সারাদেশে শুরু হয়েছে ছয় মাস থেকে পাঁচ
বছর বয়সী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর
ক্যাম্পেইন। ১১ ডিসেম্বর থেকে চার দিনের এ কর্মসূচি চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন
সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো
হবে। এ সময়ে ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল পাবে
প্রায় দুই কোটি শিশু।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ
(ঢাকা) শিশু হাসপাতাল প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ঢাকায় জাতীয় ভিটামিন
‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইনের
উদ্বোধন করবেন।
জাতীয় পুষ্টি সেবা ও জাতীয় ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইনের
ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ডিপিএম) গাজি আহমাদ হাসান বলেন, “ক্যাম্পেইন উপলক্ষে
সারা দেশে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ২৩ লাখ শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল (এক
লাখ আই.ইউ) খাওয়ানো হবে। এছাড়া ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় এক কোটি ৮৭ লাখ শিশুকে একটি
করে লাল রঙের (দুই লাখ আই.ইউ) ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ানো
হবে।
তিনি জানান, দেশে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার
কেন্দ্রে এই ক্যাম্পেইন চলবে। তবে করোনার কারণে এবার বাস ও রেলস্টেশনগুলোতে ভ্রাম্যমাণ
কেন্দ্র পরিচালনা বন্ধ থাকবে।
ওয়ার্ড পর্যায়ে ইপিআই আউট রিচ সেন্টার,
কমিউনিটি ক্লিনিক, পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র (এফডব্লিউসি), উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স, জেলা
সদর হাসপাতালের ইপিআই কেন্দ্র ও মেডিকেল কলেজে কেন্দ্র ক্যাম্পেইন করা হবে।
এছাড়া শহরাঞ্চলে আরবান ডিসনেপনসারি এবং জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠান যেমন, সূর্যের হাসি ক্লিনিক ও মেরিস্টোপের মতো বিভিন্ন বেসরকারি এনজিওগুলোতে শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। প্রতিটা কেন্দ্রে হেলথ ওয়ার্কারের সঙ্গে দুজন করে স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন।