আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

শিবচরে বিধি-নিষেধ অমান্য করায় ১৮ জনকে ৩৪ হাজার টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুলাই ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মাদারীপুর থেকে দেলোয়ার হোসাইন

মাদারীপুর জেলার শিবচরে কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে অপ্রয়োজনে বাইরে বের হওয়াসহ সরকারি বিধি-নিষেধ অমান্য করায় ১৮ জনকে ৩৪ হাজার ৭ শত টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

শনিবার (৩ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আসাদুজ্জামান ও উপজেলার সহকারী (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এম রাকিবুল হাসান পৃথকভাবে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, লকডাউনের তৃতীয় দিনে সকাল থেকে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আসাদুজ্জামান শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা, সুর্যনগর, নিলখী, বাগমারা ও শিরুয়াইলে সঙ্গীয় সেনা সদস্য ও পুলিশ নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় দোকান খোলা রাখা এবং করোনা সংক্রান্ত সরকারী বিধি নিষেধ অমান্য করায় ৮ টি প্রতিষ্ঠানকে ২১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অন্যদিকে সকাল থেকে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এম রাকিবুল হাসানের নেতৃত্ব উপজেলার চান্দেরচর, কুতুবপুর, কাদিরপুর, খাসেরহাট, মালেরহাট, দত্তপাড়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দোকান ছাড়াও অন্যান্য দোকান খোলা রাখা এবং করোনা সংক্রান্ত সরকারী বিধি নিষেধ অমান্য করায় অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় সেনাবাহিনীর টিমও সঙ্গে ছিল। অকারণে বাইরে বের হওয়া, মাস্ক না পড়া, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বাইরে ঘুরাফেরা করাসহ একাধিক কারণে ১০ জনকে ১৩ হাজার ৭ শত টাকা জরিমানা করা হয়।

এদিকে সকাল থেকে শিবচর উপজেলায় বাস, ইজিবাইক, ভ্যানসহ যানবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় এবং মাছসহ কাঁচাবাজার খোলা থাকবে দুপুর ১২ টা পর্যন্তু। উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, পাশাপাশি তল্লাশিও চালানো হচ্ছে। পুলিশ টহলের পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সোনাবাহিনীর টহল রয়েছে। গতকালকের চেয়ে মানুষের পদচারনা কম দেখা গেছে। বিভিন্ন সড়কে পুলিশ, সেনাবাহিনীর টিমকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, উপজেলায় লকডাউন কার্যকর করতে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী মাঠে কাজ করছেন। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আমরা বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করেছি। যাতে করে জনসাধারন সরকারি বিধি-নিষেধ মেনে চলে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে থাকে। নিয়ম অমান্য করায় ১৮ জনকে জরিমানাও করা হয়েছে।, সরকারি আইন অমান্য করে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া যারা মাক্স ছাড়া ঘর থেকে রাস্তায় বের হওয়া ব্যাক্তি, গণপরিবহন, পিকআপ ভ্যান, মোটর সাইকেল, সিএনজি, রিক্সা চালাচ্ছেন ও দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।


আরও খবর



বাগেরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় ব্যবসায়ী নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটের ফকিরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় সোহেল হাওলাদার (৪০) নামে এক আম ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১৫ মে) সকালে খুলনা-ঢাকা মহাসড়কের বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার টাউন নওয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সোহেল হাওলাদার বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার কালিকাবাড়ি গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কাটাখালি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।

ওসি মিজানুর বলেন, সাতক্ষীরা থেকে আম নিয়ে আসার সময় টাউন নওয়াপাড়া এলাকায় হ্যামকো ফ্যাক্টরির সামনে পিকআপ ভ্যানটি বিকল হয়ে যায়। আম ব্যবসায়ী সোহেল হাওলাদার সড়কে নেমে অন্য গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। দ্রুতগতির একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ সময় ঘাতক ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।


আরও খবর



তীব্র গরমে এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখতে পারেন যেসব উপায়ে

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। হিট অ্যালার্ট জারি হচ্ছে। এ অবস্থায় ঘরে ফিরেও স্বস্তি মিলছে না। একটু শীতলতার খোঁজে মানুষ। যাদের ঘরে এসি আছে, তারা না হয় কিছুটা আরাম পাচ্ছেন। কিন্তু যাদের ঘরে এসি নেই তারা কী করবেন? উপায় আছে। এসি ছাড়াও ঠান্ডা করা যায় ঘর।

১. খোলা জানালার সামনে ভেজা চাদর মেলে রাখতে পারেন। ঘরের ভেতর একটি ভেজা কাঁথা মেলে রাখার ব্যবস্থা করতে পারেন।

২. রাতে টিউবলাইটের পরিবর্তে ভালো মানের এলইডি লাইট ব্যবহার করুন। ঘরের আলো যতটা সম্ভব কমিয়ে রাখুন। ঘুমানোর আগে সম্ভব হলে সব আলো নিভিয়ে দিন। ঘরে আলোর পরিমাণ যত কম থাকবে, ঘর তত বেশি ঠান্ডা থাকবে।

৩. ঘরের পরিবেশ শীতল করার জন্য টেবিল ফ্যানের সামনে বাটি ভর্তি বরফ রাখুন। এছাড়া সিলিং ফ্যানের নিচে বালতি ভর্তি পানি রেখে দিতে পারেন।

৪. রাতে ঘুমানোর আগে ঘরের মেঝে ভেজা-ভেজা করে মুছে নিন। তবে ঘরের মেঝেতে গদি ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিছানায় হালকা রঙের সুতির চাদর ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে শীতলপাটিও ব্যবহার করতে পারেন।

৫. ঘরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করুন। ভেন্টিলেটর নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

৬. ঘরের ভেতর ইনডোর প্লান্ট রাখুন। গাছ কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়। এতে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কমে। ঘরে মানি প্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ রাখতে পারেন। এগুলো একদিকে ঘরের শোভা যেমন বাড়ায়, অন্যদিকে তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।

৭. এসময় তাপ উৎপাদনকারী যন্ত্রের ব্যবহার কমিয়ে আনুন। যেসব যন্ত্র এরকম তাপ উৎপন্ন করে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে হেয়ার ড্রায়ার, ওয়াটার হিটার, ডিশ ওয়াশার এবং আয়রন।


আরও খবর



মহেশপুরে মাটির নীচে মিলল কয়েক’শ বছরের পুরোনো নৌকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর গ্রামে মাটির নীচ থেকে একটি কয়েকশ বছরের পুরোনো নৌকার সন্ধান মিলেছে। নৌকাটি দেখার জন্য এলাকায় উৎসুক জনতার ভিড় বাড়ছে।

নৌকাটি মাটির চার ফুট নীচ থেকে খনন করে পাওয়া গেছে। বিশাল আকৃতির এই নৌকা নিয়ে প্রতিদিন কৌতূহল মানুষের ভিড় বাড়ছে মহেশপুর উপজেলার এসবিকে ইউনিয়নের বজরাপুর গ্রামে।

গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, বজরাপুর গ্রামের নজের আলীর ছেলে মনছের আলী তিনদিন আগে বজরাপুর বাঁওড় থেকে ধানক্ষেতে পানি দেওয়ার জন্য সেচখাল খনন করছিলেন। খাল খুড়তে খুড়তে তার কোদালের মাথায় নৌকার কিছু অংশ উঠে আসে। এ খবর প্রচার হয়ে পড়লে গ্রামের মানুষ সমষ্টিগত ভাবে নৌকার সন্ধানে খনন করতে থাকে। তিনদিন ধরে খননের পর বুধবার পুরো নৌকার আকৃতি খুঁজে পায়।

স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য পূর্ণিমা রানী জানান, নৌকার প্রতিশব্দ হচ্ছে বজরা। এই গ্রামের নামও বজরাপুর। হয়তো কোন একসময় এই গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সম্বল ছিল নৌকা। সেই নাম অনুসারে গ্রামটির নামকরণ করা হয়েছে বজরাপুর

তিনি আরো জানান, খবর শুনে তিনিও বজরাপুর বাঁওড় এলাকার হালদার পাড়ায় গিয়ে বৃহৎ নৌকাটি দেখে এসেছেন। তিনি এটি সংরক্ষণের দাবি করেন।

খননকাজে যুক্ত বজরাপুর গ্রামের ইসমাইল মল্লিক জানান, নৌকাটি লম্বায় প্রায় একশ ফুট লম্বা ও চওড়া ২০ ফুট হবে। নৌকার বেশির ভাগ অংশ বাওড়ের মধ্যে ঢুকে আছে। নৌকাটি শাল কাঠ দিয়ে তৈরি হবে হয়তো।

বজরাপুর গ্রামের আমজাদ হোসেন জানান, গ্রামের কৃষক মনছের আলী জমিতে পাওয়া নৌকাটি বহুকালের পুরানো। কাঠগুলো পচে নষ্ট হয়ে গেছে। লম্বা কাঠগুলো কিছুটা ভালো আছে। মাটির চার ফুট নিচে এই নৌকাটি পাওয়া গেছে। তিনি জানান নৌকাটি দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। তবে এখনো প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে আসেননি।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, বজরা অধিক ওজন বহন করার উপযোগী বড় ধরনের নৌকার সাধারণ নাম। খ্রিষ্টীয় ঊনবিংশ শতাব্দীতে ভারতবর্ষে ইউরোপীয় এবং স্থানীয় ধনাঢ্য ব্যক্তিরা এই ধরনের নৌকা ব্যবহার করত নৌবহরের জন্য। এ নৌকার দুই-তৃতীয়াংশ জায়গা জুড়ে থাকত ঘুমানো বা বিশ্রামের কক্ষ। ঘরবাড়ির মতো এসব কক্ষে থাকত জানালা। সাধারণভাবে যাত্রীর ধারণক্ষমতা থাকত ১০ থেকে ১২ জন। এর ভেতরে মাঝি থাকত চারজন। রান্না ও অন্যান্য কাজের জন্য চাকর থাকত দুজন।

গ্রামবাসী পূজা রানীর ভাষ্যমতে বজরাপুর গ্রাম একটি প্রাচীন জনপদ। এই গ্রামটি কপোতাক্ষ নদের সংযোগস্থলে গড়ে ওঠে। গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ জমিদার ও আধুনিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিল। ফলে এই নৌকাটি বজরাপুর গ্রামের নামকরণ ও গ্রামের মানুষের জীবন যাপনের সাক্ষ্য বহন করে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া পূজা রানী নৌকাটি সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে গবেষণা কাজে লাগানো যায় কিনা সেই দাবি রাখেন।

বিষয়টি নিয়ে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপ দাস জানান, পুরানো নৌকা পাওয়ার বিষয়টি তিনি প্রত্নতত্ত অধিদপ্তরকে জানাবেন, যাতে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।


আরও খবর



সুন্দরবনে যাতে আর আগুন না লাগে সেদিকে নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সুন্দরবনের আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও নজর রাখতে বলেছেন তিনি। সোমবার (৬ মে) নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সন্তুষ্টির কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সুন্দরবনের আগুন লাগার বিষয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ বিষয়টি আরও কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সচিব বলেন, বনের আগুন নেভানোর পর সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা করা যায় না। এজন্য তারা এখন আগামী কয়েকদিন গভীর পর্যবেক্ষণে রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী অবহিত হওয়ার পর কার্যক্রমের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সুন্দরবনের আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৫৫ কর্মী ফুলটাইম কাজ করেছেন। দেড়শয়েরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী কাজ করেছেন। দেড় থেকে দুই কিলোমিটার দূর থেকে পাওয়ার পাম্পের মাধ্যমে পানি এনে ব্যবহার করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, গভীর জঙ্গলে রাতে কাজ করা যায়নি। দিনে কাজ করতে হয়েছে। ঝুঁকিও ছিল। সবগুলো মিলিয়ে বড় একটি চ্যালেঞ্জিং টাস্ক তারা কমপ্লিট করেছেন, এজন্য তারা (ফায়ার সার্ভিস) ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।


আরও খবর



টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

টাইম ম্যাগাজিনের ২০২৪ সালের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম।

মঙ্গলবার এই তালিকা প্রকাশ করে টাইম ম্যাগাজিন। তালিকায় উদ্ভাবক শ্রেণিতে স্থান পেয়েছেন মেরিনা তাবাসসুম। তার সঙ্গে তালিকায় থাকা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন রাশিয়ার ইউলিয়া নাভালনায়া, শান্তিতে নোবেলজয়ী ইরানের মানবাধিকার কর্মী নার্গিস মোহাম্মদী, পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক। ভারতের চলচ্চিত্র অভিনেত্রী আলিয়া ভাট শিল্পী শ্রেণিতে এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন।

তাবাসসুমকে নিয়ে টাইম ম্যাগাজিনে লিখেছেন অ্যামেরিকান স্থপতি স্যারাহ হোয়াইটিং। তাবাসসুমকে নিঃস্বার্থ স্থপতি উল্লেখ করে স্যারাহ লিখেছেন, তাবাসসুমের স্বার্থহীনতার পরিচয় তার নকশা করা ভবনগুলোর মাঝেও দেখা যায়। পৃথিবীর সম্পদে ভাগ বসানো প্রাণিকূলের অংশ হিসেবে তিনি তার নিজের সৃষ্টির প্রতি যত্নশীল।

আগা খান পুরস্কারপ্রাপ্ত ঢাকার বাইত উর রউফ মসজিদ নিয়ে তাবাসসুম নিজে বলেছেন, কৃত্রিম কোনো সাহায্য ছাড়াই একটা ভবনকে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে দিতে হবে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে বন্যা ঝুঁকি বাড়তে থাকা একটি দেশে তিনি এমন সব বাড়ির নকশা করেছেন যেগুলো কম খরচে নির্মাণ করা যায় ও সহজে সরিয়ে ফেলা যায়।

বাইত উর রউফ ছাড়াও বাংলাদেশের স্বাধীনতা জাদুঘর ও স্বাধীনতা স্তম্ভ মেরিনা তাবাসসুমের উল্লেখযোগ্য কীর্তি। আগা খান পুরস্কার ছাড়াও ২০২১ সালে সোন পুরস্কার পান এই স্থপতি।


আরও খবর