হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায়
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ
এর সব আরোহীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা। সোমবার (২০ মে) পৃথক বার্তায় তারা শোক জানিয়েছেন।
শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি
সাহাবুদ্দিন ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। দেশটির নাগরিক ও
প্রেসিডেন্টের স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।
পৃথক এক শোকবার্তায়
রাইসিকে একজন বড় মাপের নেতা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি সারাজীবন
তার দেশের জন্য কাজ করে গেছেন। তার কাজের উপকার ভোগ করছেন দেশটির নাগরিকরা। ইরানের
প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মৃত্যুতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশের
পাশাপাশি তিনি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
এর আগে, রোববার
(১৯ মে) আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে ইব্রাহিম রাইসিকে
বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। পরে দীর্ঘসময় উদ্ধার অভিযান চালানোর পর হেলিকপ্টারটির
ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় তারা। এরপর হেলিকপ্টারে থাকা কোনো আরোহী জীবিত নেই বলে নিশ্চিত
করা হয়।
এদিকে, ইব্রাহিম
রাইসির মৃত্যুর পর দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন
মোহাম্মদ মোখবের। তিনি বর্তমানে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন।
ইরানের সংবিধান
অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট মারা গেলে বা কোনো কারণে দায়িত্ব পালনে সক্ষম না হলে
রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। পরবর্তী ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচনের
আয়োজন করতে হবে এবং নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে হবে। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের
দায়িত্ব সামলাবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
উল্লেখ্য, ইরানের
অষ্টম প্রেসিডেন্ট ছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। তিন বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত
হওয়ার আগে ইব্রাহিম রাইসিকে মনে করা হয় একদিন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ
খামেনির উত্তরসূরি হবেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে দেশটির প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব
পালন করেন তিনি।