আজঃ বুধবার ২৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম
আজিজের ভাইদের এনআইডি জালিয়াতি, সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করবে ইসি মতিউরের বিরুদ্ধে গাজীপুরে বিপুল পরিমাণ সম্পদ ‘জবরদখলের’ অভিযোগ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত আ. লীগ নেতা বাবুলের মৃত্যু এস কে সিনহা ও তার ভাইয়ের মামলায় প্রতিবেদন ২ সেপ্টেম্বর ‘ব্রেস্ট ক্যানসার নিয়ে দেরিতে এলে কিছুই করার থাকে না’ মেডিকেল শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে যৌন ব্যবসা, ৭ বছরে আয় শতকোটি বুড়িগঙ্গায় তেলবাহী জাহাজে আগুন, বিস্ফোরণে নিহত ১ আলুর কেজি ৭০ টাকা স্বাভাবিক মনে করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী সাধারণ মানুষ আমার প্রাণশক্তি, বিচ্ছিন্ন হতে চাই না: প্রধানমন্ত্রী পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পদের তদন্ত চলছে: আইজিপি

শরীয়তপুরে ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বুধবার শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের শরীয়তপুর জেলা সংসদের সভাপতি সাইফ রুদাদ। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিকে হাজির হওয়ার সমন জারি করার আদেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিএফ) একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বক্তব্যে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লা ছাত্র ইউনিয়ন করতেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এমন বক্তব্যে ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হন। এরই প্রেক্ষিতে ছাত্র ইউনিয়নের ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ তুলে তাঁর বিরুদ্ধে দণ্ড বিধির ৫০০ ধারায় মানহানির মামলা দায়ের করেন সাইফ রুদাদ।

ছাত্র ইউনিয়নের শরীয়তপুর জেলা সংসদের সভাপতি সাইফ রুদাদ বলেন, কাদের মোল্লা একজন প্রতিষ্ঠিত ও প্রমাণিত যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার এবং মানবতাবিরোধী অপরাধী ছিলেন। মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় এবং তা কার্যকর করা হয়েছে। তাঁর মতো ঘৃণ্য ব্যক্তিকে ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে জড়িয়ে বক্তব্য দিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ইতিহাস বিকৃতি করেছেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মানহানির মামলা করা হয়েছে।

বাদীর আইনজীবী আজিজুর রহমান রোকন বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলাটি আদালত আমলে নিয়েছেন। জেলা ও দায়রা জজ প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে হাজির হওয়ার সমন জারি করার জন্য আদেশ দিয়েছেন।


আরও খবর



ঈদের পর ফের বিস্ফোরণ মিয়ানমারে, কাঁপছে টেকনাফ

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সীমান্ত ঘেঁষে মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি ও ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে বাংলাদেশ যেন আক্রান্ত না হয় সেজন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল আটটার পর থেকে সন্ধ্যা অবধি থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছেন টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দারা। তাদের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছয়টি ও রাত সাড়ে ১২টার দিকে থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছিল। রোববার ও সোমবার আর কোন শব্দ শোনা যায়নি। মঙ্গলবার সকাল আটটার পর থেকে আবারও বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে ওপার থেকে। এতে ভয়ানকভাবে কেঁপে উঠছে টেকনাফ পৌরসভা, সদর ও সাবরাং এলাকার বেশ কয়েকটি অংশ।

ঈদের আগের দিন ও ঈদের দিন ওপার থেকে গোলাগুলি কিংবা বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে না এলেও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল সীমান্তে। এ অবস্থায় ঈদের দিন পার হতেই ফের ওপার থেকে বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসায় দ্বিগুণ হয়েছে এপারের বাসিন্দাদের আতঙ্ক। স্থানীয়রা বলছেন, সীমান্ত ঘেঁষে ক্ষণে ক্ষণে বিস্ফোরণের কয়েকটিতে ভূমিকম্পের মতো কম্পন সৃষ্টি হয়েছে টেকনাফে।

পরিস্থিতির বর্ণনায় সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসেন বলেন, মনে হয় ভূমিকম্প হচ্ছে। যেভাবে বাড়িঘর কেঁপেছে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, ঈদের পরদিন সকাল আটটার পর থেকে মিয়ানমারের ওপারের বিস্ফোরণে এপারের নাইট্যংপাড়া, চৌধুরীপাড়া, জালিয়াপাড়া, কায়ুকখালীয়পাড়া, পল্লানপাড়া, কুলালপাড়া, খানকার ডেইলসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম কেঁপে ওঠে।

এদিকে রাখাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় টেকনাফ সীমান্তের প্রতিটি গ্রামে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জলসীমায় বেশ কয়েকটি জলযান এসেছে বলে খবর পেয়েছি।

মিয়ানমারের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। যেকোন ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবি আর কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর



বিশ্বব্যাংকের ৯০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ পেল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

জলবায়ু সহিষ্ণু ও টেকসই প্রবৃদ্ধি, শহরাঞ্চলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আর্থিক পরিস্থিতি এবং আর্থিক খাতে নীতিমালা জোরালো করতে বাংলাদেশে দুই প্রকল্পে ঋণ হিসেবে ৯০০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। শুক্রবার (২১ জুন) বিশ্বব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের বোর্ড গতকাল (শুক্রবার) এই ঋণের অনুমোদন দেয়।

বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো বাংলাদেশকে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, নতুন অর্থায়ন বাংলাদেশকে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহায়তা করবে একটি হচ্ছে আর্থিক খাত ও নগর ব্যবস্থাপনা এবং অন্যটি উচ্চ মধ্যম-আয়ের দেশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দুই কিস্তি ঋণের শেষ কিস্তি হিসেবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের আর্থিক খাতে সংষ্কারের পাশাপাশি টেকসই উন্নয়নের গতি বাড়াবে। এ ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনসহ ভবিষ্যতে যেকোনো দুযোর্গ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।


আরও খবর



আজ ৬৯ ট্রেনে ঢাকা ছাড়বে দেড় লাখ মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদ যাত্রার চতুর্থ দিনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ২টি স্পেশালসহ মোট ৬৯টি ট্রেন ঢাকা স্টেশন ছেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার। এসব ট্রেনে এক থেকে দেড় লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়তে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আজ (শনিবার) ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ১২ জুন থেকে এবারের ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। গত তিন দিনে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের গন্তব্যে যেসব ট্রেন আমরা পরিচালনা করেছি সেসব ট্রেনের যাত্রীরা তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে নিরাপদে এবং ভোগান্তিহীনভাবে পৌঁছাতে পেরেছেন। আজ সকাল থেকে বেশ কয়েকটি ট্রেন ঢাকা ছেড়ে গেছে। সবগুলো ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে স্টেশন ত্যাগ করেছে। যাত্রীরা আমাদের ব্যবস্থাপনায় অনেকটা আনন্দিত হয়েছে। আমরা এবার বিনা টিকিটে ভ্রমণ করার প্রবণতাটা একটু কম দেখেছি। যাত্রীরা সচেতন হয়েছেন। বাংলাদেশ রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী, জিআরপি, ডিএমপি, র‌্যাব এবং বাংলাদেশের অন্যান্য সব বাহিনী সম্মিলিতভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি সুন্দর, ভোগান্তিহীন নিরাপদ ঈদ যাত্রা উপহার দিতে পেরেছি। এখনও পর্যন্ত কোনো ধরনের শিডিউল বিপর্যয়  এড়িয়ে অত্যন্ত নিরাপদে মানুষ নির্দিষ্ট সময়ে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে আমরা ৩৩ হাজার ৫০০ আন্তঃনগর টিকিট বিক্রি করতে পেরেছি। এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের ছিল না। কিন্তু এই ৩৩ হাজার ৫০০ টিকিটের বিপরীতে চাহিদা ছিল ব্যাপক। প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়তে চেয়েছিল। বেশিরভাগ যাত্রী হয়তো অনলাইনে টিকিট কাটতে পারেননি। এখন এই টিকিটগুলো পাওয়ার জন্য এই যে ব্যাপক চাওয়া এই চাহিদাকে পুঁজি করে এক শ্রেণির প্রতারক চক্র টিকিট প্রিন্ট আউট করে, এডিট করে বিভিন্নভাবে অনেককে প্রতারিত করেছেন। তাদের র‌্যাব ধরেছে।  

তিনি বলেন, আজকে সারা দিনে ২টা স্পেশাল ট্রেনসহ মোট ৬৯ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। আশা করছি এই ট্রেগুলোর মাধ্যমে এক থেকে দেড় লাখ মানুষ ছাকা ছাড়তে পারবেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ের সকল পর্যায়ের একটি মনিটরিং টিম কাজ করছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক রিজুর উপর হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়া, এশিয়ান টেলিভিশনের কর্মরত কুষ্টিয়ার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিকরা এশিয়ান টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রিজুর উপর হামলার ঘটনা হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) সকাল ১১টায় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার আয়োজনে কুষ্টিয়া ডিসি কোর্টে অবস্থিত প্রেসক্লাব কেপিসির চত্বর থেকে একটি বিশাল মিছিল বের হয়ে কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের প্রাণকেন্দ্র মজমপুর গেটে অবস্থান করে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সভাপতি রাশাদুল ইসলাম বিপ্লব। এ সময় বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও জিটিভি জেলা প্রতিনিধি সোহেল রানা, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি'র সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মিলন উল্লা, সহ-সভাপতি ও আর টিভি'র জেলার প্রতিনিধি শেখ হাসান বেলাল, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুন্সি তরিকুল ইসলাম। কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি'র সাংগঠনিক সম্পাদক ও আনন্দ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি ফিরোজ কায়সার, নির্বাহী সদস্য ও এশিয়ান টেলিভিশনে মিরপুর-ভেড়ামারা প্রতিনিধি ফয়সাল চৌধুরী, এশিয়ান টেলিভিশনের কুমারখালী প্রতিনিধি কে এম আর শাহীন, এশিয়ান টেলিভিশনের দৌলতপুর প্রতিনিধি সোহানুর রহমান শিপন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম প্রধান প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফেসবুকে হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদহ এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী শিপন কটূক্তি করলে এই নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ এবং পূর্ব বিরোধের জেরে হাসিবুর রহমান রিজুর ওপর এ হামলা চালানো হয়। গত বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে ওই নির্বাচনের মিটিং-এ অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে হরিপুর বাজারস্থ বিদ্যালয়ে মোটরসাইকেল যোগে যাচ্ছিলেন। এসময় পথে স্থানীয় প্রভাবশালী শিপন, মুরাদ ও রাজনের নেতৃত্বে কয়েকজন রিজুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ২০ থেকে ২৫ মিনিট দুই পা, দুই হাত ও মাথায় আঘাত করেন। এ সময় আরও ১৫ থেকে ২০ জন যুবক-কিশোর মারধরকারীদের ঘিরে রাখেন। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলে প্রায় আধঘণ্টা ধরে পড়েছিলেন রিজু। সন্ত্রাসীরা এতই প্রভাবশালী যে বাজারে থাকা লোকজন এগিয়ে আসার সাহস পান না। দুঃখের বিষয় এ মামলায় এখন পর্যন্ত মূল আসামিরা গ্রেপ্তার হয়নি।

হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রাম চলবে। এই আন্দোলন সংগ্রাম কুষ্টিয়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত চলবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন সাংবাদিক নেতারা। এই সময় সাংবাদিকর নেতৃবৃন্দরা আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম এর ঘোষণা দেন। বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রিজু ঢাকা ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

হাসিবুর রহমান রিজু হাটশ হরিপুর গ্রামের আমজাদ মালিথার ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় দৈনিক সত্য খবর পত্রিকার সম্পাদক। এছাড়াও হাসিবুর রহমান রিজু ভারত-বাংলাদেশ যুব মৈত্রী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি একই সাথে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও এলাকায় নানা সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় আহত সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রিজুর স্ত্রী টপি বিশ্বাস কুষ্টিয়া মডেল থানায় বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামায় ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।


আরও খবর



সাধারণ মানুষ আমার প্রাণশক্তি, বিচ্ছিন্ন হতে চাই না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাকে বাঁচাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে। যেহেতু আমার জীবন ঝুঁকিতে থাকে, সেজন্য স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্যরা নিয়োজিত থাকে। কিন্তু নিরাপত্তার জন্য যেন জনবিচ্ছিন্ন না হয়ে যাই সেদিকটা সংবেদনশীলতার সঙ্গে দেখতে এসএসএফকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

তিনি বলেন, জনবিচ্ছিন্ন হতে গুলি-বোমা লাগে না। এমনিতেই শেষ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাই না। কেননা সাধারণ মানুষই আমার প্রাণ শক্তি।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসএসএফের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্টের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিলো, তারা দেশকে এগিয়ে নিতে পারেনি। বরং ক্যু হয়েছে। বিমান বাহিনীর হাজার হাজার সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিলো। দেশ যে তিমিরে সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছিলো। তবে এতো বড় গুরু দায়িত্ব নিতে হবে সে প্রস্তুতি কখনোই ছিলো না। তখন দেশের দুরাবস্থা সহ্য করার মতো ছিলো না।

যতোক্ষণ নিঃশ্বাস আছে ততোক্ষণ মানুষকে উন্নত জীবন দেয়ার চেষ্টা করে যাবো, এমন অঙ্গিকার করে শেখ হাসিনা বলেন, জীবন ঝুঁকি জেনেই দেশে ফিরেছি। দেশে ফেরার পর থেকে শত বাধা পেয়েও পিছিয়ে যাইনি। দেশের জন্য কাজ করছি।

এদিকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য সরকার ফোর্সেস গোল ২০৩০ নামে একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর আকার বৃদ্ধি, আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম সংগ্রহ ও সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ।

সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৯ থেকে ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় আছি বলেই উন্নয়ন দৃশ্যমান ও টেকসই করতে পেরেছি। সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

অপরদিকে, সম্প্রতি কক্সাবাজারে মায়ানমার সীমান্তে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সীমান্তের ওপার থেকে কখনও কখনও ছুটে আসছে গুলিও। কক্সবাজার সীমান্তে বাংলাদেশের জনগণ ও স্থাপনা লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলি ছোড়ার ঘটনা ইতিমধ্যে জাতিসংঘে তুলে ধরেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের যে কোনো সংঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এটি যেন বাংলাদেশের জনগণ ও সম্পদকে প্রভাবিত না করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কাউকে আক্রমণ করতে যাবো না, তবে আক্রান্ত হলে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত থাকতে হবে।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চের ঘোষণা অনুসারে, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ১৯৮৬ সালে প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স অর্ডিন্যান্স নামে একটি অধ্যাদেশ জারি করেন। যা একই বছর ১৯ জুন থেকে কার্যকর হয়।

পূর্বের ঘোষণা অনুসারে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এরশাদের তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রপতি ও বিদেশ থেকে আগত রাষ্ট্রপ্রধানদের নিরাপত্তার জন্য ১৯৮৬ সালের ১৫ জুন  প্রেসিডেন্ট সিকিউরিটি ফোর্স নামে একটি বিশেষ নিরাপত্তা দল গঠন করেন। পরে বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার পদ্ধতি চালু হওয়ার পর ১৯৯১ সালে ২৭ সেপ্টেম্বর এর নাম পরিবর্তন করে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) নামকরণ করা হয়।

যদিও প্রাথমিকভাবে শুধু রাষ্ট্রপতি ও রাষ্ট্র কর্তৃক ঘোষিত অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা দিতে এসএসএফ গঠিত হয়েছিল। কিন্তু সংসদীয় সরকার পদ্ধতি চালু হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি ছাড়াও সরকারপ্রধানকেও এসএসএফ নিরাপত্তা দিয়ে আসছে এবং এ সংস্থাটিকে তখন থেকে পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তারের অধিকার দেওয়া হয়। ২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন গ্যাজেট আকারে প্রকাশ হওয়ার পর সংস্থাটি বর্তমানে জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদেরও সর্বস্থানে নিরাপত্তা দিয়ে আসছে।

এসএসএফ রাষ্ট্র কর্তৃক ঘোষিত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিভিআইপি) নিরাপত্তায়ও নিয়োজিত। সংস্থাটি বেসামরিক প্রশাসন, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে দেশ ও দেশের বাইরে উল্লেখিত ব্যক্তিদের শারীরিক নিরাপত্তায় যেকোনো ধরনের হুমকি থেকে রক্ষা ও সেগুলো প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। এছাড়াও তারা অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বাড়ি ও অফিসে নিরাপত্তা দিয়ে থাকে।


আরও খবর