ফৌজদারি মামলায়
সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল ও গ্রেপ্তারে সরকারের পূর্বানুমতি নেওয়ার
বিধান বাতিলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিলের অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই
সঙ্গে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত রেখেছেন আদালত। রোববার
(৬ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ
এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন আদালতে সময় আবেদন করেন এবং রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। এর আগে, ৩০ অক্টোবর আপিল বিভাগ এই লিভ টু আপিল শুনানি নিষ্পত্তি না পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন এবং শুনানির জন্য আজকে দিন ধার্য করেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর
ফৌজদারি মামলায় সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল ও গ্রেপ্তারে সরকারের পূর্বানুমতি
নেওয়া সংক্রান্ত সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ৪১(১) ধারা বাতিল করে হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের
করা আপিল আবেদনের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল
বিভাগের ৬ সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে শুনানি ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন এবং রিটের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ শুনানি করেন।
৩১ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আবেদন শুনানির জন্য ১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন চেম্বার আদালত। গত ২৫ আগস্ট ফৌজদারি মামলায় সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল ও গ্রেপ্তারে সরকারের পূর্বানুমতি নেওয়ার বিধান বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বলা হয়, সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতির বিধান বেআইনি, সংবিধান পরিপন্থী ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থী।
আদালতে রিট
আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী একলাস উদ্দিন ভূঁইয়া,
রিপন বাড়ৈ ও সঞ্জয় মণ্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার
রায়।
উল্লেখ্য, ২০২১
সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে সরকারের পূর্বানুমতি নেওয়ার বিধান
কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।