আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

শেয়ারবাজারে বেড়েছে লেনদেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে দুই বাজারেই বেড়েছে মূল্যসূচক। সেইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।

মূল্যসূচক ও লেনদেন বাড়লেও প্রধান শেয়ারাজার ডিএসইতে প্রায় সাড়ে তিন ডজন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের ক্রয় আদেশের ঘরশূন্য হয়ে পড়ে। লেনদেনের প্রায় পুরো সময় এ প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রয় আদেশের ঘরশূন্য অবস্থায় থাকে। এতে দিনের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরুর পাঁচ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে, লেনদেনের সময় আধাঘণ্টা গড়ানোর আগেই ভারি হয় দরপতনের পাল্লা। এতে সূচকও নিচের দিকে নামতে থাকে। একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ঋণাত্মকও হয়ে পড়ে।

অবশ্য লেনদেনের বেশিরভাগ সময় সূচক সামান্য ঊর্ধ্বমুখী থাকে। লেনদেন শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ৫ পয়েন্ট। এ পরিস্থিতিতে হঠাৎ দরপতন থেকে বেরিয়ে আসে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান। এতে লেনদেনের শেষ ১৫ মিনিটে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ২০ পয়েন্টের ওপরে বেড়ে যায়। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩৭৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে।

অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৯৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৬টির। আর ৫০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখানো প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দুটির শেয়ার দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে। বিপরীতে ৩৯টির দাম দিনের সর্বনিম্ন পরিমাণ কমেছে।

মূল্যসূচক বাড়ার পাশপাশি বাজারটিতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৩৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৮০৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়ছে ১৩২ কোটি ৫ লাখ টাকা।

ডিএসইতে টাকার অংকে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪০ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩০ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে শাহিনপুকুর সিরামিকস।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ফরচুন সুজ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ওরিয়ন ফার্মা, তিতাস গ্যাস, ফু-ওয়াং ফুড, সোনালী পেপার এবং স্যালভো কেমিক্যালস।

অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৩৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ২৮ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৩০১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৬টির এবং ৪০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন

কেন্দ্রে থাকবে সর্বোচ্চ পুলিশ-আনসার, প্রতি ইউনিয়নে ম্যাজিস্ট্রেট

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সংখ্যক সশস্ত্র সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

সভা শেষে সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সংখ্যক সশস্ত্র সদস্য মোতায়েন করা হবে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবে। এর আগে কখনো এত বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটকেন্দ্রে ছিল না।

তিনি জানান, প্রতিটি বুথ ব্যবস্থাপনার জন্য সর্বনিম্ন ১০ জন আনসার সদস্য থাকবে ও ৬টির বেশি বুথ আছে, এমন জায়গাগুলোতে একজন করে অতিরিক্ত আনসার থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ চার পুলিশ সদস্য থাকবে। আনসার থাকবে তিনজন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবে।

সচিব বলেন, ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে। এটা পৌঁছানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে মোবাইল ফোর্স, স্ট্রাইকিং ফোর্স। ব্যালট পেপার সেন্টারে পৌঁছানোর পর তাদের এলাকাভিত্তিক যে দায়িত্ব বণ্টন করা হবে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার ও রিটার্নিং অফিসার যেটা বলবেন, সেভাবে তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য) দায়িত্ব পালন করবে।

স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, প্রতিটি ইউনিয়ন একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। প্রতিটি উপজেলায়ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ভোটের আগের দিন ও পরের দিন পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। গড়ে ৫টি সেন্টারের জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল ফোর্স থাকবে। আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব ও কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে এই মোবাইল ফোর্স গঠন করা হবে। আর উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির বদলে কোস্টগার্ড বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম সেন্টারে হেলিকপ্টারে পোলিং কর্মকর্তা ও ভোটের উপকরণ পৌঁছানো হবে।


আরও খবর



ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ : কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাপনী অনুষ্ঠান বাতিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি যুদ্ধের অবসান ও মার্কিন সমর্থন প্রত্যাহারের দাবিতে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের জেরে স্নাতক সমাপনীর মূল অনুষ্ঠান বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ মে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনীর মূল অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। তবে  সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা বাতিল করেছে।

দেশটির ৪৫টি রাজ্যের প্রায় ১৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাখতে ছোট পরিসরে এ অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের শুরু হয়। এরপর থেকে এ বিক্ষোভ ওয়াশিংটন ডিসিসহ যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫টি রাজ্যের প্রায় ১৪০টি কলেজে ছড়িয়ে পড়েছে।

নিউইয়র্ক সিটি বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে শিক্ষার্থী নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর তারা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। গত কয়েক সপ্তাহের ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ সমাবেশের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা ব্যাহত হয়েছে।

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র বেন চ্যাং বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে বড় পরিসরে সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, এমন আশঙ্কা অমূলক নয়। এমন পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মতো আমরাও গভীরভাবে হতাশ।

চ্যাং আরও বলেন, অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি বিকল্প জায়গা খুঁজছিল। তবে শিক্ষার্থী, তাঁদের পরিবারের সদস্য, অতিথিরাসহ ৫০ হাজারের বেশি মানুষকে ধারণ করার মতো কোনো জায়গার ব্যবস্থা করা যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুরু হওয়া বিক্ষোভ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত সপ্তাহে আপার ম্যানহাটানে অবস্থিত কলাম্বিয়ার একটি ক্যাম্পাস থেকে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশ ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে সেখান থেকে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


আরও খবর



প্রবাসে নিয়ে দালালের হাতে বিক্রি, দেশে ফেরাতে পরিবারের আকুতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে পাথরঘাটার একাধিক ব্যক্তিকে প্রবাসে পাঠিয়ে দালালের হাতে বিক্রি করেছে প্রতারক আ. জলিল চৌধুরী। সৌদিতে থাকা সন্তানদের ফিরে পেতে বরগুনার পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী পরিবার।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ১১ টায় পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সৌদি আরব থেকে সদ্য ফিরে আসা ভুক্তভোগী মিজানুর রহমানসহ ফোরকানের বাবা আ. কাদের, সুমনের বাবা শাহ আলম, ইমরানের মা শাহিনুর বেগম, মামুনের বাবা আবুল হোসেনসহ ৬ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলো।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে তারা বলেন, রফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মামুন মিয়া, মো.সুমন, ইমরান ও ফোরকানকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা করে নিয়ে বিদেশে পাঠায় পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বাসিন্দা প্রতারক আ. জলিল চৌধুরীর। সৌদি আরব যাওয়ার পরে একের পর এক দালাল বিক্রি করে তাদের। সেখানে কাজ না দিয়ে আটকে রাখা হয় তাদের।

তারা আরো জানান, পাথরঘাটাসহ বিভিন্ন এলাকার একাধিক লোককে সৌদি আরব পাঠিয়ে ৭০ লাখ টাকারও বেশি আত্মসাৎ করেছে জলিল। প্রবাসে পাঠাতে অনেকে ঋণ, ধার কর্জ এবং জমি বিক্রি করে পরিবার গুলো এখন প্রায় নিঃস্ব। দেশে টাকা পাঠানো দূরে থাক সেখানে নিজেরাই খেতে পারছে না।

ফোরকানের বাবা আ. কাদের বলেন, আমি ও ছেলে রিকশা চালাতাম অনেক কষ্ট করে জমি বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশে পাঠাই। আজ বাবায় বড় কষ্টে আছে।

সৌদি থেকে সদ্য দেশে আসা মিজানুর রহমান বলেন, অঙ্গীকার অনুযায়ী বিদেশে যাওয়ার পর ভিসার মেয়াদ শেষ হলে ইকামা না দেয়ার কারনে ওই দেশের পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেলে থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আ. জলিল চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, আমি সরকারের নিয়ম মেনেই তাদের বিদেশে পাঠিয়েছি। শর্ত অনুযায়ী তাদের ভিসা এবং কাজ দিয়েছি। কাজ না করে যদি দেশে চলে আসে এর দায়ভার তো আর আমি নিব না।

তিনি আরও বলেন, তাদের ছাড়াও অনেক মানুষকে আমি বিদেশে পাঠিয়েছি তারা তো ঠিকঠাক মতো কাজ করছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, সকল কাগজপত্র আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।

সাকিল আহমেদ, পাথরঘাটা (বরগুনা)


আরও খবর



নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আবাসন প্রকল্প নিচ্ছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন শহরে নিম্ন আয়ের বিশেষ করে বস্তিবাসীদের জন্য আবাসন প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

সোমবার এ উদ্দেশ্যে সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গণপূর্তমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রকল্প বাস্তবায়নে নিজস্ব অর্থায়নের পাশাপশি বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার অর্থায়নও সম্ভব হলে গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন গণপূর্তমন্ত্রী।

সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিববৃন্দ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো.মোস্তাফিজুর রহমান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সিদ্দিকুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি ও তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য নির্দেশ দেন গণপূর্তমন্ত্রী।

প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পরিবেশ সুরক্ষা, প্রয়োজনীয় বনায়ণ, উন্মুক্ত স্থান সংরক্ষণ, খেলার মাঠ, স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন, সৌরশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার, পোড়ামাটির ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট ব্যবহার, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং এর ব্যবস্থা, সারফেস ওয়াটার ব্যবহারের সর্বোচ্চ সুযোগ রাখার পরামর্শ দেন গণপূর্তমন্ত্রী।

প্রাথমিকভাবে তিনি জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় টঙ্গীর দত্তপাড়ায় তিনটি পর্যায়ে ১০০টি বহুতল ভবনে, ১২ হাজার ৬০০ ফ্ল্যাট নির্মাণের যে প্রস্তাবনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তা দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দেন।

সভায় জানানো হয়, ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি (সম্ভাব্যতা যাচাই) সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ১৭টি ১৫ তলা বিশিষ্ট ভবনে ২ হাজার ১৪২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। ২য় পর্যায়ে ৪৭টি ভবনে ৫ হাজার ৯২২টি ও তৃতীয় পর্যায়ে ৩৬টি ভবনে ৫ হাজার ৪৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণের প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ সময় মন্ত্রী রাজধানীর কড়াইল বস্তি ও টি এন্ড টি কলোনীর বস্তিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও গণপূর্ত অধিদপ্তরকে পৃথক পৃথক প্রকল্পের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন।

৭৫০ বর্গফুট গ্রস আয়তনের এসব ফ্ল্যাটের অভিন্ন ডিজাইন প্রণয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান স্থপতিকে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।

রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য শহরেও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে পর্যায়ক্রমে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলে জানান উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী।

উল্লেখ্য যে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উত্তরা আবাসন প্রকল্পে (তৃতীয় পর্যায়) নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসনের জন্য ১০ একর জমি নির্দিষ্ট রয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে উক্ত জমিতে নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসনের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরির জন্যও নির্দেশনা প্রদান করেন গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী।

ইতোমধ্যে রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ বস্তিবাসীদের জন্য ৫৩৩টি ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছে। এসব ফ্ল্যাটে তারা স্বাচ্ছন্দের সাথে বসবাস করছে।

এছাড়া সিরাজগঞ্জের কোবদাস পাড়ায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের স্বল্প আয়ের মানুষের উন্নত জীবন ব্যবস্থা শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার নদী ভাঙ্গন কবলিত, ভূমিহীন বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। পরবর্তী প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে এসব প্রকল্পের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য মন্ত্রী পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে সরকারের এসব জনহিতকর কার্যক্রম সম্পর্কে সর্বসাধারণের মাঝে ইতিবাচক প্রচারের জন্য তিনি পরামর্শ দেন।


আরও খবর



তাপদাহের প্রভাব সবজির বাজারে, কমেছে ব্রয়লার-ডিমের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

তীব্র তাপদাহের প্রভাব নিত্যপণ্যের বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। শুক্রবার (৩ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। আগে যেটি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা বিক্রি হতো সেটি আজকের বাজারে ৭০ টাকা।

অন্যদিকে বাজারে আদা-রসুনের দামও বাড়তি। প্রতি কেজি আমদানি করা এই পণ্য বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। এছাড়া চাল, ডাল, আটা, ময়দার মতো পণ্যের সঙ্গে মাছ ও মাংসের দামও উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল।

এ ছাড়া স্বস্তি নেই সবজির বাজারেও। প্রতি কেজি সজনে ডাটা ১৪৫ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পেঁপে, বরবটি, করলা, কাকরোল, ঝিঙা, চিচিঙা ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বলতে গেলে পটল ও ঢেঁড়স ছাড়া ৮০ টাকার নিচে ঢাকার বাজারে কোনো সবজি নেই।

তবে বাজারে গত কয়েকদিনে ব্রয়লার মুরগি ও ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কমেছে। বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা দরে। ডজনে ১০ টাকা কমে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।

বেশ কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, শুধুমাত্র পেঁপেই সারাবছর কম দামে পাওয়া যায়। কিন্তু আজকে বাজারে এসে দেখি পেঁপের দাম উঠেছে ৮০ টাকায়। অথচ, গত সপ্তাহে বাড়তি দামের মধ্যেও ৫০ টাকায় পেঁপে কিনেছিলাম। দেশে কি পেঁপের আকাল পড়েছে?

বিক্রেতারা বলছেন, গতরাতে (বৃহস্পতিবার) বৃষ্টির কারণে কারওয়ান বাজারে সবজি সরবরাহ কিছুটা কম ছিল। তার আগে প্রচণ্ড গরমে সবজি নষ্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে রোজার ঈদের পর থেকেই সবজির বাজার চড়া।


আরও খবর