আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

সোনা-হীরা চোরাচালানের মাধ্যমে বছরে ৯১ হাজার কোটি টাকা পাচার

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

সোনা ও হীরা চোরাচালানের মাধ্যমে প্রতি বছর দেশ থেকে ৯১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার বেশি পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)। এই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে চোরাকারবারিরা বিদেশে পাচার করে বলে জানায় সংগঠনটি। সোমবার (৩ জুন) সকালে বাজুসের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুস কার্যনির্বাহী কামিটির সহ-সভাপতি ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান-স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্টের চেয়ারম্যান মো. রিপনুল হাসান, সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান, কার্যানির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান-স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্টের চেয়ারম্যান মো. রিপনুল হাসান বলেন, প্রতিদিন দেশের জল, স্থল ও আকাশপথে কমপক্ষে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলংকার, সোনার বার, ব্যবহৃত পুরোনো জুয়েলারি (যা ভাঙারি হিসেবে বিবেচিত হয়) ও হীরার অলংকার (ডায়মন্ড জুয়েলারি) চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে। বছর শেষে যার পরিমাণ প্রায় ৯১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার বেশি।

বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) তথ্য অনুযায়ী, যদি বৈধ পথে এসব সোনা আমদানি করা হতো, তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকে ২২ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ জমা পড়তো। এ থেকে সরকার রাজস্ব পেতো প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।

এসময় বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ডলারসহ বৈদেশিক মুদ্রার দাম বৃদ্ধি এবং বেপরোয়া চোরাচালানের কারণে বহুমুখী সংকটে পড়েছে দেশের জুয়েলারি শিল্প। এ পরিস্থিতিতে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানের পাশাপাশি ৭ দফা সুপারিশ করে বাজুস।

ঢাকা কাস্টমসের তথ্যমতে, শুধু হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাধ্যমেই ২০২০ সালে ২ দশমিক ৭৭৫ টন, ২০২১ সালে ২৫ দশমিক ৬৮৯ টন, ২০২২ সালে ৩৫ দশমিক ৭৩৩ টন এবং ২০২৩ সালে ৩১ দশমিক ৪৬৮ টন সোনার বার ব্যাগেজ রুলের আওতায় আমদানি হয়েছে।

এছাড়া, ২০২০ থেকে ২০২২ সালে শিল্পে ব্যবহারের জন্য ৪টি চালানে ২ কেজি ১৬০ গ্রাম হীরা আমদানি করা হয়েছে। তবে কোনো হীরার অলঙ্কার আমদানি হয়নি। গত ১৯ বছরে যত হীরা আমদানি হয়েছে, তার ৮৭ শতাংশই আনা হয়েছে ভারত থেকে। ভারতের গুজরাটের সুরাটে বিশ্বের ৬৫ শতাংশের বেশি হীরা কাটিং ও পলিশিং করা হয়। খুব সহজে বহন করা যায় বলে দেশটি থেকে অবৈধভাবে হীরা আসছে বলে ধারণা অনেকেরই।


আরও খবর



ঈদের আমেজ শেষে ঢাকামুখী মানুষের ভিড়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ঢাকা ছেড়েছিল মানুষ। সেই আনন্দ ও ছুটি শেষে জীবিকার তাগিদে ফের রাজধানীমুখী হচ্ছে তারা। শুক্রবার (২১ জুন) সকাল থেকে কর্মজীবী মানুষরা ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। চাপ বেড়েছে গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদে। সড়ক ছাড়া সদরঘাটেও অনেক চাপ।

দেখা যায়, বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ ঢাকায় ফিরছে। দূরপালার বাস থেকে নেমে গন্তব্যে যেতে সিএনজি, উবার ও পাঠাওয়ে শরণাপন্ন হচ্ছেন।

এক সিএনজিচালক বলেন, এতদিন মানুষের চাপ ছিল না। তবে আজ থেকে আবারও যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। সকাল থেকে গাবতলীর যাত্রী নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি।

ভাড়ায় মোটরসাইকেলচালক রনি খাঁ বলেন, আজ থেকে সাধারণ মানুষ ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে। সকাল থেকে সায়েদাবাদ থেকে অনেকগুলো ট্রিপ পেয়েছি, ভালো লাগছে।

কুষ্টিয়া থেকে বাসে গাবতলী এসেছেন সৈকত হোসেন। তিনি বলেন, ঢাকায় এলাম কোনো ভোগান্তি ছাড়াই। এমনকি দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটেও কোনো যানজট ছিল না।

এদিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দেখা যায়, ঢাকাফেরা মানুষের ভিড়। তাদের কেউ বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ফিরছেন। আবার কেউ ফিরছেন পরিবার নিয়ে। কারও সঙ্গে রয়েছে বাড়ি থেকে নিয়ে আসা বিভিন্ন জিনিসপত্রের ব্যাগ। তবে লঞ্চের মাধ্যমে ঢাকামুখী এ যাত্রায় কোনো অনিয়ম বা বড় ধরনের ভোগান্তির অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

গত ১৬, ১৭, ১৮ জুন (রবি, সোম ও মঙ্গল) ছিল ঈদের ছুটি। ছুটি শেষে বুধবার কাজে যোগ দিয়েছেন অনেকে। এদিন সরকারি-বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক খুলতে দেখা গেছে। তবে পুরোদমে ফেরেনি কর্মচাঞ্চল্য। কারণ, একদিন অফিস (বৃহস্পতিবার) করার পরই আবার শুক্র ও শনিবার (২২ জুন) সাপ্তাহিক ছুটি। এই ছুটি শেষে রোববার (২৩ জুন) থেকে রাজধানী হয়তো ফিরে যাবে আগের রূপে।


আরও খবর



মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন ৫০৪ বীরাঙ্গনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সুপারিশে ৫০৪ জন বীরাঙ্গনাকে নারী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য শামীম শাহনেওয়াজের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এসময় সংসদে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বলেন, যুদ্ধকালীন মুক্তিযুদ্ধের সহায়তাকারী সব নারীকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কার্যক্রম চলমান আছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশের আলোকে এরই মধ্যে ৫০৪ জন বীরাঙ্গনাকে নারী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তাদের নাম গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূরের প্রশ্নের জবাবে আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা যাদের নাম এমআইএস এবং সমন্বিত তালিকায় রয়েছে, তাদের অনুকূলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এক লাখ ৯৩ হাজার ৭৮০টি ডিজিটাল সনদ এবং জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এক লাখ ৮০৫টি স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, তাদের মধ্যে প্রবাসে অবস্থানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাও রয়েছেন। তবে এমআইএস ও সমন্বিত তালিকায় যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম রয়েছে, কিন্তু অদ্যাবধি ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট আইডি কার্ড পাননি, তাদের অনুকূলে ডিজিটাল সনদ, স্মার্ট আইডি কার্ড প্রস্তুত ও প্রদানের কার্যক্রম চলমান আছে।


আরও খবর
আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪




ভাঙনের কবলে সুন্দরবনের উপকূলীয় অঞ্চল

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জলবায়ু পরিবর্তন, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, উচ্চ জলোচ্ছ্বাস, লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও মনুষ্যসৃষ্ট দূষণসহ নানা ধরনের সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাদাবন (ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট) সুন্দরবন ও বনের জীববৈচিত্র্যকে। ফলে অনিরাপদ হয়ে পড়ছে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য।

সুন্দরবন বন বিভাগ সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় অস্বাভাবিক জলোচ্ছ্বাসে ১৩৪টি মৃত হরিণ ও চারটি বন্য শুকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, সুন্দরবন বন বিভাগের মতে, বন্যপ্রাণী মৃতের সংখ্যা আরও কয়েক গুণ বেশি হবে। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের পর বঙ্গবন্ধুর চর, পুটনির চরসহ গহীন সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন বন এলাকায় বন বিভাগের কর্মীরা যেতে পারেনি।

তাদের মতে, গত ২৬ মে ভোরে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সুন্দরবনে ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানে। এ সময় বঙ্গবন্ধুর চর, পুটনির চরসহ সুন্দরবনের বঙ্গোপসাগর অংশে ২০ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল। এতে বহু হরিণ সাগরে ভেসে গেছে। যার খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওগুলো পচে-গলে পানিতে মিশে গেছে। উদ্ধার করা মৃত বন্যপ্রাণীগুলো মূলত-সুন্দরবনের কটকা, কচিখালী, দুবলা, নীলকমল, আলোরকোল, ডিমের চর, পক্ষীর চর, জ্ঞানপাড়া, শেলার চর এবং বিভিন্ন নদী-খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। এর আগে ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর একটি বাঘ ও ২৭টি হরিণের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এছাড়া ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর তিনটি হরিণ ও একটি বন্য শুকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সুন্দরবনের প্রাণীর মৃত্যুর কোনো খতিয়ান নেই।

বনজীবীরা জানান, প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের গাছপালা ও বন্যপ্রাণীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে এবারই ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের গাছপালার চেয়ে বন্যপ্রাণীর ক্ষতি বেশি হয়েছে।

বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার কর্মকর্তা মফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, এবারের ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের গাছপালার চেয়ে পশুপাখির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বেশি। সুন্দরবনের যেসব জায়গা উঁচু তা সর্বোচ্চ আট ফুট। অথচ সেখানে পানি উঠেছিল ১০-১২ ফুট। টানা ৩৬-৩৭ ঘণ্টা পুরো সুন্দরবন লবণপানির নিচে ছিল। এর আগে এ রকম জলোচ্ছ্বাস সুন্দরবনে কখনো হয়নি। যা জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকির বিষয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও প্রাণী বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এম এ আজিজ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে এখন যে অভিঘাত হচ্ছে, এগুলো ধীরে ধীরে বাড়বে। উচ্চ জলোচ্ছ্বাস ছাড়াও আমরা যে অসুবিধাগুলো দেখছি, সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকা ভেঙে যাচ্ছে। বিশেষ করে সাতক্ষীরা অঞ্চলের সুন্দরবন। সাতক্ষীরা থেকে মান্দারবাড়ী হয়ে দুবলারচর, কটকা পর্যন্ত অনেক এলাকা ভেঙে যাচ্ছে। এটা সুন্দরবনের জন্য দৃশ্যমান ক্ষতি হচ্ছে। ঐ অঞ্চলে ভেঙে গিয়ে বন কমে যাচ্ছে। তবে সুন্দরবনের বলেশ্বরের দিকে কিছু কিছু চর জাগছে। সুন্দরবনের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় গত ১০-১২ বছর ধরে ভাঙন অনেক বেশি হচ্ছে। এই ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদি এবং ধীরে ধীরে এই ক্ষতি বাড়ছে। হয়তো এখন ক্ষতিটা অত নজরে আসছে না; নজরে আসে যখন ঘূর্ণিঝড়ের মতো কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় তখন।

তিনি বলেন, গত ২০ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখি, দীর্ঘ সময় ধরে সুন্দরবন জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে থাকা এবারই প্রথম দেখা গেল। জলবায়ুর যে অভিঘাতগুলো আনপ্রেডিক্টেবল (অপ্রত্যাশিত)। যা আমরা আগে থেকে প্রেডিক্ট (প্রত্যাশা) করতে পারি না। ফলে বাঘ ও বন্যপ্রাণীসহ জলজ প্রাণীরও ক্ষতি হচ্ছে। কারণ লবণাক্ততা বাড়ছে।

সুন্দরবনের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন আগের তুলনায় ধীরে ধীরে প্রকট হচ্ছে। জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কারণেই এবার উচ্চ জলোচ্ছ্বাস হয়েছে বলে আমরা মনে করছি। স্বাভাবিক জোয়ারের সময় এখন পানি অনেক উঁচু হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এবারই প্রথম সুন্দরবন একটানা প্রায় ৩৬ ঘণ্টা লোনাপানিতে প্লাবিত ছিল, যা আমরা আগে ধারণাও করতে পারিনি। সুন্দরবনে এবারের দুর্যোগ আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলায় কী করা যায়, তা নিয়ে আমরা ভাবছি।


আরও খবর



পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানি অভিনেত্রী খুশবু খান। নাটক, সিনেমা ও মঞ্চে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি। আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছেন এই অভিনেত্রী। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানের একাধিক গণমাধ্যম।

দ্য প্রিন্টের তথ্য মতে, ১০ জুন সোমবার পাকিস্তানের নওশেরা জেলার একটি ফসলের মাঠে অভিনেত্রীর গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। এরপর সেখান থেকে অভিনেত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পাকিস্তান পুলিশ। এরপরই হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে তৎপর হয় তারা। ইতোমধ্যেই হত্যার সঙ্গে যুক্ত দুজনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির নাম শওকত ও ফলক নিয়াজ।

এদিকে গণমাধ্যমটিতে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অভিনেত্রীকে অন্য কোথাও হত্যা করে জমিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে এবং অভিনেত্রীর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

খুশবু খান ছোট পর্দা ও বড় পর্দায় নিয়মিত অভিনয় করেছেন। এছাড়া পশতু ভাষার নাটকে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি।


আরও খবর



বয়ফ্রেন্ডের ক্যামেরায় জাহ্নবী কাপুরের ছবি

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

প্রেমিক শিখর পাহাড়িয়ার সঙ্গে অনেকদিন ধরেই প্রেমের সম্পর্কে আছেন বলিউড অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুর। অবশ্য বিষয়টি নিয়ে বেশ ঢাকঢোলও পিটিয়েছেন এই অভিনেত্রী। কারণ, শিখর পাহাড়িয়াকেই যে তিনি ভালোবাসেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে নিজের কিছু খোলামেলা ছবি প্রকাশ করে উষ্ণতা ছড়িয়েছেন জাহ্নবী। সেসব ছবিতে প্রেমিককে কৃতজ্ঞতা জানান এই বলিউড অভিনেত্রী। বিষয়টি অন্তত পরিষ্কার, এখন জাহ্নবী যেখানেই যান না কেন, সঙ্গে বয়ফ্রেন্ডকে নিয়েই যান। এ সময় জাহ্নবীকে ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন তার প্রেমিক; বয়ফ্রেন্ডের ক্যামেরার সামনে দিয়েছেন আদুরে পোজ। সরাসরি নাম না উল্লেখ করলেও যা পরোক্ষভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন এই অভিনেত্রী।

সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা ওই ছবিতে জাহ্নবী লিখেছেন, এটাই আমার সেরা ছুটি। এই মধুর স্মৃতিটা আমাকে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ প্রিয়।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, এই মুহূর্তে বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে সঙ্গে বিলেতে পাড়ি দিয়েছেন শ্রীদেবী কন্যা। সেখানেই খোলামেলা পোশাকে বয়ফ্রেন্ডের কাছে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি শিখরের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেন জাহ্নবী। তিনি বলেন, আমি আমার প্রেমিকের ফোনে নিয়মিত নজর রাখি। কার সঙ্গে কথা বলছে, কী করছে, সব দেখি। জানি এগুলো করা ঠিক না, তাও করি।

তবে শিখর যদি তার ফোন দেখতে চায়, তাহলে এতে ঘোর আপত্তি থাকে শ্রীদেবী কন্যার।

শিখর পাহাড়িয়া মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্ধের নাতি। এর আগে কফি উইথ করণে মুখ ফসকে জাহ্নবী বলেই ফেলেন, শিখরকে আদর করে শিখু বলেই ডাকেন এই অভিনেত্রী। যদিও একসময় শিখরের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল জাহ্নবীর। এর কয়েক বছর পরে আবার তাদের সেই সম্পর্ক জোড়া লাগে। শিখরকে পারিবারিক বন্ধু বলেই পরিচয় দেন জাহ্নবী। জাহ্নবীর বাবা বনি কাপুরও শিখরকে খুব পছন্দ করেন।

বলিউডের নতুন সিনেমা মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি চলচ্চিত্রের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহ্নবী। গত ৩১ মে মুক্তি পায় চলচ্চিত্রটি। আর তা থেকেই নতুন করে আলোচনায় এই অভিনেত্রী।

নিউজ ট্যাগ: জাহ্নবী কাপুর

আরও খবর