আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

শীতের সবজিতেও উত্তাপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাজার ভরা শীতকালীন সবজিতে। তবুও সরবরাহ সংকটের অজুহাতে বাড়ছে দাম। গেল এক সপ্তাহে আলু, মুলা ও কপি ছাড়া অন্য কোনো সবজির দাম কমেনি। বেশিরভাগ সবজিই বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে, কিছু সবজির দাম বাড়তি হাঁকছেন দোকানিরা। সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে পেঁয়াজ, আটা ও ডালের দাম। চিনির দামেও নেই কোনো সুখবর। সব মিলিয়ে নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম অগ্রহায়ণ মাসের শেষে এসেও বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ব্যয়ের বিপরীতে আয় না বাড়ায় ভোক্তা পর্যায়ে বেড়েছে অস্বস্তি।

রাজধানীর মহাখালী, তেজগাঁও, শান্তিনগর ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতি কেজি নতুন আলু (ছোট) বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা করে। গত সপ্তাহের ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হওয়া মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা করে। জাতভেদে সিম ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, মুলা ৩০-৪০ টাকা, চওড়া মূল্যে দেশি শসা ৭০-৮০ টাকা, পিস প্রতি ফুলকপি ৪০-৪৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫-৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, সবজির বাজার সব সময় এক থাকে না। তবে অন্যান্য খাদ্যপণ্য চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ না থাকায় মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তেজগাঁও কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা হামিদ বলেন, শীতকালীন সবজির মধ্যে শিম, মুলা ও কপির দাম কিছুটা কমেছে। সরবরাহ বাড়ায় নতুন আলুর দামও কমতে শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সবজির দাম আরও কমে আসবে।

তবে শান্তিনগর বাজারের ক্রেতা আমিনুল ইসলাম বাজারের ব্যাগ দেখিয়ে বলেন, বাজারে এসেছি ১ হাজার টাকা নিয়ে। এর মধ্যে এক কেজি মাছ কিনতে আমার গুনতে হয়েছে ৩৮০ টাকা ও এক কেজি করে শিম, মুলা, এক পিস ফুলকপি ও আধা কেজি মরিচ কিনতে ১৬০ টাকা। সব মিলিয়ে এই সামান্য বাজার করতেই আমার ৫৪০ টাকা খরচ হয়েছে। এখনো চাল, আলু, পেঁয়াজসহ অন্যান্য জিনিস কেনা বাকি রয়েছে। যে হারে খরচ বাড়ছে সেভাবে মাসের বেতন বাড়েনি। এসব ঘটনা এখন সবার জন্য নিয়মিত। খবরের লোকদের বলেও কী লাভ? আমাদের দুঃখ দেখার কেউ আছে বলেও মনে হয় না। স্বস্তি নেই মাছ-মাংসেও। দাম অপরিবর্তিত থেকেই প্রতি কেজি বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-২৯০ টাকা করে। মাছের বাজারেও তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি। চড়া মূল্যে প্রতি কেজি কই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৯০-৪০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০-৪১০ টাকা, পাবদা মাছ ৩৮০-৪০০ টাকা, ১ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৩০ টাকা করে।

তবে ডিমের বাজারে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। ডজনপ্রতি ১০ টাকা করে কমে টাকা বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগির ডিম। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা দরে, দেশি মুরগির ডিম ২৪০ টাকা ডজন দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এদিকে আগের মতোই চড়া মূল্যে সব ধরনের চাল বিক্রি হচ্ছে। বাজারভেদে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭৫ টাকা করে। এ ছাড়া ব্রি-২৮ (মোটা চাল) প্রতি কেজি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, চিনিগুড়া ১৩০ টাকা, নাজিরশাইল ৬৮ থেকে ৮৪ টাকা, কাটারি আতপ ৭৮ থেকে ৮২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

কারওরান বাজারের নোয়াখালী রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী রাসেল বলেন, চালের বাজার তো বাড়তির দিকেই রয়েছে। তবে গত তিন সপ্তাহ ধরে চালের বাজার কমছেও না বাড়ছেও না। ভোক্তারা পাইকারি বাজার থেকে কিছুটা কমে কিনতে পারলেও খোলা বাজারে গিয়ে প্রতি কেজি চালে ৩-৪ টাকা বাড়তি বিক্রি হয়। এদিকে মুদি ব্যবসায়ীরা জানান, নতুন করে দেশি মসুর ডাল ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। মসুর ডাল কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ টাকা। গত সপ্তাহে ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এখন ৫০ টাকা ।

দেশের দ্বিতীয় প্রধান খাদ্যপণ্য আটাও চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। মোড়কজাত আটা মহল্লার দোকানগুলোতে পাওয়া গেলেও অধিকাংশ দোকানে খোলা আটা মিলছে না। যা পাওয়া যাচ্ছে বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। দুই কেজি ওজনের প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকা, যা আগে ছিল ১২৫-১৩৫ টাকা। ময়দা খোলা প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৭০-৭৫ এবং প্যাকেট ময়দা ৫-১০ টাকা বেড়ে ৭৫-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারের আটা-ময়দার পাইকার ও তীর কোম্পানির ডিলার আবুল হোসাইন বলেন, আটার সরবরাহ ঠিক হয়ে আসছে। ৫০ কেজির প্রতি বস্তা আটা ২ হাজার ৮৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে, যা কেজিপ্রতি ৫৮ টাকা করে পড়ছে। তবে খোলা বাজারে গিয়ে তা দোকানিদের খরচ অনুযায়ী বিক্রি করেন তারা। তবে এখন যেভাবে আটা সরবরাহ হচ্ছে তা বজায় থাকলে আটার দাম আরও কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

এখনো স্বাভাবিক হয়নি চিনির বাজার। পাড়া-মহল্লার অধিকাংশ দোকানে চিনি সরবরাহ নেই। যাও কয়েকটি দোকানে এ সময়কার আলোচিত ভোগ্যপণ্যটি মিলছে তারও সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। কেজিপ্রতি চিনি ১১৫-১২০ টাকা করে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে। মহাখালীর আজমেরি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. মুরসালিন বলেন, চিনির অর্ডার দিয়েছি প্রায় এক মাসের বেশি হয়েছে, কিন্তু এখনো তা পাইনি। বাধ্য হয়ে কারওয়ান বাজার থেকে ৫ হাজার ৩৫০ টাকা করে চিনি কিনে এনেছি। তাও সেখানে গিয়ে পাইকারদের কাছে কাকুতি-মিনতি করে চিনি পেতে হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: শীতকালীন সবজি

আরও খবর



দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৮ কর্মী-সমর্থকের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

Image

পটুয়াখালীর দুমকিতে নির্বাচনি প্রচারণায় বাধা, উত্তেজনা ও গোলযোগ সৃষ্টির অভিযোগে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৮ সমর্থকের প্রত্যেককে ৭ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নির্বাচনে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউল হাসান রবিবার রাত সাড়ে ১১টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের এ কারাদণ্ডাদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, সাতানী গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. শহীদুল ইসলাম (২০), বাহেরচর গ্রামের বজলুর রহমান মাঝির ছেলে সোহাগ (২৪), একই গ্রামের ইউসুব সিকদারের ছেলে রাকিব শিকদার (২২), আইয়ুব আলী মোল্লার ছেলে রিয়াজ মোল্লা (২২), দুমকি গ্রামের আবুল কালামের ছেলে সাইদুল হক (২৫), সাতানী গ্রামের হাবিব হাং-এর ছেলে ইমরান হাওলাদার (২৫), দুমকি গ্রামের আ. লতিফ মৃধার ছেলে হাবিবুর রহমান খোকন (৪৩) ও ঝাটরা গ্রামের মান্নান খানের ছেলে সায়েম খান (৩৪)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের রূপাশিয়া গ্রামের তালুকদার পাড়ায় জনৈক এসএম ফজলুল হকের অসুস্থ শ্বশুরকে দেখতে যান কাপ-পিরিচ মার্কার চেয়াম্যান প্রার্থী কাওসার আমীন হাওলাদার। খবর পেয়ে মোটরসাইকেল মার্কার শতাধিক কর্মী-সমর্থক ওই বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নানা উসকানিমূলক স্লোগান দেয়। এতে দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়।

অবস্থা বেগতিক দেখে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাওসার আমীন হাওলাদার ওই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে দুপক্ষের উত্তেজিত কর্মী-সমর্থকদের সাথে হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি হয়। এসময় নির্বাচনে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল হাসান ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপক্ষের অন্তত ১১ জনকে আটক করে। পরে রাত সাড়ে ১১টায় ইউএনও কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচার বসিয়ে নির্বাচনি প্রচারণায় বাধা প্রদান, গোলযোগ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে ৮ জনের প্রত্যেককে ৭ দিনের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

এ ছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় ৩ কিশোর নয়ন গাজী (১৪), শাহাদত মৃধা (১৫) ও জায়েদ মৃধাকে (১৪) মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। দণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের তিনজন কাপ-পিরিচ ও পাঁচজন মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী-সমর্থক বলে জানা গেছে।

দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



সারদা পুলিশ একাডেমি থেকে ১৬টি রাসেলস ভাইপার উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি থেকে ১৬টি রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি সাপ মেরে ফেলা হয়েছে। বাকি কয়েকটি সাপ বন বিভাগে দেয়া হয়েছে বলে জানান একাডেমির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল মাবুদ দুলাল।

রবিবার (২৩ জুন) সকাল থেকে দুই দফায় সাপগুলো জনসমক্ষে চলে আসে বলে জানা গেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল মাবুদ দুলাল বলেন, রবিবার সকাল থেকে দুই দফায় রাসেলস ভাইপার সাপের বাচ্চাগুলো জনসমক্ষে বের হয়ে আসে। প্রথমে সকাল ১০টার দিকে ৯টি সাপের বাচ্চা বের হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ৭টি সাপের বাচ্চা দেখা যায়। সাপগুলো পুলিশ একাডেমির ভেতরেই ছিল। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি সাপ মেরে ফেলা হয়েছে। বাকি কয়েকটি সাপ বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলার লোকালয়ে এই সাপ দেখা যাচ্ছে, যা নিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।


আরও খবর



রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের মামলায় খালাস পেলেন ইমরান

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের মামলায় খালাস পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মেহমুদ কুরেশি। সোমবার রাজধানী ইসলামাবাদের হাইকোর্ট (আইএইচসি) এক রায়ে আলোচিত এই মামলা থেকে দুজনকে রেহাই দিয়েছেন।

এই মামলায় গত ৩০ জানুয়ারি ইমরান খান ও শাহ মেহমুদ কুরেশিকে ১০ বছর কারাবাসের সাজা দেন দেশটির নিম্ন আদালত। পরে ওই রায় বাতিল চেয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আপিল করেন পিটিআইয়ের আইনজীবীরা।

সোমবার সেই আবেদনের ওপর শুনানি ছিল। শুনানি শেষে সংক্ষিপ্ত রায়ে ইমরান-কুরেশিকে মামলা থেকে মুক্তি দেন আইএসইচসির বিচারপতি আমের ফারুক ও বিচারপতি মিয়াগুল হাসান আওরঙ্গজেবের সম্মিলিত বেঞ্চ।

ইমরানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয় তথ্য ফাঁস সংক্রান্ত বিতর্ক শুরু হয় ২০২২ সালের ২৭ মার্চ; তার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ হারানোর প্রায় ২ সপ্তাহ আগে। ওই দিন এক জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় একটি চিঠি দেখিয়ে ইমরান খান বলেছিলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা বাইরের দেশের সরকারের সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতেছেন এবং এই চিঠিতে তার প্রমাণ রয়েছে।

তবে জনসভায় চিঠিটি পড়েননি ইমরান কিংবা চিঠিতে কী রয়েছে সে সম্পর্কিত কোনো ইঙ্গিতও দেননি। কিন্তু বিরোধীদলীয় এমপিদের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কয়েকদিন পর ১০ এপ্রিল এক জনসভায় ইমরান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী দক্ষিণ ও মধ্য-এশিয়া বিভাগের প্রধান ডোনাল্ড লুর সঙ্গে সেই দেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের একটি বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকে ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে প্রস্তাব করেছিলেন ডোনাল্ড লু।

ইমরানের ভাষ্যমতে, লু বলেছিলেন ইমরান খানকে যদি ক্ষমতাচ্যুত করা হয়, তাহলে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধান বিরোধীদল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) চেয়ারম্যান নওয়াজ শরিফসহ দলের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে যেসব দুর্নীতির অপরাধ আদালতে বিচারধীন রয়েছে, সেগুলো মিটিয়ে দেওয়া হবে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করায় ব্যাপারটি সেখানেই থেমে যায়। ইমরান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন পিএমএলএনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং নওয়াজ শরিফের ছোটভাই শেহবাজ শরিফ। তিনিও দীর্ঘ সময় ব্যাপারটিতে গুরুত্ব দেননি। কিন্তু ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে। ওই সময় ইমরান খান, পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মুহম্মদ কুরেশি ও সেক্রেটারি জেনারেল আসাদ ওমরের দুটি অডিও টেপ ফাঁসের পর দেশটির রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়। সেই অডিও টেপে ওই তিনজনকে আলোচনা করতে শোনা যায় যে, ওই চিঠিটি থেকে পিটিআই কীভাবে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে পারে।

তারপর ৩০ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক মন্ত্রিসভা বিষয়টি তদন্তে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিকে (এফআইএ) নির্দেশ দেয়। গত অক্টোবরে ইমরান ও কুরেশিকে অপরাধী সাব্যস্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয় এফআইএ। সেই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ওই মাসেই এফআইএকে বিশেষ আদালতে ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দেয় নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক মন্ত্রিসভা।

মামলা দায়েরের তিন মাস পর ৩০ জানুয়ারি ইমরান ও কুরেশিকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছর কারাবাসের সাজা দেন নিম্ন আদালত; যা আজ (সোমবার) মওকুফ হলো। ইমরান এবং কুরেশি উভয়ই বর্তমানে কারাগারে আছেন। এই রায়ের ফলে তাদের কারাগার থেকে বের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বর্তমানে তারা সাজা খাটছেন গত বছরের ৯ মে দেশজুড়ে সংঘটিত সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার এক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে।


আরও খবর



পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ৮ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধানে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের মধ্যে চারজন পরিচালক, একজন উপপরিচালক ও দুজন উপসহকারী পরিচালক রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক ও তার টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

বেনজীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট তৈরি করেছেন তিনি। পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও আশ্রয় নিয়েছেন নজিরবিহীন জালিয়াতির। কিন্তু নবায়নের সময় ধরা পড়লে তা আটকে দেয় পাসপোর্ট অধিদপ্তর। চিঠি দেওয়া হয় র্যাব সদরদপ্তরে। কিন্তু অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে সব ম্যানেজ করেন বেনজীর। পাসপোর্ট অফিসে না গিয়ে নেন বিশেষ সুবিধা। বানিয়ে নেন সাধারণ পাসপোর্ট।

আরও জানা গেছে, সাবেক এই আইজিপি পাসপোর্টে আড়াল করেছেন পুলিশ পরিচয়। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে বিশেষ পাসপোর্ট নেননি।

এদিকে, বেনজীরকে দুদকে তলব করা হলেও তিনি হাজির হননি। এমনকি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্ত্রী জিশান মীর্জা ও দুই মেয়েকে তলব করলে তারাও দুদকের ডাকে সাড়া দেননি। তবে তারা হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছেন।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় আড়াই কোটি টাকার টোল আদায়

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে কোরবানির পশুবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ আগের তুলনায় বেড়েছে। এতে বঙ্গবন্ধু সেতুতে বেড়েছে টোল আদায়ের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় সেতুতে টোল আদায় হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি। সোমবার (১০ জুন) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল।

সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার (৮ জুন) রাত ১২টা থেকে রোববার (৯ জুন) রাত ১২টা পর্যন্ত পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব-পশ্চিম টোলপ্লাজা দিয়ে ২৫ হাজার ২৫৭টি পরিবহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৪০ লাখ ১৪ হাজার ৫০ টাকা।

গত ২৪ ঘণ্টায় যাত্রীবাহী বাস পারাপার হয়েছে ৪ হাজার ৭৮টি। বাসের তিনগুণ ট্রাক পারাপার হয়েছে। এ সময় সেতু পারাপার হয়েছে ১২ হাজার ৩৯৬টি ট্রাক। এ ছাড়া ছোট-বড় পরিবহন পার হয়েছে ৭ হাজার ৬৯৬টি এবং মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে এক হাজার ৮৭টি।

এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, অন্যান্য দিনের চেয়ে মহাসড়কে পশুবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ আগের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করছে।’


আরও খবর