আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

সিন্ডিকেট করে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে: পাবনায় কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশের পেঁয়াজের উৎপাদনশীলতা বেশি। স্বাভাবকিভাবেই মানুষের প্রশ্ন, কেন পেঁয়াজের দাম অস্বাভাববিক হয়, পেঁয়াজ নিয়ে নানারকম রাজনীতি শুরু হয়। ঈদের আগেই পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা নানারকম ষড়যন্ত্র করে সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়।

আজ দুপুরে পাবনার সুজানগর উপজেলার উদয়পুর গ্রামে আধুনিক প্রযুক্তিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ পদ্ধতি পরিদর্শণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

কৃষি মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন পেঁয়াজ নিয়ে কেন এতো সমস্যা সেটি দেখতে। আমরা গত কয়েক বছর ধরে চেষ্টা করছি, কি করে পেঁয়াজের দামটা সকলের গ্রহণযোগ্যতার মধ্যে রাখা যায়।

মন্ত্রী বলেন, কে বরাদ্ধ দিল, না দিল, কে কি হুমকি দিলো, চোখ রাঙালো, সেই দেখে কোনো সিদ্ধান্ত হবে না। সিদ্ধান্ত হবে এই দেশের ১৭ কোটি মানুষের স্বার্থকে বিবেচনা করে। সেইটাই আমাদের পররাষ্ট্রনীতি। তার বাইরে শেখ হাসিনা কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। সংবিধান অনুযায়ী দেশে নির্বাচন হবে। আমরা সবাই মিলে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবো।

এরপর কৃষি মন্ত্রী সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রামে ড্যাম কর্তৃক নির্মিত পেঁয়াজ-রসুন সংরক্ষণের মডেল সংরক্ষণাগার উদ্বোধন এবং সদর উপজেলার জালালপুরে বোরো ধান কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে শস্য কর্তন উৎসবে অংশ নেন। সেইসাথে সমন্বিত ব্যবস্থার মাধ্যমে খামার যান্ত্রীকিকরণ প্রকল্পের আওতায় একটি কম্বাইন হারভেস্টার বিতরণ করেন।

এ সময় ডেপুটি স্পীকার শামসুল হক টুকু, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পেছাল ১০৮ বার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ১০৮ বার পেছাল। আগামী ৩০ জুন প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।

আদালতের শেরে বাংলা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আলমগীর বিষয়টি জানিয়েছেন।

আলোচিত এ হত্যা মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। অন্য আসামিরা হলেন বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ।

আসামিদের প্রত্যেককে একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও তাদের কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি নিজেদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।

এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক এসআই। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেই থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি।


আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দার ৩ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল মৃত্যু সনদ তৈরির অভিযোগে মিরপুর মডেল থানার মামলায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২ মে) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতে মিরপুর মডেল থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জাল মৃত্যু সনদ তৈরির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়ের হয়। এরপর তার আশ্রমের টর্চার সেলে মারধর করার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়। সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এর আগে, বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

সম্প্রতি মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে থাকেন ভুক্তভোগীরাও। যদিও কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার।


আরও খবর



চেয়ারম্যান পদে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনের বিরুদ্ধে দায়ের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরে কার্যক্রম চালাতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

রোববার (১২ মে) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে হাইকোর্টের দেয়া রুল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আপিল বিভাগ।

আদালতে জি এম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. অজি উল্লাহ, অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম। অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।

এর আগে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়।

২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুল জারি করেছন আদালত।

বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়ালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে জিএম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়।

২০২২২ সালের ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দলীয় যাবতীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী আদেশ দেন।

পরে শেখ সিরাজুল ইসলাম, কলিম উল্যাহ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী জি এম কাদেরের পক্ষে এ আবেদন করেন। আবেদনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের ওপর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছে। গত ২৪  নভেম্বর এই আবেদনের শুনানির জন্য জেলাজজ আদালতে মিস আপিল দায়ের করা হয়। সেই আবেদন নামঞ্জুর করেন জেলা জজ আদালত। জেলা জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন জিএম কাদের।

মামলায় বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জিএম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছর ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।

জিয়াউল হক মৃধার মামলায় বলা হয়, গত ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন। এছাড়া গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন। অন্যদিকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা অবৈধ।

তাই ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিলসহ চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কার আদেশ অবৈধ ঘোষণা করতে এবং হাইকোর্ট বিভাগের রিট ১৫০৫১/২০১৯ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে মামলায় আদেশ চাওয়া হয়েছে।


আরও খবর



অবশেষে স্কুলে গেলো পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার পর থেকেই নানান ভুল, ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। দাবি ওঠে পাঠ্যবই সংশোধনের। সমালোচনার মুখে বইয়ের ভুল চিহ্নিত করতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। কথা ছিল মার্চের মধ্যেই পাঠ্যবইয়ের ভুলের সংশোধনী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে।

ঘোষিত সময়ের মধ্যে তা করতে পারেনি এনসিটিবি। বই বিতরণের প্রায় সাড়ে চার মাস পর অবশেষে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংশোধনী পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরীর সই করা অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের সংশোধনীসমূহ প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষককে অবহিতকরণ ও তাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ পাঠ্যপুস্তকে সংযোজন নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

অফিস আদেশে এ চিঠির সঙ্গে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলামের সই করা একটি চিঠি ও সংশোধনীর তালিকাও যুক্ত করা হয়েছে।

অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ) বইয়ের ১২৫ নম্বর পৃষ্ঠায় ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, প্লাটিপাস মেরুদণ্ডী প্রাণী হলেও ডিম পাড়ে। এ তথ্য ভুল। প্রকৃত তথ্য হলোপ্লাটিপাস মেরুদণ্ডী নয়, স্তন্যপায়ী প্রাণী।

আবার একই বইয়ের ৯৩ পৃষ্ঠায় লেখা রয়েছে, হাইড্রোজেন ও পানির বিক্রিয়ায় পানি উৎপন্ন হয়। সঠিক হবে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের বিক্রিয়ায় পানি উৎপন্ন হয়। এ রকম ১৪৭টি ভুল ধরা পড়েছে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ৩১টি বইয়ে। চিহ্নিত করার পর ভুলগুলো সংশোধনের সুপারিশ করেছে এনসিটিবি গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটি।

এনসিটিবি সূত্র জানায়, পাঠ্যবইয়ের ভুলত্রুটি সংশোধনের লক্ষ্যে প্রতিটি বইয়ের জন্য একজন বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা ভুলগুলো চিহ্নিত করে এনসিটিবির উচ্চপর্যায়ের কমিটির কাছে জমা দেন। সম্প্রতি এ কমিটি ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ৩১ বইয়ের ভুল ও সংশোধনীগুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ে পাঠায়। সেখান থেকে ভুলগুলোর সংশোধনী দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

উচ্চপর্যায়ের কমিটির প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, নবম শ্রেণির ১১ বইয়ে ভুল রয়েছে ৭৭টি, অষ্টম শ্রেণির ১০টি বইয়ে ৪৯টি, সপ্তম শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১১টি, ষষ্ঠ শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১০টি ভুল রয়েছে। ভুলগুলোর মধ্যে বানান ভুলের পরিমাণই বেশি। এছাড়া কোনো কোনো বাক্য পুরোপুরি সংশোধনের সুপারিশ করা হয়েছে।


আরও খবর



১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে স্কুল ও কলেজ পর্যায় মিলিয়ে পাস করেছেন ৪ লাখ ৭৯ হাাজর ৯৮১ জন। অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে গড় পাসের হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।

বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়।

এনটিআরসিএর ফলাফল প্রকাশ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১৫ মার্চ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নিতে আবেদন করেন ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জন। তবে পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় নির্ধারিত নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন। এরমধ্যে স্কুল-২ পর্যায়ের ২৯ হাাজর ৫১৯ জন, স্কুল পর্যায়ের ২ লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন এবং কলেজ পর্যায়ের ২ লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জন। এ পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।

এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পরীক্ষার্থী তার নিবন্ধন পরীক্ষার রোল ও ব্যাচ নম্বর ব্যবহার করে পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারবেন। এছাড়া টেলিটকের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের মোবাইল নম্বরে ফলাফল এসএমএস করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪