আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ স্থলে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। আজ সোমবার উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকার ওই বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করবেন তারা।

সোমবার সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের। এরপর দুপুর দুইটার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। এ সময় তার সঙ্গে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল ইসলাম থাকবেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, মন্ত্রীরা বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা, ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নেবেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলবেন।

এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সীতাকুণ্ডের ওই ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ১০টায় বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। ডিপোতে আমদানি-রপ্তানির বিভিন্ন মালামালবাহী কনটেইনারে রাসায়নিক ছিল, বিকট শব্দে সেগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় হতাহত হয়েছে বেশি। আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সবশেষ খবর অনুযায়ী, ডিপোতে বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ জন। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ১২ জন কর্মী রয়েছেন।


আরও খবর



বাজেট: দাম বাড়ছে কোক, স্প্রাইট ও পেপসির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কার্বোনেটেড বেভারেজের ওপর কর আরোপ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে করে কোক, স্প্রাইট ও পেপসিসহ কোমল পানীয়র দাম বাড়বে। 

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তার আগে বাজেট প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়, পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

এটি অর্থমন্ত্রী আবুল হাসানের প্রথম ও স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট। নানা সংকটের মধ্যেও নতুন অর্থমন্ত্রী স্বপ্ন দেখছেন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের। এজন্য এবারের বাজেটের প্রতিপাদ্য সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার

প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি মিষ্টি পানীয় উৎপাদন থেকে আয়ের ওপর বিদ্যমান হার ০.৬ শতাংশের পরিবর্তে কার্বোনেটেড বেভারেজের অনুরূপ ৩ শতাংশ হারে টার্নওভার কর আরোপের প্রস্তাব করছি। একইসাথে, যেকোনো ট্রাস্ট হতে টার্নওভার কর সংগ্রহ করার প্রস্তাব করছি।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বিশাল অংকের এ বাজেটের ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। করবহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক অনুদান থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করেছে। যদিও গত ১৪ মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে রয়েছে। আগামী অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ঠিক করেছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। যা চলতি অর্থবছরে ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। পরে তা কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ করা হয়।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। যদিও সংশোধিত বাজেটের এ আকার কমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৪ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা।


আরও খবর



অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ নেই বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতুতে

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

ঈদের ছুটির তৃতীয় দিনেও বাড়ি ফিরছে মানুষ। তবে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশপথ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতুতে স্বাভাবিক সময়ের মতোই যানবাহন চলাচল করছে। ওই পথে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু দূরপাল্লার গণপরিবহনের পাশাপাশি এই মহাসড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলে যোগে অনেকে পরিবারের সদস্যদের নির্বিঘ্নে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে পারছে। শনিবার ভোর থেকে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জ প্রান্তে যানবাহনের জটলা বা যাত্রীদের কোন বিড়ম্বনা দেখা যায়নি। নিবিঘ্নে এবারো  মহাসড়ক হয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিচ্ছে যানবাহনগুলো। পদ্মা সেতুর দক্ষিণবঙ্গ অভিমুখের টোল প্লাজায় ৭ টি বুথে নিরবচ্ছিন্ন টোল আদায় করা হচ্ছে। টোল আদায়ে প্রতি গাড়িতে সময় লাগছে মাত্র ৫-৬ সেকেন্ড।পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গেলো ২৪ ঘন্টায় (শুক্রবার দুপুর বারোটা পর্যন্ত)

পদ্মা সেতু দিয়ে পার হয়েছে ৪৪ হাজার ৩৩টি যানবাহন। এর থেকে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৮০ লক্ষ ৩০ হাজার ১০০ টাকা।


আরও খবর



জুড়ীতে ভয়াবহ বন্যা, আশ্রয়কেন্দ্রে ভিড় বাড়ছে

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

টানা বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। ঢলের পানিতে নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় জুড়ী শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ইতোমধ্যে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন।

ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে বেশ কিছু এলাকার সড়ক। সেই সঙ্গে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকার ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার জায়ফরনগর ও পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়ন।

ঢলের পানি উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই অঞ্চলের মানুষজন। অনেকেই তাদের বাড়ি ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র কিংবা উঁচু এলাকায় আত্মীয় স্বজনদের বাসায় ছুটছেন। নিম্নাঞ্চলের মানুষদের অনেকেই জানিয়েছেন, ঢলের পানিতে তাদের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। এখন নিরুপায় হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন।

জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়কমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহাব উদ্দিন (এমপি) জায়ফরনগর ও পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নের বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি জুড়ী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র ও মক্তদীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া পরিবারের খোঁজখবর নেন। তাদের মধ্যে খাবার ও ত্রাণ বিতরণ করেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান আজ বুধবার সকালে জানান, বন্যায় ইতিমধ্যে উপজেলার ৬৫ টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জুড়ীতে ১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ৬০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার জামাত ৫টি

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারাদেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে সোমবার। প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের জামাত হবে।

এখানে প্রথম জামাত সকাল ৭টায়, দ্বিতীয় ৮টায়, তৃতীয় ৯টায়, চতুর্থ সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও সবশেষ জামাত বেলা পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, সকাল ৭টায় অনুষ্ঠেয় প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। মুকাব্বির থাকবেন হাফেজ কারি মো. আতাউর রহমান।

সকাল আটটায় দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন এই মসজিদের খাদেম আব্দুল হাদী।

সকাল নয়টায় তৃতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী। এতে মুকাব্বির থাকবেন জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

সকাল ১০টায় চতুর্থ জামাতে ইমামতি করবেন জামেয়া আরাবিয়া মিরপুরের মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররমের খাদেম রুহুল আমিন।

বেলা পৌনে ১১টায় পঞ্চম ও সবশেষ জামাতে ইমামতি করবেন ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। মুকাব্বির থাকবেন জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আক্তার মিয়া।

ওই পাঁচটি জামাতের কোনোটিতে ইমাম উপস্থিত না থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন হাইকোর্ট মাজার মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. আশরাফুল ইসলাম।


আরও খবর



যোগী-মোদি ম্যাজিক ফিকে, বড় চমক ইন্ডিয়া জোটের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে অন্যতম নির্ধারক হিসেবে কাজ করে থাকে উত্তরপ্রদেশ। দেশটির একটি কথা প্রবাদের মতো প্রচলিত রয়েছে। বলা হয়, উত্তরপ্রদেশ যার দিল্লি তার। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভোট গণনার শুরু থেকেই বিজেপি এবং ইন্ডিয়া জোটের টানটান লড়াই চোখ পড়েছে। ৮০ আসনের উত্তরপ্রদেশে ৪৩ আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি (এসপি)। আর বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৩৬টি আসনে। এছাড়া কংগ্রেস ছয়টি ও রাষ্ট্রীয় লোকদল দুটি আসনে এগিয়ে আছে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে সারা ভারতের নজর ভোটগণনার দিকে। এখন পর্যন্ত যা ট্রেন্ড, তাতে দেখা গেছে, নরেন্দ্র মোদির বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএকে দূরন্ত চ্যালেঞ্জ দিয়েছে ইন্ডিয়া জোট। তবে সবচেয়ে বেশি চমক দেখা গেছে উত্তরপ্রদেশে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৮০ আসনের মধ্যে ৬২টি আসনই পেয়েছিল এনডিএ। কিন্তু এবারের অঙ্ক একেবারে বিপরীতে। দেখা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে আছে ৪৩ আসনে। এনডিএ সেখানে এগিয়ে রয়েছে ৩৬টিতে। অন্যান্য ১।

যদিও এই ফলাফল প্রাথমিক। এখন পর্যন্ত যে চিত্র দেখা যাচ্ছে তাতে সত্যিই বড় চমক রয়েছে। শেষ পর্যন্ত এই ট্রেন্ড বজায় থাকলে তা যে বিজেপির জন্য বড় ধাক্কা হতে চলেছে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। কিন্তু কেন? ভোটব্যাঙ্কে এমন পরিবর্তনের পেছনে ফ্যাক্টর কী?

মনে করা হচ্ছে, এর পেছনে যে কয়েকটি ফ্যাক্টর রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম জাতিগত আদমশুমারি ইস্যু। রাহুল গান্ধী বার বার দাবি করেছেন, তার জোট ক্ষমতায় এলে জাতিগত আদমশুমারি হবে। অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব জোর দিয়েছেন পিডিএর উপরে। অর্থাৎ পিছড়া দলিত অল্পসংখ্যক। এর আগে যাদব ও মুসলিমদেরই প্রার্থী করতেন অখিলেশ। কিন্তু এবার দলিতদেরও প্রার্থী করেছে তার দল।

অন্যদিকে বিজেপি বরাবরের মতোই কট্টর হিন্দুত্ববাদী ইস্যুতে জোর দিয়েছে। কিন্তু কট্টর হিন্দুত্ববাদীতে গাজর নষ্ট হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি একের পর এক কেলেঙ্কারি ফাঁস, বেকারত্বের মতো বিষয়গুলো উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ম্যাজিককে ফিকে করেছে। শেষপর্যন্ত হিসেব কী দাঁড়াবে তা সময় বলবে। কিন্তু এবারের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল যে চমকপ্রদ হতে যাচ্ছে তা বলাই যায়।

উত্তরপ্রদেশের হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রাহুল গান্ধী রায়বরেলি ও অখিলেশ যাদব কনৌজ কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে মোদি বারাণসী কেন্দ্রে প্রাথমিকভাবে পিছিয়ে পড়েছিলেন কংগ্রেসের আজয় রাইয়ের কাছে। তবে শেষ পর্যন্ত ভোটে এগিয়ে গেছেন মোদি। জিতছেন রাজনাথ সিংও। অন্যদিকে আমেথিতে পিছিয়ে রয়েছেন স্মৃতি ইরানি।


আরও খবর