আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

সমুদ্র যাত্রার অপেক্ষায় ঘাটে মুখিয়ে আছেন উপকূলের জেলেরা

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুলাই 20২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুলাই 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাইফুল ইসলাম, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)

Image

টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর আজ মধ্য রাত থেকে মৎস্য শিকারে সাগরে ফিরবের জেলেরা। রাত বারোটার পর থেকেই মৎস্য শিকারে গভীর সাগরে যাত্রা করবে সহস্রাধিক মাছ ধরা ট্রলার। তাই দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর কাটিয়ে জেলে পল্লীগুলোতে আজ বইছে উৎসবের আমেজ। ইতোমধ্যে ট্রলার মেরামতসহ জাল সাবারে নতুন সূতার বুনুন দিয়ে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইলিশ আহরণে মুখিয়ে থাকা উপকূলের মৎস্য শিকারিরা।

তারা বলছেন, দীর্ঘ বিরতির পর প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরে আসবে আলীপুর ও মহিপুরের মৎস্য আড়তগুলোতে।

বছর জুড়ে তেমন ইলিশের দেখা না পাওয়ায় অনেকটা হতাশ হয়ে পরেছিলো পটুয়াখালীর উপকূলীয় জেলেরা। তবে দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞার ফলে সমুদ্রে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এমন প্রত্যাশা নিয়ে আজ থেকে মৎস্য আহরণ শুরু করবে অদম্য জনগোষ্ঠীর সদস্যরা। গভীর সমুদ্র জল থেকে জালের ফাঁসে ধরা দেবে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালী ইলিশ এমন স্বপ্নে বিভোর জেলেরা। তাই বন্দরের ঘাটে চলছে এখন সমুদ্র যাত্রার শেষ প্রস্তুতি। বরফ তুলে বোঝাই করা হচ্ছে শতাধিক ট্রলারে। আবার কেউ গুছিয়ে নিচ্ছেন জাল সাবার। তবে হাসি মুখেই যেন শ্রম দিচ্ছেন মৎস্যজীবীরা।

কথা হয় মহিপুর ঘাটে জেলে বেলাল এর সাথে। তিনি জানান, এই ৬৫ দিন এক রকম ছন্দহারা ছিলেন। কোন কিছুতেই যেন মন ছিল না তার। বললেন, ঝুঁকি থাকলেও মাছ ধরতে যেই আনন্দ আছে তা অন্য কিছুতে খুঁজে পাননি । রাত থেকে সাগরে আবারো মাছ ধরতে যাবেন বলে খুবই খুশি তিনি।

আলীপুর বন্দরের আড়ত মালিক আবদুল জলিল জানান, তার মৎস্য গদি থেকে তেল, বরফ, বাজার ও প্রভৃতি অনুষঙ্গ নিয়ে সমুদ্র যাত্রা করববে অন্তত ১৬ টি মৎস্য ট্রলার। প্রতিটি ট্রলারে জেলেদের জন্য আড়াই লাখ থেকে তিন লাখ টাকার বাজার করা হয়েছে। যা সমুদ্র যাত্রা শেষে ৫/৬ দিন পরে মাছ আহরণ শেষে তীরে ফিরে আসবে। বর্তমানে আড়ত গুলোতে সংশ্লিষ্ট সকলেই ব্যস্ত সময় পার করছেন বলে জানান তিনি।

আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, সাগর যাত্রার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন জেলেরা। এখন শুধু অপেক্ষার পালা। আশা করছি জেলেরা তাদের স্বপ্ন পুরণ করতে পারবে।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়ির মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, অবরোধ সফল করার জন্য মৎস্য বিভাগ নৌ-পুলিশ ও কোষ্ট গার্ডসহ প্রশাসন তৎপর ছিল। তাই সমুদ্রে এবার প্রচুর পরিমানে ইলিশ ধরা পরার সম্ভবনা রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: কলাপাড়া

আরও খবর



দেশের মাটিতে নাবিকদের কাছে পেয়ে আবেগপ্লুত স্বজনরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

এমভি আবদুল্লাহর চিফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ খানের বড় মেয়ে ইয়াশরা বাবাকে কাছে পেয়ে আবেগপ্লুত হয়ে পড়ে। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ইয়ায়শরা জাহাজ থেকে নামার সাথেই ছোট বোন উনাইজা নিয়ে বাবার কাছে দৌঁড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরে।

এসময় ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ খানের বড় মেয়ে ইয়াশরা বলেন, বাবার জন্য পুরো ঘর খালি ছিল। ঈদও ভালোভাবে কাটাতে পারিনি, ঘুমাতে পারিনি। কখন বাবা আসবে, বাবাকে দেখতে পাব। আজ ঠিকই বাবার কাছে। বাবার পাশে। সামনে পরীক্ষা আছে, সেগুলো শেষ করে বাবাকে নিয়ে বেড়াবো আর ঘুরবো। আমি আমার আরেক বোন এখানে এসেছি। আমার আরেক ছোট বোন ছোট থাকায়, তাকে বাসায় রেখে আসা হয়েছে।

ক্যাপ্টেন আতিক উল্লাহ খান বলেন, দুঃসহ সেই স্মৃতির কথা আর মনে করতে চাই না। এসব কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। আপনারা দোয়ার করবেন। দুই সন্তানকে কাছে পেলাম। বাসায় আরেক সন্তান কান্না করছে। তাঁর কাছে ফিরতে হবে দ্রুত।

মঙ্গলবার বিকেলে জলদস্যুমুক্ত ২৩ নাবিকদের বহনকারী লাইটারেজ জাহাজ জাহান মনি-৩ করে চট্টগ্রাম বন্দরে নামেন। সেখানে তাঁদের অপেক্ষায় ছিলেন স্বজনরা। স্বজনদের কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাদের ফুল দিয়ে বরণ ও লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল ও সচিব ওমর ফারুক, কেএসআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সরওয়ার জাহান রোকন, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম।

চসিক মেয়র রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘ দুই মাস মৃত্যুর সাথে মুখোমুখি হয়ে প্রতিটি মুহূর্ত যারা মনে করেছেন এ মাত্র আমাদের জীবনপ্রদীপ শেষ হয়ে আসবে তাদেরকে আমরা ফিরে পেয়েছি। স্বাভাবিকভাবে আমরা চট্টগ্রামবাসী আজকে আনন্দিত উচ্ছ্বসিত আবেগাপ্লুত। সন্তান ফিরে আসলে মা-বাবা যেমন অশ্রু ধরে রাখতে পারে না তেমনি আমরা যারা সমবেত হয়েছি তারা আবেগ ধরে রাখতে পারিনি।

এর আগে বেলা ১২টার দিকে নতুন নাবিকদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর শেষে জাহাজটিতে করে তাঁরা বন্দর জেটির উদ্দেশে কুতুবদিয়া থেকে রওনা হন।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। কবির গ্রুপের বহরে বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী মোট ২৩টি জাহাজ আছে ।

গত ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল কবির গ্রুপের আরেক জাহাজ জাহান মণি। তখন জাহাজের ২৫ নাবিক ও প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করেছিল। দীর্ঘ ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর



রাজধানীতে সাত সকালে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাইরে ছিল রাতের মতো অন্ধকার। রাস্তায় গাড়ি চলছে হেডলাইট জ্বেলে। অবশেষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি। তুমুল বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েন কাজে-কর্মে বের হওয়া মানুষ।

এর আগে শুক্রবার মোটামুটি ঢাকার আবহাওয়া শুষ্কই ছিল। যদিও এর আগের দিন সামান্য বৃষ্টি হয়েছিল। শনিবার ঢাকাসহ দেশের ছয় বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় যে বৃষ্টি হবে, সেই পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে শিলাবৃষ্টি।

এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল মোংলায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



প্রতিবন্ধীর প্রশিক্ষণ ভাতা প্রধান শিক্ষকের পেটে!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:

প্রতিবন্ধী জান্নাতী আক্তারের প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ ভাতা না দিয়ে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শাহ আলম কবির আত্মসাৎ করেছেন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে জান্নাতীর বাবা নিজাম মীর আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ইউএনও মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিবন্ধীর বাবা আরো অভিযোগ এ বিষয়টি নিয়ে ইউএনওকে লিখিত অভিযোগ দেয়ায় প্রধান শিক্ষক তার মেয়েকে টিসি দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন।

জানা গেছে, আমতলী পৌর শহরের নয়াবেঙ্গলী গ্রামের নিজাম মীরের প্রতিবন্ধী কন্যা জান্নাতী আক্তার মফিজ উদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোকেশনাল শাখায় নবম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। জান্নাতী প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার মা ফাতেমা বেগমকে ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরো ডেভেলটমেন্টাল ডিজএ্যাবিলিটিজ প্রকল্পে আয়োজিত ৫ দিন ব্যাপী প্রতিক্ষণে আমন্ত্রণ পায়। অভিযোগ রয়েছে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শাহ আলম কবির প্রতিবন্ধী জান্নাতী আক্তারের মাকে প্রশিক্ষণে না পাঠিয়ে তার বোনকে ভূয়া প্রতিবন্ধীর অভিভাবক বানিয়ে প্রশিক্ষণ ভাতা আত্মসাৎ করেছেন। এ বিষয়ে জান্নাতির বাবা নিজাম মীর আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ইউএনও মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন। তার আরো অভিযোগ এ বিষয়টি নিয়ে ইউএনওকে লিখিত অভিযোগ দেয়ায় প্রধান শিক্ষক তার মেয়েকে টিসি দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন।

প্রধান শিক্ষক শাহ আলম কবির প্রতিবন্ধীর প্রশিক্ষণ ভাতা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা প্রশিক্ষণে যাকে পাঠিয়েছি তার ফরোয়াডিং চেয়েছেন। অল্প দিনের মধ্যেই ফরোয়াডিং এনে দেয়া হবে।

আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তা অলী আহাদ বলেন, অল্প দিনের মধ্যেই তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



শাশুড়ির করা পর্নোগ্রাফি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন জাবি শিক্ষিকা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে মানহানির অভিযোগে শাশুড়ির করা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভাষা কোর্সের খন্ডকালীন শিক্ষিকা গুলশান আরা। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজের আদালত আস সামছ জগলুল হোসেন আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করার মতো উপাদান না থাকায় তাকে অব্যাহতির আদেশ দেন।

গুলশান আরার আইনজীবী আল মামুন রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুধুমাত্র হারিয়ে যাওয়া সিমের (মোবাইল সিম) কারণে এই মিথ্যা অভিযোগের মামলায় উনি (গুলশান আরা) ফেঁসে যান। শ্বশুরবাড়ির পরিকল্পিত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় উনাকে ফাঁসানো হয়েছিল। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করেছেন, কিন্তু কোনো ফরেনসিক রিপোর্ট প্রদান করেননি। আমরা আদালতে তার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, একটি ফেসবুক আইডি থেকে ২০২২ সালের ৯ মে বাদীর মেয়ের (আসামির ননদ) নগ্ন ছবি বাদীর মেয়ের বান্ধবীর মেসেঞ্জারে পাঠানো হয়। এডিট করে এ নগ্ন ছবি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি বাদীর। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে ওই ফেসবুক আইডি ব্যবহারকারীর হুমকি দেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিগুলো ছড়িয়ে দেবেন।

পরে বাদী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ফেসবুক আইডিটি তার পুত্রবধূ গুলশান আরার। পরে তিনি এ ঘটনায় ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাড্ডা থানায় মামলা করেন।

২০২৩ সালের ৩০ মে মামলাটি তদন্ত করে গুলশান আরাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রাসেল পারভেজ।


আরও খবর



চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ৯ মে

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আগামী ৯ মে ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আলী আহমেদ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এদিন ধার্য করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ফারুক আব্বাসী, আদনান সিদ্দিকী, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এ হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।

মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়- হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

মামলার তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।

বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেয়া হয় এবং হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।


আরও খবর