আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

শেখ হাসিনা না এলে ইতিহাসের স্বপ্ন ভঙ্গ হতো

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ মে ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ইতিহাসের গতি-প্রকৃতির বিবর্তনের ধারা বিশ্লেষণ দেখা যায়, কাঙ্ক্ষিত একটি লক্ষ্য নিয়েই সময় ও কাল এগিয়ে চলে। পরিস্থিতি ও পারিপার্শ্বিকতাকে এগিয়ে নিয়ে যায় সময়ের সাহসী নেতৃত্ব। অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে স্বীকার করতে হয় বিপুল ত্যাগের। কিন্তু যার বা যাদের ত্যাগের সিঁড়ি বেয়ে গতিময় হয়ে ওঠে পরিবর্তনের ধারা, তারা অনেকেই কাঙ্ক্ষিত সাফল্য দেখার সুযোগ পান না। তাদের ত্যাগের সিঁড়ি বেয়ে অভীষ্ট সাফল্য অর্জিত না হলে সেটাই হয় ইতিহাসের স্বপ্ন ভঙ্গ। বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয় ও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ তার থেকে ব্যতিক্রম নয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট এ দেশের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা পাকিস্তানপন্থী দালাল চক্র, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী ও প্রতিক্রিয়াশীল মহল সুপরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রতিটি নাগরিকের মনে শঙ্কা জন্মেছিল যে, তাদের লালিত স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে কার্যত বাংলাদেশকে পূর্ব পাকিস্তানে পরিণত করা হয়, কেবলমাত্র নামটি রাখা হয় বাংলাদেশ। হতবিহ্বল আওয়ামী লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কিছুটা দিশেহারা হয়ে পড়েন। এমন একটি সময়ে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে প্রবাসী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ঐক্যের প্রতিক হিসেবে সভাপতি নির্বাচন করা হয়। কোনো কোনো বিশ্লেষক শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, তার পিতার সপরিবারে নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরে তিনি হয়তো নিজেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফিরে না-ও আসতে পারেন। কিন্তু সেই আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণ করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে আসেন। প্রচণ্ড বৈরী আবহাওয়া, ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশের লক্ষ লক্ষ মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্যাকে সাদর সম্ভাষণ জানাতে দাঁড়িয়েছিল। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান তাকে দেশে আসার অনুমতি দিতে চাননি, পরিস্থিতি বিপাকে তিনি বাধ্য হয়েছিলেন। রাস্তায় লোকজনের ভিড় না করার জন্য ফর্মান জারি করা হয়েছিল। সব ফর্মান উপেক্ষা করে শেখ হাসিনাকে বাঙালি জাতি সেদিন তাদের প্রিয় নেত্রীকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়ে গ্রহণ করেছিল। তার ফিরে আসাটা ছিল প্রচণ্ড ঝুঁকিপূর্ণ। নিজ বাড়িতে তাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি, রাস্তায় দাঁড়িয়ে চরম অসহায় অবস্থায় পরিবারের নিহত সদস্যদের জন্য দোয়া করতে হয়েছে তাকে। হাত তুলে আল্লাহর কাছে বিচার প্রার্থনা করেছিলেন। দেশবাসীর উদ্দেশে বলেছিলেন, আমি সব হারিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি, আপনাদের মাঝেই খুঁজে পেতে চাই আমার হারানো স্বজনদের। এরপর শুরু হয় তার কণ্টকাকীর্ণ দুর্গম পথের অভিযাত্রা। দলের অভ্যন্তরেও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয় তাকে। দলের বাইরে প্রায় সব রাজনৈতিক সংগঠন ছিল বৈরী অবস্থানে। সেনাশাসক, বঙ্গবন্ধুর খুনি, স্বাধীনতাবিরোধী মহল, প্রতিক্রিয়াশীল চক্র, বিদেশি শক্তিসহ অসংখ্য প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয় তাকে। গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে পায়ে হেঁটে, রিকশা, ভ্যান, নৌকায় চড়ে পিতার মতো বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে নিরলসভাবে লড়াই করতে থাকেন।

১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের খুনি ও তাদের পৃষ্ঠপোষকেরা বুঝতে পারেন যে, শেখ মুজিব বিনাশ হয়নি। তার প্রতিচ্ছবি হয়ে সশরীরে আবির্ভূত হয়েছে তারই সুযোগ্য উত্তরসূরি। তাই তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র শুরু হয়। অন্তত ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়। সর্বশেষ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার ও সরকার সম্মিলিতভাবে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালায়। আল্লাহর অসীম রহমতে প্রতিটি আক্রমণ থেকে তিনি রক্ষা পান। ২১ বছর রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে থাকা আওয়ামী লীগকে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এনে সরকার গঠন করেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটা সম্ভব হয়েছিল কেবলমাত্র শেখ হাসিনার মতো যোগ্য নেতৃত্বের কারণেই। ক্ষমতায় এসেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের জন্য জেনারেল জিয়ার করা ইনডেমনিটি আইন বাতিল করেন। এই বাতিল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে খুনিরা হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে মামলা করে। সেখানেও আইনি লড়াই করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের প্রতিবন্ধকতা দূর করেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ২১ বছর প্রশাসনে, রাজনীতিতে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে, বিভিন্ন বাহিনীতে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীল চক্র। দীর্ঘদিনের জমে থাকা জঞ্জাল রাতারাতি দূর করার অসম্ভবকে তিনি সম্ভব করে তোলেন। পদে পদে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয় তাকে। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে সুকৌশলে আওয়ামী লীগকে পরাজিত দেখানো হয়। ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এগোতে থাকেন সামনের দিকে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের চূড়ান্ত বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের বিচারের পথ প্রশস্ত করে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিচার সম্পন্ন করে গোটা জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেন। ক্ষমতায় আসার স্বল্প সময়ের মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহের ভয়াবহ ঘটনা সংঘটিত হয়। নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে সেনাবাহিনীকে উসকানি দেবার চেষ্টা করা হয়। অসীম ধৈর্য ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তিনি পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার বিচার সম্পন্ন করেন। হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেন। বড় বড় রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, দুর্নীতির মামলাসহ সব অপরাধীকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসেন। অবসান হয় দায়মুক্তির সংস্কৃতির। দুর্নীতির দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানের কারাদণ্ড হয়। ২১ আগস্টের বর্বর গ্রেনেড হামলার ঘটনায় তারেক রহমানসহ বিএনপি সরকারের একাধিক মন্ত্রী, গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীর প্রধানরাসহ অন্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা পরিবর্তনের সাংবিধানিক বিধানকে সমুন্নত করেন। অবৈধ শক্তি এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যাতে মাথাচড়া দিয়ে উঠতে না পারে, তার জন্য গোটা জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রস্তুত করেন। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী অবৈধ ঘোষিত হয়। সর্বোচ্চ আদালত জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদকে তস্কর, অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধী হিসেবে উল্লেখ করে ওই রায়ে। শুধু তা-ই নয়, তারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন, তাই তাদের কৃতকর্মকেও আদালত অবৈধ ঘোষণা করেন। এভাবে সামরিক বাহিনীর উচ্চাভিলাষী কর্মকর্তাদের ক্ষমতা দখলকে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অবৈধ ঘোষণা করার দ্বারা ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচিত হয়। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা ধাম্ভিকতার সঙ্গে বলতেন, তাদের কেউ কিছু করার ক্ষমতা রাখে না। সেই ধাম্ভিকতাকে চূর্ণ করে দিয়ে ইতিহাসে অনন্য নজির স্থাপন করেন শেখ হাসিনা। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের পথ বন্ধ করতে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে আইনে পরিণত করে সংবিধানে সংযুক্ত করেন এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চাকরি দেন। অভিযোগ রয়েছে যে, ক্ষমতাকে নির্বিঘ্ন করতে খালেদা জিয়া জেনারেল জিয়া হত্যার বিচার করা থেকে বিরত থাকেন। শেখ হাসিনা রাজনীতিতে হঠাৎ করে আবির্ভূত হননি। পারিবারিকভাবেই রাজনীতিতে শিশুকাল থেকেই তার হাতেখড়ি। পিতার রাজনীতির ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য ছিল তার, বাসায়, সভা-সমাবেশে, রাজপথে এবং কারাগারের গেটে। ছাত্রজীবনে ইডেন কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। বিশ্বাসে, বাস্তবতায় ও ধমনিতে ধারণ করেছেন যোগ্য পিতার শুধু রক্তের উত্তরসূরি নন, আদর্শেরও উত্তরসূরি। তাইতো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিতার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে অগ্রযাত্রার অপ্রতিরোধ্য গতি নিয়ে বিধ্বস্ত ও দরিদ্রপীড়িত বাঙালি জাতিকে উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতিতে পরিণত করতে অনন্য উচ্চতার নেতৃত্বে অধিষ্ঠিত করেছেন নিজেকে।

নারীর ক্ষমতায়ন, অসহায়দের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, আমার বাড়ি আমার খামার, পরিবেশ সুরক্ষা, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, বিনিয়োগ বিকাশ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের মতো অসংখ্য কর্মসূচি গ্রহণ ও সাফল্যের মধ্য দিয়ে দেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। ৬৭ বছরের ঝুলে থাকা ছিটমহল সমস্যা সমাধান করেছেন শান্তিপূর্ণ উপায়ে। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের প্রায় সমপরিমাণ এলাকায় সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত করেছেন সেরা কূটনীতির মধ্য দিয়ে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থে, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা মেট্রোরেল, সোনাদিয়া গভীর সমুন্দ্রবন্দর নির্মাণ, পায়রা সমুন্দ্রবন্দর নির্মাণ। ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিটি জেলায় একটি করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, পর্যায়ক্রমে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা তার অনন্য অসাধারণ সাফল্যের পরিচয় বহন করে। অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি, মাথাপিছু গড় আয় বৃদ্ধি, গড় আয়ু বৃদ্ধি, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়ে আনা, গড় প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করা, জিডিপির আনুপাতিক হার প্রতিবেশী অনেক দেশের চেয়ে অনেক বেশি বৃদ্ধি করাসহ সাফল্যের সংখ্যা ও পরিমাণ বিপুল পর্যায়ে পৌঁছেছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আকাশে উৎক্ষেপণ, যা ছিল অকল্পনীয়, তা বাস্তবতায় পরিণত করেছেন। বিশ্বপরিমণ্ডলে তিনি মানবতার জননী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করায় তাকে উন্নয়নের জাদুকর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সততা ও পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে বিশ্বের তিনজন সেরা রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে অন্যতম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। বিভিন্ন কর্মে সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে চ্যাম্পিয়ন অব দা আর্থ, স্টেটম্যান, ইস্টার অব ইস্ট, মাদার অব হিউম্যানিটি, ভ্যাকসিন হিরোসহ ৪০টির বেশি পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন মর্যাদাপূর্ণ দেশ ও সংগঠন থেকে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক তহবিলে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদান ও ৫টি বাস্তবতাসম্মত প্রস্তাব তাকে বিশ্বে নতুন উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে। দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা ও আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার সব সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করে জাতির জনকের অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। যারা তার পিতার খুনিদের প্রশ্রয় দিয়েছিল, এমনকি তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল, তেমন একজন প্রতিপক্ষকে উচ্চ আদালত কর্তৃক কারাদণ্ড দেয়ার পরও নিজ বাসায় মুক্ত জীবনে থাকার সুযোগ করে দিয়ে যে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন, তা ইতিহাসে বিরল। তিনি দলীয় নেতা, সরকারের প্রধানমন্ত্রী এসব পরিচয়ের ঊর্ধ্বে এখন আন্তর্জাতিক পরিসরে বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, দূরদৃষ্টি, সততা, নিষ্ঠা, পরিশ্রম মহানুভবতায় অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাওয়া শেখ হাসিনা আজ ২৮ সেপ্টেম্বর ৭৪ বছরে পা রাখবেন। স্বজন হারানোর বেদনা এবং বয়সের ভার কোনোভাবেই তাকে দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পাদনে কখনো ক্লান্ত করতে পারে না। দলের নেতা-কর্মীদের কাছে তিনি অনন্য অসাধারণ নেত্রী, সরকারে তিনি ইতিহাসের সবচেয়ে সফল প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের আশা-আকাঙ্ক্ষার একমাত্র আশ্রয়স্থল। বিশ্বপরিমণ্ডলে তিনি সফল রাষ্ট্রনায়ক এবং দেশবাসীর কাছে তিনি মমতাময়ী মায়ের আসনে সুপ্রতিষ্ঠিত। শেখ হাসিনা ফিরে না এলে ইতিহাসের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হতো না, ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায় ইতিহাসের স্বপ্ন ভঙ্গ হতো। শেখ হাসিনাই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, শেখ হাসিনাই বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি, শেখ হাসিনাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আশা-আকাঙ্ক্ষার একমাত্র ভরসাস্থল। বয়সের হিসাবে ৭৪-এ পৌঁছালেও কর্মস্পৃহা, দায়িত্ববোধ, নিষ্ঠা, সততা ও দেশপ্রেমের মন্ত্রে দীক্ষিত শেখ হাসিনা পৃথিবীর অন্যতম সেরা পরিশ্রমী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রমাণ করেছেন যে, বয়স তাকে স্পর্শ করতে পারে না। অদম্য সাহসী ও শক্তির আধার শেখ হাসিনারই বাঙালি জাতির সব অন্ধকারের আলোকবর্তিকাবাহী দুঃসাহসী অভিযাত্রী। দীর্ঘজীবী হোন শেখ হাসিনা।

লেখক : শ ম রেজাউল করিম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী


নিউজ ট্যাগ: শ ম রেজাউল করিম

আরও খবর



তনির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, শোরুম সিলগালা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পাকিস্তানি বলে বেশি দামে দেশি পোশাক বিক্রি করার অভিযোগে রাজধানীর গুলশানে সানভীস বাই তনি’র শোরুম সিলগালা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সোমবার (১৩ মে) গুলশান শুটিং ক্লাব এলাকায় পুলিশ প্লাজা মার্কেটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচিত মুখ রোবাইয়াত ফাতেমা তনি। রাজধানীতে কয়েকটি শোরুম আছে তার। অনলাইনেও বিক্রি করেন পোশাক এবং কসমেটিক্স। তবে এবার আলোচনায় আসলেন প্রতারণার অভিযোগে। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর বলছে, তৈরি পোশাক বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে অবৈধভাবে কসমেটিক্স বিক্রি করা হতো এই আউটলেটে।

ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযোগের সফটওয়্যারে এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে কিছু অভিযোগ আসার পর প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে এবং এই দোকানে দেশি পোশাকগুলো বিদেশি বলে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল।

আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, তারা অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করে। কিন্তু ডেলিভারি দেওয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়। শত শত কাস্টমার এভাবে প্রতারিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ এলে তাদের শুনানির জন্য নোটিশ করা হয়েছে। তারা সেটি দেখেও জবাব দেয়নি। তারা যেহেতু কোনো জবাব দেয়নি, উপস্থিত হয়নি, আমাদের কাছে মনে হয়েছে এসব অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। এখানে এসে সেটার প্রমাণ পেয়েছি। তারা পাকিস্তানি ড্রেসের পক্ষে কোনো কাগজপত্র, প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তাদের শুধু ট্রেড লাইসেন্স আছে, সেটা সাধারণ পোশাক বিক্রেতা হিসেবে।’

তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের শোরুম বন্ধ করে দিয়েছি। এখন তারা কাগজপত্র নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে হাজির হয়ে প্রমাণ দেবে। এ ছাড়া কতগুলো কাস্টমারকে এসব ড্রেস সরবরাহ করা হয়েছে সেসব তথ্য দেবে।


আরও খবর



নারীবাদ নিয়ে নোরা ফাতেহির মন্তব্যে ক্ষুদ্ধ নেটিজেনরা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ড্যান্সার ও অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি। সম্প্রতি মাডগাঁও এক্সপ্রেস সিনেমায় নজর কাড়েন তিনি। এবার এক সাক্ষাৎকারে নারীবাদ নিয়ে এমন এক কথা বলে বসলেন তিনি, যাতে তার ওপর রেগে আগুন নেটিজেনরা।

সম্প্রতি একটি পডকাস্টের সাক্ষাৎকারে নোরা বলেছেন, নারীবাদ আসলে সমাজটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। আমি বলছি না যে মেয়েরা পড়াশোনা করবে না বা চাকরি করবে না; অবশ্যই করবে। তবে, এর একটা মেয়াদ বা সময়কাল আছে। পুরুষ চাকরি করবে, টাকা উপার্জন করবে, খাবার আনবে ও পরিবারকে রক্ষা করবে।

তিনি বলেন, অন্যদিকে নারী মা হবে, সন্তানের দেখাশোনা করবে, রান্না করবে, ঘরের কাজ করবে। নারীপুরুষের ভূমিকা এমনই হওয়া উচিত। এতে খারাপ কী! আমি এভাবেই চিন্তা করি। শুনলে মনে হবে, আমি হয়তো এখনো আদ্যিকালেই পড়ে আছি বা ওল্ড স্কুল। তবে, এটাই আমার বিশ্বাস।

নোরার কথা শুনে কার্যত অবাক সবাই। তিনি নিজে দাপিয়ে কাজ করছেন বহির্বিশ্বে, অথচ তিনি মেয়েদের বাড়ির কাজে বাঁধতে চাইছেন। নোরার কথা বিরক্ত হয়ে এক ব্যক্তি লেখেন, উনি কেন এখনো বিয়ে করে বাচ্চা লালনপালন না করে বেপর্দা হয়ে নাচানাচি করে বেড়াচ্ছেন? সিনেমায় যতই নায়িকা হন না কেন, ব্যক্তিগত জীবনে আপনি আসলে একটা খলচরিত্র।

অন্য আরেক ব্যক্তি লেখেন, এত ফালতু কথা আমি জীবনে শুনিনি। বুঝেছি, উনি কাদের খুশি করতে এসব কথা বলছেন! ওনার ভক্তরা তো সাধারণত পুরুষ। উনি আসলে ওনার পুরুষ ভক্তদের খুশি করতে চান।


আরও খবর



এবার ভরিতে ১৮৭৮ টাকা কমল স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বাজারে ফের কমল স্বর্ণের দাম। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৭৮ টাকা কমানো হয়েছে। এর ফলে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪ হাজার ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮৯ হাজার ৩১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৪ হাজার ২৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেইসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা।

স্বর্ণে দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটেগরি ভেদে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের রুপা ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল, ২৮ এপ্রিল, ২৭ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল সাত দফা স্বর্ণের দাম কমানো হয়। সবশেষ গত ৩০ এপ্রিল ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের ৪২০ টাকা কমানো হয়।


আরও খবর



গরমে যে নিয়মে ডিম খেলে শরীর সুস্থ থাকে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

প্রচন্ড তাপপ্রবাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। গরমে শরীর না ঘামলেও অনুভূত হচ্ছে অসহনীয় তাপ; যেন শরীর জ্বালাপোড়া করে পুড়ে যাচ্ছে! অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষ। গরমে শরীর সুস্থ রাখা জরুরি। শরীর সুস্থ রাখতে গরমে চিকিৎসকেরা হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন । মাংসও ঘন ঘন খেতে বারণ করেন। পরিমাণেও রাশ টানার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বরং সবজি দিয়ে পাতলা মাছের ঝোল কিংবা ডাল খেতে বলেন। তবে ডিমের বিষয়টি আলাদা।

ডিম শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। চনমনে রাখে। প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। তাই বলে গরমে ইচ্ছেমতো ডিম খেয়ে যাওয়া কি ঠিক? পুষ্টিবিদদের মতে, গরমে ডিম খাওয়া যাবে না, এই ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত। ডিম খেলে হজমের গোলমাল হওয়ার কোনও কারণ নেই। ভাল করে সেদ্ধ করে নিলে সালমোনেলা ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণেরও ভয় নেই। গরমের সঙ্গে ডিমের কোনও বিরোধ নেই।

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিনের জন্য চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন। বেশিরভাগ পুষ্টিকর উপাদান প্রাকৃতিকভাবে যেসব খাবারে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হলো ডিম। যেমন- ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন এ, ডি, বি এবং বি-টুয়েলভ্। এছাড়াও ডিমে আছে লুটেইন ও যিয়াস্যানথিন নাম দুটি প্রয়োজনীয় উপাদান যা বৃদ্ধ বয়সে চোখের ক্ষতি ঠেকাতে সাহায্য করে।

পুষ্টিবিদদের মতে, গরমে ডিম খেলে যে ক্ষতির কোনও কারণ নেই কিন্তু কী খাচ্ছি, তার চেয়েও কতটা খাচ্ছি, সে দিকে নজর রাখা জরুরি। গরমে ডিম খাওয়ার পরিমাণে কতটা রাশ টানা জরুরি? আসলে পরিমাণটা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত কিংবা অক্লান্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন, তাদের পর্যাপ্ত প্রোটিন খাওয়া জরুরি সে ক্ষেত্রে। সেই প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে দিনে দু-তিনটি ডিম খান অনেকেই। কিন্তু অনেকের আবার শারীরিক পরিশ্রম কম। শরীরচর্চাও করেন না। সে ক্ষেত্রে দিনে একটির বেশি ডিম না খাওয়াই ভাল। বয়স, উচ্চতা, শারীরিক পরিশ্রমের পরিমাণ এবং আরও বেশ কয়েকটি বিষয় জড়িয়ে থাকে ডিম খাওয়ার সঙ্গে।

গরমে হালকা খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে, গরমের খাদ্যতালিকায় রাখতেই পারেন ডিমকে। ডিম হল সুপারফুড। পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রোটিন, ভিটামিন ডি, বি, জিংক ও ক্যালসিয়ামে ভরপুর ডিম।

স্বাস্থ্যে একাধিক উপকারিতা প্রদান করে ডিম। এমনকি ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যকেও ভালো রাখে। হজমের সমস্যা না থাকলে প্রতিদিনই ডিম খাওয়া যায়। কিন্তু একটার বেশি ডিম খেলে এই গরমে কি শারীরিক সমস্যা বাড়বে?

অনেকের ধারণা, গরমকালে ডিম খাওয়া উচিত নয়, এতে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। এটা শুধু ধারণা মাত্র। ডিমের মধ্যে ভালো কোলেস্টেরল রয়েছে, যা আদতে হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু গরমে ভারী খাবার একটু এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

এমনকি পেট গরম হতে পারে ভেবে অনেকে ডিম খাওয়াও কমিয়ে দিয়েছেন। গরমে ডিম খাওয়া মানা নয়। তবে পরিমাণের দিকটা খেয়াল রাখতে হবে। গরমে দিনে দুটির বেশি ডিম খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কারও হজমশক্তি খুব ভাল হলেও বেশি ডিম খাওয়া ঠিক হবে না। ডিম দিয়ে কী বানাচ্ছেন সেটাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। ডিম দিয়ে অনেক মুখরোচক খাবার তৈরি করা যায়। জেনে নিন গরমে যে নিয়মে ডিম খেলে শরীর সুস্থ থাকে

ডিম সেদ্ধ করুন এমন ভাবে, যাতে ডিমের সাদাটি সিদ্ধ হয়ে যায়। কিন্তু অথচ কুসুমটি নরম তুলতুলে থাকে। এই ভাবে ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই ভাবে সেদ্ধ করলে ডিমের মধ্যে থাকা ক্ষতিকারক জীবাণুও মরে যায়। টোস্ট আর ডিম পোচ জুটির বাঙালি বাড়িতেও কম জনপ্রিয়তা নেই। এই গরমে ডিম খেতে হলে পোচ বানিয়ে খাওয়াই ভাল। পেটের গোলমাল হওয়ার ভয় নেই। শরীরও শক্তি পায়। শারীরিক কোনও অস্বস্তি হয় না।

অনেকেই হাফ বয়েল ডিমে আঁশটে গন্ধ পান। তাদের জন্য পুরো সেদ্ধ ডিমই সেরা। মিনিট পাঁচেক পানিতে ফুটিয়ে নিলেই ডিম সিদ্ধ তৈরি। চটজলদি খাবার হিসাবে ডিম সেদ্ধর বিকল্প নেই। লবণ আর মরিচ দিয়েই খেয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়াও সেদ্ধ ডিম দিয়ে বানাতে পারেন এগ সালাদ কিংবা এগ স্যান্ডউইচ।

গরমকালে ডিম খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে। এতে মুখরোচক খাবার খাওয়া থেকেও দূরে থাকতে পারবেন। এতে সহজেই ওজন কমবে। আর দেহে পুষ্টির ঘাটতিও পূরণ হবে। তাই স্বাস্থ্যের কোনও গন্ডগোল না থাকলে প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে পারেন।


আরও খবর



রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসের ধাক্কায় নিহত ২

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে বাসের ধাক্কায় পিকআপভ্যানের চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- বাবুল চিশতা (৪৫) ও অপরজনের নাম কবির হোসেন। তার বয়স আনুমানিক (৫০) বছর।

রবিবার (৫ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাতুয়াইল মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সায়েম জানান, মাতুয়াইল মা ও শিশু হাসপাতালের সামনের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাত পৌনে ২টার দিকে একটি পিকআপভ্যান ইউটার্ন নিচ্ছিল। তুহিন পরিবহনের একটি বাস তখন পিকআপভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপ ভ্যানটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং বাসটি পাশে খাদের পানিতে পড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয়রা পিকআপভ্যানের ভেতর থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় দুজনকে বের করে রাস্তায় রাখেন। তখন তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এসআই আরও জানান, দুর্ঘটনার সময় ওই বাসটিতেও কয়েকজন যাত্রী ছিলেন। তবে তারা সামান্য আহত হওয়ায় স্থানীয় হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে যে যার বাসায় চলে গেছেন। নিহত বাবুল চিশতি পিকআপভ্যানটির চালক। মরদেহ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহত বাবুল চিশতির স্ত্রী নার্গিস আক্তার জানান, শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার সামন্তশা গ্রামে বাবুলের বাড়ি। বাবার নাম আব্দুর রশিদ আকন। পরিবার নিয়ে যাত্রাবাড়ীর মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকেন। ভাড়ায় পিকআপভ্যান চালাতেন তিনি। সোমরাত রাত ১টার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। বের হওয়ার সময় জানিয়েছিলেন, যাত্রাবাড়ী মাছের আড়তে যাবেন। সেখান থেকে পিকআপভ্যানে করে মাছ নিয়ে কোথাও যাওয়ার কথা ছিল তার।


আরও খবর