আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

সম্ভাবনার সেন্টমার্টিন

প্রকাশিত:বুধবার ১১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে সাগর বক্ষে এ দ্বীপে টেকনাফ থেকে ট্রলারে, লঞ্চে কিংবা জাহাজে যেতে লাগে দুই থেকে সোয়া দুই ঘণ্টা। রূপ বৈচিত্র্যের অনন্য মহিমায় উদ্ভাসিত সেন্টমার্টিন দ্বীপে চমৎকার আবহাওয়া বিরাজ করে নবেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত।

এই সময়কে প্রধান ভ্রমণ ঋতু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বছরের বাকি সময় আবহাওয়া থাকে ভয়াবহ। সেন্টমার্টিনের স্বচ্ছ পানিতে জেলি ফিস, হরেক রকম সামুদ্রিক মাছ, কচ্ছপ আর প্রবাল অন্যতম আকর্ষণ ও অপার সম্ভাবনা। এটিই বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। ১৯৫৮ সালে এক ভূত্তত্ব জরিপে দেখা গেছে এই দ্বীপে প্রায় ১০ লাখ টন প্রবাল রয়েছে। এই দ্বীপে জীবন্ত প্রবালের ৩৯টি প্রজাতি চিহ্নিত করা গেছে।

প্রাণের বৈচিত্র্য রয়েছে যে দ্বীপগুলোতে, তাকে টিকিয়ে রাখার মধ্যেই রয়েছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাবি। সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও দ্বীপের চারদিকের জল এলাকার বিচিত্র প্রাণের সুরক্ষার মধ্যেই রয়েছে বাংলাদেশের পর্যটন ও মৎস্য আহরণ সম্ভাবনা। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সেন্টমার্টিন কনজারভেশন প্রকল্পে মার্কিন কোরাল বায়োলজিস্ট টমাস, টমাসিকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, সেন্টমার্টিনে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৮৫০ জন পর্যটক পরিদর্শন করলে দ্বীপটির ক্ষতি হবে না। অথচ শীত মৌসুমে দিনে তিন থেকে চার হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিনে যাচ্ছেন, রাতে থাকছেন। একই সঙ্গে তারা চালিয়ে যাচ্ছেন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপ।

জীবন-জীবিকা: প্রতি বছর সেন্টমার্টিনে প্রায় ১০ লাখ পর্যটক আসা-যাওয়া করে। পর্যটকদের থাকার জন্য দ্বীপটিতে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে প্রায় ৮৮টি হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট। ১৯৭২ সালে যেখানে ১১২টি বসতি ছিল বর্তমানে সেখানে দেড় হাজার পরিবারের প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ বসবাস করছে। লোকসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বর্জ্যরে পরিমাণ বাড়ছে। এখানকার মানুষ মূলত মৎস্য শিকার করেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। তবে পর্যটন শিল্পের বিকাশ হওয়ায় অনেকেই রেস্টুরেন্ট, আবাসিক হোটেল কিংবা গ্রোসারি শপের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। নারিকেল, পেঁয়াজ, মরিচ, টমেটো, এ দ্বীপের প্রধান কৃষিজাত পণ্য।

সেন্টমার্টিন হতে পারে দ্বিতীয় সিঙ্গাপুর: সেন্টমার্টিন দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। এই দ্বীপে প্রায় ২শ প্রজাতির জীবের উপস্থিতি রয়েছে বলে দাবি করেন বিজ্ঞানীরা। সমীক্ষা অনুযায়ী, দ্বীপটি চতুর্দিকে প্রবাল পাথরের বেষ্টনীতে গড়া। এর গভীরে রয়েছে জমাট বাঁধা পাথর। এই পাথরের বেষ্টনী সাগরের তলদেশ দিয়ে মালয়েশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত। বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে উঠা এই দ্বীপটিই হতে পারে পর্যটনের ক্ষেত্রে বিশ্বের দ্বিতীয় সিঙ্গাপুর। তবে এ জন্য প্রয়োজন পরিকল্পিত উন্নয়ন এবং সুষ্ঠু নীতিমালা। দ্বীপবাসীকে সম্পৃক্ত করে সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে এখানে পর্যটন শিল্প বিকাশে উদ্যোগ নেয়া হলে দ্বীপটি হয়ে উঠতে পারে বিশ্বের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র্র।

শৈবাল চাষের সম্ভাবনা: সেন্টমার্টিনে শৈবাল চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। সামুদ্রিক বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় নিশ্চিত করেছেন যে, সেন্টমার্টিনে ১৪০ প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবাল রয়েছে। যার অধিকাংশ মানুষের খাদ্যসহ হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাধারণত চার ধরনের প্রবাল সংগ্রহ করা হয় যাদের স্থানীয় ভাষায় বলা হয় পাতা ফুল, গাছফুল, শৈবাল ও মগ। এদের মধ্যে গাছফুলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বাহারি অলঙ্কার প্রস্তুতের জন্যেই এর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে প্রচুর চুনাপাথরসহ নানা প্রকার পাথর, রেডিয়াম, সামুদ্রিক শৈবাল, ঝিনুক, মুক্তা ও সিলিকন পাওয়া যায়। এছাড়া এই শৈবাল থেকে হ্যালোজেন জাতীয় উপাদান যেমন-ফ্লোরিন, ক্লোরিন, ব্রুমিন ও আয়োডিন এবং অন্যান্য মূল্যবান ধাতব পাওয়া যাবে। বৈজ্ঞানিকরা বলেছেন, সামুদ্রিক শৈবালে ঔষুধি গুণাগুণ রয়েছে। তাই এগুলো ওষুধ কারখানায় এবং জৈব সার তৈরিতে বিভিন্ন দেশে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার হয়। আশার খবর হলো- সেন্টমার্টিনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে সামুদ্রিক শৈবাল চাষ। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন হবে সামুদ্রিক শৈবাল ভা-ার। এখানকার চাষীরা শৈবাল চাষ ও বাণিজ্য করে আর্থিকভাবে সচ্ছল হবেন। অপরদিকে এই খাত থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা সম্ভব হবে।

মনোরম সৈকতের হাতছানি: সবুজ শ্যামল বৃক্ষ বেষ্টিত সাগর বুকে ভাসমান অনন্য শোভামণ্ডিত এই সেন্টমার্টিন। সেন্টমার্টিনের উভয়প্রান্তে ছোট বড় ৩৭টি সৈকত রয়েছে যা ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে বছরের অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে। সেন্টমার্টিনকে বাঁচাতে হবে আমাদের স্বার্থেই। সেজন্য সর্বসাধারণকে সচেতন থাকতে হবে পরিবেশ বিষয়ে। পর্যটন আইন মেনে চলতে হবে। ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র ফেলা যাবে না। স্থায়ী আবাসন কমাতে হবে। থাকার ব্যবস্থা বন্ধ করতে পারলে সবচেয়ে ভাল। পর্যটন পুলিশের সংখ্যা, বুথ ও নজরদারি বাড়াতে হবে। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।


আরও খবর



তারকা ক্রিকেটারকে বাদ দিয়েই বিশ্বকাপে যাচ্ছে ভারত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ দল ঘোষণা করে তারা। বিশ্বকাপে ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত শর্মা। দলে রয়েছে বিরাট কোহলিও।

চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েছেন শিবাম দুবে। তবে দলে জায়গা হয়নি লোকেশ রাহুল, শুভমান গিল ও রিঙ্কু সিংয়ের। রিজার্ভ দলে জায়গা পেয়েছেন গিল ও রিঙ্কু।

বিশ্বকাপ দলে হার্দিক পান্ডিয়ার থাকা নিয়ে সংশয় থাকলেও সহ-অধিনায়ক হিসেবে তিনি রয়েছেন ঘোষিত দলে। চলমান আইপিএলে মুম্বাইয়ের জার্সিতে বাজে সময় পার করছেন হার্দিক। ওপেনার হিসেবে রোহিত শর্মার সঙ্গী হওয়ার লড়াইয়ে গিলকে পেছনে ফেলেছেন যশস্বী জয়সওয়াল। আইপিএলে দারুণ পারফরম্যান্সের পুরস্কারস্বরূপ বিশ্বকাপের টিকিট পেলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার সঞ্জু স্যামসন।

ভারতের বিশ্বকাপ দল-

রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, রিশভ পন্ত, সঞ্জু স্যামসন, হার্দিক পাণ্ডিয়া, শিবাম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, আর্শদীপ সিং, যসপ্রীত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ।

রিজার্ভ দল: শুভমান গিল, রিঙ্কু সিং, খলিল আহমেদ ও আভেস খান।


আরও খবর



শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্ব যখন প্রশংসা করছে তখন কিছু মানুষ সমালোচনা করছে৷ যে যাই বলুক, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগকে সবসময় ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই পথ চলতে হয়েছে৷ আওয়ামী লীগ দেশ ও মানুষের ওপর আস্থা রেখেই দেশ চালায়৷ কিছু রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবী অনবরত দেশবিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে৷ তাদের চোখে কিছুই ভালো লাগে না৷ বাংলাদেশ তো পেছাচ্ছে না৷ এগিয়ে যাচ্ছে৷ তাহলে সমস্যাটা কোথায়?

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ক্ষমতায় বসে লুটপাট করতে পারছে না বলেই সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় নেমেছে বিএনপি৷ বিএনপি এমন একটি দল, যাদের কোনো মাথামুণ্ডু নেই৷ তারা শুধু পারে অনলাইনে নির্দেশনা দিতে৷ ২৮ অক্টোবর বিএনপি যে অপকর্ম করেছে, তা মানুষের ভুলে যাওয়া উচিত না৷

ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসা দলের কাছে আজ গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা ভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তারা কেনো বুঝছে না দেশবাসী এই নির্বাচনে ভোট দিতে পেরে খুশি৷ জনগণের আস্থা আওয়ামী লীগ পেয়েছে, কারণ মানুষ বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ তাদের উপকার করে৷

জনগণের আস্থা-বিশ্বাসই আওয়ামী লীগের মূল শক্তি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ দেশের মানুষের দিন বদল হয়েছে৷ দারিদ্র্যের হার এখন গ্রামে নয় শহরে দেখা যাচ্ছে৷ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়া যাবে৷ পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এক বছর না পেরোতেই দেড় হাজার কোটি টাকা উপার্জন হয়েছে দেশের৷ এটাই তো প্রাপ্তি, বলেন তিনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজের চেহারা আয়নায় না দেখে, মানবাধিকার নিয়ে সবক দেয় বাংলাদেশকে৷ মার্কিন কোনো পুলিশের গায়ে কোনো রাজনৈতিক দল হাত তুললে, কী করতো সেখানতার পুলিশ? কদিন আগে যুদ্ধের বিরোধীতা করায় সাধারণ মানুষের আন্দোলনে কি জুলুমটাই না করলো আমেরিকার পুলিশ। এটা তো মানবাধিকার লঙ্ঘন৷ এর জবাব কী?

প্রচণ্ড গরমে দেশবাসীকে সাবধানে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় গরম ছড়িয়ে পড়ছে৷ শিগগিরই বৃষ্টি হবে বলে আশা করছি৷ পহেলা আষাড় থেকে পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ চালিয়ে যেতে হবে বলেও জানান শেখ হাসিনা৷


আরও খবর



হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দাবদাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এমন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

তিনি বলেন, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে? আমরা আপিলে যাবো।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিজ্ঞান কমপ্লেক্সে এক অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে সোমবার দুপুরে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে চলমান তাপ প্রবাহে এসি ছাড়া প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সম পর্যায়ের মাদরাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ রাখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। তবে যেসব স্কুলে এসির ব্যবস্থা আছে বা পরীক্ষা চলমান আছে সেসব স্কুলের জন্য এবং ও লেভেল, এ লেভেল পরীক্ষা ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না বলে আদেশে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্কুল গরমের জন্য বিপজ্জনক, আর মাঠ-ঘাট নয়? যেসব জেলায় তাপমাত্রা কম সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার তো কোনো কারণ নেই।

এদিকে আগামী ২ মে পর্যন্ত দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে গণশিক্ষা ও প্রাথমিক মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তীব্র দাবদাহের দরুন শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় আগামী ২ মে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




২৬ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এলো ১৬৮ কোটি ডলার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। রোববার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত মার্চ মাসের প্রথম ২৬ দিনে এসেছিল ১৬২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। সে হিসাবে চলতি মাসে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, এপ্রিলের ২০ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ৬ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর ১ থেকে ৫ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

গত মার্চ মাসে দেশে এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ।


আরও খবর



রাজধানীতে পোশাক শ্রমিকদের অবরোধ, তীব্র যানজট

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। ফলে বিশ্বরোডের সবগুলো সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচের সড়ক অবরোধ করেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের দাবি, বেতন-ভাতা বন্ধ। দেওয়া হয়নি বকেয়া বেতনও। কোনো সুরাহা না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমেছেন তারা।

গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হাসানুজ্জামান মোল্যা জানান, বেতন ভাতা ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে একটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যেন সৃষ্টি না হয়, এর জন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ট্রাফিক গুলশান বিভাগের সহকারী কমিশনার (বাড্ডা জোন) শুভ কুমার ঘোষ বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের রাস্তা অবরোধের কারণে পরিস্থিতি নাজুক। কুড়িল সড়কের সামনে-পেছনে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থলে ক্রাইম ডিভিশন, থানা পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।

ট্রাফিক গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আব্দুল মোমেন জানান, কুড়িল চৌরাস্তায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের অবরোধের কারণে এই মুহূর্তে কুড়িল থেকে ঢাকা ইনকামিং-আউটগোয়িং- দুই দিকেই যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে খিলক্ষেত থেকে প্রগতি সরণিগামী রাস্তায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।


আরও খবর