আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

শিক্ষার উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার : এমপি মানিক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ মার্চ ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সুনামগঞ্জ থেকে দুলাল মিয়া

সুনামগঞ্জের ছাতক-দোয়ারাবাজার আসনের এমপি মুহিবুর রহমান মানিক বলেছেন," উন্নয়নে দেশ আজ অনেক দূর এগিয়েছে। শিক্ষার উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে ৭১ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন।"

বুধবার বিকালে দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া প্রগতি উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দোহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে ছাত্র ঐক্য পরিষদের সভাপতি অশোক কুমার দাসের সভাপতিত্বে ও প্রাক্তন ছাত্র ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান মো. ইকবাল হোসেন ও নুর হোসেন আবদুল্লার যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন -সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী বীর প্রতীক, বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন -ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. সামছুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালেহা বেগম, ছাতক উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আজাল হোসেন, ছৈয়দ আহমদ, দোয়ারাবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আবদুল খালেক, দোহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আনোয়ার মিয়া আনু, সিলেট কেন্দ্রিয় মুসলিম সাহিত্যে সংসদের সহ সভাপতি দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম বাবুল, দেওয়ান তানভীর আশরাফী চৌধুরী বাবু, দোহালিয়া ইউনিয়ন আলীগের সভাপতি নুরমিয়া, সাধারণ সম্পাদক বশির উদ্দিন প্রমুখ।


আরও খবর



গাজায় নিহতদের ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

জাতিসংঘ বলছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনিদের অন্তত ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু। বুধবার (১৫ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

জাতিসংঘ বলছে, গাজা যুদ্ধে নিহত হাজার হাজার মানুষের মধ্যে অন্তত ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলের নিরলস আগ্রাসনে অন্তত ৩৫ হাজার ১৭৩ জন নিহত হয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় নিহতদের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পুরুষ, ২০ শতাংশ নারী এবং ৩২ শতাংশ শিশু এবং ৮ শতাংশ বয়স্ক মানুষ রয়েছেন।

মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেছেন, নতুন এই পরিসংখ্যাটি এখন পর্যন্ত সরবরাহ করা তথ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ব্যাপক’।

তিনি জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, অজ্ঞাত পরিচয়ের ক্ষেত্রে একই অনুপাত প্রয়োগ করলে এবং নিহত বয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেক নারী হলে এটা আশা করা যেতেই পারে যে, নিহত ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মধ্যে অন্তত ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু’ রয়েছে।

এদিকে জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রধান বলেছেন, গত বছরের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ১৯০ জনেরও বেশি জাতিসংঘ কর্মী নিহত হয়েছেন।

ক্যাথরিন রাসেল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, সেবা করার সময় মানবতাবাদীদের অবশ্যই সবসময় সুরক্ষিত রাখতে হবে।’


আরও খবর



গরুর দাম কোটি টাকা, কারণ 'বংশমর্যাদা'

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরোনো বাণিজ্য মেলা মাঠে অনুষ্ঠিত প্রাণিসম্পদ মেলায় নানা জাতের গরু নিয়ে হাজির হয়েছিল সাদিক এগ্রো। এর মধ্যে আমেরিকার ব্রাহামা জাতের একটি গরুর দাম হাঁকানো হয় এক কোটি টাকা। ১ হাজার ৩০০ কেজি ওজনের গরুটি দেখতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা।

গরুর দাম এত বেশি কেন জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইমরান হোসেন বলেন, গরুটির বংশমর্যাদার জন্য দাম বেশি। এই গরুটার বাবা, দাদা, দাদার বাবার পরিচয় আছে।

মেলার আকর্ষণ রোজু নামের গরুটির রং সাদার ওপর হালকা কালো শেড ছাপ ছাপ, ছোট শিং, নাকে নথ। গলায় স্বর্ণের আদলে তৈরি চেইনের সঙ্গে লকেট। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানান ইমরান হোসেন।

তিনি বলেন, গরুটার দাম এক কোটি চাওয়া হচ্ছে, এটার অনেক কারণ আছে। এক নম্বর হচ্ছে- এই গরুটার ১১০ বছরের পেডিগ্রি (বংশ পরম্পরা) আছে। আরেকটা বড় কারণ হচ্ছে, এই গরুটার বাবা ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন ব্লাড লাইন। এটা হচ্ছে আমেরিকান ভিয়েট ল্যাঞ্চের নোবেল সিরিজ, ওদের সবচেয়ে বেস্ট সিরিজ এটা। এই জাতের গরু কম খাদ্য খেয়ে দ্রুত বড় হতে পারে। মাংস কিংবা ওজনের চিন্তা করে না বরং এটা বংশমর্যাদাপূর্ণ গরু। এর জন্যই দাম বেশি। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলেও জানান ইমরান হোসেন।

সাদিক এগ্রোর মালিক আরও বলেন, মেলায় আমরা গরু, ছাগল, উট, দুম্বা, ভেড়াসহ অনেক প্রাণি নিয়ে এসেছি। শুধু যে বেচাকেনা করার জন্য এনেছি সেটি নয়, অনেক প্রাণি আছে মানুষ দেখেনি, তাই নিয়ে আসা। আজকে যেসব বাচ্চারা আসছে, এরা অনেকেই হয়তো উট দেখেনি, আজ দেখতে পারবে। আমরা মনে করি, এটা আমাদের মেলার একটা অর্জন। এই প্রাণিগুলোর সঙ্গে আগামী প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেওয়াটাও আমাদের একটা লক্ষ্য।

এ ছাড়া সাদিক এগ্রোর আরেক কর্মকর্তা সৌরভ জানান, মেলা উপলক্ষে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি গরু, ৪টি ছাগল, ৫টি দুম্বা, ৭টি ভুট্টি গরু মেলায় প্রদর্শন করছে। একেকটি দুম্বা ৪ লাখ করে আর ভুট্টি জাতের গরু ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আসলো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় আনুষ্ঠানিকভোবে ঘোষণা হবে টি-২০ বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দল। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ জাতীয় দলের লাল-সবুজ জার্সি গায়ে কোন ১৫ জন মাঠে নামবেন? তাদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হবে এ সময়।

বিসিবি মিডিয়া ম্যানেজার ও বিশ্বকাপে জাতীয় দলের টিম অপারেশন্স ম্যানেজার রাবিদ ইমাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিকে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুও আজ সোমবার দুপুরে নিশ্চিত করেন, পেসার তাসকিন আহমেদের জন্যই মূলত অপেক্ষা করছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

তাসকিনের এমআরআই করানো হয়েছে। সেই রিপোর্টটা হাতে পেলেই ডাক্তাররা তার ব্যাপারে ঘোষণা দেবেন। প্রধান নির্বাচক আরও জানান, ঠিক সাইড স্ট্রেইন নয়। যে ম্যাচে বাংলাদেশ ৫ রানে জিতেছে, সেই ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে তাসকিন কোমরের ডান অংশে ব্যথা পেয়েছেন। সেই ডান পাঁজরের আশপাশের একটা নরম হাড়ে খানিক আঁচড় লেগেছে। সেটাই তাকে ভোগাচ্ছে।

এদিকে তাসকিনের এমআরআই রিপোর্ট পেলেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় বড় অর্থপেডিক বিশেষজ্ঞদের মতামত নেবে বিসিবি। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, যদি চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন যে তাসকিন বিশ্বকাপের আগে ইনজুরিমুক্ত হয়ে মাঠে নামতে পারবেন, পুরো শক্তি ও রান আপে বোলিং করতে পারবেন, তাহলে তাকে দলে নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে এক বা একাধিক পেসার নিয়ে যাওয়া হবে যুক্তরাষ্ট্রে।

যদি চিকিৎসকরা জানান, নাহ! তাসকিনের পক্ষে বিশ্বকাপের আগে আর বল হাতে মাঠে নামা সম্ভব হবে না, তাহলে তাকে বাদ দিয়েই স্কোয়াড ঘোষণা করা হবে। তখন মোস্তাফিজ, শরিফুলের সাথে তানজিম সাকিব ও সাইফউদ্দিন দুজনকেই দলে রাখা হবে।

আজ (সোমবার) পুরো দিনটি তাসকিন ইস্যুতেই রেখেছে বিসিবি এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, সোমবার রাতের মধ্যেই বিভিন্ন বিশেষজ্ঞর মতামত নিয়ে তাসকিনের ব্যাপারটা ফয়সালা করা হবে। এরপর মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।


আরও খবর



লক্ষ্মীপুরের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আটক

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব ইমতিয়াজকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২ টার দিকে সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের নন্দনপুর থেকে তাকে আটক করা হয়।

জানা গেছে, সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদসহ ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামীকাল রবিবার (২৮ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে। শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান ও জেলা পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নে টহল দেয়। এ সময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইমতিয়াজ ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মীর শাহ আলমকে নিয়ে মোটরসাইকেল যাবার পথে পুলিশের গতিরোধ করে। পরে ইমতিয়াজকে আটক করে পুলিশ। সে বহিরাগত হিসেবে নন্দনপুন এলাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, এসপি স্যারের নির্দেশে তাকে আটক করা হয়েছে।


আরও খবর



হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে হীরা ধান

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মোছাদ্দেক হাওলাদার, বরিশাল প্রতিনিধি

Image

চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকদের মাঝে হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে মোটা জাতের হীরা-৬ ধান। অন্যান্য জাতের ধানের তুলনায় চাষীরা রোগ ও পোকার আক্রমন বিহীন হীরা-৬ জাতের হাইব্রিড ধান চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে গৌরনদী উপজেলার পিঙ্গলাকাঠী মিশন পাড়ার অনুষ্ঠিত হীরা ধানের মেগা মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

সুপ্রীম সীড কোম্পানীর আয়োজনে হীরা ধানের মেগা মাঠ দিবসে স্থানীয় কৃষক আব্দুল আজিজ মৃধার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কোম্পানীর জোনাল ম্যানেজার কৃষিবিদ মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অনিতা মজুমদার। কোম্পানীর রিজিওনাল ম্যানেজার কৃষিবিদ আসাদুল আলমের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় পরিবেশক দুলাল রায়, কৃষক শওকত আকন প্রমুখ।

কৃষক শওকত আকন জানিয়েছেন, তিনি তার ৬০ শতক জমিতে হীরা-৬ জাতের বোরো ধান চাষ করে এবার বাম্পার ফলন পেয়েছেন। আগামীতেও তিনি এ জাতের ধান চাষ করবেন।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে যেসব হাইব্রিড ধান চাষ হয় হীরা-৬ ধান তার মধ্যে অন্যতম। উচ্চ ফলনশীল হওয়ার কারণে এই ধান তাদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করছে।

মাঠ দিবসের আলোচনার শুরুতে অতিথিরা কৃষকদের সাথে নিয়ে হীরা-৬ ধানসহ অন্যান্য জাতের চাষ করা কয়েকটি বোরো ক্ষেত পরিদর্শন করে ধানের চারা সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে গণনা করে হীরা-৬ ধানের প্রতিটি শীষে গড়ে ৩০৬ থেকে ৩১০টি ধান পাওয়া গেছে। অন্যান্য জাতের ধানে সর্বোচ্চ ২০০টি ধান পাওয়া যায়।

এরপর অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মশিউর রহমান বলেন, হীরা-৬ বাংলাদেশের সবচেয়ে মোটা হাইব্রিড ধান। এই জাতের ধানে অন্য যেকোন হাইব্রিড ধানের তুলনায় বেশি ফলন হয়। রোগ ও পোকার আক্রমন বিহীন ১৪৫ দিনের জীবন কাল হীরা-৬ ধানের জাতে প্রতি শতকে এক মনের অধিক ধান পাচ্ছেন কৃষক। পাশাপাশি এ ধানের খোসা অত্যন্ত পাতলা হওয়ায় প্রতি ১০০ মন ধানে ৭৩ মনের অধিক চাল পাওয়া যায়। এছাড়াও এ ধানের চাউলের ভাত অন্যান্য জাতের মতো আঠালো হয়না।

সভায় উপস্থিত প্রায় দুই শতাধিক কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বোরো চাষের শুরুতে আগে ভাবতে হবে কোন ধানের বীজ বপন করে ভাল ফলন পাওয়া যাবে। কারণ এটা শুধু বীজ নয়; একটি পরিবারের স্বপ্ন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে যে কয়টি কোম্পানি হাইব্রিড ধানের আমদানির অনুমতি পেয়েছে তাদের মধ্যে একটি সুপ্রীম সিড। কোম্পানিটি বাংলাদেশে প্রথম চীন থেকে বাংলাদেশে হীরা ধানের বীজ এনে বাজারজাত করেন। এরপর তারা নিজস্ব উৎপাদনে যায়। বর্তমানে ৯০ শতাংশ বীজ নিজেরাই উৎপাদন করে বাজারজাত করছেন।

সূত্রে আরও জানা গেছে, হাইব্রিড ধান সাধারণত ৭০-৭৫ শতাংশ পাকলেই কাটতে হয়। কারণ ধান বেশি পাকার ফলে ক্ষেতেই ঝড়ে যায়। তখন হাইব্রিড ধানের বিষয়ে নেতিবাচক প্রচারণা হয়। যে কারণে কৃষকদের সচেতনতার জন্যই মূলত হীরা-৬ ধানের মেগা মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়েছে।


আরও খবর