আজঃ রবিবার ৩০ জুন ২০২৪
শিরোনাম

স্কুল-কলেজে শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিতে নজরদারির নির্দেশ

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্কুল-কলেজে শিক্ষার যথাযথ পরিবেশ নিশ্চিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতে কঠোর নজরদারির নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। বুধবার বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার অধীন স্কুল-কলেজের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানানো যাচ্ছে যে, স্কুল-কলেজের শিক্ষার যথাযথ পরিবেশ নিয়মিত ক্লাস এবং নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষক-কর্মচারীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত উপস্থিত থেকে পাঠদান কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কঠোরভাবে নজরদারি করার অনুরোধ করা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের সূচিতে আসছে পরিবর্তন!

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার পরিবেশ সমুন্নত রাখার বৃহত্তর স্বার্থে বিষয়টি অতীব জরুরি। এ ক্ষেত্রে ব্যর্থতার সব দায়ভার সংশ্লিষ্ট গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সদস্যদের ওপর বর্তাবে। এ ব্যাপারে সবার একান্ত সহযোগিতা কাম্য।

এর আগে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি নিশ্চিতে একাধিকবার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এমনকি দৈনিক অনুপস্থিত শিক্ষকদের তালিকা পাঠানোর নির্দেশনাও দিয়েছে মাউশি।

আরও পড়ুন: গোয়েন্দা কর্মকর্তাসহ ১০ জনকে কামড়েছে বাইডেনের কুকুর


আরও খবর



দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২১ জুন) দুপুর ২টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গুরুত্বপূর্ণ এ দ্বিপক্ষীয় সফর উপলক্ষ্যে ২১ থেকে ২২ জুন ভারতে অবস্থান করবেন তিনি।

জানা গেছে, এই সফরে দুদেশের চমৎকার সম্পর্ক আরও দৃঢ় ও এগিয়ে নেওয়ার বার্তা থাকবে। সফরে গুরুত্ব পাবে অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়টি। পাশাপাশি আলোচনায় থাকবে ঋণ সহায়তা, সীমান্ত হত্যা ও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির মতো অমীমাংসিত ইস্যুগুলো।

সফরকালে উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদারে বেশ কিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে। এছাড়া একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।


আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে বিমান ঘাঁটি তৈরির চক্রান্ত প্রসঙ্গে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয় এবং নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সরকারের মামলার প্রসঙ্গ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ জুন) এ বিষয়ে নানা প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

সাংবাদিক প্রশ্ন করেন- বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি দাবি করেছেন, একজন শ্বেতাঙ্গ লোক তাকে প্রস্তাব দিয়েছিল - তিনি যদি বাইরের কোনো দেশকে বিমানঘাঁটি করার সুযোগ দেন তাহলে বিনা চাপে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে আরেকটি পূর্ব তিমুরে পরিণত করা এবং বঙ্গোপসাগরে ঘাঁটি বানিয়ে বাংলাদেশের ও মিয়ানমারের অংশ নিয়ে একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্র গড়ে তোলার ষড়যন্ত্র চলছে। আপনি যেখানে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং আইনের শাসন ও দুর্নীতি দমনের দাবি করছেন; শেখ হাসিনা কি যুক্তরাষ্ট্রের দিকে খুব বেশি তীর ছুড়ছেন?

জবাবে মিলার বলেন, আমি ঠিক নিশ্চিত নই যে এই মন্তব্যগুলো কাদের ইঙ্গিত করে করা হয়েছে। তবে যদি এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয় - তবে আমি বলবো মন্তব্য সঠিক নয়।

সাংবাদিক আবার প্রশ্ন করেন- নোবেলজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস গত রোববার আদালতকক্ষে আসামিদের অন্ধকার ও লোহার খাঁচার মতো ঘেরে প্রবেশ করে বলেছিলেন, তিনি তার অভিশপ্ত জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়ে আছেন। একইভাবে, গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি, আইনের শাসন এবং ব্যাপক দুর্নীতির কারণে লাখ লাখ বাংলাদেশি তাদের অভিশপ্ত জীবনের সবচেয়ে খারাপ সন্ধিক্ষণে রয়েছে। আমরা দেখেছি আপনি কিছু নিষেধাজ্ঞা এবং ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, যার মধ্যে তাত্ক্ষণিকভাবে আছেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং পুলিশ প্রধান। আপনি কি মনে করেন গত বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর শাসকগোষ্ঠীকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য এটা যথেষ্ট হবে? নাকি আপনি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক-গণতন্ত্রকামী জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশের জন্য আরও পদক্ষেপ বিবেচনা করবেন, যেমনটা আপনি আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন?

জবাবে মিলার বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার অগ্রগতি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি যে, এই মামলাগুলো ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয় দেখানোর জন্য বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। আমরা আরও উদ্বিগ্ন যে, শ্রম ও দুর্নীতিবিরোধী আইনের অনুমিত অপব্যবহার আইনের শাসন সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারে এবং বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করতে পারে।

তিনি বলেন, আপিল প্রক্রিয়া চলমান থাকায় ড. ইউনূসের জন্য একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করা অব্যাহত রাখবো। তবে আমার কাছে পূর্বরূপ দেখানোর মতো কোনো পদক্ষেপ নেই।


আরও খবর



সেন্টমার্টিন ইস্যুতে সরকারের পদত্যাগ করা উচিৎ: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সেন্টমার্টিনে গোলাগুলি হচ্ছে। মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজও সেখানে দেখা যাচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জন্য হুমকি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলোএ পর্যন্ত সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই সেন্টমার্টিন ইস্যুতে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত। রোববার (১৬ জুন) দুপুর ২টায় ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ীতে নিজ বাসভবনে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, যে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে লুটপাট করে, বিএনপিকে নির্যাতন করে টিকে থাকতে পারবেন; কিন্তু তা সম্ভব নয়। এর প্রমাণ বেনজীর ও আজিজ। তাদের বলির পাঁঠা বানিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারই। এখন ঢাকার সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার ফিরিস্তি পত্রিকায় বের হয়েছে। একে একে সবার থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। এ সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তাদেরকে চুরির সুযোগ করে দিচ্ছে। তারা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সরকার ফেইল। তাদের উচিৎ পদত্যাগ করা। 

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, সাহস করে যদি আপনারা না দাঁড়ান, তাহলে সংবাদ মাধ্যমে টিকে থাকতে পারবেন না। আওয়ামী লীগ সরকারই ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন ৪টা পত্রিকা বাদ দিয়ে সব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল। সাংবাদিকরা তখন ভিক্ষা করত, ফল বিক্রি করতো। এখন অনেকগুলো টিভি চ্যানেল হয়েছে। কিন্তু কোনো সাংবাদিক তার মালিকের হুকুম ছাড়া কিছুই করতে পারে না।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ, আবু নুর চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতারা।


আরও খবর



বেনজীরের ‘কালো টাকা’ সাদা হবে কি না, জানালেন এনবিআর চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ১৫ শতাংশ কর দিলে তার অপ্রদর্শিত সম্পদ বৈধ হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। আজ শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় বা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিচ্ছে সরকার। এ নিয়ে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করেন, সাবেক আইজিপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলছে। এ ক্ষেত্রে তিনি ১৫ শতাংশ কর দিলে তার অবৈধ সম্পদ বৈধ হয়ে যাবে কিনা?

জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটা তো ফৌজদারি প্রক্রিয়া বা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে গেছে। এ ধরনের প্রক্রিয়ায় কীভাবে বৈধ হয়ে যাবে। এটা তো আইনি প্রক্রিয়া।

অপ্রদর্শিত আয় বা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল বৈধ ব্যবসায়ীরা বেশি বেকায়দায় আছেন, অডিটজনিত কারণে তারা তাদের কিছু অ্যাসেট দেখাতে পারছেন না। সে জন্য আমরা প্রস্তাবটা করেছি।

বেনজীর আহমেদের বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেন, সাবেক কর্মকর্তা নিয়ে আপনারা প্রশ্ন করেছেন, উনার বিচার হবে না এটা কেউ বলেননি। দুদক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তার বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ না করে তাকে জেলে বা ফাঁসি দেব বিষয়টি এমন নয়, কারণ উনি তো এ দেশের মানুষ। বেনজীর বিদেশে আছেন, দুদকের কাছে সময় চেয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুস সালাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, স্থানীয় সরকার ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুসহ আরও অনেকে।


আরও খবর



পৃথিবীতে এলিয়েন বসবাস নিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন তথ্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

পৃথিবীতে এলিয়েনের অস্তিত্ব আছে কি না, এ নিয়ে বছরের পর বছর গবেষণা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত এলিয়েনের বাস্তব অস্তিত্ব কোনো গবেষণায় স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি। এবার নতুন করে এলিয়েনের অস্তিত্বের বিষয়টি আবারও সামনে এনেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা। বিশ্ববিদ্যালয়টির নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, পৃথিবীতে মানুষের মাঝেই এলিয়েনের বসবাস। তবে তারা লুকিয়ে বসবাস করে। খবর এনডিটিভি 

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়েল হিউম্যান ফ্লোরিশিং প্রোগ্রামের গবেষকদের একটি নতুন গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, অপরিচিত অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা (ইউএপি), যা সাধারণত ইউএফও এবং বহির্জাগতিক প্রাণী হিসেবে পরিচিত। তারা ভূগর্ভস্থ, চাঁদে কিংবা মানুষের মাঝে চলাফেরা করতে পারে। এছাড়া গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে- এলিয়েনের ব্যবহৃত স্পেশশিপের মাধ্যমে তারা পৃথিবীতে বসবাসকারী তাদের গোত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

গবেষণাটি তথাকথিত ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস এর ধারণা নিয়ে আরও গবেষণা করছে। তবে তাদের ধারণা, এলিয়েনরা হয়তো মানুষের ছদ্মবেশে আমাদের মধ্যে বসবাস করছে। এরা পৃথিবীর ভবিষ্যৎ থেকে উদ্ভূত হতে পারে। কিংবা বুদ্ধিমান ডাইনোসর থেকেও আসতে পারে।

ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়াল ধারণা দিয়ে সেই সব ভিনগ্রহী প্রাণীকে বোঝানো হচ্ছে যেগুলো হয়তো মানুষের ছদ্মবেশে আমাদের মাঝে বসবাস করছে। এই ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়াল চারটি রূপে আবির্ভূত হতে পারে বলে গবেষণায় বলা হয়েছে।

১.  হিউম্যান ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস: এরা প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত প্রাচীন মানব সভ্যতা। এরা অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু কিছু অবশিষ্ট আকারে বিদ্যমান আছে।

২.  হোমিনিড বা থেরোপড ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস: এরা প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত অ-মানব সভ্যতা, যা কিছু স্থলজ প্রাণীর সমন্বয়ে গঠিত। এরা পৃথিবীতে গোপনে বসবাসের জন্য বিবর্তিত হয়েছিল। এগুলো একটি বানরের মতো হোমিনিড বংশধর বা অজানা বুদ্ধিমান ডাইনোসর এর বংশধরও হতে পারে।

৩.  এক্সট্রাটেম্পেস্ট্রিয়াল ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস: এই প্রাণীরা মহাজাগতিক বা মানব ভবিষ্যত থেকে পৃথিবীতে এসে পৌঁছতে পারে এবং চাঁদের মতো লুকিয়ে থাকতে পারে।

৪.  ম্যাজিকাল ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস: এমন সত্তা, যাদের মাঝে স্বদেশী এলিয়েনদের মতো বৈশিষ্ট কম রয়েছে। এই প্রাণীগুলো মানব জগতের সাথে সম্পর্কিত, তবে কম প্রযুক্তিগত। আর এরা বেশ যাদুকর, যেমন পরী।

গবেষকরা বলেছেন, তাদের এই গবেষণা অধিকাংশ বিজ্ঞানীদের কাছে সন্দেহজনকভাবে বিবেচিত হতে পারে। তবে তারা বিজ্ঞানীদেরকে জ্ঞান, নম্রতা ও খোলামেলা মনোভাব নিয়ে তাদের দাবি বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।


আরও খবর