আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

স্বামীর বোন বনে যাওয়া সেই গৃহবধূ আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

এনআইডি জালিয়াতি করে স্বামীর সহযোগিতায় শ্বশুর-শাশুড়িকে বাবা-মা বানানো কুড়িগ্রামের সেই গৃহবধূ এবার আদালতে হলফনামার মাধ্যমে নাম পরিবর্তন করতে গিয়ে আটক হয়েছেন।

সোমবার (১০ অক্টোবর) কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মজনু মিয়ার আদালতে গেলে ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে হলফনামা করার চেষ্টার অপরাধে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে আদালত।

এ ঘটনায় আদালতের বেঞ্চ সহকারী লিয়াকত আলী বাদী হয়ে গৃহবধূ সোনালী খাতুন, নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকু এবং উলিপুর পৌরসভার নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) নুরুল হুদাকে আসামি করে কুড়িগ্রাম সদর থানায় এজাহার দিয়েছেন।

এর আগে, গৃহবধূ সোনালীর বিরুদ্ধে সরকারি চাকরিতে সুবিধা নেওয়ার উদ্দেশে তার মুক্তিযোদ্ধা শ্বশুরকে বাবা এবং শাশুড়িকে মা দেখিয়ে এনআইডি তৈরি করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে আরটিভি অনলাইনসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সোনালী খাতুন নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের কুটি নাওডাঙা গ্রামের আনিছুর রহমানের স্ত্রী। সম্প্রতি তার স্বামী আনিছুর রহমান চেক ডিজঅনারের (এনআই অ্যাক্ট) একটি মামলায় কারাগারে রয়েছেন। সোনালীর বাবার নাম রবিউল হোসেন এবং মায়ের নাম আছমা। তার পৈত্রিক নিবাস উলিপুর উপজেলার গুনাই গাছের নন্দুনেফরা গ্রামে।

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে অভিযুক্ত গৃহবধূ সোনালী নিজের ও তার বাবা মায়ের নামের স্থলে দেওয়া শ্বশুর শাশুড়ির নাম পরিবর্তন করে তার প্রকৃত বাবা মায়ের নাম দিয়ে হলফনামা করতে যান। তার দাখিলকৃত কাগজপত্রে তিনি নাম ও জন্ম তারিখ ১৯৯০ সাল পরিবর্তন করে নতুন জন্ম তারিখ ১৯৯৪ সাল দেখিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি জন্ম সনদ দাখিল করেন। তার সেই জন্ম সনদের তথ্য ব্যবহার করে নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকু তাকে নাগরিকত্ব সনদ প্রদান করেন।

এ ছাড়াও তার দাখিলকৃত বিয়ের কাবিন নামায় দেখা যায়, কাজি কর্তৃক সরবরাহ করা কাবিন নামায় বয়সের ঘর ফাঁকা রেখেই কাজি কাবিন নামার প্রতিলিপি সরবরাহ করেছেন। সরবরাহকৃত সকল সরকারি কাগজপত্রে জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়ায় আদালত সোনালিকে পুলিশে সোপর্দ করেন এবং আদালতের বেঞ্চ সহকারীকে গৃহবধূ সোনালী, সন্তোষপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকু এবং উলিপুর পৌর এলাকার কাজি নুরুল হুদার বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দেন।

কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার জানান, এ বিষয়ে এজাহার পেয়েছেন তিনি। আটক গৃহবধূকে থানায় নেওয়া হয়েছে। তাকে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হবে।


আরও খবর



আ.লীগ নেতা গ্যাস বাবুকে ঝিনাইদহ কারাগারে স্থানান্তর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ঝিনাইদহে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের জেলার মহিউদ্দিন হায়দার বলেন, কাজী কামাল আহমেদ বাবুকে আমরা বুঝে পেয়েছি। ঢাকা সিএমএম আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ থেকে পুলিশ ভ্যানের মাধ্যমে তাকে এখানে পাঠানো হয়। পৌনে ৪টার দিকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে গ্যাস বাবুকে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের স্থানান্তর উপলক্ষে কারাগারের প্রধান ফটকে জোরদার করা হয় নিরাপত্তাব্যবস্থা। এসময় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে প্রটোকলের মাধ্যমে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যানে নিয়ে আসা হয় গ্যাস বাবুকে। এরপর একে একে জেলা কারাগারের মধ্যে গাড়িগুলো প্রবেশ করে। এসময় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে ও ভিডিও করতে গেলে আর সামনে এগোতে দেওয়া হয়নি। পরে গ্যাস বাবুকে ঝিনাইদহ কারাগারে হস্তান্তর করে গাড়িটি ফিরে যায়।

গ্যাস বাবুকে নিয়ে যেকোনো সময় মোবাইলফোনসহ আলামত উদ্ধারে অভিযান চালানো হতে পারে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



সিলেটে ভূমি ধসে আটকা ৩ জনকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেট মহানগরের ৩৫নং ওয়ার্ডের মেজরটিলার চামেলীবাগ আবাসিক এলাকায় ভূমিধসে একই পরিবারের ৩ জন আটকা পড়েছেন। প্রায় ৬ ঘণ্টা হতে চললেও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে তাদের উদ্ধার করা এখনো সম্ভব হয়নি। শুরু থেকে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় জনতা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছিলেন। এবার এ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে সেনাবাহিনীর একটি টিম। তাদের আরও দুটি টিম পথে আছে বলেও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানিয়েছে।

জানা গেছে, উদ্ধারের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে হাতে চালাতে হচ্ছে কার্যক্রম। যে কারণে আটকা পড়াদের উদ্ধার করতে দেরি হচ্ছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে অনুরোধ করবো- এই ৩ জনকে উদ্ধার করে দেওয়ার জন্য। কারণ- দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়ার গলিটি অত্যন্ত সরু। যে কারণে ফায়ার সার্ভিস ও সিসিকের গাড়ি বা মাটি কাটার যন্ত্র ঢুকানো যাচ্ছে না। উদ্ধার তৎপরতা ম্যানুয়ালি চালানো হচ্ছে।

সোমবার ভোর ৬টার দিকে ভূমি ধসের ঘটনা ঘটে। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেনাবাহিনীও উদ্ধার অভিযানে অংশগ্রহণ করে।

সকাল ১০টায় শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী জানান, সকাল ৭টার দিকে খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। ভারি বৃষ্টির কারণে টিলার মাটি ধসে একটি আধাপাকা ঘরের উপরে পড়েছে। এর নিচে ৩ জন লোক আটকা পড়েছেন। ঘরটি টিলার নিচেই ছিল।

সিসিকের ৩৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভোর ৬টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। এই বাসায় দুই ভাই তাদের স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। ভূমি ধসে ঘরের নিচে ৬ জন আটকা পড়েছিলেন। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও আমরা এসে এক ভাই, তার স্ত্রী ও তাদের সন্তানকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করতে পেরেছি। তবে আরেক ভাই, তার স্ত্রী ও ১ বছরের সন্তান এখনো আটকা আছেন। বৃষ্টির কারণে উদ্ধার আভিযান কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া রাস্তা ছোট হওয়ার কারণে ফায়ার সার্ভিস ও সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি ঢুকতে পারছে না। ফলে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তাই হাত দিয়েই উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। সঙ্গে পুলিশ, সিসিক কর্মী ও স্থানীয়রা সহযোগিতা করছেন।

বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলতে দেখা গেছে। কিন্তু কাউকে জীবিত বা মৃত উদ্ধার করা যায়নি।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট ভূমি ধস

আরও খবর



তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করলো বিএনপি

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। বুধবার (২৬ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল জানান, যৌথসভায় নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামী ২৯ জুন (শনিবার) রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বিএনপি। ওইদিন বিকেল ৩টায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি আগামী ১ জুলাই (সোমবার) একই দাবিতে সারাদেশের সব মহানগরে সমাবেশ পালন করবে দলটি। এছাড়াও খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামী ৩ জুলাই (বুধবার) দেশের সব জেলা সদরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, যেকোনো সময় তার জীবনহানি হতে পারে। এমন মামলায় অন্যরা মুক্তি পেলেও আদালতের দোহাই দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনকে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

খালেদা জিয়া সামনে আসলে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা সম্ভব হবে না দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, তার মুক্তিই এখন বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য। এ সময় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সহযোগিতা না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।


আরও খবর



লোকসভা নির্বাচন: একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাচ্ছেন মোদি?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের সাত ধাপের ভোট গ্রহণ শেষে চলছে ভোট গণনা। আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোট গণনা। দুপুর ২টা ৩৫ মিনিট (বাংলাদেশ সময়) পর্যন্ত ভোট গণনায় এগিয়ে আছে ক্ষমতাসীন বিজেপির জোট এনডিএ বা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স, তারা এগিয়ে রয়েছে ২৮৯টি আসনে। বিপরীতে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোট বেশ খানিকটা পিছিয়ে রয়েছে, তারা এগিয়ে রয়েছে ২৩৫টি আসনে।

তবে প্রশ্ন হচ্ছে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাচ্ছে ক্ষমতাসীন বিজেপি? এখনও পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদির বিজেপি ২৩৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। যেখানে ২০১৯ সালের লোকসভার নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছি ৩০৩টি আসন। আর বিজেপির জোট এনডিএ পেয়েছি ৩৫৩টি আসন।

দ্যা কুইন্ট ওয়ার্ল্ড এর আপডেটের তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি ২৩৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে, জাতীয় কংগ্রেস ৯৭টিতে, সমাজবাদী দল (অখিলেশ যাদব) ৩৮টিতে, তৃণমূল কংগ্রেস ৩১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। এছাড়া বাকি আসনগুলোতে স্থানীয় দলগুলো এগিয়ে রয়েছে।


আরও খবর



এনবিআর সচিব ফয়সালের শ্বশুর-শাশুড়ির নামে ১৮ ব্যাংক হিসাব

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের শ্বশুর ও শাশুড়ির নামে ১৮টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। এসব ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১৯ কোটি টাকা জমা এবং পরে তার বড় অংশ উত্তোলনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।

আদালতে জমা দেওয়া দুদকের নথি থেকে জানা যায়, ফয়সালের শ্বশুরের নাম আহম্মেদ আলী। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা। তার শাশুড়ি মমতাজ বেগম পেশায় গৃহিণী।

দুদক বলছে, শ্বশুর ও শাশুড়ির নামের ব্যাংক হিসাবে যে অর্থ লেনদেন হয়েছে, তা ফয়সালেরই অপরাধলব্ধ আয়। ফয়সাল ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ নিজের ও স্ত্রীর নামে রাখার পাশাপাশি স্বজনদের নামেও রেখেছেন।

দুদক আরও বলছে, ফয়সাল ও তার ১১ স্বজনের নামে ১৯টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৮৭টি হিসাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেন করা হয়েছে। তার শ্বশুর-শাশুড়ির ব্যাংক হিসাবে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে।

দুদক আদালতে জানিয়েছে, ফয়সাল তার অপরাধলব্ধ আয় লুকানোর জন্য স্বজনদের নামে ৭০০টির মতো ব্যাংক হিসাব খুলেছিলেন। এর মধ্যে ৮৭টি ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছে দুদক।

জানা গেছে, ফয়সাল ২০০৫ সালে বিসিএস (কর) ক্যাডারে সহকারী কর কমিশনার হিসেবে যোগ দেন। বর্তমানে এনবিআরের আয়কর বিভাগের প্রথম সচিব (ট্যাক্সেস লিগ্যাল অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।

ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছর ফয়সালের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে গত বৃহস্পতিবার ফয়সাল ও তার আত্মীয়স্বজনের নামে সম্পদের বিবরণী আদালতের কাছে তুলে ধরে সংস্থাটি।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফয়সাল ও তার স্ত্রীর নামে থাকা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে ৫ কাঠার দুটি প্লট, শ্বশুরের নামে থাকা ঢাকার রমনা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট, খিলগাঁওয়ে শাশুড়ির নামে ১০ কাঠার প্লট জব্দ এবং ৮৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন।

দুদকের নথিতে ফয়সাল, তার স্ত্রী আফসানা জেসমিন, ফয়সালের ভাই কাজী খালিদ হাসান, শ্বশুর আহম্মেদ আলী, শাশুড়ি মমতাজ বেগম, শ্যালক আফতাব আলী, খালাশাশুড়ি মাহমুদা হাসান, মামাশ্বশুর শেখ নাসির উদ্দিন, আত্মীয় খন্দকার হাফিজুর রহমান, ফারহানা আফরোজ ও রওশন আরা খাতুনের ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

আদালতে জমা দেওয়া দুদকের তথ্য বলছে, ফয়সালের নামে ছয়টি ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি ২১ লাখ টাকা জমা হয়। ফয়সালের স্ত্রী আফসানা জেসমিনের পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে জমা হয় ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ফয়সালের শ্বশুর আহম্মেদ আলীর আটটি ব্যাংক হিসাবে জমা হয় ১১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। তার নামের আটটি ব্যাংক হিসাবের দুটি ২০০৭ ও ২০১০ সালে খোলা। বাকিগুলো খোলা হয় ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে। ফয়সালের শাশুড়ি মমতাজ বেগমের নামে ১০টি ব্যাংক হিসাবে ৭ কোটি টাকা জমা হয়। তার নামের ব্যাংক হিসাবগুলোর মধ্যে একটি ২০০৯ সালে খোলা হয়। বাকিগুলো খোলা হয়েছে ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে। ফয়সালের শ্যালক আফতাব আলীর ৬টি ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা জমার তথ্য পেয়েছে দুদক।

বিভিন্ন সময়ে এসব টাকা জমা হয়েছে। পরে তার বড় অংশ তুলে নেওয়া হয়েছে। জমা ও উত্তোলনের পর ফয়সাল, তার স্ত্রী, শ্বশুর ও তার স্বজনদের ১৯টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাবে রয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকা। তাদের নামে রয়েছে ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র।


আরও খবর