রাসেলস ভাইপার। এই সাপের কামড়ে দেড় বছরে শুধু রাজশাহী মেডিকেলেই মারা গেছেন অন্তত ১৮ জন।

রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, রাজবাড়ী ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠিএসব জেলায় ছড়িয়ে রাসেলস ভাইপার।

রাসেলস ভাইপার সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীতে। দেড় বছরে এ সাপের কামড়ে শুধু রাজশাহী মেডিকেলেই ভর্তি হয়েছেন ৬৮ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের।

গবেষকেরা বলছেন, মূলত পদ্মা অববাহিকায় চাঁদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ এমনকি ঢাকাতেও দেখা মিলছে রাসেলস ভাইপারের। এটিই একমাত্র বিষধর সাপ, যে বাচ্চা দেয়। প্রতিবারে জন্ম নেয় ৪০ থেকে ৫০টি বাচ্চা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অতিরিক্ত আদ্রতা ও অতিরিক্ত গরম অনুভূত হচ্ছে। আর নদীর পানির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। লবণাক্ত এলাকা বাড়ছে। এমন পরিবেশ রাসেলস ভাইপারের জন্য উপযুক্ত। শুধু এদের বেঁচে থাকার জন্য নয়, তাদের বংশবৃদ্ধির জন্যও।

ভেনোম রিসার্চ সেন্টারের প্রধান গবেষক অধ্যাপক অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, ভারতবর্ষের যে অংশটা আমাদের রাজশাহী এলাকার সঙ্গে লাগোয়া, ওই অঞ্চল হয়ে পানির সঙ্গে স্রোতের মাধ্যমে গঙ্গা পদ্মা হয়ে সেটা এখানে চলে এসেছে। দেখা গেছে যে এই নদীর মাধ্যমেই ছড়িয়ে গেছে। এগুলো পদ্মার নিচের দিকের এলাকায় যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে উপরের এলাকাতেও।

এরই মধ্যে ৫০টি রাসেলস ভাইপার সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চলছে এন্টি ভেনম তৈরির গবেষণা। বর্তমানে এই সাপে কাটলে দেওয়া হয় ভারতে তৈরি এন্টি ভেনম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, নিজস্ব সাপের বিরুদ্ধে যখন নিজস্ব অ্যান্টি ভেনম তৈরি হবে, তখন আমরা বলতে পারব আমরা এই সাপে কাটা রোগীদের সঠিক সেবা দিতে পারছি। এর আগ পর্যন্ত আমাদের ভারতের অ্যান্টিভেনমের ওপর ভরসা করে থাকতে হবে।

কিছুটা অলস প্রকৃতির রাসেলস ভাইপারের প্রধান খাবার ইঁদুর, ব্যাঙ, পোকামাকড়। তাই ফসলি জমিতে দেখা যায় একে। ফলে, আতঙ্কে অনেক এলাকার কৃষক।


আরও খবর