আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ড: রক্তের জন্য হাহাকার

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসকর্মী ও পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ। হতাহতদের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস চৌধুরী রক্তদাতাসহ স্বেচ্ছাসেবীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন

তিনি জানান, এবি(+) এবি(-) ও(-) রক্তের সংকট বেশি। সেই সঙ্গে রক্তের জন্যে স্থানীয় নাগরিকদের এগিয়ে আসার আহবান জানান সিভিল সার্জন। এ পরস্থিতিতে চট্টগ্রামে অবস্থানরত সব চিকিৎসকদের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসার জন্যেও আহ্বান জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।

সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর একের পর এক কন্টেইনার বিস্ফোরিত হয়েছে। বিস্ফোরণে ভেঙেছে আশপাশের বাড়ি-ঘরের জানালার কাঁচ। বিস্ফোরণে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে বলে জানা গেছে।

ধারণা করা হচ্ছে কেমিকেল কন্টেইনার থেকে আগুণের সূত্রপাত হতে পারে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট।

র‌্যাব-৭ এর প্রধান মো. ইউসুফ জানান, ডিপোর ভিতর যারা আটকে পড়াদের বের করতে আমরা চেষ্টা করেছি। অনেক মানুষকে আমরা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। রাত ১২টার পর থেকে হাসপাতালে একের পর এক গুরুতর আহতরা আসতে থাকেন বলে জানান তিনি।

চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালে রাত সাড়ে তিনটা পর্যন্ত আসা রোগীদের কোনো এন্ট্রি করা হয়নি। তবে দুইশর বেশি রোগী সেখানে এসেছেন। পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালেও রোগীদের নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ইউপি চেয়ারম্যানের ঘর থেকে ভিজিএফের ১৭ টন চাল জব্দ

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

Image

পটুয়াখালীতে এক ইউপি চেয়ারম্যানের ঘর থে‌কে সা‌ড়ে ১৭ টন ‌ভি‌জিএ‌ফের চাল জব্দ ক‌রা হয়েছে। এই চাল দুমকি উপ‌জেলার জেলেদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু উপজেলার আঙ্গা‌রিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম‌্যান ‌সৈয়দ গোলাম মর্তুজা শুক্কুর মিয়া এসব চাল বাড়িতে মজুত করেছিলেন।

শ‌নিবার (৩০ জুন) রাত সা‌ড়ে ১০টার দিকে উপ‌জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শা‌হিন ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে চাল জব্দ ক‌রেন।

ইউএনও জানান, এই চাল খাদ্য গুদামে মজুত থাকার কথা। এরপরও সাময়িক সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের গুদামে রাখতে হবে। এর বাইরে কারও ব্যক্তিগত বাড়িতে অথবা অন্য কোথাও এসব সরকারি চাল রাখার সুযোগ নেই।

তবে চেয়ারম‌্যান গোলাম মর্তুজা জানান, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন দূরে হওয়ায় তার এলাকার জেলেদের মধ্যে বিতরণ করার জন্য এ চাল তার বাড়িতে রেখেছিলেন।


আরও খবর



মস্কো সফরে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মস্কো সফরে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ রুশ বার্তাসংস্থা তাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তাসকে ইউরি উশাকভ জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের আগমনের দিন এখনও নির্ধারিত হয়নি, তবে শিগগিরই ঘটছে এই সফর। এর আগে গত বছর নভেম্বরে মস্কো সফরে আসার কথা ছিল আব্বাসের, কিন্তু সেবার ফিলিস্তিনের কর্মকর্তাদের অনুরোধে সেই সফর স্থগিত করেছিলেন তিনি।

জর্ডান নদীর পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা এবং পূর্ব জেরুজালেম তিন ভূখণ্ড নিয়ে গঠিত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে ক্ষমতাসীন রয়েছে মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ সরকার, যেটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (প্যালেস্টাইনিয়ান অথরিটি-পিএ) নামে পরিচিত। ফিলিস্তিনের বৈধ শাসক হিসেবে পিএকেই স্বীকৃত দেয় বহির্বিশ্ব।

একসময় গাজায় উপত্যকায়ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সরকার ক্ষমতায় ছিল, কিন্তু ২০০৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সেই সরকারকে উচ্ছেদ করে কট্টর ইসলামপন্থি সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস।

ফাতাহ এবং হামাসের মধ্যকার সম্পর্ক চরম বৈরী। এর প্রধান কারণ ফাতাহ নিয়নতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগ্রামের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলন চালিয়ে নিতে বিশ্বাসী। অন্যদিকে হামাস বিশ্বাস করে, সশস্ত্র পন্থা অনুসরণের মাধ্যমে ইসরায়েলকে ধ্বংসের ভিত্তিতেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। সেই হামলার জবাবে সেই দিন থেকেই সেখানে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

আইডিএফের অভিযান শুরুর পর থেকে সহিংসতা বেড়েছে পশ্চিম তীরেও। ইসরায়েলি পুলিশ ও ইহুদি বসতিস্থাপনকারীদের হাতে নিয়মিত সহিংসতার শিকার হচ্ছেন পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরা।

রাশিয়া ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতিশীল। মস্কোতে ফিলিস্তিনের দূতাবাসও রয়েছে। যুদ্ধের শুরু থেকেই গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।


আরও খবর



পশ্চিমবঙ্গে ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তার পানি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী এলাকা সিকিম। সেখানে গত বছরের ভারী বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির স্মৃতি এখনো ফিকে হয়নি। সিকিমের সেই ভয়াবহ বৃষ্টির জন্য পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন জেলায় বর্ষার পানিতে ভেসে যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছিল।

পুরোনো স্মৃতিকে মনে করিয়ে ফের সিকিমে ভারী বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর পানির স্তর বাড়লো। ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তা নদী। এতে আতঙ্কে তিস্তা নদীর পারে বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দারা। চলতি বর্ষা মৌসুমে যেভাবে তিস্তা ফুঁসছে তাতে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

নদীর পানি বইছে প্রবল বেগে। ভাঙছে পাড়। ফলে পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চল কালিম্পং থেকে দার্জিলিং যাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। জলপাইগুড়ির তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে।

লাগাতার বৃষ্টির জন্য বিপর্যয়ের ভ্রুকুটি উত্তরবঙ্গের জেলাজুড়েই। আর গোটা দক্ষিণবঙ্গ অর্থাৎ কলকাতাসহ নদিয়া, দুই চব্বিশ পরগনা, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান, জেলাগুলো ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। এরই মধ্যে এই সব জেলাতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।

চরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়ার দাপট চলবে হুগলি, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমানসহ বেশ কিছু জেলায়।

তবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর আরও জানিয়েছেন, শুক্রবার (১৪ জুন) দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রসহ ঝড় বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার ও রোববার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস ঘোরাফেরা করবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস থাকবে।


আরও খবর



মার্টিনেজের নৈপুণ্যে পেরুকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে রেখেছিল আর্জেন্টিনা। গুরুত্বের বিবেচনায় পেরুর বিপক্ষে ম্যাচটা ছিল অনেকটা নিয়মরক্ষার। সে কারণেই কিনা আগের ম্যাচের একাদশ থেকে ৯ জনকে পরিবর্তন করে পেরুর বিপক্ষে খেলতে নামে আলবিসেলেস্তেরা। লিওনেল মেসিও ছিলেন বিশ্রামে। নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার কারণে ডাগআউটে ছিলেন না কোচ লিওনেল স্কালোনিও। যদিও জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি আলবিসেলেস্তেদের।

আজ মায়ামির হার্ডরক স্টেডিয়ামে পেরুর বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনার পক্ষে জোড়া গোল করেন লাউতারো মার্টিনেজ। ম্যাচে ৭৪ শতাংশ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল আর্জেন্টিনার। ১২টি শটের মধ্যে ৬টি লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয়। অপরদিকে, পেরু ৬টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে রাখে একটি।

শুরুতেই বল দখলে এগিয়ে থেকে পেরুর ওপর চাপ বাড়াতে থাকে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ২১ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় পেরু। কার্লোস জামব্রানোর হেড বাইরে দিয়ে চলে যায়। ২৭ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। পারেদেসের দূরপাল্লার ফ্রি-কিক দারুণভাবে তালুবন্দি করেন পেরু গোলরক্ষক গালেসে। বিরতির ঠিক আগে আবারও পেরুকে বাঁচিয়ে দেন গালেস। লা সেলসোর শট দারুণভাবে বাঁচিয়ে দেন তিনি। গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।

বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের ধার বাড়ায় আর্জেন্টিনা। যার সুফল আসে মিনিট দুয়েকের মধ্যেই। ডি মারিয়ার থেকে বল পেয়ে জালে জড়াতে ভুল করেননি লাউতারো মার্টিনেজ। এ নিয়ে তিন ম্যাচেই গোলের দেখা পেলেন বিশ্বজয়ী তারকা। ৮৬ মিনিটে আরও একটা গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মার্টিনেজ। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকেই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার পয়েন্ট ৯। আরেক ম্যাচে কানাডার সাথে গোলশূন্য ড্র করে আসর থেকে বিদায় নিয়েছে চিলি। ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট তাদের, ১ পয়েন্ট পাওয়া পেরুরও আসর শেষ। ৪ পয়েন্ট তোলা কানাডা কোয়ার্টারে খেলবে।


আরও খবর



সাধারণ মানুষ আমার প্রাণশক্তি, বিচ্ছিন্ন হতে চাই না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাকে বাঁচাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে। যেহেতু আমার জীবন ঝুঁকিতে থাকে, সেজন্য স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্যরা নিয়োজিত থাকে। কিন্তু নিরাপত্তার জন্য যেন জনবিচ্ছিন্ন না হয়ে যাই সেদিকটা সংবেদনশীলতার সঙ্গে দেখতে এসএসএফকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

তিনি বলেন, জনবিচ্ছিন্ন হতে গুলি-বোমা লাগে না। এমনিতেই শেষ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাই না। কেননা সাধারণ মানুষই আমার প্রাণ শক্তি।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসএসএফের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্টের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিলো, তারা দেশকে এগিয়ে নিতে পারেনি। বরং ক্যু হয়েছে। বিমান বাহিনীর হাজার হাজার সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিলো। দেশ যে তিমিরে সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছিলো। তবে এতো বড় গুরু দায়িত্ব নিতে হবে সে প্রস্তুতি কখনোই ছিলো না। তখন দেশের দুরাবস্থা সহ্য করার মতো ছিলো না।

যতোক্ষণ নিঃশ্বাস আছে ততোক্ষণ মানুষকে উন্নত জীবন দেয়ার চেষ্টা করে যাবো, এমন অঙ্গিকার করে শেখ হাসিনা বলেন, জীবন ঝুঁকি জেনেই দেশে ফিরেছি। দেশে ফেরার পর থেকে শত বাধা পেয়েও পিছিয়ে যাইনি। দেশের জন্য কাজ করছি।

এদিকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য সরকার ফোর্সেস গোল ২০৩০ নামে একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর আকার বৃদ্ধি, আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম সংগ্রহ ও সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ।

সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৯ থেকে ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় আছি বলেই উন্নয়ন দৃশ্যমান ও টেকসই করতে পেরেছি। সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

অপরদিকে, সম্প্রতি কক্সাবাজারে মায়ানমার সীমান্তে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সীমান্তের ওপার থেকে কখনও কখনও ছুটে আসছে গুলিও। কক্সবাজার সীমান্তে বাংলাদেশের জনগণ ও স্থাপনা লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলি ছোড়ার ঘটনা ইতিমধ্যে জাতিসংঘে তুলে ধরেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের যে কোনো সংঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এটি যেন বাংলাদেশের জনগণ ও সম্পদকে প্রভাবিত না করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কাউকে আক্রমণ করতে যাবো না, তবে আক্রান্ত হলে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত থাকতে হবে।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চের ঘোষণা অনুসারে, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ১৯৮৬ সালে প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স অর্ডিন্যান্স নামে একটি অধ্যাদেশ জারি করেন। যা একই বছর ১৯ জুন থেকে কার্যকর হয়।

পূর্বের ঘোষণা অনুসারে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এরশাদের তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রপতি ও বিদেশ থেকে আগত রাষ্ট্রপ্রধানদের নিরাপত্তার জন্য ১৯৮৬ সালের ১৫ জুন  প্রেসিডেন্ট সিকিউরিটি ফোর্স নামে একটি বিশেষ নিরাপত্তা দল গঠন করেন। পরে বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার পদ্ধতি চালু হওয়ার পর ১৯৯১ সালে ২৭ সেপ্টেম্বর এর নাম পরিবর্তন করে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) নামকরণ করা হয়।

যদিও প্রাথমিকভাবে শুধু রাষ্ট্রপতি ও রাষ্ট্র কর্তৃক ঘোষিত অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা দিতে এসএসএফ গঠিত হয়েছিল। কিন্তু সংসদীয় সরকার পদ্ধতি চালু হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি ছাড়াও সরকারপ্রধানকেও এসএসএফ নিরাপত্তা দিয়ে আসছে এবং এ সংস্থাটিকে তখন থেকে পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তারের অধিকার দেওয়া হয়। ২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন গ্যাজেট আকারে প্রকাশ হওয়ার পর সংস্থাটি বর্তমানে জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদেরও সর্বস্থানে নিরাপত্তা দিয়ে আসছে।

এসএসএফ রাষ্ট্র কর্তৃক ঘোষিত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিভিআইপি) নিরাপত্তায়ও নিয়োজিত। সংস্থাটি বেসামরিক প্রশাসন, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে দেশ ও দেশের বাইরে উল্লেখিত ব্যক্তিদের শারীরিক নিরাপত্তায় যেকোনো ধরনের হুমকি থেকে রক্ষা ও সেগুলো প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। এছাড়াও তারা অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বাড়ি ও অফিসে নিরাপত্তা দিয়ে থাকে।


আরও খবর