আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

স্বাধীন ভারতের প্রথম ভোটার মারা গেছেন

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৬ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

স্বাধীন ভারতের প্রথম ভোটার শ্যামশরণ নেগি মারা গেছেন। গতকাল শনিবার ভোররাতে হিমাচল প্রদেশের কিন্নরে নিজ বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০৬ বছর।

দ্য হিন্দু, আনন্দবাজার পত্রিকাসহ ভারতের একাধিক গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছিলেন নেগি। সেই ভোটটিই তার জীবনের শেষ ভোট হয়ে রইল। এর পরেই শনিবার তিনি মারা যান।

সূত্রের খবর, গত কয়েক দিন ধরেই বার্ধক্যজনিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন নেগি। পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সময়েও তার শরীর অত্যন্ত খারাপ ছিল। তিনি এক প্রকার শয্যাশায়ী ছিলেন।

জানা গেছে, বুধবার কিন্নরের ডেপুটি কমিশনার আমির সাদিকের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা তাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর শ্যামশরণের কল্পার বাড়িতে গিয়ে তার ভোট সংগ্রহ করেন।

এদিকে শ্যামশরণ নেগির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। কিন্নরের জেলা শাসক আবিদ হুসেন জানান, যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে দেশের প্রথম ভোটারের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

১৯১৭ সালের ১ জুলাই হিমাচল প্রদেশে নেগির জন্ম হয়। কল্পা গ্রামে স্কুল শিক্ষক হিসেবে জীবনের দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন তিনি। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫১ সালে স্বাধীন ভারতে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই বছর ২৫ অক্টোবর দেশের প্রথম নাগরিক হিসেবে ভোট দেন নেগি।

১৯৫১ সাল থেকে দেশের প্রতিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন এই বৃদ্ধ। ভোট দেওয়াকে তিনি নাগরিক কর্তব্য বলে মনে করতেন, কখনো এই কর্তব্যের অন্যথা হতে দেননি। কয়েক বছর আগে সনম রে ছবিতে তাকে অতিথি শিল্পী হিসেবে (গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স) দেখা গিয়েছিল।

হিমাচলের ১৪টি বিধানসভা ভোটেই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের রেকর্ড গড়েছেন কল্পা গ্রামের এই বৃদ্ধ। তার জীবনীশক্তি, ভোটাধিকার প্রয়োগের প্রতি তার আগ্রহকে সম্মান জানায় সবাই।


আরও খবর



নরসিংদীতে পিকাপ ও কাভার্ডভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীর রায়পুরার মাহমুদাবাদ নামক স্থানে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মালবাহী কাভার্ডভ্যান-পিকাপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১ জন চালক নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন পিকাপের চালকের সহকারী। ঘটনার পর থেকে মহাসড়কের উভয় পাশে কয়েক কিলোমিটার জোরে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা ৩ টায় যান চলাচল শুরু করে।

শুক্রবার রায়পুরা উপজেলার মাহমুদাবাদের নামাপাড়া ঢাকা সিলেট মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো বাচ্চু মিয়া (আনুমানিক ৩০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার নয়নপুর গ্রামের বাসিন্দা। আহত ফয়সাল (২৩) কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার মুদ্রম এলাকার করিম মিয়ার ছেলে। তারা পিকাপের চালক ও চালকের সহকারী ছিলেন। গুরুতর আহত এক পিকাপের চালকের সহকারীকে পুলিশ ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে স্থানীয় ভৈরব হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতকে প্রথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে চেড়ে আসা মাল বুজাই কুরিয়ার সার্ভিসেস একটি কাবার্ডভ্যান মহাসড়কের মাহমুদাবাদ নামাপাড়া এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিখ (ভৈরব) থেকে ছেড়ে আসা একটি মালবাহী পিকাপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় দুটি গাড়ির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই পিকাপের চালাক ভেতরে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ সময় পিছনে থাকা যাত্রীবাহী লেগুনা কাভার্ড ভ্যানের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে লেগুনার সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার পর থেকে কাবার্ডভ্যান ও লেগুনার চালক পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত পিকাপের চালকের সহকারীকে পুলিশ উদ্ধার করে স্থানীয় ভৈরব হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ ও ভৈরব ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা সকালে ঘটনাস্থলে এসে দীর্ঘ দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ট্রাকের ভেতর চাপা পরে আটকা পড়া নিহত চালককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে ভৈরব হাইওয়ে থানার নিয়ে আসা হয়েছে। দুমড়ে মুচড়ে যায় ট্রাক দুটো উদ্ধার করে ভৈরব হাইওয়ে থানার জব্দকরে নিয়ে আসে পুলিশ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, মহাসড়কে সিএনজিসহ নিষিদ্ধ যানবাহন পুলিশের সামনেই সময় অসময়ে চলাচল করে। সিএনজির কারণেই প্রায়ই দুর্ঘটনা গুলো ঘটছে। কিছুদিন পর পর ছোট বড় দুর্ঘটনায় মানুষ মারাও যায়। এ যেন দেখেও দেকার কেউ নেই। এই রখম দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি চাই।

ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের লিডার মো রাশেদ বলেন, বেলা ১টা ৪০ মিনিটে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দীর্ঘ দেড় ঘন্টার চেষ্টায় চাপাপড়া নিহত চালকের মরদেহ উদ্ধার করি। লাশ ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভৈরব হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট সাকের আহমেদ বলেন, বেলা ১ টা ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দীর্ঘদিন দেড় ঘন্টার চেষ্টায় পিকাপে চাপা পড়া চিহ্ন বিচিহৃ চালকের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাচ্ছি। তিনটি গাড়ি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসি। এ সংক্রান্ত পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও গত ছয় মাসে ওই এলাকায় একই স্থানে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত হন। এর আগেও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় পাঁচজন সবজির ক্রেতা-বিক্রেতাসহ অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: নরসিংদী

আরও খবর



ভূমি উন্নয়ন কর দেয়ার নতুন সময় কার্যকর

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল জাতীয় অর্থবছরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রতিবছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়, যা আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 এতে বলা হয়, এ পরিবর্তনের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ব্যবস্থাপনাকে জাতীয় অর্থবছরের সঙ্গে সমন্বিত করা হয়েছে। আগে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল ছিল বাংলা সনের পহেলা বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত। আশা করা যাচ্ছে, জাতীয় অর্থবছরের সঙ্গে সমন্বয়ের ফলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ভূমি মালিকের ভূমি উন্নয়ন কর দেয়া সম্পর্কিত হিসাব ব্যবস্থাপনা অধিকতর সহজ ও গতিশীল হবে। এ ছাড়া জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমি উন্নয়ন করের প্রভাব নির্ণয় অধিকতর সুবিধাজনক হবে।

এ বিষয়ে ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ গত ৮ জুন বলেন, প্রচলিত অর্থবছরের সঙ্গে সমন্বয় করে এখন থেকে কর আদায়ের সময় হবে প্রতিবছরের ১ জুলাই খেকে ৩০ জুন পর্যন্ত। কর আদায় প্রক্রিয়া অধিকতর সুষম, স্বচ্ছ ও কার্যকর করতে এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই নতুন পদ্ধতি দেশের ভূমি রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে এবং রাজস্ব আদায়ে গতিশীলতা আনবে। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই নতুন যাত্রায় সফল হই। বর্তমান পরিবর্তনটি ভূমি উন্নয়ন কর আদায় প্রক্রিয়াকে অধিকতর সুষম, স্বচ্ছ ও কার্যকর করবে।

উল্লেখ্য, মোগল বাংলায় ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রথম বাংলা সন গণনা করা হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে খাজনা আদায়ে এই গণনা কার্যকর শুরু হয়েছিল ১৫৫৬ সাল থেকে। কালক্রমে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমল হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশেও বাংলা সনের হিসাবেই জমির খাজনা তথা ভূমি কর নেয়া হতো। ১৫৮৪ প্রায়োগিক সাল ধরলে সময়ের প্রয়োজনে প্রায় ৪৪০ বছর পর ভূমি কর আদায়ের সময় পরিবর্তন হলো।


আরও খবর



বাঘায় আ. লীগরে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫০

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে বাঘায় থমথম পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

জানা গেছে, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার বাঘা উপজেলার সচেতন নাগরিকের ব্যানারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলু এবং বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলীর কর্মী সমর্থকরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। অপর দিকে একই দিনে বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজন প্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে মানববন্ধনের ডাক দেয় বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগ। উভয় পক্ষের কর্মী সমর্থকরা উপজেলা চত্বরে জড়ো হলে এরমধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। এতে ৫০ জন আহত হন।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবলু, আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলী, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দলের (জাসদ ইনু) কেন্দ্রীয় কার্যকারী কমিটির সদস্য ও জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমান শফি, পাকুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম, আবদুল খালেক, জারমান আলী, আশিক হোসেন, সুলতান আলী, ফিরোজ হোসেন, শাহাদত হোসেন, ইশতিয়াক হোসেন, কামাল হোসেনসহ অনন্ত ৫০ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। দিকে পথচারী উজ্জল হোসেন নামে এক ব্যক্তি পুলিশের টিয়ারসেলে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এছাড়া আশরাফুল ইসলাম বাবুল ও চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ দুজনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিআর শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেন। এ ঘটনায় বাঘা বাজার এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এছাড়া এমপি শাহরিয়ার আলম গ্রুপ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলু এবং বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলীর অনুসারীরা দেশিয় অস্ত্র হাতে বাঘা বাজারের দুই প্রান্তে অবস্থান নিয়েছিল। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিএইচএ ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, এখানে ১৮ জন ভর্তি হয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আরও অনেকেই বিভিন্নস্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এরমধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুত্ব হওয়ায় তাদের রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। আর যারা ভর্তি রয়েছেন তাদের চিকিৎসা চলছে।

বিষয়টি নিয়ে বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে বাঘ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে অনেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এছাড়া বাবুলকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

লায়েব উদ্দিন লাভলু ও আক্কাছ আলীর পক্ষে পাকুড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ বলেন, কয়েব বছর ধরে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-সম্পাদক অতিরিক্ত টাকা নিয়ে ক্রেতার দলিল সম্পন্ন করতেন। এ নিয়ে সমিতি ভেঙ্গে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমান কমিটি পেশি শক্তি ব্যবহার করে সমিতির কাজকর্ম চালাতে চায়। আমরা এ সমিতির নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধ ও অবৈধ কমিটি বাতিল এবং অনিয়ম দূর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভের আয়োজন করা হলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের পক্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদেক কবীর বলেন, কিছুদিন হলো শাহিনুর রহমান পিন্টুকে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন। আগে তারাই সমিতি কীভাবে চালাতেন ভাল বলতে পারবেন। তবে সমিতির নিয়মের বাইরে সাবেক সভাপতি চলতে চান। এ নিয়ে একটি পক্ষ মিছিল করার নামে আমাদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে হামলা চালিয়ে পণ্ড করে দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



চবিতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বুধবার দিনব্যাপি কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে ও আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সালামত উল্লাহ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উক্ত ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. খালেদ মিসবাহুজ্জামান।

চবি বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আকতার হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন উক্ত ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন। সেমিনারের উপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সফিউল আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উক্ত ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী কিশোয়ার জাহান চৌধুরী।

প্রফেসর ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী বলেন, পরিবেশের গুরুত্ব অনুধাবন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে। যা এতদ্অঞ্চল তথা দেশের পরিবেশ সুরক্ষায় অবদান রেখে চলেছে। পরিবেশ সুরক্ষার অন্যতম উপাদান হলো ভুমি, বৃক্ষ ও জীববৈচিত্র। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য ধরীত্রি সুন্দর ও সুরক্ষিত রাখতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষ রোপনের কোন বিকল্প নেই। তাই পরিবেশ সুরক্ষায় প্রচুর বৃক্ষ রোপনের পাশপাশি পরিবেশ বিধ্বংশী যে কোন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হতে হবে।

তিনি এই ধরীত্রি সুরক্ষায় সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানান।

ইনস্টিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি এবং চবি ঝুলন্ত সেতুর কাছে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী

এসময় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে, চবি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সালামত উল্লাহ সহ উক্ত ইনস্টিটিউটের সম্মানিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিকবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



জম্মু-কাশ্মীরে তীর্থযাত্রীদের উপর হামলা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রিয়াঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসিতে তীর্থযাত্রীদের উপর হামলার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানালেন ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত ও বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রিয়াসির জঙ্গি হামলায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি শেয়ার করেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।

এতে অভিনেত্রী প্রশ্ন তুলে লিখেছেন, বিধ্বস্ত আমি। নিরপরাধ তীর্থযাত্রীদের উপর জঘন্য হামলা চালানো হয়েছে। কেন সাধারণ মানুষ এবং শিশুদের উপর এই হামলা? সারা বিশ্বে যে ভাবে ঘৃণা ছড়াচ্ছে, তা আমার বোধগম্যতার বাইরে।

তবে এই প্রথম নয়। সারা বিশ্ব জুড়ে চলা সন্ত্রাসের বিপক্ষে বহু বার মত প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী। ইতিমধ্যেই প্রিয়াঙ্কা ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। রাফায় ইসরায়েলি হানার পরই সমাজমাধ্যমে তিনি নিজের মত ব্যক্ত করেছিলেন।

এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের সময়ও প্রিয়াঙ্কাকে দেখা গেছে পোল্যান্ডে গিয়ে উদ্বাস্তু পরিবারের শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে। সে বারও শিশুদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী এবং অভিনেত্রী দীর্ঘ দিন ধরেই ইউনিসেফের সঙ্গে যুক্ত। ২০১৬ সাল থেকে তিনি শুভেচ্ছা-দূত হিসেবে কাজ করছেন সংস্থার সঙ্গে।

সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসির দিক থেকে জম্মুর কাটরায় বৈষ্ণো দেবী মন্দিরের দিকে যাচ্ছিল পুণ্যার্থীদের একটি বাস। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ সেই বাসেই হামলা চালায় জঙ্গিরা।এতে মৃত্যু হয় ১০ জনের, আহত ৩০ জনেরও বেশি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীই এই হামলার পিছনে রয়েছে।


আরও খবর