আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

সুনামগঞ্জে আটকে পড়া ঢাবি শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে বেড়াতে গিয়ে বন্যায় আটকেপড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীকে অবশেষে সেনাবাহিনীর সহায়তায় সুরমা নদীর চর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর জানিয়েছে, শিক্ষার্থীসহ যারা লঞ্চ নষ্ট হয়ে আটকা পড়েছিলেন, তাদের ছাতক থেকে উদ্ধার করে সিলেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সুরমা নদীতে আটকেপড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শোয়েব আহমেদ জানান, আমরা গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার এলাকার একটি ফেরিঘাটে আশ্রয় নিয়েছিলাম এবং সকাল পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করেছিলাম। আজ সকাল ৮টার পর সেনাবাহিনী আমাদের উদ্ধার করতে আসে।

এখন আমরা গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২১ জন একটি নৌযানে আছি। আর বাকি যারা আটকা পড়েছিলেন, তারা আলাদা আলাদা লঞ্চে যাচ্ছেন, বলেন শোয়েব আহমেদ।


জানা গেছে, গতকাল শনিবার দুপুর ২টার দিকে পুলিশ লাইন্স থেকে কপোতাক্ষ অনির্বাণ ট্যুরিজম বোট নামের একটি লঞ্চে করে ঢাবির ৪৫ জন ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী সিলেট শহরের দিকে রওনা দেন। কিন্তু রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের কাছে সুরমা নদীর চরে আটকা পড়েন। ভুক্তভোগীরা জানান, তাদের লঞ্চটি একদিকে হেলে পড়েছে। বিকল হয়ে গেছে লঞ্চের দুটি ইঞ্জিন।

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শোয়েব আহমেদ বলেছিলেন, রাত হয়ে গেছে। এখানে খুব অন্ধকার। চারিদিকে পানি আর পানি। বিভিন্ন জায়গায় সাহায্যের আবেদন করেছি। কিন্তু কেউ ঠিকমতো সাহায্য করতে পারছে না। এখানে প্রচুর স্রোত। বৃষ্টিও প্রচুর। এই রাতে সবাই জীবন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি। জরুরি ভিত্তিতে আমাদের উদ্ধার করার আহ্বান জানাচ্ছি।

এদিকে, আটকেপড়া শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করেছিলেন ঢাবির প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান আবুল মনসুর আহাম্মদও শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সুনামগঞ্জ ভ্রমণে গিয়ে বন্যায় আটকা পড়েন ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী। পরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পানসী রেস্তোরাঁ থেকে তাদের উদ্ধার করে গত শুক্রবার বিকেলে জেলা পুলিশ লাইন্সে নেওয়া হয়। পরে গতকাল শনিবার ওই শিক্ষার্থীরা আবার আটকা পড়েন।


আরও খবর



বেনজীরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে: দুদক সচিব

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নির্ধারিত সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) উপস্থিত না হওয়ায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার স্ত্রী-কন্যারাও যদি যথাসময়ে উপস্থিত না হন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন।

রবিবার (২৩ জুন) দুদক কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

দুদক সচিব বলেন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তার বক্তব্য দেওয়ার জন্য আজ নির্ধারিত ছিল।

কিন্তু তিনি যথাসময়ে উপস্থিত হবেন কি না, সে বিষয়ে আমাদের কিছু জানাননি বা অবগত করেননি। আজ অফিস সময়ের মধ্যে কমিশনে উপস্থিত হয়ে তার বক্তব্য না দিলে অনুসন্ধান টিম আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।

তিনি আরো বলেন, আগামীকাল তার স্ত্রী ও কন্যাদের উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুসন্ধানকারী টিম নোটিশ দিয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারাও উপস্থিত না হলে তাদের বিষয়েও অনুসন্ধান টিম আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে অতিরিক্ত ১৬ দিন সময় দেওয়া হলেও তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হননি। এতে করে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারালেন সাবেক এই আইজিপি।

রবিবার (২৩ জুন) সকাল ১০টার মধ্যে দুদকের তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হওয়ার কথা ছিল বেনজীর আহমেদের। তবে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত তিনি দুদক কার্যালয়ে আসেননি।

দুদক সূত্র জানায়, মেয়াদ বাড়ানোর জন্য কোনো নতুন কোনো আবেদনও করেননি বেনজীর আহমেদ। এতে করে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারিয়েছেন।

গত ৬ জুন বেনজীর আহমেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৩ জুন সকালে তাকে দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়।


আরও খবর



স্ত্রী-কন্যাসহ বেনজীরের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করবে দুদক

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী ও দুই কন্যার বিরুদ্ধে মামলা করার পথে হাঁটছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করে যেসব তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতেই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বেনজীরকে তলব করেছে দুদক। তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরকে তলব করা হয়েছে আগামী ৯ জুন। কিন্তু অবৈধ সম্পদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না বেনজীর ও তার পরিবার। ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রী-কন্যাদের নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন সাবেক আইজিপি। এ অবস্থায় দুটি মামলা করবে দুদক।

সূত্র বলছে, বেনজীর ও তার পরিবারের নামে একটি মামলা করা হবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে। এ ছাড়া আরেকটি নন-সাবমিশন’ মামলাও করবে দুদক। এর মধ্যে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এ ছাড়া নন-সাবমিশন মামলায় আরও তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বেনজীর ও তার স্ত্রী-কন্যাদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের একজন কর্মকর্তা জানান, বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের হিসাব চেয়ে শিগগিরই তাদের ঠিকানায় নোটিশ পাঠানো হবে। নোটিশ গ্রহণ করার মতো কাউকে পাওয়া না গেলে তা বাসার দেয়ালে টানিয়ে দেওয়া হবে। তবে খবর অনুযায়ী বেনজীর আহমেদ সপরিবারে দেশত্যাগ করায় নোটিশ গ্রহণ করতে পারবেন না বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নন-সাবমিশন’ মামলা হবে।

প্রসঙ্গত, সাবেক আইজিপি ও র‍্যাবপ্রধান বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হয় গত মার্চে। পরে সেই সংবাদ আমলে নিয়ে দুদককে অনুসন্ধান করতে সংস্থাটির চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

এরপরই বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের খোঁজে গত ২২ এপ্রিল অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৩ ও ২৬ মে বেনজীর, তার স্ত্রী ও দুই কন্যার নামে থাকা অবৈধ বিশাল সম্পদ জব্দের আদেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ব্যাংক হিসাব ও শেয়ার অবরুদ্ধ করারও আদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া তাদের নামে থাকা ৬২৭ বিঘা জমি ও গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট জব্দ এবং ৩৮টি ব্যাংক হিসাব ও বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, শুধু দেশের ভেতরেই নয়, বাইরেও অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বেনজীর আহমেদ। অবসরে যাওয়ার পর তিনি তুরস্কে নাগরিকত্ব নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকায়। মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম প্রকল্পের আওতায়ও করেছেন বিনিয়োগ। স্ত্রী জিশান মির্জার নামে সেকেন্ড হোম করেছেন স্পেনে। এছাড়া দুবাইয়ের পাম জুমেরা ও মেরিনা এলাকায় নামে-বেনামে বেনজীরের বেশ কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্টের খোঁজ পেয়েছে দুদক। দুবাইয়ের মস্কো নামের একটি হোটেলে তিনি বিনিয়োগ করেছেন বলেও তথ্য আছে সংস্থাটির কাছে।

এদিকে বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তাকারী পুলিশ কর্মকর্তা, ভূমি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদসহ অন্যদেরও তালিকা করছে দুদক। তালিকা তৈরির পর তাদের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু করবে সংস্থাটি। তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে বলে জানিয়েছে সূত্র। ঢাকা, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় অবৈধ সম্পদের বিশাল সাম্রাজ্য গড়েছেন বেনজীর আহমেদ। এসব এলাকার ভূমি অফিসের সাব-রেজিস্ট্রারদের নাম তালিকায় থাকতে পারে বলে ধারণা করছে দুদক।


আরও খবর



হত্যা মামলার প্রধান আসামি দাগনভূঞা ইউপি চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মামুন। দাগনভূঞায় পৌর এলাকার ভূঞা ম্যানশন দখলের চেষ্টা ও হামলায় গৃহকর্তা আবদুল গফুর ভূঞার মৃত্যুর ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা রুজুর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২ জুন) গৃহকর্তার বড় ছেলে রিয়াদ হোসেন রাজু বাদী হয়ে আদালতে মামলা করলে দাগনভূঞা আমলী আদালতের বিচারক ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা লোকমান এ আদেশ দেন।

এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- নির্মল সাহা (৫০), চয়ন সাহা (৩৫), দহন সাহা (৩০), আইয়ুব আলী (৪৫), ছেরাজুল হক প্রকাশ হকসাব (৫০) এবং ইকবাল।

জানা গেছে, কাতার প্রবাসী আবদুল গফুর ভূঞা প্রায় ১৫ বছর আগে দাগনভূঞা পৌর এলাকার হাসপাতাল রোডের পলাশ চন্দ্র সাহার কাছ থেকে ছয় শতক জায়গা ক্রয় করেন। ওই জায়গায় ২০১৩ সালে পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করেন। ২০২৩ সালে কাতার থেকে দেশে ফেরার পর পলাশ চন্দ্র সাহার ভাগ্নে সয়েল সাহা নিজেকে ওই জায়গার মালিক বলে দাবি করেন। তার কাছ থেকে জায়গাটির আমমোক্তারনামা নেন দাগনভূঞা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মামুনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ইকবাল নামে এক ব্যক্তি।

বুধবার (২৯ মে) দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময়ে আবদুল গফুর ভূঞার বাসা ভূঞা ম্যানশনে ৪০-৫০ জন যুবক হামলা চালিয়ে জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। এ সময় তারা নিচতলায় দরজার বাইরে থেকে আটকিয়ে দ্বিতীয় তলায় গফুর ভূঞার বাসায় ঢুকে তার স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, পুত্রবধূ ও দেড় বছর বয়সী নাতনিকে মারধর করে। পরে ভবনের বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ প্রবাসজীবন শেষে দেশে ফেরার পর ক্যান্সার আক্রান্ত হন আবদুল গফুর ভূঞা। হামলার ঘটনার একদিন আগেও ভারতের চেন্নাই থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরেন তিনি।

মামলার বাদী রিয়াদ হোসেন রাজু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে ভবন ও জায়গা দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মামুন বাড়ি ছেড়ে দিতে বারবার হুমকি দিয়েছেন। তার নির্দেশে এ হামলা হয়েছে। হামলাকারীরা বাবাকে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি মারে। এ সময় তার শরীরের অস্ত্রোপচারের স্থানে আঘাত লাগে। এতে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শনিবার (১ জুন) সকালে ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দাগনভূঞা সদর ইউনিয়নের জগতপুর এলাকায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবাকে দাফন করা হয়েছে। আমি এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ও মদদদাতাদের বিচার চাই।

এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মামুনকে একাধিকবার কল করা হলেও সাড়া মেলেনি।

দাগনভূঞা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে আদালতে একটি মামলা হয়েছে। আদালতের আদেশ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: দাগনভূঞা ফেনী

আরও খবর



বলাৎকারের পর শিশুকে হত্যা, মাদকসেবী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধামরাই প্রতিনিধি

Image

ঢাকার ধামরাইয়ে চাঞ্চল্যকর সাত বছরের শিশু জিসান নিখোঁজের একদিন পর লাশ উদ্ধার ও হত্যাকান্ডের মূলহোতা আল আমিনকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৪।

মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে সাভারের নবীনগরে র‍্যাব ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান। এর আগে, গতকাল সোমবার বিকেলের দিকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আল আমিন মানিকগঞ্জ সদর থানার জয়রা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে। সে ধামরাই কালামপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করে।

নিহত শিশু জিসান হাসান রাব্বি বাবা-মায়ের সঙ্গে ধামরাইয়ের কালামপুর বাজার এলাকায় থাকত। তার বাবা জুয়েল রানা কালামপুরের একটি হোটেলের কর্মী।

র‍্যাব জানায়, গত ৯ জুন সাত বছরের শিশু নিখোঁজের বিষয়ে র‍্যাব-৪ সাভার ক্যাম্পে একটি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর বাবা। পরের দিন সোমবার বিকেলের দিকে ধামরাইয়ের কালামপুর বাজারের পাশের একটি কবরস্থানের পাশে জঙ্গলের ভেতর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা যায়। ওই ঘটনায় ছায়া তদন্ত চালিয়ে শিশুটির হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে ওই আটক অভিযুক্ত জানায়, ৯ জুন বিকেলের দিকে কালামপুর এলাকায় শিশুটির গলায় রুপার চেইন দেখতে পায় সে। এ সময় কৌশলে তাকে চকলেট খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পাশে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে বলাৎকার করে তার গলায় থাকা রুপার চেইনটি খুলে নেয়। এ ঘটনা আড়াল করতে শিশুটির পরিহিত প্যান্টের রশি দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে এবং শিশুটি মাথার অংশ কাদা যুক্ত মাটির নিচে চেপে ধরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর গলায় পরিহিত রুপার চেইনটি নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সে।

লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান বলেন, গ্রেপ্তার আল আমিন পেশায় একজন চোর। চুরির পাশাপাশি সে ছিনতাই ও ডাকাতির সাথেও জড়িত। আসামী নিয়মিত মাদক হেরোইন, ইয়াবা ও গাঁজা সেবনেও করে থাকে। মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য সে ধামরাই, আশুলিয়া, সাভারসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই করে থাকে। এমনকি গত ৫-৬ মাস আগেও সে চুরির ঘটনায় ধরা পড়ে।

গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানায় র‍্যাব।


আরও খবর



অনলাইনে জঙ্গি তৎপরতা রোধ পুলিশের বড় চ্যালেঞ্জ: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অনলাইনে জঙ্গি তৎপরতা পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে অল্প সময়ের ভেতরে অল্প খরচে বেশি মানুষকে সংক্রমিত করা যায়। এক্ষেত্রে পুলিশের তৎপরতার পাশাপাশি সমাজের সব শ্রেণির মানুষের এগিয়ে আসতে হবে।

আজ সোমবার সকালে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিসানে জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মরণে স্মৃতি স্তম্ভে পু্ষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

অনলাইনে জঙ্গিবাদের তৎপরতার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের তৎপরতার পাশাপাশি সমাজের সব শ্রেণির মানুষের এগিয়ে আসতে হবে। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সচেতন শ্রেণির মানুষ ও অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে তার সন্তান কীভাবে চলছে, কার সঙ্গে চলছে, কতক্ষণ তার সন্তান মোবাইলে থাকছে, একা একা থাকছে সবকিছু খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। বাংলাদেশেও এর থেকে মুক্ত নয়। এরপরেও বাংলাদেশ পুলিশের সিটিটিসি, এটিইউ ও জঙ্গি দমনে অন্যান্য বাহিনীর দক্ষতা ও দুরদর্শিতা বাংলাদেশকে সুন্দর অবস্থায় রেখেছে। জঙ্গি দমনে বিশ্বে রোল মডেল পরিচিত পেয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, বিভিন্ন দেশে দেখে থাকি জঙ্গি আক্রমণের পরে অপারেশন হয় কিন্তু বাংলাদেশেই একমাত্র উদাহরণ যে, জঙ্গি আক্রমণ হওয়ার তথ্য পুলিশের কাছে ছিল এবং ইন্টেলিজেন্স পুলিশিং করে জঙ্গিদের অ্যাটাক করতে পেরেছি এবং অনেক ক্ষেত্রেই নির্মূল করতে পেরেছি।

হাবিবুর রহমান বলেন, বর্তমানে যেকোনো ঘটনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা রয়েছে। আশা করি, চলমান শান্তিপূর্ণ অবস্থা সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবো।

জঙ্গিদের অর্থায়নে বিভিন্ন ইন্সুইরেন্সের জড়িত থাকার অভিযোগের প্রশ্নে তিনি বলেন, জঙ্গি সংশ্লিষ্ট যেকোনো প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি কিংবা সংগঠন তাদের পেছনে পুলিশের তৎপরতা রয়েছে এবং সেটি অব্যাহত থাকবে।

এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামানসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর