আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

সৌদিকে কেন ছাড় দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মাত্র মাস তিনেক আগে গত অক্টোবরেও সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত দৃঢ়। হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের সময়ে রাশিয়ার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে তেলের উৎপাদন কমিয়ে দেয় সৌদি আরব, যা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য ছিল বড় ধরনের ধাক্কা। তার আগে জুলাইতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জেদ্দায় গিয়ে তেলের উৎপাদন বাড়ানোর অনুরোধ করলেও ক্ষমতাধর সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান পাত্তা দেননি।

এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি আরবকে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, সৌদিকে এর জন্য অনির্দিষ্ট পরিণাম ভোগ করতে হবে। সম্পর্কের চরম অবনতির পর দুই দেশের কর্মকর্তারা একে অপরকে ছোটখাটো অপমানও করেন। তবে এ ঘটনার তিন মাস পরও সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা দেখা যাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রকে। শাস্তিহীন রয়ে গেছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।  সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কী ধরনের প্রতিশোধ নেওয়া হবে সে বিষয়ে বিশেষভাবে নীরব ছিলেন বাইডেন। সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রস্তাবিত পদক্ষেপের বিষয়েও নীরব থেকেছেন বাইডেন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা চলতি জানুয়ারির শুরুতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছিলেন, সৌদি আরবের ওপর থেকে হুমকি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে গালফ স্টেট অ্যানালিটিক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জর্জিও ক্যাফিয়েরো বিজনেস ইনসাইডার সাময়িকীকে বলেছেন, সৌদিকে পরিণতি ভোগ করতে হবে- হোয়াইট হাউসের এমন হুমকি ম্লান হয়ে গেছে। এর একটি মূল কারণ, সৌদি আরব সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার কারণে তেলের দাম যে হারে বেড়ে যাবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল, সেটা ঘটেনি। চীনে বোভিড প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশটির অর্থনীতি শ্লথ হয়ে পড়ায় তেলের চাহিদা কমেছে। ফলে তেলের দাম আশঙ্কা অনুযায়ী বাড়েনি। 

ক্যাফিয়েরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরব উভয়ই অভিন্ন স্বার্থের দিকে মনোনিবেশ করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হলো ইরানের হুমকি। ইরানের নিজস্ব ওয়ারহেড (ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্ফোরকমুখ) তৈরির ক্ষমতা সীমিত করার জন্য ২০১২ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বাইডেন প্রশাসন যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে, দেশটি তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এই ইসলামিক প্রজাতন্ত্র (ইরান) রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক জোরদার করেছে। রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করেছে যা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ইউক্রেনের বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে। ইয়েমেনে ইরানের হয়ে (প্রক্সি) যুদ্ধ চালাচ্ছে হুথিরা। দীর্ঘ এবং ব্যয়বহুল এই সংঘাতে সৌদি আরব-সমর্থিত বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে হুথিরা। হিজাব নিয়ে ইরানে চলমান দাঙ্গা ইয়েমেনের সংঘাতকে বাড়িয়ে তুলতে পারে বলেও যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে।

ক্যাফিয়েরো বলেন, ইরানের পরিস্থিতি এখানে প্রাসঙ্গিক কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব উভয়েরই উদ্বেগ রয়েছে যে তেহরান তার অভ্যন্তরীণ অস্থিরতাকে এমনভাবে আঞ্চলিক করার চেষ্টা করছে যা আশেপাশের দেশগুলোতে আঘাত করতে পারে। সৌদি আরবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান- গত গত নভেম্বরে এমন একটি খবর প্রকাশ হলে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানগুলো মহড়া দেয়, যা ইরানের আগ্রাসন প্রতিরোধে সহায়তা করার একটি পদক্ষেপ। পাশাপাশি সৌদি আরবকে বৃহত্তর নিরাপত্তা সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর সৌদি আরবের কাছে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের কর্মকর্তারা বিজনেস ইনসাইডারকে বলেছেন, তারা একসঙ্গে তেহরানকে প্রতিহত করতে সংবেদনশীল গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান এবং সামরিক প্রকল্পে সহযোগিতা করছে। ইরানকে নিয়ে যৌথ পারস্পরিক স্বার্থ থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে উত্তেজনা রয়েই গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে রিয়াদ। গত ডিসেম্বরের শুরুতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সাত বছর পর সৌদি আরব সফরে গেলে তাকে নিয়ে আরব বিশ্বের নেতাদের মধ্যে যে মাত্রার যে আগ্রহ-উচ্ছ্বাস দেখা গেছে তার নজির বিরল। সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতারসহ উপসাগরীয় সহযোগিতা জোট জিসিসির সব দেশের নেতারা প্রেসিডেন্ট শির সঙ্গে বৈঠকের জন্য রিয়াদে আসেন। হাজির হন মিশর, তিউনিসিয়া, লেবানন, ইরাক এবং সুদানের শীর্ষ নেতারাও। ওই সফরে দুই দেশের মধ্যে (চীন ও সৌদি আরব) নানা ক্ষেত্রে তিন হাজার কোটি ডলার মূল্যের ৩৪টি চুক্তি ও সমঝোতা চুক্তি হয়।

প্রেসিডেন্ট শির ওই সফর এবং তাকে নিয়ে সৌদি আরবসহ আরব নেতাদের এই মাতামাতি যুক্তরাষ্ট্রের যে একবারেই পছন্দ হয়নি তাতে সন্দেহ নেই। কারণ জ্বালানি সম্পদে সমৃদ্ধ উপসাগরীয় আরব অঞ্চলকে আমেরিকা বহুদিন ধরে তাদের প্রভাব বলয়ের অন্যতম মূল কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করে এবং যে দেশের নেতাকে নিয়ে সেখানে এত উদ্দীপনা, সেই চীন বর্তমান বিশ্বে আমেরিকার এক নম্বর কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী।

অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, বেশ কিছুদিন ধরেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে, বিশেষ করে সৌদি আরব বা ইউএইর মধ্যে, নিরাপত্তা, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কের জন্য আমেরিকার ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর তাগিদ দেখা যাচ্ছে।  চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং সৌদির অভ্যন্তরীণভাবে নির্মমভাবে ভিন্নমতকে যেভাবে দমন করছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, তা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যাপক ফাটল সৃষ্টি করতে পারে। তবে আপাতত দেশ দুটি অভিন্ন স্বার্থকে প্রাধান্য দিচ্ছে এবং অভিন্ন স্বার্থের জন্য সৌদি আরবকে ছাড় দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিন্ন স্বার্থের জন্য যুক্তরাষ্ট্র আর কত ছাড় দেবে- সেটাই দেখার বিষয়।


আরও খবর



ঘরের চাল সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের জাজিরায় ঘরের চালা সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রানা মৃধা (১৭) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর ১২টার সময় জাজিরা উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের মোল্লা কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রানা মৃধা ওই এলাকার দেলোয়ার মৃধার ছেলে।

স্থানী সূত্রে জানা যায়, পালেরচর ইউনিয়নের মোল্লা কান্দির বাসিন্দা দেলোয়ার মৃধার বসতঘর নতুন করে মেরামত করার জন্য চালা সরাতে যান তার ছেলে রানা মৃধা ও স্থানীয় আবুল ভূইয়া, জামাল মল্লিকসহ কয়েকজন। হঠাৎ অসাবধানতাবসত টিনের চালা নেওয়ার সময় ঘরের মিটারের সাথে সংস্পর্শে আসে। এতে রানা মৃধা বিদ্যুতপৃষ্ট হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

প্রত্যক্ষদর্শী আবুল ভূঁইয়া জানান, আমরা কয়েকজন মিলে দেলোয়ার মৃধার ঘরের চাল সরাচ্ছিলাম। টিনের চালা সরানোর এক পর্যায়ে হঠাৎ দেখি রানা জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পরে আছে পরে দেখলাম যে টিনের চালার সাথে বিদ্যুতের তাঁর লাগানো ছিলো। এরপর আমরা তাকে জাজিরা হাসপাতালে নিয়ে আসি।

জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘরের টিনের চালার সাথেই বিদ্যুৎ মিটারের তাঁর সংযোগ ছিল। অসাবধানতাবসত বিদুৎস্পৃষ্টে তার মৃত্যু হয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



কানাডায় শিখনেতা হত্যাকাণ্ডে তিন ভারতীয় গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কানাডার অ্যালবার্টা প্রদেশের এডমন্টন শহর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছেন দেশটির পুলিশ কর্মকর্তা মনদীপ মুকের। খবর বিবিসি।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন হলেন করণ ব্রার (২২), কমল প্রিত সিং (২২) ও করণ প্রিত সিং (২৮)। তারা সবাই এডমন্টন শহরের বাসিন্দা। আদালতের নথিপত্র অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। ওই হত্যার সঙ্গে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রেপ্তার তিনজনের বাইরে আরও অনেকেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। তাই সামনে আরও অনেককে গ্রেপ্তার করা হতে পারে এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হতে পারে।

২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারেতে খুন হন নিজ্জর। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারত জড়িত বলে অভিযোগ করে কানাডা। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে খালিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নিজ্জর। তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী একটি সশস্ত্র একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিলেন- এমন অভিযোগে তাকে সন্ত্রাসী তকমা দিয়েছিল ভারত। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন নিজ্জরের সমর্থকেরা। তাদের ভাষ্য, খালিস্তান আন্দোলনের পক্ষে থাকায় একাধিকবার হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন নিজ্জর।

গত শতকের সত্তরের দশকে ভারতে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহ শুরু করেন দেশটির শিখ সম্প্রদায়ের অনেকে। ওই বিদ্রোহের জেরে সে সময় হাজারো মানুষ নিহত হয়েছিলেন। এরপরও কয়েক দশক ধরে ওই বিদ্রোহের রেশ থেকে যায়। বর্তমানে ভারতের বাইরে বিভিন্ন দেশে পাঞ্জাবে স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিখেরা।


আরও খবর



ঢাকাস্থ বরিশাল বিভাগীয় আইনজীবী কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকাস্থ বরিশালের আইনজীবীদের বৃহত্তম সংগঠন বরিশাল বিভাগীয় আইনজীবী কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গঠনতন্ত্রের ১২ ধারা অনুযায়ী উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সিনিয়র অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম এমপি, অ্যাডভোকেট মো. শাহাজাদা ২০২৪-২০২৭ তিন বছরের জন্য ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরি কমিটির অনুমোদন করেন।

কমিটিতে সভাপতি হিসেবে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাধারণ সম্পাদক মো. মাগফুর রহমান শেখ ও সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খানকে।

এছাড়া কমিটির অন্যান্যরা হলেন সহ সভাপতি সৈয়দ মাহবুব হোসেন, এ কে এম আক্তার হোসেন, মোসাম্মৎ সুরাইয়া বেগম, জাকির হোসেন সরদার, মো. নাসির উদ্দিন, এম এ হালিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল হাওলাদার, মো. আসাদুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ মো. আল-আমিন রিজভী, সহ সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. আল আমিন, মো. আল-কুদরত এ্যাপোলো, পারভেজ হোসেন, শফিকুল ইসলাম মিজান, গাজী তৌহিদুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদুর হমান বাদল,  সৈয়দ বশির হোসেন চৌধুরী, মো. সাইদুর রহমান মাঈনুল,  নাসরিন হেনা, শ্যামল কুমার রায়, এম, মান্নান (মান্না), আইন সম্পাদক ব্যারিষ্টার শেখ তানভীর করিম রাসেল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা উম্মে ছালমা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার সানিয়ান রহমান, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সরদার মো. খলিলুর রহমান, সমাজ সেবা সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল মাহবুব, আবাসন সম্পাদক মো. জাফর আহম্মেদ, তথ্য সম্পাদক মো. মশিউর রহমান, শিক্ষা সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস, ক্রিড়া সম্পাদক সৈয়দ ইউনুস আলী রবি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নার্গিস পারভীন এলিজা, প্রচার সম্পাদক মো. মোস্তফা কামাল (বাচ্চু), দপ্তর সম্পাদক  মো. রুবেল আল মামুন, নির্বাহী সদস্য মো. নুরুল ইমান বাবুল, মো. হুমায়ুন কবির, মো. আকবর হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মোসা. মৌসুমী আক্তার, ফাতিমা আক্তার, মো. মাজহারুল আনোয়ার উজ্জ্বল, এরশাদুল কাওছার, হাফিজ আল মামুন, হাবিবা আক্তার, মাহবুবা জুই, মেহেদী মিলন, নুরুল ইসলাম সজিব এবং ৬ জেলার সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক।


আরও খবর



‘শয়তানবাদ’ প্রচারের দায়ে ইরানে ২৬০ জন গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানে শয়তানবাদ’ প্রচারের দায়ে ২৬০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি ৭৩টি গাড়িও জব্দ করা হয়। গ্রেফতারদের মধ্যে তিনজন ইউরোপীয় নাগরিকও রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে  ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতারদের মধ্যে ১৪৬ জন পুরুষ ও ১১৫ জন নারী রয়েছেন। তাদের কাছ থেকে মদ ও নিষিদ্ধ মাদক জব্দ করা হয়েছে।

জানা গেছে, স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার রাতে তেহরানের পশ্চিমে অবস্থিত শাহরিয়ার শহরে অভিযান চালিয়ে শয়তানবাদ প্রচারকারীদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার নারী-পুরুষের পোশাক, মুখ ও চুলে শয়তানবাদের প্রতীক ছিল।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে তেহরানের কাছাকাছি একটি বাগানে অনুষ্ঠিত অননুমোদিত রক কনসার্ট চলাকালে শয়তানের উপাসনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইরান পুলিশ।

এরপর ২০০৯ সালের জুলাই মাসে পুলিশ ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ আর্দেবিল থেকে একই অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। একই বছরের মে মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর শিরাজ থেকে শয়তান-উপাসক’ হিসেবে ১০৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।


আরও খবর



জামিন পেলেও মুক্তি মিলছে না ইমরান খানের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দুর্নীতির মামলায় জামিন পেলেও মুক্তি মিলছে না পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। বুধবার (১৫ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইমরান খানের আইনজীবী বলেন, বুধবার ইসলামাবাদে ইমরান খান জমি দুর্নীতির মামলায় জামিন পেয়েছেন। তবে অন্য দুই মামলায় জামিন না মেলায় তাকে এখনো কারাগারে থাকতে হবে। জেল থেকে বের হতে পারবেন না তিনি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে এক আবাসন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জমি উপহার নেন। তবে ইমরান খানের দাবি, তিনি কোনো ভুল করেননি। এজন্য তিনি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।

যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জামিনের তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আরও দুই মামলায় জামিন না মেলায় ইমরান খানকে কারাগারে থাকতে হবে। এর একটি হলো রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস এবং অন্যটি হলো ইসলামী আইন লংঘন করে বিয়ে করা।

গত বছরের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন ইমরান খান। চারটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। তবে এরই মধ্যে দুই মামলার সাজা স্থগিত করা হয়েছে।

পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা রয়েছে। একইসঙ্গে তার স্ত্রী বুশরা বিবিও কারাগারে রয়েছেন। ২০১৮ সালে বেআইনিভাবে ইমরান খানকে বিয়ে করার অভিযোগ এনে কারাগারে রাখা হয়েছে তাকে।


আরও খবর