আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

সুন্দরগঞ্জে কাঁচা রাস্তার বেহালদশা, চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল রানা, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

Image

গত এক সপ্তাহ ধরে অবিরাম বর্ষণ এবং বেপরোয়াভাবে পাওয়ার টিলার, কাঁকড়া চলাচলের কারণে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ ধুমাইটারীসহ উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়ের কাঁচা রাস্তার বেহাল দশায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী।

কাঁচা রাস্তাগুলো দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ এলাকার হাজার হাজার লোকজনকে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাগুলো হয়ে উঠে কাদাপূর্ণ। কাঁচা রাস্তাগুলোর গর্তে পানি জমে হাটু ও গিটা কাঁদায় পরিণত হয়। সে কারণে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পায়ে হেঁটেও চলাচল করা যাচ্ছে না। রাস্তাগুলোর এ অবস্থা হওয়ার কারণে অনেকে রাস্তায় ধানের চারা রোপন করে দ্রুত রাস্তাগুলো পাকা করণের দাবি জানাচ্ছেন তারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দহবন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ ধুমাইটারী গ্রামের (জোড়া চাতাল) হতে জরমনদী গ্রামের মরহুম নানকু চেয়ারম্যানের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে। দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার ও মেরামত না করার কারণে অসংখ্য খানা খন্দে ভরে উঠেছে রাস্তাটি। বৃষ্টির পানি গর্তে জমে হাটু কাঁদায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল কাঁচা রাস্তাটিতে বড় বড় গর্ত থাকায় খালি পায়ে পথ চলতে হচ্ছে পথচারীদের। এছাড়া জরুরী কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, ভ্যানগাড়ি প্রায়ই খানাখন্দে আটকা পড়তে দেখা যায়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন ও উপজেলাসহ এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজারে যোগাযোগ ক্ষেত্রে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসীর একমাত্র ভরসা হচ্ছে ওই কাঁচা রাস্তাটি। কিন্তু মাত্র দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণ না করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। এছাড়া উপজেলা বামনজল, সোনারায়, তারাপুর, বেলকা বামনডাঙ্গা শান্তিবাম ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তায় ধানের চারা রোপন করে রাস্তা পাঁকা করনের দাবি জানান।

স্থানীয় এক ভ্যান চালক আনারুল ইসলাম জানান, সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটিতে কাঁদা হয়ে যায় তখন আমরা ভ্যান নিয়ে বের হতে পারিনা। ১ কিলোমিটরি পথ হেঁটে পাকা রাস্তায় যেতে হয়।

জরমনদী গ্রামের শিক্ষক অজিত কুমার রায় জানান, দক্ষিণ ধুমাইটারী ও জরমনদী গ্রামেন প্রায় তিন শতাধিক পরিবারের বসবাস। কিন্তু এখান থেকে বাহিরে বের হওয়ার একটি মাত্র রাস্তা তাও পাকা না থাকার কারণে অল্পবৃষ্টিতে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। রাস্তাটি পাকাকরণ হলে আমাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

দহবন্দ ইউপি রেজাউল আলম রেজা জানান, দীর্ঘদিন থেকে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে রাস্তা সংস্কার ও মেরামতের জন্য কাজ না থাকায় কাঁচা রাস্তাগুলোয় মাটির কাজ করা হচ্ছে না। সে জন্য বৃষ্টির কারণে মাটি ধসে গিয়ে কাঁদা ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বরাদ্দ আসলে কাজ করা হবে।

স্থানীয় প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর রাস্তাগুলো পাঁকাকরণের দাবী জানান।

এবিষয়ে স্থানীয়া সাংসদ ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে বেশ কয়েকবার ফোনে যোগাযোগে করার চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



মিয়ানমার চেকপোস্টে বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবুল কালাম নামে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরাকান আর্মি। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের বামহাতির ছড়া এলাকার মো. বদিউজ্জামানের ছেলে। রোববার (১২ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

বিশেষ একটি সূত্রে জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর অধীনস্থ ফুলতলী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার-৪৮/২ এস এর জিরো লাইন অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করেন আবুল কালাম। ওই সময় মিয়ানমারের বান্ডুলা চেকপোস্ট এলাকায় আরাকান আর্মি তাকে গুলি করে হত্যা করে। সূত্রটি আরও জানায়, মরদেহটি বর্তমানে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মির হেফাজতে রয়েছে।

নিহত আবুল কালাম বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে খাদ্য সামগ্রী ও ইয়াবা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

গত কয়েকদিন আগে চোরাচালানের জন্য মিয়ানমার অনুপ্রবেশ করার সময় ৫ বাংলাদেশি মাইনবিস্ফোরণে আহত হয়েছিলো।


আরও খবর



দেশের বাজারে ফের কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ৯৯ টাকা কমানো হয়েছে। এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ক‌মে হ‌চ্ছে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে চল‌তি এপ্রিল মাসের ৬, ৮ ও ১৮ তারিখ সোনার দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বাড়ানো হয়েছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস। এরপর দুদফায় ভরিতে ৩১৩৮ ও ২০৯৯ টাকা কমানোর ঘোষণা দিলো বাজুস।

সোনার ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৪ এপ্রিল বিকেল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৩ হাজার ৪২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম হবে ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা।

সোনার দাম কমানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।


আরও খবর



আচমকা অবসরে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

পাকিস্তান নারী দলের সাবেক অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ (বৃহস্পতিবার) পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সর্বশেষ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজে ভালো ছন্দে থাকলেও অধিনায়ক হিসেবে দলকে সাফল্য এনে দিতে পারেননি বিসমাহ। পরে নতুনদের সুযোগ করে দিতে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার ক্রিকেটকেই বিদায় বলে দিলেন ২৭৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে পাকিস্তানের জার্সি গায়ে খেলা বিসমাহ। দেশটির যে কোনো নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে যা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড। এ ছাড়া দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৯৬ টি ম্যাচে।

অবসর ঘোষণার বিবৃতিতে বিসমাহ মারুফ বলেছেন, 'আমি যে খেলাটিকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি তা থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি আমার জন্য একটি অবিশ্বাস্য যাত্রা ছিল, চ্যালেঞ্জ, বিজয় এবং অবিস্মরণীয় অনেক স্মৃতিতে ভরা।'

ক্যারিয়ারজুড়ে সমর্থন ও পাশে থাকার জন্য পরিবার, সতীর্থ থেকে শুরু করে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিসমাহ। বলেন, 'আমি আমার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই, যারা আমার ক্রিকেট যাত্রায় শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমাকে সমর্থন করেছে। আমি আমার সতীর্থ খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা আমার কাছে পরিবারের মতো হয়ে উঠেছে। মাঠে এবং মাঠের বাইরে আমাদের যে বন্ধুত্ব হয়েছে, তা আমি চিরকাল লালন করব।'

২০০৬ সালে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং ২০০৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছিল বিসমাহ মারুফের। ১৭ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ৩৩টি ফিফটিসহ ৬,২৬২ রান করেছেন এবং বোলিংয়ে ৮০টি উইকেট শিকার করেছেন।


আরও খবর



জাজিরায় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

শরীয়তপুরের জাজিরায় উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম আমিনুল ইসলামের প্রতীক ঘোড়া। ওই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে মিছিলে জীবন্ত ঘোড়া ব্যবহারের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। এস এম আমিনুল ইসলাম শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত (০২ মে) বৃহস্পতিবার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পরই প্রার্থীরা জোরেশোরে মিছিল, সভা ও প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম আমিনুল ইসলামের পক্ষে সাহেদ আলী মল্লিক নামে স্থানীয় এক নেতার নেতৃত্বে জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নের ভাটকুল বাজার এলাকা থেকে মিছিল বের করা হয়। ওই মিছিলে একটি জীবন্ত ঘোড়া রাখা হয়। কর্মী-সমর্থকেরা ঘোড়াটি সামনে রেখে মিছিল করেন। মিছিলে অন্তত দুই থেকে তিনশত কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, "উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর ১০ ধারায় বলা আছে, নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রতীক হিসেবে জীবন্ত প্রাণী ব্যবহার করা যাবে না। ১১ ধারায় বলা আছে, নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো ধরনের মিছিল বা কোনোরূপ শোডাউন করা যাবে না। ওই বিধির ৩৩ নম্বরে বলা আছে, কোনো প্রার্থী নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তা প্রমাণিত হলে রিটার্নিং কর্মকর্তার সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন ওই প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে পারেন।"

বিষয়টি নিয়ে জানতে ঐ মিছিলে নেতৃত্ব থাকা সাহেদ আলী মল্লিকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে কথা হয় সাহেদ আলী মল্লিকের ভাতিজা আকাশ মল্লিকের সাথে। তিনি বলেন, আমার কাকা আচরণবিধি সম্পর্কে জানতেন না।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম আমিনুল ইসলামকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।

শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুদ্দিন গিয়াস বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেউ কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করতে পারবেন না। আর মিছিল বা প্রচার-প্রচারণায় কোনো প্রাণী ব্যবহার করা যাবে না। এসব কার্যক্রম আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কোনো প্রার্থী এমন করেছেন বলে আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীরা হলেন, "শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী (মোটরসাইকেল প্রতীক), জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আমিনুল ইসলাম (ঘোড়া প্রতীক), নান্নু মিয়া (আনারস প্রতীক), জাজিরা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন (কাপ পিরিচ প্রতীক), জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সামচুল হক খান (দোয়াত কলম প্রতীক)।"

ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন, "মহাব্বত খান(চশমা প্রতীক), জাহাঙ্গীর আলম(মাইক প্রতীক), নুর মোহাম্মদ (উড়োজাহাজ প্রতীক),মোঃ নজরুল ইসলাম মাল(তালা প্রতীক)।"

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন, "উপজেলা পরিষদের বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার(পদ্মফুল প্রতীক), রেখা আক্তার (ফুটবল প্রতীক), নাসরিন আক্তার(হাঁস প্রতীক), জাহানারা খানম(কলস প্রতীক)।"

শাওন বেপারী, (জাজিরা) শরীয়তপুর


আরও খবর



গরমে ক্লান্তি দূর করবে চিয়া সিড

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

গরমে লেবুর ঠান্ডা পানি মন জুড়িয়ে দেয়। কিন্তু অনেকেই গলা ভেজান কোল্ড ড্রিংসে। এই ধরনের পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ওজন বাড়িয়ে দেয় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে কোল্ড ড্রিংস ছাড়ুন। এই গরমের ফল আর সুপারফুড চিয়া সিড দিয়ে শরবত বানিয়ে খান। এতে ক্লান্তি দূর হবে।

এই বীজে প্রচুর ফাইবার রয়েছে। চিয়া সিডের পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি ওজন কমাতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা মুক্তি দেয়। রক্তে সুগার লেভেল ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

চিয়া সিডের মধ্যে থাকা ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড নামের এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।

চিয়া সিডের শরবত বানাতে বেশি কষ্ট করতে হয় না। এক গ্লাস পানিতে এক চামচ চিয়া সিড ভিজিয়ে রাখলেই কাজ শেষ। তবে, এই চিয়া সিড পানিকে আরও মজাদার বানাতে পারেন।

লেবু ও চিয়া সিডের পানি : পাতিলেবুর রস দিয়ে লেবুর পানি বানিয়ে নিন। চিনির বদলে এই পানিতে মধু মেশান। কয়েকটা পুদিনা পাতা পানিতে মিশিয়ে দিন। একদম শেষে এক চামচ ভেজানো চিয়া সিড মিশিয়ে দিন। এবার এই মিশ্রণটি ফ্রিজে রেখে দিন। রোদ থেকে বাড়ি ফিরে এই লেবুর পানিতে চুমুক দিন। এক নিমেষে সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।

তরমুজ ও চিয়া সিডের পানীয় : তরমুজের শরবত শরীরকে ঠান্ডা ও হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। তরমুজের শরবতের সঙ্গে চিয়া সিড মিশিয়ে দিলে এর স্বাস্থ্য গুণ বেড়ে যায়। ব্লেন্ডারে তরমুজ ব্লেন্ড করে নিন। এবারে এতে পুদিনা পাতা ও লেবুর রস মিশিয়ে দিন। একদম শেষে এক চামচ ভেজানো চিয়া সিড মিশিয়ে দিন। এই পানীয় ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। তারপর খান। শরীরে সতেজতা এনে দেবে এই পানীয়।

নিউজ ট্যাগ: চিয়া সিড

আরও খবর